দেয়াল...
১'ম পর্ব:
.
অনেক হয়েছে আর না। অধরাকে আর পড়াতে যাবো না।
স্বিধান্ত টা নিয়েই বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই জগতের সমস্ত ঘুম যেন চোখে হানা দিলো ।কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম জানিনা,
তবে ঘুম টা ভাঙ্গলো মোবাইল এর রিংটনে ।
হাতে নিয়ে দেখি অধরার কল ।
ধরলাম না ।
একটু পর আবার কল ।
মোবাইল টা সাইলেন্ট করে ওয়াশরুমের দিকে গেলাম ফ্রেশ হতে ।
ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি এখনো ফোন বাজছে।
ফোনটা ধরেই বললাম ব্যাস্ত আছি পরে ফোন দিও, বলেই কেটে দিলাম।
মোবাইল এর দিকে তাকাতেই দেখি ৯:০০ টা বাজে। ক্ষুধা যে লাগছে তা টের পাচ্ছি এখন ।
ভাবতে লাগলাম রান্না করবো নাকি বাইরে যেয়ে খেয়ে আসবো ?
এমন সময় আবার অধরার ফোন ।
হ্যা বলো ।(আমি)
খেয়েছেন কি?(অধরা)
হুম খেয়েছি।(আমি)
মিথ্যা কথা বলবেন না, আমি জানি আপনি খান নাই ।(অধরা)
......
আপনি এখনি আমাদের বাসায় আসেন কথাটি বলেই অধরা ফোন টা কেটে দিলো ।
.
.
ভাবছি যাবো কি না
,এদিকে ক্ষুধায় পেট জ্বলে যাচ্ছে আর ঐদিকে মাসের শেষের দিক বলে হাতে টাকা পয়সাও কম।
আর রান্নাটা করতেও মন চাচ্ছে না ।
এইসব ভাবতে ভাবতে অধরাদের বাসার দিকে রওনা দিলাম ।
অধরাদের বাসা হতে আমাদের মেস বেশি দূরে না । হেঁটে যেতে সর্বচ্চো ১৫-২০ মিনিটের।রাস্তা দিয়ে হাঁটছি আর বিকেলে ওর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা টি নিয়ে ভাবছি।
আমি তো ভাবছিলাম এই ঘটনার পর ও আমাকে ফোন তো দেওয়ার কথা দূরে থাক আমার সাথে কোনদিন কথাও বলবে না।।
আমি হাঁটছি গন্তব্য অধরাদের বাসা...
.
.
.
ও আপনাদের তো আমার পরিচয়'টাই দেওয়া হয়নি।
আমি অাবির ।
একটা পাবলিক ভার্সিটিতে ফাইনাল ইয়ার এ পড়ছি ।আমার বাবা একজন কৃষক ।
অনেক কস্টে আমাকে এত দূর পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন ।এছাড়াও আমার পরিবারে মা আর ছোট ২ টি বোন আছে ।
আর এতক্ষন যার কথা আপনাদের বললাম ও হচ্ছে অধরা ।
আমার ছাত্রী । সামনে এস.এস.সি দিবে ।দেখতে যেমন ভালো ,তেমনি পড়াশুনায়েও।
কিন্তু ইদানিং দেখছি ও একটু পড়াশুনা করতে চায় না ।বই নিয়ে বসতে বললেই বলে ,
ভাইয়া সারাদিন ই তো পড়ি আজ কে না হয় একটু গল্প করি...আজ পড়বো না,পড়তে মন চাচ্ছে না ইত্যাদি বাহানা দিচ্ছে ।
আর একটা বিষয় আমি খেয়াল করছি যে,ও এখন প্রত্যেক দিন সেঁজে পড়তে বসে ।
মাঝে মাঞে বলে দেখেন তো ভাইয়া আমাকে কেমন লাগছে?
আর আজ বিকালে পড়ানোর সময় যেটা বললো সেইটা আমি আগে থেকেই একটু অনুমান করতে পেরেছিলাম যে ও কিছু একটা বলবে,
অধরার এই কয়েকদিনের আচরণ তো তাই বলছিলো।
আর
তাইতো আমিও স্বিধান্ত নিয়েছি যে ওকে আর পড়াতে যাবো না।
এইসব ভাবতে ভাবতে দেখি অধরাদের বাসার সামনে এসে পড়েছি...।
অধরার বাবা অনেক বড়লোক। আর ও বাবা মার একমাত্র সন্তান। অধরাদের বাসাটা অনেক বড়। কলিং বেল চাপবো নাকি চাপবো না ভাবছি।
যদিও এর আগেও অনেক দিন রাতে এসে খেয়ে গেছি কিন্তু আজ কেন যানি দ্বিধাবোধ কাজ করছে।
তবুও কলিং বেল এ চাপ দিলাম।
কলিং বেল চাপতেই দেখি সাথে সাথে অধরা দরজা খুলে দিলো, মনে হচ্ছিলো ও যেন দরজার ওপাশেই দাঁড়িয়ে ছিলো।
আমি অধরার দিকে তাকিয়ে দেখি ওর চোখ টা বেশ লাল হয়ে আছে।মনে হচ্ছে অনেক কেঁদেছে।
ভিতরে আসেন...(অধরা)
হুম...(আমি)
আরে বাবা তুমি কখন এলে?(আন্টি)
এইতো আন্টি এইমাত্র আসলাম(আমি)
আছা বাবা তুমি বসো অধরা তোমায় খাবার দিচ্ছে এই কথা বলে আন্টি চলে গেলেন।
আমি অধরা দিকে চেয়ে আছি,ফর্সা মুখটা লাল হয়ে গেছে।
ও কিছু না বলে খাবার আনতে চলে গেলো।
আমি ভাবছি কাজ টা কি আমি ঠিক করেছি?আবার পরক্ষনেই ভাবলাম যা করেছি একদম ঠিকই করেছি,এইসব আমার জন্য না...
(চলবে).....
দেয়াল...
২'য় পর্ব:
.
ফোনে মিথ্যা কথা বললেন কেন?(অধরা)
চেয়ে দেখি অধরা খাবার নিয়ে এসে দাড়িয়ে আছে ।
আমি কিছু বললাম না ।
আমার চুপ থাকা দেখে আর কিছু না বলে খাবারের প্লেট আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো ।
খাবারের আইটেম গুলো বেশ ভালোই ।
আর ভালো হবেই না কেন বড়লোক বলে কথা ।
কি হলো খাচ্ছেন না কেন?(অধরা)
তুমি খেয়েছো? (আমি)
হুম..খেয়েছি ..আস্তে করে বললো।(অধরা)
আমি জানি যে ও না খেয়ে আছে তাই বললাম ,দেখো অধরা রাগ করে নিজেকে কস্ট দিয়ে কোন লাভ নেই ।খেয়ে নিও।
.
আমি রাগ করেছি আপনাকে কে বলেছে?(অধরা)
কন্ঠে তার স্পষ্ট অভিমান।
আমি বললাম রাগ কোন কিছুর সমাধান হতে পারে না,তাই বলছি খেয়ে নিও আর হ্যা একটা কথা মাথায় রেখো আবেগ দিয়ে সব কিছু হয় না ,নিজেকে সব কিছুর সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করো তবেই সেটা তোমার জন্যই ভালো হবে ।
শুনেন আমার কিসে ভালো হবে না হবে সেটা আপনাকে বলতে হবে না ,
আর হ্যা এখানে আপনি কিন্তু আমার টিচার না যে আপনার কথা আমাকে শুনতে হবে ,কথাগুলো বলেই হনহন করে চলে গেলো। (অধরা)
.
আমি অবাক হয়ে ওর চলে যাওয়া দেখলাম । এখনো রেগে আছে। এই মেয়ে যে রাগ ও করতে পারে আমি ভাবতেই পারছি না।
কি রাগটাই না করেছে । আচ্ছা এটা কি ওর রাগ ছিলো নাকি অভিমান?
যাইহোক আমি খাওয়া শেষ করে আন্টির রুমের দিকে পা বাড়ালাম ।
আসবো আন্টি? (আমি)
আরে বাবা এসো এসো, তুমি আসবে আর এতে অনুমতির কি আছে?(আন্টি)
আমি আন্টিকে বললাম,আন্টি একটা কথা বলতে চাচ্ছি ।
দেখো বাবা আমি তোমাকে আমার নিজের ছেলের মতোই দেখি,আর কোনদিন যেন কোন কথা বলতে অনুমতি নিতে না দেখি ।
আমি একটু হেসে বললাম,আচ্ছা ঠিক আছে ।
ও কি যেন কথা বলবে?(আন্টি)
কিভাবে যে বলি,আসলে আমি...
বুঝছি টাকা লাগবে?
তাইতো?
আচ্ছা তুমি একটু বসো আমি টাকা আনছি।(আন্টি)
না আন্টি আমার টাকা লাগবে না,
আসলে আমি আর অধরাকে পড়াতে পারবো না ।
আন্টি আমার মুখের দিকে কিছুক্ষন চেয়ে রইলেন তারপর বললেন, অধরা সাথে কিছু হয়েছে ?
না আন্টি ওর সাথে আমার কিছুই হয়নি ,আসলে ভার্সিটির সাথেই একটা মেস পেয়েছি,আর তাছাড়া সামনে আমার ফাইনাল পরীক্ষা আছে ।তাই ভাবলাম ঐখানেই চলে যাবো ।
আপনি কোন চিন্তা করবেন না,আমি অধরা জন্য টিচার ঠিক করে দিয়ে যাবো ।
না গেলে হয় না ?(অধরা)
আন্টি আরো কিছু বলতে যাবেন এই সময় অধরা ঐ কথাটি বলে উঠলো ।
না ,হয় না ।(আমি)
দেখলাম অধরা শুধু এক দৃস্টিতে আমার দিকে চেয়ে আছে। তার দৃস্টি যেন আমায় বলছে প্লিজ যাবেন না।
.
.
আমি আন্টিকে বললাম আজ আসি। বেতন আমি কোন এক সময় এসে নিয়ে যাবো।
.
.
অধরাদের বাসা হতে বের হয়ে রাস্তার দোকান হতে একটা সিগারেট নিলাম।সিগারেট টানছি আর বিকেলের কথা ভাবছি...
.
প্রতিদিনের মতো আজকেও অনেক সেঁজে এসেছে।কিন্তু আজ শাড়ী পরেছে,কপালে ছোট্ট একটি কালো টিপ দিয়েছে।
এমনিতেই অনেক সুন্দরী তার উপর শাড়ী আর টিপ দেওয়াতে আজ অধরা অন্যদিনের চাইতে একটু বেশি_ই সুন্দরী লাগছে...চোখ ফেরাতে পারছিলাম না।
আমি নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম কি ব্যাপার আজ হঠাৎ এতো সাঁজলে যে?
কোথাও বেড়াতে যাচ্ছো নাকি?
আমাকে আজ কেমন লাগছে?(অধরা)
আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে উল্টো আমাকেই প্রশ্ন করলো।
ভালো লাগছে,এখন পড়তে বসো।(আমি)
শুধু ভালো আর কিছু না?(অধরা)
প্রশ্ন টা করেই আমার দিকে এক দৃস্টিতে তাকিয়ে রইলো।
দেখলাম অবস্থা সুবিধাজনক মনে হচ্ছে না,তাই একটু ধমকের সুরেই বললাম হচ্ছে টা কি শুনি,
বই খুলো।
আমি আপনাকে ভালোবাসি। (অধরা)
চেয়ে দেখি মাথা নিচু করে আছে..
আমি শুনেও না শুনার ভান করলাম।
বই খুলো অধরা।
আমি আপনাকে কিছু বলেছি।(অধরা)
আচ্ছা পরে দেখা যাবে,আগে পড়তে বসো।(আমি)
না,আমার এখন _ই উত্তর চাই।(অধরা)
পাগলামির একটা লিমিট থাকা উচিত, তুমি কি সেটা জানো?(আমি)
আমি কিচ্ছু জানিনা,কিচ্ছু জানতেও চাই না,আমি শুধু জানি আমি আপনাকে ভালোবাসি এই বলে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
ছাড়িয়ে নিয়ে সাথে সাথে ২ টা চড় দিলাম,আর বললাম তোমাকে আমি আর পড়াতে পারবো না বলেই চলে আসলাম।।
.
.
এমন না যে আমি অধরাকে ভালোবাসি না,আমিও ওকে খুব ভালোবাসি কিন্তু কি যেন এক অদৃশ্য দেয়াল আমাকে বাধা দিচ্ছে।
কোন সে দেয়াল সেটা আমিও বুঝতে পারছি না...।।এইসব ভাবতে ভাবতে দেখি মেসের সামনে চলে এসেছি।
মেসেজের টোনে মোবাইল টা বেজে উঠলো,চেয়ে দেখি অধরার মেসেজ,,, ""আগামীকাল যদি পড়াতে না আসেন, তবে আমি যে কি করবো তা আমি নিজেও জানি না""
(চলবে).....
দেয়াল...
৩'য় পর্ব:
.
মেসেজটির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলাম ।
কি বলছে ও,
কাল পড়াতে না গেলে কি করবে?
খারাপ কিছু করবে না তো আবার?
যে রাগী মেয়ে ,কিছু করলেও করতেও পারে
।এইসব মেয়েদের কোন বিশ্বাস নেই।
এদের আবেগের পারদের লেভেল উচ্চ পর্যায়ে থাকে ।
আমি কি যাবো পড়াতে?
আচ্ছা আমি ভয় পাচ্ছি কেন?এতগুলো প্রশ্ন একসাথে মনে বেজে উঠলো।
,
.
ধুর কি সব আবোল তাবোল ভাবছি আমি ?
নিজেই নিজেকে বললাম ,দেখ অাবির তুই কোথায় আর অধরা কোথায়?
তুই গরীব আর অধরা হলো বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে । তোর সাথে ওর যায় না ।
তোর ভালোবাসা মানায় না কারন গরীবদের ভালোবাসা মানায় না,এদের জন্য অভিনয় টাই পারফেক্ট । তুইও না হয় অভিনেতার দলে থাক ।
অধরা কিচ্ছু করবে না,আবেগের বশে হয়তো এইরকম করছে কয়েকদিন না গেলে সব আগের মতো হয়ে যাবে ।হঠাৎ আসা আবেগ হঠাৎ মিলিয়ে যাবে আর মাঝখানে কস্ট পাবি তুই।
যাবো না পড়াতে ভাবতে ভাবতে রুমে আসলাম।
ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লাম কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছে না।
শুধু অধরার অভিমানী মুখটা চোখে ভাসছে।
.
.
আচ্ছা অধরা কি আমাকে সত্যিই ভালোবাসে নাকি এটা ওর হঠাৎ আসা আবেগের বহিঃপ্রকাশ??
,
এই সময় আবার অধরার ফোন,,
হ্যা বলো।(আমি)
কখন পৌঁছেছেন?(অধরা)
এইতো এইমাত্র। (আমি)
সত্যি করে একটা কথা বলবেন?(অধরা)
বলো কি কথা?(আমি)
আপনি কি সত্যিই আমাকে আর পড়াবেন না?(অধরা)
না,আমি আর তোমাকে পড়াবো না।(আমি)
কেন পড়াবেন না?(অধরা)
কেন পড়াবো না সেইটা তুমি ভালো করেই জানো।(আমি)
কেন আমাকে কি ভালোবাসা যায় না?
আমি দেখতে এতটাই খারাপ? (অধরা)
এখানে ভালো খারাপের কিছু নেই।(আমি)
তবে??(অধরা)
কিছু না,,তোমাকে আমি আর পড়াচ্ছি না এটাই ফাইনাল,,আর তোমার জন্য আমি টিচার ঠিক করে দিয়ে যাবো। রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পড়ো।
আর হ্যা না খেয়ে থেকে কোন লাভ নেই,,তাই খেয়ে নিও।(আমি)
আমি আপনি ছাড়া আর কারো কাছে পড়বো না।
আর আমি যে না খেয়ে আছি তা আপনি বুঝলেন কেমন করে??তাছাড়া আমি না খেয়ে আপননার কি?
তার মানে আপনি ও আমাকে??(অধরা)
তুমি আসলেই একটু বেশিই ভাবো,,আর
তুমি যেটা ভাবছো সেটা কোনদিন সম্ভব না অধরা(ধমকের সুরে বললাম)। (আমি)
কেন সম্ভব না?(অধরা)
সব প্রশ্নের উত্তর সব সময় দেওয়া যায় না।(আমি)
আচ্ছা আমি রাখছি, আমার অনেক ঘুম পেয়েছে(মিথ্যে কথা বললাম কেননা এই মেয়ের সাথে কথা বললে আমি ওর মায়া'য় পড়ে যাবো)।(আমি)
তারমানে আপনি আর আমাকে পড়াতে আসছেন না??(অধরা)
হুম.....(আমি)
এটাই আপনার শেষ কথা? কান্নাজড়িত কন্ঠে।(অধরা)
হ্যা,,।(আমি)
আমি আপনাকে না দেখে থাকতে পারবো না যে?(অধরা)
এখন হতে থাকতে হবে।(আমি)
আচ্ছা যান আমি আপনাকে ভালোবাসতে বলবো না,আমি শুধু নিজে নিজেই বেসে যাবো, তবুও বলেন আসবেন?(অধরা)
এটা সম্ভব না।(আমি)
আচ্ছা ঠিক আছে,,আমিও দেখবো তুই আমাকে কেমনে না পড়াস আর না ভালো বেসে থাকতে পারিস??তোকে আমাকেই পড়াতেই হবে আর আমাকেই ভালো বাসতে হবে এই কথা বলেই ফোন টা কেটে দিলো অধরা।
আমি মোবাইল শুধু টার দিকে চেয়ে রইলাম,,,
আসলেই অনেক রাগ করেছে মেয়েটি।।
""অনেক অনেক ভালোবাসি তোমায় অধরা"" কথাটি একবার বলতে গিয়েও থেমে গেলাম।
কি করবো বলো, আমি যে দেয়ালের মাঝে আটকা পড়ে রয়েছি?
তোমার আর আমার মাঝে " দেয়াল" হয়ে আছে গরীব আর ধনী নামক শব্দ।
তোমার আর আমার মাঝে "দেয়াল" হয়ে আছে এই সমাজ।
তোমার আর আমার মাঝে "দেয়াল " হয়ে আছে আমার বিবেক।
তোমার আমার মাঝে "দেয়াল"হয়ে আছে তোমার মা বাবার আমার প্রতি বিশ্বাস আর ভালোবাসা।
আমি চাইলেই সে "দেয়াল" ভাঙতে পারি না।
তুমি একা যেখানে আমাকে নিয়ে রঙিন স্বপ্ন দেখো,,
সেখানে আমার পরিবার আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
আমি কবে চাকুরী করবো?
কবে তাদের কস্ট দূর করবো?
তোমার একার স্বপ্ন পূরনের চাইতে আমার পরিবারের স্বপ্ন আমার কাছে আগে।।
.
.
এইসব কথা ভাবতে ভাবতে কখন আমি ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেলাম বুঝিনি।
ঘুম ভাঙলো সকাল ১০ টার দিকে।
মোবাইল টা হাতে নিয়ে দেখি ২৫ টা মেসেজ। সবগুলোই
অধরার.....
।
।
চলবে.......
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ