গল্পঃ নিঃশ্বাস
লেখায়ঃ Bahadur mia shehab (স্বার্থপর)
ডিপ্রেশনে ভোগে রাত জাগা মানুষ গুলার মধ্যে আমিও একজন, নিজেকে নিকোটিনের ধোয়ায় আবছা করে রাখি,
নিজের কষ্ট গুলা সাওয়ার ছেরে কান্না করে কমিয়ে দেই, আমি পারি না খুব জোরে চিৎকার করে কাঁদতে, কিন্তু ইচ্ছে হয় পারি না, জানি পারব না, ছেলেদের নাকি চিৎকার করে কাঁদতে নাই। কি একটা অদ্ভুত নিয়ম তাই না।
,
এই মনে আছে কি তোমার?
একদিন একটা ছেলে ভুল করে তোমার হাত ধরেছিল বলে তুমি সে কি কান্না করেছিলে আর বলেছিলে।
বাঁচবব না তোমাকে ছাড়া, তুমি ছাড়া যে আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে।
আমি চোখের পানি মুছে দিয়ে বুকে টেনে নিয়ে বলে ছিলাম।
এই যে দেখো বুকে আজ যেমন করে রেখেছি সারাটা জনম এভাবেই রাখব। কখনো কাউকে তোমার সংস্পর্শে আসতে দিব না।
সেদিন সে কি ফুফিয়ে ফুফিয়ে কান্না করেছিলে। বিশ্বাস করো কান্না করলে তোমাকে খুব মায়াবি লাগে।
কি অদ্ভুত লাগছে।
যে তুমি বলেছিলে আমাকে ছাড়া তোমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, সেই তুমি আজ খোলা আকাশে অন্যের হাতে হাত রেখে সাধরে নিঃশ্বাস নিচ্ছো আর আমার হাতে নিকোটিন ধরিয়ে দিয়েছো।
তবে জানো কি তিথি আজ এই ভেবে ভালো আছি তুমি তো সুখে আছো। তোমার সুখ মানেই তো আমার সুখ।
তবে জানো কি আমাকে খুব বেশি ভাবায় তুমি কি আসলেই সুখে আছো?
এত শত স্মৃতিগুলা কি তোমাকে একবার ও মনে করিয়ে দেয় না।
এই জানো কি?
সব স্মৃতি গুলা আমাকে খুব যন্ত্রনা দেয়, খুব কষ্ট হয় আমার। আগে তো এমন হত না। রাতে যখন তোমার সাথে কথা বলে ঘুমিয়ে যেতাম তখন মনে হত আমি পৃথীবির একমাত্র সুখি ব্যক্তি কিন্তু আজ মনে হয় আমি একমাত্র ব্যক্তি যার কি না রাত বারলে কষ্ট গুলা হানা দেয়। খুব কষ্ট হয় খুব।
চোখের অশ্রু আটকিয়ে রাখতে খুব বেশি কষ্ট হয়। না চাইলেও গাল বেয়ে অশ্রু ঝড়তে থাকে।
তোমার কি একবার ও আমার কথা মনে পড়ে না?
জানো তো আজ আমার জন্মদিন এই দিনটার জন্যে তোমার কত প্লান ছিল। আমাকে কিভাবে সারপ্রাইজ দিবে? আমাকে নিয়ে সারা দিন কোথায় কোথায় ঘুরবে তার প্লান করতে আর সেই তুমি আজ?
কি অদ্ভুত?
বিগত বছর এই দিনে আমার ছিলে আর আজ অন্য কারো।
এখন আর কেউ ফোন করে বলে না।
এই শিহাব উঠো, সকাল তো হয়ে গেছে, তোমার তো ইন্টার্ভিউ আছে।
আমার ইন্টার্ভিউ থাকলে সব থেকে তোমার চিন্তা হত।
মনে আছে কি তোমার আমার প্রথম চাকরীটা হওয়ার পর তোমাকে পার্কে ডেকেছিলাম। তুমি পার্কে মানুষের সামনে আমাকে জরিয়ে ধরেছিলে। আশেপাশের সবাই তাকিয়ে ছিলো কিন্তু সেদিকে তোমার কোন খেয়াল ছিল না।
জানো কি বেশ কয়েকবার সুইসাইড করতে গিয়েও ব্যর্থ হয়ে ফিরেছি।
প্রথম যেবার সুইসাইড করতে যাই তখন মায়ের কথা খুব বেশি মনে পড়েছিল।
মনে হচ্ছিল কেউ একজন বলল..
কি রে কাপুরুষ একটা মেয়ের ৪ বছরের ভালোবাসার কাছে তোর মায়ের ভালোবাসাকে অপমান করলি।
সেদিন মায়ের জন্যে খুব বেশি খারাপ লাগছিল। ব্যাগ গুছিয়ে গ্রামে রওনা দিয়েছিলাম।
বিশ্বাস করো যে কয়দিন মায়ের কাছে ছিলাম তোমার কথা একটি বারেও মনে পড়েনি।
যখন ব্যস্ত নগরিতে আসলাম তোমার স্মৃতি গুলা আমাকে আবার তোমার কথা মনে করিয়ে দিলো সেই সাথে নিকোটিনের সাথে পরিচিত হলাম।
২য় বার সুইসাইড করতে গিয়াও ব্যর্থ হয়ে ফিরছি। মনে হচ্ছিল ভুলে করছি তাই সে দিনেও করা হল না। কিন্তু বার বার মনে হচ্ছিলো আমি ব্যর্থ।
তারপর আবার মায়ের কাছে ছুটে যাই। সেবার বেশ কিছুদিন ছিলাম। যে কয়দিন ছিলাম।একটা দিন সিগারেটের স্পর্শে আসিনি। ভুলেই গেছিলাম আমি সিগারেট খাই ।
মায়ের হাতের আদর যত্ন তোকেও ভুলে দিয়েছে। আমার সব কষ্ট ভুলে দিয়েছে সেদিন রাতে যেদিন গভীর রাতে বাহিরে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে চাহিয়া ছিলাম। কখন যে মা পাশে এসে দাড়িয়েছে বুঝতেও পারিনি।
কিরে বাবা ঘুমাস নি।
মায়ের ডাকে সারা দিয়ে বলি এই তো মা ঘুম আসছে না
যা বাবা ঘুমিয়ে যা, ঘুম থেকে উঠে নিজেকে নতুন করে গড়ে তুল। ভুলেযাস না আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যেই করে। হয়ত তোর জন্যে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।
মায়ের সেদিনের রাতের কথা গুলা আমার জীবনের মোর ঘুরিয়ে দিয়েছে। আমি নিজেকে নতুন ভাবে বানিয়ে নিয়েছি। ভুলে দিয়েছি অতীত কে। বেস তো ভালোই আছি।
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ