āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2828 (5)

________আমার বিয়ে_________
লেখক: ShoheL Rana
__________পর্ব:-০৯____________
বেশিক্ষণ ঘুমাতে পারিনি,, সাবরিনার চিৎকারে ঘুম ভেঙে গেল। অনুভব করলাম আমার বুকের উপর ভারী কিছু একটা এসে পড়েছে। চোখে মেলতেই দেখি সাবরিনা আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে। আমি তাকে বুক থেকে সরাতে চাইলাম, সে আরো শক্ত করে ধরে থাকল আমাকে। একটা ধমক দিয়ে বললাম:
--কি হচ্ছে এসব?"
সে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলল:
--বেডে এত্তগুলো তেলাপোকা......
--তো আমি কি করব? নতুন বউকে দেখতে এসেছে ওরা, যাও কথা বলো ওদের সাথে..." বলেই আবার তাকে বুক থেকে সরাতে চাইলাম, সে হঠাৎ বুক থেকে মুখটা তুলে আমার ঠোঁটে ঠোঁট রাখল। আমি পুরো ফিদা হয়ে গেলাম। বাঁধা দেয়ার সব শক্তি হারিয়ে ফেললাম যেন। মনে হলো যেন আমি কোনো স্বর্গসুখে ভাসতেছি।
অনেক্ষণ কেটে গেল এভাবে। বাইরে তখন পাখির কলরব শুনা গেল। জানালা দিয়ে ভোরের আলো প্রবেশ করল ঘরে। সাবরিনা আমার বুক থেকে উঠে লজ্জামাখা একটা হাসি দিয়ে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে। আমি তখনও সাবরিনার ঠোঁটের ঐ আলতো ছোয়ার মোহে ভুগছিলাম। ডানহাতের আঙুলগুলো ঠোঁটে বুলাতে লাগলাম। এখনও যেন লেগে আছে সাবরিনার ঠোঁটের স্পর্শ।
.
কতক্ষণ এভাবে মগ্ন ছিলাম জানিনা। সাবরিনা আবার রুমে আসার পর স্বাভাবিক হলাম। সে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে ঢুকেছে। আমার সামনে বসে চায়ে চুমুক দিতে লাগল। আর বাঁকা চোখে আমাকে দেখতে লাগল। আমি ওর দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে উল্টোকাত হয়ে শুইলাম সোফায়। তা দেখে সে বলল:
--টেনশন করোনা, তোমার জন্যও আসতেছে নাস্তা। যাও ফ্রেশ হয়ে আস...."
আমি তার কথার কোন প্রত্যুত্তর না করে একইভাবে শুয়ে রইলাম। তখন সে গ্লাস থেকে পানির ফোটা নিয়ে আমার কানে ফেলল। খুব রাগ হলো তখন। সোফা থেকে উঠে ফ্রেশ হতে গেলাম।
ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে বসলাম। তখন উঠল বউকে নিয়ে হানিমুনে যাওয়ার কথাটা।
বাবা-মা চাই হানিমুনটা বান্দরবনে করতে। সাবরিনাও রাজি। কিন্তু ওর সাথে হানিমুনে যাওয়ার কোন ইচ্ছে আমার নেই। তবুও ইচ্ছের বিরুদ্ধে রাজি হতে হলো।
.
***
যেদিন আমরা হানিমুনে বের হলাম, সেদিন সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হলো। আমি গাড়ি ড্রাইভ করছিলাম। আর সাবরিনা বসেছিল আমার পাশে। বৃষ্টিতে চুপচাপ গাড়ি চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ, সাবরিনা বলল:
--এই একটা গান শুনাও তো?"
কথাটা না বুঝার ভান করে বললাম:
--কি শুনাব?
--গান, একটা বৃষ্টির গান শুনাও।"
--বৃষ্টির গান? আগে আমার নাকের বৃষ্টিটা মুছে দাও....." সাবরিনাকে আমার নাকের দিকে ইশারা করলাম।
--ইয়াক..." বলে সে মুখ ঘুরিয়ে নিল আমার দিক থেকে। আমি বললাম:
--কি হলো? মুছে দাও, আমি গাড়ি ড্রাইভ করব নাকি নাক মুছব?"
সে আমার দিকে না তাকিয়ে বলল:
--এক হাতে ড্রাইভ করো, অন্য হাতে নাক মুছো। পঁচা ছেলে একটা......."
--এগুলো যদি তোমাকে খাওয়াতে পারতাম......
--কি বললা তুমি? ইয়াক...." বলেই সে আমাকে হাত দিয়ে মারতে লাগল।
আমি হাসতে হাসতে বললাম:
--এমন মিনারেল ওয়াটার পাবে কোথায়? ভিটামিন এ থেকে জেট সব আছে এখানে।" বলতে বলতে টিস্যু বের করে নাক মুছলাম। তারপর টিস্যুটা সাবরিনার হাতে ধরাই দিলাম। সে টিস্যুটা বাইরে ফেলে দিয়ে আবার আমাকে হাত দিয়ে মারতে লাগল। আমি তখন বললাম:
--হানিমুনে যাচ্ছি নাকি মার ভোজনে যাচ্ছি বুঝতেছিনা।"
--চুপ একদম। কোনো কথা বলবেনা আর, চুপচাপ গাড়ি চালাও। পঁচা ছেলে।"
--কেন? মিনারেল ওয়াটার খেতে পারনি বলে আফসোস হচ্ছে?"
--আবার কথা বলে....." চোখ রাঙিয়ে তাকালো সে আমার দিকে। আমি ঠোঁটে আঙুল দিয়ে দিলাম। তারপর চুপচাপ গাড়ি চালাতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর সে তার ফোনটা বের করে তার বান্ধবীদের ফোন করতে শুরু করল। সবাইকে বলে দিল বান্দরবন যাওয়ার জন্য।
তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল:
--এই গাড়ি থামাও এখানে, আমার বান্ধবীরা আসতেছে। ওরাও যাবে....."
আমি একটু রাগ দেখিয়ে বললাম:
--মানে? আমরা হানিমুনে যাচ্ছি নাকি বনভোজনে যাচ্ছি?
--বনভোজনে যাচ্ছি..... যেটা করতে বলছি করো।"
আমি গাড়ি থামালাম। মানিব্যাগটা বের করে ক্রেডিট কার্ডটাতে চোখ বুলালাম। বেচারা ক্রেডিট কার্ডের উপর আবারও অশনি সংকেত নেমে আসতেছে বুঝতে পারলাম। ক্রেডিট কার্ডের দিকে আমাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে সাবরিনা বলল:
--কি? মায়া হচ্ছে?"
--তো মায়া হবেনা? কিছুদিন আগেও তোমরা এটার উপর অত্যাচার করেছ, এখন আবারও অত্যাচার করবা, বেচারার অস্তিত্ব তো মুছে যাবে।"
সাবরিনা আমার হাত থেকে মানিব্যাগটা নিয়ে ক্রেডিট কার্ডটা নিজের কাছে রেখে দিল। তারপর মানিব্যাগটা ফেরত দিয়ে বলল:
--এটা আমার কাছেই থাকুক।
--হুমমম..... থাকুক, আমার সবকিছু তো তোমারই।" মনে মনে বললাম: তোকে যদি গাড়ির চাকার তলায় দিতে পারতাম...."
***
আধঘণ্টা পর সাবরিনার বান্ধবীরা হাজির হলো। গাড়িতে উঠতে উঠতে তারা আমাকে প্রশ্ন করল:
--দুলাভাই, কেমন আছেন?"
আমি একটা বিদ্রূপ মার্কা হাসি দিয়ে বললাম:
--অনেক ভালো আছি, তোমরা এসেছ এখন আরো ভালো লাগতেছে....
--ওহ, তাহলে চলুন, গাড়ি স্টার্ট দিন।"
.
আমি আবার গাড়ি চালাতে শুরু করলাম। গাড়ি বান্দরবনের রাস্তায় যাচ্ছে নাকি জাহান্নামের রাস্তায় যাচ্ছে বুঝতেছিনা। ওদেরকে নিজেদের মতো থাকতে দিয়ে আমি চুপচাপ গাড়ি চালাতে লাগলাম। বৃষ্টি তখনও থামেনি। অবিরাম ঝরতেছে আকাশ থেকে। সমগতিতে নাকের বর্ষণটাও থেমে নেই আমার.......
(চলবে....

________আমার বিয়ে_________
লেখক: ShoheL Rana
__________পর্ব:-১০____________
বান্দরবনে পৌঁছে হোটেলে তিনটা রুম নিলাম আমরা। একটাতে আমি আর সাবরিনা থাকব। বাকি দুইটাতে ওর বান্ধবীরা। পাশাপাশি তিনটা রুম। বিকেল পর্যন্ত রেস্ট নিলাম আমরা। তারপর বের হলাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
.
সন্ধ্যা পর্যন্ত পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরলাম আমরা। আর ছবি তুললাম। সন্ধ্যার পর একটা শপিং সেন্টারে আসলাম। ঘুরে ঘুরে ওরা পছন্দের জিনিস কিনতে লাগল। সাবরিনা একটা পারফিউম পছন্দ করে আমাকে বলল:
--এটা দেখ তো,, গন্ধ ভালো কিনা?"
আমি পারফিউমটা নাক দিয়ে স্পর্শ করে বললাম:
--এটার তো কোন গন্ধও নেই...."
তারপর সে আরো কয়েকটা পারফিউম পছন্দ করল, আমি কোনটার গন্ধ পাইনি। শেষে সে বিরক্ত হয়ে বলল:
--কি ব্যাপার বলো তো, একটা পারফিউমেরও গন্ধ পাচ্ছনা তুমি?"
আমি নাকটা কয়েকবার ঝাড়া দিয়ে বললাম:
--নাকের ফুটো দুইটাই তো অফ,, মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছি, গন্ধ পাব কেমনে?"
সাবরিনা রেগেমেগে তাকালো আমার দিকে। কিছুক্ষণ কথা বলতে পারলনা রাগে। তারপর বলল:
--তাহলে এতক্ষণ পারফিউম এর গন্ধ নিতে চাইলা কেন?
--তুমি গন্ধ আছে কিনা দেখতে বললা তাই আর কি....."
--মাথা ফাটাতে ইচ্ছে করতেছে তোমার এখন।
--আরে বাবা সর্দি হলে তো নাক বন্ধ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
--চুপ একদম.....
--আচ্ছা.....
.
কিছুক্ষণ পর সাবরিনা আমার জন্য একটা টি-শার্ট পছন্দ করে বলল:
--এটা গায়ে দিয়ে দেখ তো.....
আমি শার্টটা হাতে নিয়ে বললাম:
--গায়ে দিতে হবেনা, পারফেক্ট সাইজ...."
--তাহলে নিয়ে নিচ্ছি।
--আমাকে জিজ্ঞেস করার কি আছে? সবি তো তোমার ইচ্ছেতেই হচ্ছে।
--তুমি একটু বেশি কথা বলো....
--ঠিক আছে, চুপ থাকলাম।"
.
সাবরিনা বান্ধবীদের সাথে পছন্দ করে আরো এটা সেটা কিনল। তারপর রাঁত দশটার দিকে রওনা দিলাম আমরা হোটেলে।
হোটেলে এসে ডিনার সেরে নিলাম। ডিনার শেষে শুয়ে পড়লাম বেডে। সাবরিনা আমাকে বেডে শুয়ে থাকতে দেখে বলল:
--কি ব্যাপার? আলাদা শুবেনা?
--এখানে তো সোফা নেই আলাদা, শুবো কোথায়?
--একবেডে থাকবো?
--হুমমম.....
--ঘুমের ঘোরে আমার গায়ে থুথু ফেলবে না তো? তোমার তো আবার.....
--হ্যা আমার ঘুমের ঘোরে থুথু ফেলার অভ্যাস আছে। আমার পাশে ঘুমালে ঘুমাও, আর নইতো একটা বালিশ আর বেডসিট নিয়ে বাথরুমে চলে যাও.....
--তুমি যাও বাথরুমে....." বলেই সে আমার পাশে শুয়ে পড়ল।
প্রথমবারের মতো পাশাপাশি ঘুমালাম আমরা।
.
মধ্যরাতে আমার ঘুম ভেঙে যায় সাবরিনার ঘেঙানি শুনে। ওর কপালে হাত দিয়ে দেখলাম ওর অনেক জ্বর। শত হলেও আমি ওর স্বামী। তার এমন জ্বরে স্বামী হিসেবে আমার একটা কর্তব্য রয়েছে।
ওর কপালে আমি জলপট্টি দিতে লাগলাম। ও জ্বরে কাঁপতেছে। বাকি রাতটা ওর পাশে বসেই কাটিয়ে দিলাম।
.
সকালে একজন ডাক্তার নিয়ে এলাম। ডাক্তার ওকে দেখে ওষুধ লিখে দিল। ওষধুগুলো ঠিকমতো খেলেই ভালো হয়ে যাবে সে।
ডাক্তারকে বিদায় দিয়ে আমি ফার্মেসিতে গেলাম ওষুধ আনতে। ওষুধ কিনে এসে দেখি সাবরিনা তার বান্ধবীদের নিয়ে রেডি হয়ে আছে বের হওয়ার জন্য। আমি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম:
--কি ব্যাপার? তোমার অসুখ, এই অবস্থায় কোথায় বের হচ্ছ?
সে জবাব দিল:
--আমার কন্ডিশন আমি বুঝব, চলো বের হবো।"
--ঠিক আছে চলুন...."
.
আবার বের হলাম আমরা। পাহাড়ি রাস্তা ধরে ঘুরতে লাগলাম। একসময় সাবরিনা মাথা ঘুরে পড়ে যায়। বাধ্য হয়ে ফিরে আসতে হলো আমাদের।
.
সাবরিনা স্বাভাবিক হওয়ার পর তাকে খুব করে বকা দিলাম আমি। বললাম:
--নিজের কন্ডিশন তুমি খুব ভালো বুঝ তাইনা? এখন তো মাথা ঘুরে পড়ে গেলা...."
সে কোনো জবাব দিলনা। আমি গলা বাড়িয়ে বললাম:
--লাগবেনা আর হানিমুন..... কালকেই ফিরে যাব আমরা...."
সানরিনা চুপ। কোন জবাব নেই তার মুখে।
.
এরপরদিন আমরা ফিরে এলাম হানিমুন থেকে। হানিমুনের এমন অভিজ্ঞতা আর কোনো স্বামী-স্ত্রী পেয়েছে কিনা আমার জানা নেই।
(চলবে....

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ