āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2799

বিয়ে
.
.
আমার আর অনুর বিয়ে যে এইমাসে হবে, এটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিলো। কাজেই আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাবার মুখের উপর না করতে পারিনি।
এমনিতেই বর্তমানে চাউলের দাম বেশি! তারপর একজন অচেনা অজানা মেয়ের, খাওয়াপড়ার সব দায়িত্ব এখন আমাকে নিতে হবে, এই চিন্তা নিয়ে বেশকিছু রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি।
.
আব্বুকে যেই বলছি, আব্বু বিয়েটা কদিন পরে করলে হয়না? এখন যে চালের দাম! কিছুদিন যাক চালের দাম কমুক, তারপর নাহয় বিয়ের কথা ভাববো।
.
আব্বু আমার কথা শোনার পর আমার দিকে এমনভাবে তাকালো, যেন আমায় আজকেই প্রথম দেখছে।
আমিও আমার আব্বুর আবুলমার্কা চাহনি দেখে আর কিছু বলতে পারিনি, নির্দ্বিধায় বিয়েতে রাজি হয়ে গেছি।
.
প্রথমে ভেবেছিলাম যাবো আর বিয়ে করবো, তারপর বউসহ বেশ কয়েক টন ত্রান নিয়ে বাসায় চলে আসবো। ওখানে গিয়ে দেখি আমি যা ভাবছি সব তার উল্টা। আমাকেই আমার শালীদের পেছনে ত্রান থুক্কু টাকা দেওয়ার লাগতাছে। মিস্টি খাওয়ানোর টাকা, গেট সাজানোর টাকা, খালি টাকা আর টাকা। আর আমার ভাইও হাসিহাসি মুখে আমার শালীদার টাকা দিতাছে। ইচ্ছা করতাছে এখনি আমার শালীদের নিয়া দৌড়ে বাড়ি চলে যাই, থুক্কু বউ নিয়া বাড়ি চলে যাই।
.
শালীদের দাবীর টাকা মিটিয়ে, বউয়ের দেনমোহর ধার্য করে, টাকার শোকে সমাহিত হয়ে তবেই বিয়ে করছি। এর আগে শালীদের থেকে একচুলও নড়তে পারিনি
কথায় আছে অল্প শোকে কাতর, টাকার শোকে পাথর। আমারও সেই অবস্থা। হাসবো না কাদবো? কিছুই বুঝতে পারছিনা। বিয়ের আগেই যে অবস্থা বিয়ের পরে না জানি, কী হয়?
.
.
বাড়িতে গিয়ে দেখি ছেলে থেকে বুড়ো সবাই আমার বউরে দেখার জন্য লাইন দিয়া মাইক্রোর সামনে দাড়ায় আছে। আমি এই মহল্লায়, সেই লেংটাকাল কাল থেকে এত বড় হইছি। আমারে কেউ দেখার জন্য একদিনও আসে নাই। আর আজকেই আমার সদ্য বিবাহিতা বউরে দেখার জন্য মৌমাছির মত ঝাকে ঝাকে লোক আসতাছে। ওরা যে শুধু আমার বউরে দেখতাছে তা না, যে যা পারছে আমার বউরে নিয়া কমেন্ট করতাছে।
.
আমার প্রায় ফ্রেন্ডের কমেন্ট: রাজ ভাবীটা কিন্তু সেই, এককথায় চখাম। দেইখা রাখিস, যেন ভাইগ্গা না যায়।
.
আমার দাদীর কমেন্ট: দাদুভাই রাতে ভাল করে বিড়াল মেরো। তাড়াতাড়ি ঘুমাইও না। যাও এহনি নাতনী বউয়ের কাছে যাও।
.
পাশের বাড়ির ভাবীর কমেন্ট: রাজ নতুন বউ পাইয়া, আমারে কিন্তু ভুইল্লো না। রাজ আমি তোমার ছিলাম, আছি, আর ভবিৎষতেও থাকবো।
.
বাকিদের কথা নাহয় নাইবা বললাম।
.
ছেলেছোকড়া থেকে মুরুব্বী, সবার মতামত আর টিপস হজম করে তবেই বাসরঘরে ঢুকলাম। বাসরঘরে ঢুকেই দেখি, বউ বিছানার একপাশে জড়সড় হয়ে, চাদর ঢাকা দিয়ে ঘুমাচ্ছে। এমনিতেই আজ সারাদিন অনেক ঢকল গেছে, তারপর আবার বউ ঘুমাচ্ছে। আমিতো পুরাই গরম!
বউয়ের চাদর ধরে, দিলাম একটা হেচকা টান! দিয়ে দেখি....
ওমা! আমার বউ আমারে রাইখা, ফেসবুকে লুচ্চা পোলাগো লগে চ্যাটিং করতাছে।
আমি কিছু বলবো তার আগেই আমার বউ আমারে বলল, আর একটু ওয়েট সোনা! তারপর তোমারে দিতাছি!
.
আমিতো পুরাই অবাক! আমার বউ আমারে আবার কী দিবে?
ঝোকের মাথায় বলেই ফেললাম, তোমারে আপাতত আমারে তেমন কিছু দেওয়ার লাগবেনা। শুধু তোমার ফেসবুক আইডি দিলেই চলবে!
.
আমার বউ রিনা খানের ভাব নিয়া বললো: তুমি আমার সব পাবে, কিন্তু ফেসবুক আইডি পাবেনা।
.
আমি বললাম: কী বললি, ফেসবুক আইডি দিবিনা? আজ তোর একদিন কী আমার একদিন........
.
আরো কিছু বলতাম তার আগেই দেখি আম্মু আইসা কইতাছে: আগে জানতাম সারাদিন বইসা বইসা তুই খালি ফেসবুকই চালাস। এখন দেখি তুই স্বপ্নেও চালাস!
তোগো বয়সে আমরা নোটবুক নিয়া দৌড়াদৌড়ি করতাম। আর তোরা ফেসবুক নিয়া দৌড়াদৌড়ি করস। খালি ফেসবুক নিয়া না দৌড়াইয়া, টেক্সটবুক নিয়াও দৌড়া। নাহলে তোর কপালে একটা ভাঙা রিকশা জুটবেনা।
.
আমিতো পুরাই শকড্!
.
বাকিটা ইতিহাস।
.
.
written by: A.R Raj (আবেগপ্রবণ)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ