āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2828 (2)

>>>>আমার বিয়ে<<<<<
.
__________পর্ব:-০৩____________
ঘটক চাচা হনুমান মার্কা হেসে বলল:
--আরে না, ভাতের সাথে কি কেউ দাঁত খাই?
--কেউ খাইনা, তবে আপনি খাইলেও খাইতে পারেন......
--রানা বাবাজি, তুমি না এতো দুষ্ট হয়েছ, এসো একটু দাঁতটা খুঁজে দাও।"
--কি করে খুঁজব? আপনার খানদানি দাঁতটাকে তো চারজনে ভার করে ওদিকে নিয়ে গেছে....."
--ও তাই নাকি?" বলে ঘটক চাচা আমি যেদিকে ইশারা করলাম সেদিকে যেতে কয়েক পা বাড়ালো। পরক্ষণে আবার পেছনে এসে আমাকে বলল:
--বাবাজি, তুমি আবারও মজা করতেছে? হে হে হে.... একটা দাঁত কি এতোটা ভারি যে, ওটা ভার করতে ৪ জন লাগবে?"
--তাহলে এভাবে ওদিকে ছুটে যাচ্ছিলেন কেন?
--ওহ...তুমি মজা করতেছ তা প্রথমে বুঝতে পারিনি তাই....
--তাহলে আশেপাশে কোথাও খুঁজে দেখেন, এখানে খুঁজে না পেলে আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাব পেট চিরার জন্য। পেটের ভেতর নিশ্চয় থাকবে।"
আমার কথা শুনে ঘটক চাচা দাঁত বের করে হা হা হা করে উঠল। তারপর খুঁজতে লাগল দাঁতটা।
আমি বললাম:
--চাচা, ওটা এভাবে না খুঁজে নতুন একটা দাঁত লাগাইলে তো পারেন....."
হঠাৎ ঘটক চাচার মুখটা মলিন হয়ে গেল। কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বললেন:
--ওটা আমার বাবার স্মৃতি......"
আমি চমকে উঠে বললাম:
--আরে কি বলেন? দাঁতটা আপনার বাবাও ইউজ করত নাকি?"
ঘটক চাচা চোখ মুছে বললেন:
--না, আমার বাবা মারা যাওয়ার আগে আমাকে দাঁতটা লাগিয়ে দিয়ে গেছিল। আমার বাবা দাঁতের ডাক্তার ছিল।
--ও, আমি তো ভাবলাম আপনার বাবা নিজের দাঁতের পাটি থেকে খুলে আপনার দাঁতের পাটিতে লাগিয়ে দিছে.... আচ্ছা যাইহোক, আপনি তাহলে দাঁতের ডাক্তারের ছেলে ঘটক।
--হ্যা। আমার বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল আমি একজন বড় ডাক্তার হব। কিন্তু মেট্রিক পরীক্ষায় কয়েকবার ফেল করার পর বাবা বললেন ঘটকালি করতে, ডাক্তারি বিদ্যা আমার কপালে নাই, হা হা হা"
ঘটক চাচার হাসি দেখে ভাবতে লাগলাম, হনুমানরা যদি উচ্চস্বরে হাসতে পারত, তাহলে মনে হয় এরকমই লাগত। ঘটক চাচার জায়গায় একটা হনুমানকে কল্পনা করতে লাগলাম।
.
হঠাৎ ভাবনার চাদর ভেদ করে আমার দৃষ্টি গেল ভেতরের রুমে। ওখানে দরজার আড়াল থেকে আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকতে লাগল সাবরিনা। আমি ঘটকচাচাকে বললাম:
--চাচা, আপনি দাঁতটা খুঁজেন, খুঁজে না পেলে সমস্যা নাই, থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে একটা ডায়রি করে আসব, অথবা পত্রিকায় হারানো বিজ্ঞপ্তি দেব। আপনি কোন চিন্তা করবেননা, আমি একটু আসি...." বলেই আমি সাবরিনার রুমে গেলাম। আমি রুমে ঢুকতেই সে দরজা বন্ধ করে দিল। ওখানে তার আরো বান্ধবী ছিল। সবাই মিলে আমাকে ধরল। ওরা একেকজন একটা একটা আবদার করতে লাগল। ওদের বান্ধবীকে বিয়ে করলে ওদেরকে মাঝেমাঝে খাওয়াতে হবে, বেড়াতে নিয়ে যেতে হবে, এটা সেটা কিনে দিতে হবে। আমি দুইহাতে কান চেপে ধরলাম ওদের ফ্যানফ্যানানি সহ্য করতে না পেরে। সাবরিনা আমার কান থেকে হাত সরিয়ে বলল:
--এই ছেলে, আমাকে বিয়ে করলে যখন যা চাইব তাই কিনে দিতে হবে। প্রতিমাসে শপিং করতে নিয়ে যেতে হবে। পারবি?"
আমি একটু ভ্যাবাচেকা খেয়ে বললাম:
--এই কি আপনি "তুইতোকারি" করছেন কেন? আমার পোশাক দেখে বুঝতেছেননা আমি খানদানি বংশের ছেলে।"
--আ রে, তোর গায়ে তো আমার বাবার পোশাক...."
আমি গায়ের কাপড়ের দিকে একবার তাকিয়ে বললাম:
--ও তাইতো, এগুলো তো আপনার বাবার। কোন ব্যাপার না, পাশের রুমে আমার ড্রেসগুলো শুকাতে দিছি, দেখে আসতে পারেন।"
সাবরিনা হঠাৎ রেগে উঠে বলল:
--ঐ তোর ড্রেস দেখে কি তোর খানদানের পরিচয় জানতে হবে? তোর ড্রেস আমি দেখিনি? বল, আমাকে বিয়ে করলে আমার আর আমার সব বান্ধবীর সব আবদার পূরণ করতে পারবি কিনা?"
--হ্যা পারব। শুধু তোমার আর তোমার বান্ধবীর কেন, তোমার বান্ধবীদের বিয়ে হলে, তাদের স্বামীর, শ্বশুরবাড়ির সবার আবদার পূরণ করব। তাদের সন্তান হলে তাদেরও আবদার রাখব। যদি বেঁচে থাকি, তাদের সন্তানদের আগামী বংশধরদের আবদারও বৃথা যেতে দেবনা।" মনে মনে বললাম, আগে একবার বের হতে পারি কিনা দেখি। তোকে কেন? তোদের ১২৮ গোষ্ঠী থেকেও বিয়ে করবনা। সরকারী গোডাউন পাইছিস আমাকে?
.
সাবরিনা হঠাৎ আমার গাল দুটো টেনে বলল:
-স্যরি বাবু, "তুই" করে বলার জন্য কিছু মনে করোনা। আর বিয়ের পর সবার আবদারগুলো পূরণ করবে কেমন?"
--হুমম... পূরণ করব, আমি না করলে আমার বাপে পূরণ করবে, আর আমার বাপে পূরণ না করলে আমার দাদু তার ছাতা বন্দক রেখে সবার আবদার পূরণ করবে......"
.
কে জানত কথাটা বলার সময় রুমের পাশ দিয়ে আমার দাদু হেটে যাবে। আমার কথাটি শুনে দাদু দরজায় জোরে আঘাত করতে লাগল। সাবরিনা দরজা খুলে দিল। দাদু সরাসরি নজর দিল আমার দিকে। বগল থেকে ছাতাটা নিয়ে আমার পেটে গুঁতো দিয়ে বলল:
--ঐ তুই কি বললি আমার ছাতা নিয়ে?"
--আরে দাদু তেমন কিছু বলিনি। ওরা তোমার ছাতার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিল, আমি বললাম ওটা ছাতা না, ওটা আমার দাদুর বন্ধুর মতো....."
আমার কথা শুনে দাদু আর কথা না বলে নিরবে বেরিয়ে গেল। পিছু পিছু আমিও যেতে লাগলাম। পেছন থেকে সাবরিনা বলল:
--বাবু, আবদারের কথা মনে থাকবে তো।"
আমি পেছনে ঘুরে একটু কৃত্রিম হেসে বললাম:
--হ্যা, আপনাদের সামান্য আবদার আমি কি না রেখে পারি?" মনে মনে হাজারো রাগ নিয়ে বেরিয়ে আসলাম। আবার সামনে পড়ল ঘটক চাচা। এই বেটার জন্যই এতোকিছু হয়েছে। এই বেটা যদি আমার জন্য পাত্রী না দেখত, তাহলে আজ এই দিনটা আসতে হতোনা আমার জীবনে। ইচ্ছে করতেছে ঘটককে মেরে তার বাবার কাছে পাঠিয়ে দিই।
.
ঘটক চাচা হাতে একটা দাঁত নিয়ে আমার সামনে ধরল। তারপর হনুমান মার্কা হাসিটা দিয়ে বলল:
--বাবাজি, দাঁতটা পেয়েছি। আর তোমার জন্য একটা সুখবর আছে।"
ঘটক চাচার আচরণ দেখে ইচ্ছে হলো ঘুষি মেরে বাকি দাঁতগুলোও ফেলে দিই। নিজেকে সামলিয়ে বললাম:
--এবার দাঁতটা যথাস্থানে লাগিয়ে, সুখবরটা বলে আমাকে রক্ষা করুন...."
ঘটকচাচা হেসে দিয়ে দাঁতটা লাগাল। তারপর আমাকে বলল:
--বাবাজি, তোমার বিয়ে ফাইনাল। মুরব্বিরা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী শুক্রবার তোমাদের বিয়ে...."
ঘটকচাচার কথা শুনে আমি আর টাল সামলাতে পারলামনা। মাথাঘুরে পড়ে গেলাম উনার উপর। তারপর জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম.......
লেখক: সোহেল রানা।
Next...part..

>>>>আমার বিয়ে<<<<<
__________পর্ব:-০৪__­__________
অনেক্ষণ মাথায় পানি ঢেলে আমার হুশ ফেরানো হলো। চুপচাপ থাকলাম আমি। যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন আর কি করার? এখন যদি আমি বিয়েতে অমত জানায়, তাহলে আমার বাবার কথার দাম থাকবেনা। তাই কোন সিনক্্রিয়েট সৃষ্টি করলামনা আর। কপালে যা থাকবে, তাই হবে। গুন্ডী বউ থাকলে গুন্ডী বউ...... ভাগ্যকে মেনে নিতে হবে।
.
বিকেল তিনটের দিকে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। চুপচাপ গাড়ি চালাচ্ছিলাম আমি। আমার পাশে বসেছিল ঘটক চাচা। উনি আমাকে হঠাৎ জিজ্ঞেস করলেন:
--কি ব্যাপার রানা বাবাজি? তোমার মন খারাপ নাকি?"
কয়েকমুহূর্ত সময় নিয়ে তারপর জবাব দিলাম:
--না, ঠিক আছি।
--তাহলে এভাবে চুপচাপ আছো কেন?"
--এমনিই....
--এই বিয়েতে কি তোমার মন নেই..."
--আরে না, মন আছে। আচ্ছা বাদ দেন চাচা,, এবার আপনার কথা বলুন। সারাজীবন তো অন্যের বিয়ের ঘটকালি করলেন। এবার নিজের বিয়ের একটু ঘটকালি করুন...."
ঘটক চাচা হেসে উঠে বললেন:
--আমার আর বিয়ে করা হবেনা, তাছাড়া এই বুড়ো বয়সে আর কি বিয়ে করব?
--তাহলে বয়স থাকতে বিয়ে করেননি কেন?"
আমার কথা শুনে ঘটক চাচার মনটা হঠাৎ খারাপ হয়ে গেল। উনি কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বললেন:
--আমি মেট্রিক পড়ার সময় একটা মেয়েকে ভালোবাসতাম। মেয়েটাও আমাকে ভালোবাসত। কিন্তু যখন আমি কয়েকবার মেট্রিক ফেল করি, মেয়েটা আমার সিনিয়র হয়ে যায়। আমার সাথে আর প্রেম করতে রাজি হয়নি। পরে সে বিয়ে করে ফেলে। আমিও আর বিয়ে করিনি, ওকে ভালোবাসতাম খুব।"
--আহারে! বড় দুঃখের বিষয়। তো চাচা, আপনার সেই প্রেমিকার এখন কি খবর?
--ও আমাকে মকবুল ভাই বলে ডাকে এখন। আর ওর ছেলেমেয়েরা মামা বলে ডাকে। কিছুদিন আগে ওর ছোট মেয়ের বিয়েতেও ঘটকালি করেছিলাম।"
--তখন আপনার সেই প্রেমকাহিনীর কথা মনে পড়েনি?"
--পড়েনি আবার? আমি তো লুকিয়ে লুকিয়ে শুধু সখিকে দেখছিলাম তখন...
--সখি কে?
--সখি মানে আমার সেই প্রেমিকা। ওর পুরো নাম সখিনা বিবি। আদর করে আমি সখি বলে ডাকতাম।
--আহা! বড় রোমান্টিক প্রেমিক ছিলেন মনে হয়।"
ঘটক চাচা হঠাৎ লজ্জা পেয়ে গেলেন। লজ্জা পেয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে বললেন:
--তা একটু রোমান্টিক ছিলাম। ও যখন আমাকে আদর করে মকু বলে ডাকত, তখন মনে হতো তার জন্য প্রাণটাও দিয়ে দিতে পারব।"
--প্রাণ পরে দিয়েন চাচা, আগে আপনার দাঁত সামলান। দাঁতটা আবার পড়ে গেছে।"
ঘটক চাচা পায়ের কাছ থেকে দাঁতটা তুলে আবার লাগিয়ে বললেন:
--জানো, আমার মকবুল নামটা ছোট করে যখন সে মকু বলত, তখন ওকে খুব সুন্দর লাগত। সেই মেয়েকে হারিয়ে আমি অন্য মেয়েকে কি করে বিয়ে করি বলো।" বলতে বলতে ঘটক চাচা চোখেরজল মুছলেন। আমি একটা টিস্যু এগিয়ে দিয়ে বললাম:
--চাচা, এই নিন..... চোখ মুছুন। আপনার কষ্টে আমারও কষ্ট হচ্ছে। সত্যি বলছি, তখন যদি আমার জন্ম হতো, তাহলে আপনার সখিকে আপনার জন্য বিয়ের আসর থেকে তুলে আনতাম।
--ইস! কেন যে তখন তোমার জন্ম হলোনা.... তাহলে আমার সখিকে আর হারাতে হতোনা।" বলতে বলতে ঘটক চাচা টিস্যু দিয়ে চোখ মুছতে লাগলেন। বেচারার দুঃখটাকে আর বাড়ালামনা। চুপচাপ গাড়ি চালালাম বাকিটা পথ।
***
দুইদিন পর বিয়ের শপিং করতে বের হলাম সবাই মিলে। শপিং সেন্টারে এসে সবাই পছন্দ মতো শপিং করতে লাগল। প্রায় ৪ ঘণ্টা ওখানে কাটিয়ে আমরা যখন বাসায় ফিরতে যাব তখন বৃষ্টি নামতে শুরু করল। আমার সাথে বাইক ছিল। আমি বাইকে উঠলাম। আর বাকিরা বাসার গাড়িতে করে যেতে লাগল। আমার সাথে আমার ড্রেসটা ছিল, যেটা বিয়ের দিন আমি পড়ব। ওটা ছিল। কাগজের প্যাকেটে। কে জানত বাসায় আসতে আসতে প্যাকেটটা ভিজে ছিড়ে গিয়ে, ভেতর থেকে আমার ড্রেসটা পড়ে যাবে। বাসায় এসে যখন সবাই আমার কাছ থেকে ড্রেসটা চাইল, ওদের হাতে আমি খালি প্যাকেটটা তুলে দিয়ে বললাম:
--এই নাও, ড্রেসটা মনে হয় গায়েব হয়ে গেছে...."
আমার কথা শুনে সবাই হা করে তাকিয়ে থাকল আমার দিকে। এ কি অলুক্ষণে কথা! বিয়ের আগেই আমি ড্রেসটা হারিয়ে ফেললাম!
আমার বাবা তো রেগে একেবারে ফায়ার! বাবা আমাকে বলল:
--এক্ষুণি গিয়ে ড্রেসটা খুঁজে নিয়ে আয়, না পেলে আরেকটা কিনে নিয়ে আসবি...."
বাবাকে রেগে যেতে দেখে আমি তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যেতে লাগলাম। পেছন থেকে বাবা আবার বলল:
--ভিজে ভিজে কোথায় যাচ্ছিস? একটা ছাতা নিয়ে যা।"
চোখের সামনে তখন দাদুর ছাতাটাই পড়ল। দাদুর চোখ ফাঁকি দিয়ে ছাতাটা নিয়ে বের হওয়ার সময় ধাক্কা খেলাম ঘটক চাচার সাথে। উনি তখন বাহির থেকে আসছিলেন আমাদের বাসায়। আমার ধাক্কা খেয়ে উনি নিচে পড়ে গেলেন। আর উনার মুখ থেকে দাঁতটা ছিটকে বেরিয়ে পড়ল দূরে। তাড়াতাড়ি করে ঘটক চাচাকে তুলে বললাম:
--চাচা, আপনি দাঁতটা খুঁজে দেখুন, আমার একটু তাড়া আছে...." বলেই আমি আবার উঠে পড়লাম বাইকে। একহাতে ছাতা মেলে ধরলাম মাথার উপর। তারপর বাইক স্টার্ট দিলাম। ভেতর থেকে তখন দাদুর চিৎকার শুনা গেল:
--আমার ছাতাটা কে নিয়ে গেছে?"
ঘটক চাচাও চিৎকার করে উঠল:
--আমার দাঁতটা খুঁজে পাচ্ছিনা....
next...part...
writer:(shohel rana)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ