আমার বিয়ে-২
.
পর্বঃ১১(শেষ পর্ব)
সব এ্যারেন্জমেন্ট শেষ।
আমি আর জয় ঘরে বসে আছি।
কালকে বিয়ে।
এখন সন্ধা শেষে রাত ঘনিয়ে আসছে।
--জয়,চল সাবরিনাদের বাসায় যাই।
ওকে খুব দেখতে মন চাচ্ছে।
--ইস্,সালা মন কি মানছে না নাকি।
কালকেই তো বিয়ে।
--আচ্ছা চল না তবুও একটু দেখে আসি।
--দ্বারা এখন না,রাতের বেলা যাবো,যখন
ও ঘুমুবে তুই জানালা বেয়ে ওকে দেখে
আসিস।
--ওকে,এইটা রোমান্টিক হবে কিন্ত।
--হুম।
আরেকটু পর বাবা মা দাদু আত্নীয়স্বজন
যারা ছিলো সবাই খেয়ে দেয়ে
ঘুমিয়ে পড়েছে।
এখন রাত প্রায় ১১ টা আমরা যাবো রাত
১২ টার সময়।
১২ টা বাজতে আর বেশি দেরি নেই।
আমি আর জয় গাড়িটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
.....
সাবরিনাদের বাসার সামনে চলে এসেছি।
সাবরিনার রুম হচ্ছে দো-তালায়।
কিন্তু কিছু একটা দেখছি না,যেটা ধরে
বেয়ে উঠবো।
--এই জয় উঠবো কিভাবে(ফিসফিস করে)
--তুই এখানে দ্বারা আমি একটা ব্যবস্থা
করছি।
--যা করার তাড়াতাড়ি কর।
অতঃপর জয় একটা মই নিয়ে আসলো
আমি উঠে গেলাম মই বেয়ে বেয়ে।
জানালার পাল্লা ধাক্কা দিয়ে খুলে দিলাম।
দেখি সাবরিনা ঘুমুচ্ছে।
কিছুক্ষণ ওর মায়াবী মুখটার
দিকে তাকিয়ে থাকলাম।
--সাবরিনা,সাবরিনা এই সাবরিনা আরে
উঠ না আমি রানা।
--আরে,তুমিইইই.........
--আরে, আস্তে আস্তে।
--এত রাতে এখানে কি করছো।
--তোমাকে দেখতে এলাম।
ঘুম আসছিলো না।
--আরে, রাত ১ টা বেজে গেছে আজকেই
তো আমাদের বিয়ে।
তুমি চলে যাও প্লিস কেউ দেখে ফেলতে পারে।
--আরে না,কেউ দেখবে না।
তুমি একটু বাইরে আসবা প্লিস।
--তোমার কি মাথা খারাপ, এতো রাতে
কেউ বের হয়।
তুমি চলে যাও না।
--ঠিক আছে যাবো তাহলে একটা ইয়ে দাও।
--আরে ইয়ে কি।
--চুমা।
--হায়রে লজ্জাবতী রে।ছেলে মানূষের আবার
লজ্জা আছে।দে গাল দে।
উম্ম্ম্ম্াাাাাা.......যা রানা হইছে এইবার ভাগ তুই।কেউ দেখে ফেলবে যাও না বাবু প্লিস।
--ওকে,যাচ্ছি বায়।আজকে রাতে আমাদের
বাসর ঘরে দেখা হবে।গুড নাইট।
--গুড নাইট।
জয়কে ডাক দিয়ে মইয়ের কাছে আসতে
বললাম।
--জয় মইটা ধর, নামবো।
মই যেখানে ছিলো, সেখানে রেখে আমরা চলে গেলাম।
রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।
ঘুম তো আসছে না।
আর কিছুক্ষণ পর সাবরিনার সাথে আমার বিয়ে।
কথাটা ভেবে আরো মজা লাগে।
শেষরাতের দিকে ঘুমিয়ে পড়লাম।
***
অনেক সকাল হয়ে গেছে মার ডাকে
ঘুম ভঙ্গলো।
--কিরে রানা,আজকে না তোর বিয়ে।
এত সকাল পর্যন্ত কেউ ঘুমায়।
--কয়টা বাজে মা(ঘুমের ঘোরে)
--১০ টা বাজে প্রায় ওঠ।উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি
হয়ে নে।বাইরে জয় এসেছে।
--ওকে, মা উঠছি।
২য় বার বিয়ে দেখে ওত কাউকে দাওয়াত করা হয়নি।
আমাদের পরিবার,কিছু আত্নীয়স্বজন।
আর বন্ধুদের মধ্যে শুধু জয় আর ওর মা বাবা।
প্রায় দুপুর হয়ে এলো।
বরযাত্রী যাওয়ার জন্য আমরা সবাই
বেরুলাম।
সেখানে পৌছে গিয়ে খাওয়া দাওয়ার
পর হাত ধোয়ানোর পালা।
সাবরিনার সেই আগের বান্ধবী গুলো এলো
হাত ধোয়াতে।
তাদের মধ্যে একজন বললোঃ
--দুলাভাই হাত ধোয়াতে আসছি, হাত
ধোয়ানোর পর টাকা দিতে হবে।
--আচ্ছা টাকা দিব,কিন্ত তোমার নাম কি।
--ইশরাত।
--ইশরাত ভালো নাম।কিন্ত সাবরিনা কি
করছে আমাকে একটু বলতে পারবে।
--ইসস্...তোড় বুঝি সইছে না।আরেকটু পরেই তো নিজের হতে যাচ্ছে।
দেন তো টাকা দেন।
.....
এই গুন্ডি মেয়েগুলা জোর করে ১০ হাজার টাকা
আদায় করে ছারলো।ইশরাত মেয়টা মনেহয়
আরো গুন্ডি।
এ আরো টাকা চাইছে।
সবাই বললো,
--হইছে চল, বাকিটা বিয়ের পর দেখা যাবে।
আমার দিলে নারা দিয়ে উঠলো বাপরে
এর আগের বারের মতো যেন আমার atm
কার্ডের পেটের ভেতর থেকে সব বের না
করা হয়।সাবরিনা তো আমার atm কার্ডের
পেট ভরিয়ে দিছিলো কিন্ত এইবার দিবে।
এই সময় ঘটক চাচার আগমন।
সালা আমাকে দেখেই চৌদ্দপাটি দাত বের
করে হাসতে হাসতে বললোঃ
--কি,রানা বাবাজি আবার তাইলে বিয়ে হচ্ছে।
--(মনে হয় এক ঘুশি মেরে দাত ভেঙ্গে দেই,সবার সামনে তোকে এইভাবে ভেটকিয়ে
বলতে হবে) চাচা আপনার আলগা দাতটা
কই।
সে হাত দিয়ে দেখে দাত নাই।কইযে ভেটকি
মারতে গিয়ে খুলে পড়ছে।
যাক সবশেষে বিয়েটা হয়ে গেল।
সাবরিনা কে নিয়ে বাসায় ফিরলাম।
ও
ঘরে বসে ছিলো,আমি দরজার বাইরে ছিলাম।
ঘরে ঢুকতে ভয় লাগছে না জানি এইবার
আর আগের মতো করে।
এইসময় জয় আসলো,
--ঐ রানা দাড়িয়ে আছিস কেনো,রুমে ঢুক বেটা।
--দোস্ত,ভয় লাগতাছে।
জয় সালা কই বাচাবে এক ধাক্কা দিয়ে
ঘরে ঢুকিয়ে দিলো।
সাবরিনা দেখি মাথা নিচু করে বসে আছে।
আমি ওর পাশে গিয়ে দুইটা কাশি দিলাম।
হাত বাড়িয়ে ঘোমটা তুলতে যাবো ওমনি।
--এইযে বালিশ যাও গিয়ে সোফায় ঘুমাও।
--আরে, সত্যি নাকি।
--সত্যি নাতো কি,তোমার মতো হাবলার সাথে
থাকতে আমার বয়ে গেছে।
--ওকে,গুন্ডি মেডাম থাকেন আপনি।
আমি গেলাম সোফায়।
বালিশ নিয়ে সোফায় শুতে যাবো,ওমনি বেড
থেকে উঠে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঠোটে চুম্বন
করতে লাগলো।
বাপরে বিয়ের পরে বাসর রাতেই এই চেপ্টার
শুরু।
--রানা,দুজন আজকে সারারাত গল্প করবো জেগে থেকে।
--নারে বাপ আমি পারবো,আজকে আমার ওপর সারাদিন যা গেলো।এখন একটু
রেস্ট দরকার ঘুম পাইছে।
--কিসের ঘুম,জেগে থাকবো আমরা।
একটু পরেই লোডশেডিং, অন্ধকারে
আমি নাক ডেকে ঘুমুতে লাগলাম।
ওমনি সে আমাকে বেডে ডেকে আবার
উঠিয়ে দিলো।
--এই, হাবলা এই রাতে কেউ ঘুমায় নাকি।
আমাকে আদর করো।
--ও,আদর করবো কিন্তু কিভাবে।
--ও বুঝনা না,কিভাবে আদর করতে হয়।
বলেই ঠোটে দিল ওর ঠোট বসিয়ে।
***
সকাল হয়ে গেছে অনেক দুজনই ঘুমিয়ে আছি।সাবরিনা আমার বুকের ওপর মাথা রেখে ঘুমিয়েছে।
মার দরজার নক করার শব্দে ঘুম
ভাঙ্হলো।
--রানা,বউমা তোমরা উঠে ফ্রেশ হয়ে নাও।
টেবিলে নাস্তা রেডি করা।তোমার বাবা দাদু
ওয়েট করছে।
--ঠিকআছে, মা তুমি যাও আমরা আসছি।
সাবরিনাকে অনেক সুন্দর লাগছে খালি তাকিয়ে থাকতে মন চায়।
আবার জড়িয়ে ধরলাম ওকে।
--আরে হইছে চলো ফ্রেশ হয়ে নিচে নাস্তা করতে,সবাই অপেক্ষা করছে।
ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে গেলাম,
দাদু আমার পাশের চেয়ারে বসা।
--কিরে, দাদুভাই রানা রাতে কি কি হলো,ঘুম
থেকে উঠতে এতো দেরি হলো কেনো?
--(সালা বুড়ো শুনতেই হবে তোমার) সিক্রেট
দাদু বলা যাবে না।
***
নাস্তা শেষে ওকে নিয়ে বের হলাম শপিং
করতে।
শপিং মোলে চলে এসেছি।
--এখানে কেনো নিয়ে এলে রানা?
--শপিং করতে।
--বিয়ের পরের দিনই শপিং করতে হবে।
--কেনো,এর আগের বারেও তো করেছিলাম।
--সেতো দুষ্টমি করে।
--এবারেও না হয় করি।তোমার বান্ধবিদের
ফোন দাও ওরাও আসুক।
--আরে আমরা করতে আসছি আমরাই করবো ওরা কেনো আসবে।
--আচ্ছা,বলো ওদের আসতে এইটাই লাসস্ট শপিং।
--ঠিকআছে (রাগান্বিত হয়ে)।
ওরা সবাই শপিং করতেছে,আমি দাড়িয়ে আছি।
হঠাৎই চোখ গেলো ঘটক চাচার দিকে সালা আবার কোনো মেয়ে নিয়ে ঘুরছে।
এবার আর কিছু বললাম না।
লোকটা কোনো বিয়ে সাদি করে নি,ঘুরুক
তাতে আমার কি।
শপিং শেষ বাড়ি চলে আসলাম।
***
বাসায় এসে হানিমুনের প্লান করতে লাগলাম।
হানিমুনে বান্দরবান যাওয়া যাবে না।
বিয়ের আগে কোনো এক বড় আপু বলেছিলো বান্দরবান না যেতে ঐখানে নাকি
অনেক পাহাড় ধ্বসে গেছে।
হানিমুনটা আর ঐখানে গিয়ে মাটি করতে
চাই না।
এসময় জয়ের আগমন।
--এইধর রানা টিকেট।
--কিসের টিকেট?
--হানিমুন কাউপেল,কক্সবাজারের টিকেট
কাল সকালে ফ্লাইট।
সালা জয়তো সত্যিই জিনিয়াস।
--ধন্যবাদ দোস্ত।
--আরে, কিসের ধন্যবাদ।শুন রানা তোরা তো
কক্সবাজার গিয়ে ১০ দিনের মতো থাকবি।
আমার ৩ দিন পর ফ্লাইট।অফিস থেকে ফোন
দিছে যেতে হবে।আশা করি তোরা সারাজীবন ভালো থাকবি।
--(জয়কে,জড়িয়ে ধরে)হুম,এইবার আর সিঙ্গেল থাকিস না।জেরিয়া কে বিয়ে করে ফেল।
--হুম করবো,এই পরের বছরই।
জয় সাবরিনার কাছ থেকে বলে চলে গেলো।
***
আজকে সকাল ১০ টায় ফ্লাইট আমরা হানিমুনে চলে গেলাম।
(হানিমুনটা সিক্রেট না বললেও হবে)
১০ দিনের হানিমুনে অনেক মজা হলো
ফিরে এসে অফিসের কাজে পরে গেলাম।
৯ টার দিকে বের হতে হয় আবার ৭ টায় আসতে হয়।
তবুও অফিসে থেকে সাবরিনার সাথে বেশির
ভাগ ফোনে কথা বলি।
এভাবে কেটে যায় দেড়টি বছর।
তারপর আমাদের ঘর কোল আলোকিত করে আমাদের প্রথম সন্তানের আগমন।
আমাদের ছেলে সন্তান হয়েছে।
তারনাম,স্যামি।
আমার বাবা মা দাদু সাবরিনা আমরা সবাই
এরকম একটি সুখি পরিবার পেয়ে।
সাবরিনা অনেক খুশি।
যতক্ষণ আমিকে পাশে পায় ততক্ষণ সে
পৃথিবীর স্বর্গ খুজে পায়।
এতো যে কেনো ভালোবাসে আমাকে সাবরিনা। আমিও ওকে খুব খুব ভালোবাসি।
জীবনে যতদিন আছি ওকে নিয়েই বাচবো।...
.
.
(সমাপ্ত)
.
হইছে আপনারা সবাই সাবরিনা আর রানার
জন্য দোয়া করবেন ওরা যেন সারাজীবন সুখে থাকে।
_________________________
ধন্যবাদ সোহেল ভাইয়াকে, আমার বিয়ে লেখার জন্য। আর তার আঙ্গিকে আমি আমার বিয়ে-২ লিখি।
আপনারা গল্পটি প্রথম থেকে পড়ে কেমন মজা পেয়েছেন বলবেন।।
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļুāĻ্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āĻেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
2829 (6)
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ģ:ā§§ā§ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ