āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2821

গল্পের নাম:তাকওয়া
Foysal Hasan
!!
রহিম সাহেব বাজারের ফলের দোকানদার।তার দোকানে সব সময় ক্রেতা সমাগম থাকেই।তিনি তার দোকানে অতিরিক্ত বিক্রয়কর্মী নিয়োগ দিয়েছে রমজান মাস কেন্দ্র করে।কারন এই মাসে ফলের চাহিদা অন্যান্য সময়ের চাইতে একটু বেশিই থাকে।তাই রহিম সাহেব খুবই ঝামেলায় থাকে।নামায পড়ার সময়ও পাননা।.বাজারের পাশেই তার প্রতিযোগী আজগর সাহেব।সব সময় হাসি মাখা মুখ নিয়ে ব্যবসায় করেন।যদিও তার দোকানে ক্রেতা সমাগম রহিম সাহেবের মত না।তারপরেও কোনো হিংসা নেই।আল্লাহ্ তা'আলার রাস্তায় থেকে ব্যবসায় করতে কোনো প্রকার সংকোচ নেইতার।আল্লাহ্ ভীতু একজন মানুষ।তার দ্বারা যেন কেউ কষ্ট না পায় সেদিকে খুব লক্ষ্য তাঁর।যেভাবে ব্যবসায় করেনএতে সংসার চালাতে কোনো সমস্যাই হয়নাতাঁর ।বরং খুব শান্তিতেই জীবন যাপন করছেন।আজগর সাহেব পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে আদায় করেন।দোকানে যতই ভিড় থাকুক,আজান দেওয়ার সাথে সাথে মসজিদে চলে যান।যাওয়ার পথে রহিম সাহেবকে দাওয়াত দিতে কখনোই ভুলেননি তিনি।রহিম সাহেব কখনোই আজগর সাহেবের ডাকেসাড়া দিতেন না।তিনি দোকানে কাজের অজুহাত দিয়ে যান সব সময়।.একদিন রাতে তারাবীহ নামায পড়ে এসে আজগর সাহেব দোকান না খুলে কোনো এক দরকারে রহিম মিঞার ফলের গোডাউনে যান।আজগর সাহেব ওখানে যা দেখলো তা দেখে চোখ বড় হয়ে গেল।রহিম সাহেব তার লোক দিয়ে কলা,আম আরো কিছু ফলের মাঝে ফরমালিন মেশাচ্ছে।কাঠাল পাঁকানোর জন্য খারাপ পন্থানুসরণ করছে।---একি রহিম ভাই এসব কি করছেন?রমজান মাসে মুসল্লিরা এই ফল দিয়ে ইফতার করে।আর আপনি এই ফলগুলোতেই বিষ মিশাচ্ছেন?---আরে ভাই কি যে বলেন না!কখনো দেখেছেন ফরমালিন মেশানো কোনো ফল খেয়ে কাউকে মারা যেতে?কিচ্ছু হবেনা।---রহিম ভাই আপনি যানেন না,ফরমালিন নিরব ঘাতক!ফরমালিন মানুষের শরীরে ক্যান্সারজনিত রোগ সৃষ্টি করে!আর তাছাড়া আল্লাহ্ সকল ব্যবসায়ীদের হালাল ভাবে ব্যবসায় করার হুকুম দিয়েছেন!---ভাই আপনি যান এখান থেকে।এত শাধু হলে ভালো ব্যবসায় করা যায়না!আপনি যান।.রহিম মিঞা আজগর সাহেবকে এককথায় অপমান করেই গোডাউন থেকে বের করে দিলেন।আজগর সাহেবের তাতে কোনো কষ্ট নেই।ঐ দিন বাড়িতে এসে স্ত্রীকে বিষয়টা খুলে বললেন।ওনার স্ত্রী বললেন-আপনি মুসলিম আর রহিম ভাইও মুসলিম।মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই।আর এক ভাই চাইবেন না আরেক ভাই ভুল পথেযাক।আপনি যেকোনো ভাবেই হোক ওনাকে বুঝিয়েবলেন।আল্লাহ্ যে পথ অনুসরণ করার জন্য বলেছেন সেই পথে রহিম ভাইকে নিয়ে আসার দায়িত্ব আপনার।.স্ত্রীর কথায় খুব খুশি হলেন আজগর সাহেব।আর ভাবতে লাগলেন কিভাবে রহিম মিঞাকেইসলামের পথে আনা যায়।পরদিন সকালে বাজারে গিয়ে চিন্তায় পরে যান আজগর সাহেব।রহিম মিঞা এখনো দোকান খুলেনি কেন?আবার অসুস্থ হয়ে পরলোনাতো!অবশেষে বিকেলে দোকান খুললেন রহিম মিঞা।দোকান খোলা পেয়ে সাথে সাথে ঐ দোকানে গেলেন আজগর সাহেব----রহিম ভাই আপনি কি অসুস্থ? আজ এত দেরি করে আসলেন?---আর বইলেন না,কাল দোকান থেকে যেতে দেরি হইছে।---কেন?ক্রেতা ছিলো নাকি?---না,ক্যাশ মিলাতে পারিনি ভাই।কয়েকদিন ধরেই এই সমস্যা!টাকা যেন কই চলে যায়।অথচ বেচাঁ বিক্রি ভালোই।কিন্তু দিনশেষে হিসেব খুজে পাচ্ছিনা।---বলনে কি এটাতো সমস্যার কথা।---সমস্যা কি একটা? বাড়িতে গেলেই বউর নানান ধরনের কথা শুনতে হয়।আর ভালো লাগেনা মিঞা।---রহিম ভাই আল্লাহর কাছে শান্তি প্রার্থনা করেন।আল্লাহ্ সকল সমস্যার সমাধানকারী।তখনি আসর নামাযের আজানের ধ্বনি শুনতে পেল আজগর সাহেব।রহিম মিঞাকে এত করে বোজানোর পরেই তিনি নামাযে গেলেন না।.কিছুদিন পর হঠাৎ রহিম মিঞার দোকানে চিল্লাচিল্লির আওয়াজ শুনে ছুটে যায় আজগর সাহেব।পরে জানতে পারে কোনো এক ক্রেতার কাছে বিক্রি করা আম ওজনে কম দিয়েছে রহিম মিঞা।এই নিয়েই খুব হাক-ডাক হচ্ছে।আজগর সাহেব ঐ ক্রেতাকে কোনোরকম বুজিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।.ঐ দিন ইফতার ও নামায শেষ করে রহিম মিঞাকে সাথে নিয়ে এক নির্জন জায়গায় বসলেন আজগর সাহেব।রহিম মিঞা লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে।---আচ্ছা রহিম ভাই আপনি জানেন,আমরা যে ব্যবসা করে খাই এটা কতটা সম্মানের।আমাদের নবীরাও ব্যবসায় করতেন।আমরা তাদের অনুসরণ করলে আমরা কি পাবো জানেন?---রহিম মিঞা নিরবে মাটির দিকে তাকিয়ে মাথা নেড়ে না বোধক প্রকাশ করলেন।---আল্লাহ্ রাব্বুল আল আমীন,ব্যবসায়ীদের সম্মান অনেক উঁচু স্থানে রেখেছেন।যারা এই দুনিয়ায় ইসলামিক বিধি বিধানমতে হালাল ভাবে ব্যবসায় করবে তাঁদেরকে আল্লাহ্ শহীদদের সম্মান দিবেন।যারা নবীর সাথে কাঁধে কাধঁ মিলিয়ে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন তাদের সম্মানআল্লাহ্ আপনাকে দিবে।যদি আপনি হালাল ভাবে ব্যবসায় করেন।---রহিম মিঞা চোখের পানি ছেড়ে দিলেন।আর বললেন আজ থেকে ইসলাম যেভাবে আদেশ করেছ ঐ ভাবেই ব্যবসায় করবো ইনশাআল্লাহ্।---আল্লাহ আপনাকে আমাকে কবুল করুক।আমিন।.পরক্ষণেই এশা নামাযের আজানের ধ্বনি শোনা গেল।"চলেন ভাই আল্লাহ্ আমাদের ডাকছে,তার ডাকে সাড়া দেই"রহিম মিঞার মুখে এই কথা শুনে আজগর সাহেব মনে মনে আল্লাহর কাছে শুকরিয়াআদায় করে।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ