āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2829 (4)

আমার বিয়ে-২
পর্বঃ৭
অতঃপর বাংলাদেশে নামলাম।এয়ারপোর্ট
এর ভেতরেই আছি।
কিন্তু জয় কোথায়?
মিনিট ১০,১৫ পরে জয়ের ফ্লাইট ল্যান্ডিং
করলো।
--জয় তোর আসতে কোনো প্রবলেম
হয়নি তো?
--না,তোর?
--না,এখন তাড়াতাড়ি চল।হসপিটালে যাবো।
--হুম,চল। আমি একটা সিএনজি নিয়ে আসি।
--আচ্ছা,তুই দেখ।
***
বাবাকে ফোন দিয়ে জানাই আমি চলে এসেছি।
--হ্যালো,বাবা আমি বাংলাদেশে চলে আসছি।
--ভালো,আসতে কোনো প্রবলেম হয়নিতো।
--না,আমি ঠিক আছি।এখন হসপিটালে যাবো।রাখি বাবা।
.
.
জয় একটা সিএনজি নিয়ে আসলো।
আমরা দুজন হসপিটাল পৌছে গেলাম।
দাদুর কেবিন নাম্বারটা জেনে নিয়ে,
কেবিনের দিকে গেলাম।
দাদু এখনো ICU তে আছে।
মা-বাবা পাশাপাশি বাইরে বসে আছে।
--মা,বাবা দাদু এখন কেমন আছে?
--কন্ডিশন তো আগের মতোই,
ডাক্তার বের না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছেনা।
হঠাৎ icu থেকে ডাক্তার বের হলো।
আমি দৌড়ে গিয়েঃ
--ডক্তর দাদুর এখন কি সিচুয়েশন?
--হুম,ভালো।উনি এখন একটু সুস্থ
আছেন,আপনাদের মধ্যে কাকে যেন কি বলতে চায়।আপনারা গিয়ে দেখা করতে পারেন।তবে প্লিস কেউ পেসেন্ট কে
ডিসটার্ব করবেন না।
--ওকে থেংকস ডক্টর।
আমি,বাবা,মা গেলাম দাদুর কাছে দেখা করতে।
--দাদু কেমন আছো তুমি?
--রানা,তুই কখন এলি?আমি আর ভালো
কোথায়?
--একটু আগে আসলাম।না,দাদু তুমি অনেক ভালো আছো।
--সেআর আছি।রানা আমি তোকে কিছু
বলতে, চাই।মনে হয় বেশি দিন
বাচবো না।আমার শেষ ইচ্ছাটা পূরণ করবি।
--দাদুু,এসব কি বলছো,বেশিদিন বাচবে
না মানে।তুমি আমাদের মাঝে আছে থাকবে।কি ইচ্ছা বলো দাদু?
--তুই, সাবরিনাকে আমার কাছে নিয়ে আসতে পারবি।আমি সাবরিনাকে দেখবো।
--(আমি তো পুরা অবাক)দাদু কি বলছো এসব।এটা কিভাবে সম্ভব।
(বাবা দাদুর কথা শুনে একবার মার দিকে তাকাচ্ছে একবার আমার দিকে)
--সম্ভব কিনা জানি না।তুই সাবরিনাকে
নিয়ে আসতে পারবি কিনা বল।
--দাদু,ডিবোর্স হয়ে গেছে কিভাবে ফেরানো
সম্ভব।
(দাদু কষ্ট করে উঠে আমার গালে একটা চড় মারলো)
--তোকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতেই হবে।
.
বাবা দাদুর সাথে কথা বলছে।
মা আমার হাতটা ধরে টেনে
নিয়ে আসলো।
সত্যি বলতে আমিও তো চাই সাবরিনা
ফিরে আসুক আমার কাছে আবার।
কিন্তু ডিবোর্স দেওয়া সমাজ কিভাবে
মেনে নিবে।
--শুন রানা,আমি তোর মা আমি সব বুঝি।
একটা রাত তুই শান্তিতে ঘুমুতে পারিস নি।
আমি যখনই তোর রুমে যেতাম,আমি সাবরিনার সেই চিঠিটা প্রত্যেকদিন দেখতে পেতাম।তুই সাবরিনাকে অনেক ভালোবাসিস।আমরা বিয়ের কথা বললে তুই না বলে দিস।এই নয় তুই সাবরিনাকে অনেক ভালোবাসিস??আজ তোর দাদু খুব অসুস্থ, উনি যখন বলছে তুই সাবরিনাকে ফিরিয়ে নিয়ে আয়,দেরি করিস না রানা।
--হ্যা মা হ্যা আমি সাবরিনাকে অনেক ভালোবাসি,। কিন্তু মা অনেক ভয় লাগে, আমি ফিরিয়ে আনতে গেলে সাবরিনা কি আসবে?তার মধ্যে ডিবোর্স কিভাবে সম্ভব মা।?তুমি বলো এখন আমি কি করবো?
--তোকে পারতেই হবে বাবা।তোর সর্বস্ব ভালোবাসা দিয়ে সাবরিনাকে ফিরিয়ে আনতেই হবে।আমার দোয়া রইলো তোর সাথে।
--ঠিক আছে মা।আমি যাবো,সাবরিনা পৃথিবীর যে কোণেই থাকুক আমি ওকে,ফিরিয়ে আনবোই।
.
আমি আবার দাদুর কাছে গেলামঃ
--দাদু,ঠিক আছে আমি তোমার নাতবৌ সাবরিনাকে ফিরিয়ে আনবো,তুমি দোয়া করো আমার জন্য।
--((দাদু আমাকে কাছে টেনে নিলো।চড় দেওয়া গালে একটা চুমু খেলো))যা দাদু ভাই যা,আমি ২ সপ্তাহের মধ্যেই আমার দিদিকে যেনো দেখতে পাই।
.
বাবা আর মাকে বললাম দাদুর দিকে খেয়াল রাখতে বলেই বাইরে আসলাম।
জয় বারান্দায় দাড়িয়ে ছিলো।
--কিরে রানা, দাদুর কি খবর।
--হুম,ভালো যা তুই দেখা করে আয়।
.
বারান্দার গ্রিল ধরে দাড়িয়ে আছি।
আর ভাবতেছি কিভাবে সাবরিনাকে ফিরিয়ে আনা যায়।একটা way তো দেখতেই হবে।
২ বছর ধরে তার সাথে কোনো যোগাযোগ
নেই।
হঠাৎ জয় এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
--কিরে জয় তোর আবার কি হলো?
--ভেতরে যা শুনলাম, তা কি সত্যি।তুই
সাবরিনাকে ফিরিয়ে আনবি?
--হুম সালা আনবো।একটা প্লান দে কিভাবে করবো,ও কোথায় আছে কি করে বুঝবো।
(জয় ছোটবেলার বন্ধু যেকোনো ভালো কাজে ও আমাকে প্লান দেয়)
--দোস্ত পাইছি,।
--কি বল?
--চল আগে আমরা সাবরিনার বাসায় গিয়ে ওর বাবার সাথে কথা বলি।
--ইয়েস,গুড আইডিয়া।কিন্তু জয় তুইও
আমার সাথে যাবি।
--সালা, হারামি এই বন্ধু আমার।তছাড়া
তুই তোর বউকে আনতে যাবি আমি আমার বোনকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো।
(মা বাইরে এসে বললো জয়কেউ সাথে করে নিয়ে যেতে)
--ঠিক আছে চল।
***
আমি বাবার থেকে আমাদের গাড়ির চাবিটা নিয়ে বাসায় গেলাম।
প্লেনে যার্নি করে আসাতে শরীর লেগে গেছে।
আমি জয়কে ওর বাসায় ড্রপ করে দিয়ে আসি।
খুব টায়ার্ড লাগছে।মনে মনে অনেক খুশি লাগছে আজ।বুকের ভেতর জমে থাকা শক্ত
একটা পাথর আজ আস্তে আস্তে।ভেঙ্গে যাচ্ছে।আবার ভয়ও লাগছে সাবরিনা কি আসবে আমার সাথে।
এসব কথা ভাবতে ভাবতে অনেক
রাত হয়ে গেলো।ডিনার আর ঘুমার কথা মনে হয় ভুলেই গেছি।
অনেক রাত হয়ে গেছে, সাবরিনার
সেই চিঠিটা আবার পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে
গেলাম।
অনেক সকাল হয়ে গেছে।
কলিং বেলের শব্দে আমার ঘুম ভাংগলো।
জয় এসেছে।
--কিরে রানা কয়টা বাজে তোর কি হুস আছে,তোর ফোন রিসিভ করিস না কেনো।
--স্যরি দোস্ত ফোনটা অন্য রুমে।ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখি ৯:৩০ টা বাজে।
--তুই একটু বস আমি ২০ মিনিটের মধ্যে রেডি হয়ে আসছি।
--আচ্ছা যা,তুই খাবার খাবি কখন। রাতে তো মনেহয় খাসনি।
--খাবার লাগবে না,তুই অপেক্ষা কর?
--আচ্ছা তুই রেডি হো,গাড়ির চাবিটা আমাকে দে আমি খাবার নিয়ে আসছি।
--আচ্ছা যা।
অতঃপর রেডি হয়ে খাবার খেয়ে বের হলাম।
--রানা এখন কোথায় যাবি?
--আগে বাবা মা,দাদুর সাথে দেখা করে তারপর যাবো।
--ওকে চল_______________।
.
.
.
হসপিটাল থেকে বের হয়ে, সাবরিনাদের বাসার উদ্দেশ্য রওনা হলাম।
--জয় সাবরিনা কি আমার কাছে ফিরে আসবে তোর কি মনে হয়।
--হুম,কেনো আসবে না।হয়তো তোর জন্যই
২ টা বছর অপেক্ষায় বসে আছে।
--তোর কথা যেনো সত্যি হয় জয়।
সাবরিনার বাসার কাছাকাছি চলে এসেছি।
এখন ঠিক মনে পড়ছে না,
কোনদিক দিয়ে যেতে হবে।
তাই গাড়ি দাড় করে একটা লোককে জিগ্গাস
করলাম সাবরিনার বাবার নাম ধরে, তাদের
বাসা কোনটা।
আমাকে লোকটি রাস্তা দেখিয়ে দিলো।
সোজা সাবরিনাদের বাসার সামনে গাড়ি ব্রেক করলাম।
সাবরিনার বাবা ফুল বাগান পরিচর্যা করছিলেন।
- আমি গিয়ে উনাকে সালাম দিলাম।
--আরে রানা, বাবা তুমি?কেমন আছো?
--জ্বি,আমি ভালো আছি।আপনারা সবাই কেমন আছেন?
--হুম,ভালো।তোমার বাবা মা দাদু ওরা কোথায়?
--আসলে,দাদু একটু অসুস্থ, সবাই হসপিটাল এ আছে।
--কি হয়েছে তোমার দাদুর।
--সিরিয়াস কিছু না।হার্টএট্যাক করেছিলো
এখন সুস্থ আছে।
--আচ্ছা,ভেতরে আসো।ও কি তোমার বন্ধু।
-- জ্বি ওর নাম জয়।
.
আঙ্কেল আমি একটু সাবরিনার সাথে দেখা করতে চাই ও কোথায়?
--কিন্তু ওর সাথে তোমার ডিবোর্স হয়েছে..
--হুম, আমি জানি।তবুও আমি ওকে ফিরিয়ে নিতে চাই আঙ্কেল।
--এসব কি বলছো রানা।
--জ্বি আঙ্কেল আমি ওকে ভালোবাসি।
--কিন্তু ২ বছর আগে তোমার এই ভালোবাসা কোথায় গিয়েছিলো।
--ছিলো,সেসময় ও ভালোবাসা ছিলো।কিন্ত আমি সাবরিনাকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ,সে
চলে গিয়েছে।
--কিন্তুুু।
--কোনো কিন্ত নয় আঙ্কেল।আপনি শুধু ওর
ঠিকানাটা বলুন প্লিস।
--দেখো,বাবা সাবরিনা আমাদের একমাত্র মেয়ে।তুমি ওকে নিয়ে থাকতে পারলে আমিও খুশি।
আজ ২ বছর হয়ে যাচ্ছে সাবরিনা দেশে আসে নি।
ও ওর মামার কাছে আছে।সেখানে কি একটা জব করে।
--ঠিক আছে।আপনি সাবরিনার কন্টাক্ট নাম্বারটা দিন প্লিস।
--আসলে সাবরিনার নিজস্ব কোনো ফোন নাম্বার নেই ফোনও নেই।
ও ওর মামার ফোন দিয়ে কথা বলে আমাদের সাথে।
জয় হঠাৎ বললো,
--দেখ রানা তোর ওপর সাবরিনা অনেক বড় অভিমানে আছে।
কন্টাক্ট নাম্বার দিয়ে কাজ হবে না।
আমরা বরং ইতালি গিয়ে নিয়ে আসবো।
আঙ্কেল আপনি বরং সাবরিনার মামার বাসার ঠিকানাটা দিন প্লিস।
আমরা ইতালি যাবো।
(সালা জয় সত্যি জিনিয়াস)
--হুম ঠিক কইছোস জয়,।আপনি আঙ্কেল ওর মামার বাসার ঠিকানাটা দিন।আর ওদের বলবেন না যে আমরা যাবো
.
সাবরিনার বাবা ইতালির বাসার ঠিকানা দিয়ে দিলো।আমরা ততক্ষণাৎ সাবরিনার বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসি।
আমার আর জয়ের সেদিনই পাসপোর্ট ভিসা করতে গেলাম।সবকিছু রেডি।
২ দিন পর ফ্লাইট।
আমরা সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছিলাম
ইতালি যাওয়ার জন্য।
(৮ম পর্ব চলবে)

আমার বিয়ে-২
পর্বঃ৮
.
আজকে আমার আর জয়ের ফ্লাইট।
আমরা রেডি হয়ে হসপিটালে গেলাম দাদুর
সাথে দেখা করতে।
--দাদুু আমরা ইতালি যাচ্ছি, সাবরিনাকে নিয়ে আসার জন্য।
--আচ্ছা, ভালোমতো যা।
এরপর বাবা মা কে বলে চলে এলাম।
.
জয় আর আমি ট্যাক্সি ধরে সোজা এয়্যারপোর্টের দিক এগিয়ে গেলাম।
৩ টার দিকে ফ্লাইট।
এখন বাজে ২ টা।তাই ১ ঘন্টা ভেতরেই
অপেক্ষা করতে হলো।
অতঃপর ইতালির দিকে রওনা হলাম।
জয় আমার পাশের সিটে বসেছে।
সালা নাক ডাকে ঘুমিয়ে গেছে।আমার মনের
ভেতর অন্যরকম একটা আনন্দ
অনুভূত হচ্ছে।
আমার ভালোবাসার মানুষটিকে অনেকদিন
পর দেখবো।
আবার ভয়ও হচ্ছে এই ভেবে যে ও কি আমার সাথে আসতে রাজি হবে।
আমি ওর ২ বছর আগের সেই দুষ্টুমি গুলো
মিস করি।
সাবরিনা না জানি এই ২ বছরে কেমন হয়েছে।
ও কি আমাকে মিস করে।
.
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে চলে এলাম।
টের পাইনি।ইতালিতে বিমান ল্যান্ড করবে।
তাই জয়কে জাগিয়ে দিলাম।
--আমরা চলে এসেছি জয় ইতালিতে।
--ও,আমি কি ঘুমিয়ে গেছিলাম।
--না,এতক্ষণ জেগে ড্যান্স করতেছিলি।
অবশেষে,আমরা ইতালির রাজধানী রোম
এ চলে এসছি।আজকে তো রাত হয়ে গেছে।
কোনো একটা হোটেলে উঠতে হবে।
তাই ট্যাক্সি নিয়ে হোটেলের দিকে গেলাম।
নতুন শহর,নতুন সবকিছু।
হোটলের কাউন্টারে গেলাম চাবি নিতে।
কিন্তু এখানে তো দেখছি এক বাঙ্গালী।
--excuseme.. আপনি কি বাংলাদেশী।
--জ্বি,আমি বাঙ্গালি।
--ও,আমরা আজি ফিরলাম ঢাকা হতে
এবং আপনার হোটেলে উঠলাম।
--ভালো,এই নিন চাবি। কোনো সমস্যা হলে
জানাবেন।
--ওকে।ধন্যবাদ।
--ওয়েলকাম,স্যার।
জয় আর আমি একটাই রুম নিলাম।
--জয় এখানে নতুন শহর কিছুই তো চিনি না।কিভাবে কাজ শুরু করবো।
--টেনশন নিস না,এখানে তো একজন বাংলাদেশি আছেই। উনাকে দিয়েই ঠিকানাটা জানিয়ে নিবো।
--ওকে,চল ফ্রেশ হয়ে ডিনারটা সেরে আসি নিচ থেকে।
--ওকে চল।
ডিনার সেরে দুজন ঘরে আসলাম।
--রানা,অনেক রাত হইছে আমার ঘুম
পাইছে।
--ঠিকআছে তুই ঘুমা।
আজকে রাতে কেনো জানি ঘুম ধরতেছে
না।
ভাবতেছি খালি কখন
সকাল হবে।
অনেক রাতে ঘুমের চাপ পেলো, তাই ঘুমিয়ে
গেলাম।
জয়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো।
--কিরে রানা,এখনো উঠিস নাই ৮ টা বাজে তো।
--৮টা বেজে গেছে।
--হুম,তাড়াতাড়ি চল,রেডি হয়ে বের হই।
--ওকে,উঠ উঠ উঠ.....বেটা তাড়াতাড়ি কর।
অামি আর জয় রেডি হয়ে নিচে
নেমে গেলাম।
ঐ বাঙ্গালিটিকে জিগ্গাসা করলাম,
--আচ্ছা,এখান থেকে এই ঠিকানাটায়
যেতে কতক্ষণ লাগবে আর কত দূর
এখান থেকে।
--জ্বি,এখান থেকে প্রায় ৩ কি.মি.
হবে।যেতে প্রায় ট্যাক্সিতে ১৫ থেকে ২০
মিনিট লাগবে।
--আচ্ছা ধন্যবাদ।
আমরা একটা ট্যাক্সি ধরলাম।
১৫ মিনিটের মধ্যে আমরা ঠিকানা
অনুযায়ী পৌছে গেলাম।
সাবরিনার মামার বাসাটা পেয়ে গেলাম।
কিন্তু এ কি বাসায় তো তালা দেওয়া।
--জয় এখন কি করবো রে বাসায় তে তালা।
--টেনশন করিস না,হয়তো ওরা
বাইরে কোথাও গেছে,আমরা
একটু অপেক্ষা করি। চল ঐখানটাই গিয়ে বসি।
--হুম চল।
প্রায় ঘন্টা ২,৩ হয়ে গেলো,কারো তো কোনো
পাত্তা নেই।
--কিরে জয় এখন কি করবো।
--আচ্ছা, চল এখানকার বাসিন্দাদের
বলি।
সেখানে একজন বয়স্ক করে লোক ছিলো।
আমি গিয়ে তাকে জিগ্গাস করাতে সে বললো।
এখানে ১ মাস ধরে কেউ থাকে না।
কোথায় গেছে তিনি বলতে পারেন না।
আমি হঠাৎ দাড়া অবস্থা থেকে মাটিতে
বসে পড়ি।
তবে কি সাবরিনার বাবা আমাদের
ভুল এড্রেস দিলো।
--জয় এসব কি হচ্ছে আমার সাথে।এখানে তো সাবরিনা নেই।আমরা কোথায় খুজবো' ওকে।
--শুন,রানা এখন ভেঙ্গে পড়িস না তো।
আমরা সম্পুর্ণ ইতালি খুজে হলেও,সাবরিনাকে নিয়েই ফিরবো,এখন ওঠ।
--কোথায় যাবো এখন।
--কোথাও গিয়ে বসি চল।সকালে কিছুই
খাওয়া হয়নি।
--হুমম,চল।
একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে কিছু খেয়ে নিলাম।
খেতে মন চাইছে না।
তবে কি আমি ইতালিতে এসে ব্যর্থ।
না আর কিছুই ভালো লাগছে না।
খাওয়া রেখে উঠে গেলাম।জয়ও চলে আসে আমার উঠা দেখে।
--শুন রানা,তুই যদি প্রথম দিনই এভাবে
ভেঙ্গে পড়িস তাহলে সাবরিনাকে আমরা
খুজবো কিভাবে।
--জয় আমার, একটু খারাপ লাগছে চল হোটেলে ফিরে যাই।
--ঠিক আছে চল।
হোটেলে ফিরে এসে কেমন জানি মনে
হচ্ছে পৃথিবীটা শূন্য।
এতদিন তো সাবরিনাকে ছেরে ছিলাম
কিন্ত এইরকম খারাপ লাগেনি।
দুপুরের পর কয়েকটা ঘুমের পিল খেয়ে
ঘুমিয়ে পড়লাম।
মাথাটা কেমন জানি ব্যাথা করতেছিলো।
ঘুম ভাঙ্গলো সন্ধার আগে।
হাত মুখ ধুয়ে নিলাম।
জয় আমাকে নিয়ে বের হলো কফি খেতে।
কফি খেয়ে ঘরে ফিরে আসলাম।
জয় কিছু একটা করছে। আমার আর ভালো লাগছে না।
মাথাব্যথা টা একটু কমেছে।
--জয় এখন কি করবি,কোনো একটা প্লান
খুজতে হবে।
--হুম,কালকে ঐখানটাই আমরা আবার যাবো।
--কিন্তু ঐখানে তো ১ মাস ধরে কেউ থাকে না।
--থাকে না,লোকটাতো সিওর নাও হতে পারে।
আমরা ঐখানে গিয়ে হাটাহাটি করবো যদি কোনো লোকের কাছে ইনফরমেশন
জানতে পারি।
--ওকে।
--হুম,আমি বাইরে থেকে রাতের খাবার নিয়ে আসছি তুই থাক।
--ঠিকআছে, আমিও যাচ্ছি চল।
--না তোর যেতে হবে না,তোর শরীরটা
একটু খারাব বরং তুই রুমেই থাক।
***
সকাল সকাল আজ চলে গেলাম আবার
সেই ঠিকানা অনুযায়ী।
কিছুক্ষণ পরে আমরা একটা লোককে জিগ্গাসা করলাম এই বাড়ির বিষয়ে।
সে যা বললো তা হলো।
এই বাসায় শুধু একটা লোক ৫,৬ দিন পর পর একটা লোক এসে একরাত করে থেকে যায়।আবার ৫,৬ দিন পর আসে।কিন্ত প্রায় ১ মাস ধরে বাড়িতে লোকটি আর আসে না।
সে বললো এখানে একটা মধ্য বয়স্কের লোক আরেকটা মেয়ে থাকতো।কিন্ত মেয়েটাকে প্রায় ১ মাসের বেশি হয়ে গেলো
এখানে দেখা যায়না।
মনেহয় লোকটি সাবরিনা আর তার
মামার কথাই বললো।কিন্তু কোথায় পাবো আমি ওদেরকে।
আবারও এক বুক ব্যর্থতা নিয়ে ফিরলাম।
***
.
এভাবে প্রায় ৪ দিন কেটে যায় কিন্ত সাবরিনার কোনো খোজ পাই না।
হঠাৎ দেখি মা ফোন দিয়েছে।
--রানা,কি খবর।সাবরিনাকে কি পেয়েছিস?
--না মা পাই নি।
তারপর সব মাকে খুলে বললাম।
এদিকে বলে দাদুর কন্ডিশন আরো খারাপের দিকে।
মন ভার করে বসে আছি রুমে।
হঠাৎ জয় বললোঃ
--কিরে রানা এখানে কি আমরা ঘরে বসে
থাকার জন্য এসেছি নাকি সাবরিনাকে খুজতে।
--কিন্তু জয় ওকে আমরা কোথায় পাবো সেটাকি বলতে পারিস।
--না পারি না।কিন্ত ওকে খুজতে হলে আমাদের মন রিফ্রেস করতে হবে।তাহলেই আমরা ওকে খুজে বের করতে পারবো।এই
দেখ গুগল ম্যাপ এখান থেকে প্রায় ২০ কি.মি. দূরে একটা সি বিচ আছে চল যাবো।
পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মানুষ এখানে আসে।অনেক মজা হবে চল।
--ঠিকআছে, বলছিস যখন চল।
***
দুপুরের একটু পরে
আমরা হোটলের নিচে ম্যানেজারকে সব বলে রুমের চাবি রেখে বেরিয়ে পড়লাম।
.
অনেক সুন্দর একটা দৃশ্য।যেকেউ দেখলে
তার মন ভালো হয়ে যাবে।
সারা দুপুরটাই আমরা অনেক মজা করলাম
ইতালির সি বিচে।
বিকালের দিকে হোটেলে ফিরে আসছিলাম।
রাস্তায় ট্যাক্সিতে উঠবো এই সময় জয়কে
দেখিয়ে বললাম।
--জয় দেখ,একটা ভদ্র মহিলার সাথে ৩ টা
ছেলে কেমন হাতাহাতি করছে।
চলতো যাই।
আমরা দেখছিলাম ছেলে গুলো মহিলাটার ব্যাগ নিয়ে কাড়াকাড়ি করছিলো। আমরা কাছে যেতেই ছেলেগুলো মহিলাটিকে চাকু মেরে আঘাত করে ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে
যাচ্ছিল।
আমিও ছেলেগুলোর পিছনে দৌড়ালাম।
-- জয়,তুই উনাকে দেখ।আমি ব্যাগটা নিয়ে আসছি।
ওদেরকে ধরতে পেরে মেরে,ব্যাগটি নিয়ে আসি।ব্যাগেতো অনেক ট্কা,হয়তো মহিলাটি কোনো ব্যাংক থেকে ফিরছিলো।
-- রানা অনেক ব্লেডিং হচ্ছে,চল দেখি এদিকে কোনো হসপিটাল আছে নাকি।
--হ্যা,তাড়াতাড়ি চল।
আমরা উনাকে নিয়ে হসপিটালে যাই, এদিকে অনেক রাত প্রায় ৯ টা বেজে গেছে।
উনার অপরেশন শেষ হতে প্রায় রাত ১১:৩০ টা বেজে গেলো।
ডক্টর বললো উনি এখন সুস্থ আছে।
আমরা সে রাতে হসপিটালে থেকে গেলাম।
মহিলাটির ফোন থেকে একটা একটা নাম্বারে কল দিলাম।
মোবাইলে Love দিয়ে সেইভ করা ছিলো
হয়তো উনার স্বামী।
হুম,ঠিক তাই স্বামী।উনারা ৩,৪ জন আসলো।
আমি ওদেরকে ব্যাগটি বুঝিয়ে দিলাম।
ওরা অনেক ধন্যবাদ দিলো।
মহিলাটির ঙ্গান এখনো ফিরেনি।
সকালে দেখা করে চলে যাবো।
***
উনি এখন একটু সুস্থ আছেন কথা বলে চলে যাচ্ছিলাম।
হঠাৎই আমার চোখ গেলো অন্য একটি কেবিনে, বুকের বা পাশ টা কেমন জানি একটা উদ্দীপনা দিলো। জয়কে থামিয়ে দেখিয়ে বললাম --
---জয় দেখতো ঐটা কে পেছন থেকে মনে হচ্ছে সাবরিনা না?মেয়েটাতো হুইল চেয়ারে বসা।
-- তাইতো,চলতো একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি।
-- হুম, চল।
.
.
কাছে যেতেই চেনার আর বাকি রইলো না।
আরে এ তো আমার সাবরিনা।।
*
*
(৯ম পর্ব চলবে)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ