------------------------অবুঝ ভালবাসা-------------------
-------------------(১ম পর্ব)-------------------
-আশ্চর্য ছেলে তুই অভি! কিছুটা বিরক্ত হয়ে কথাটি বলল রাহুল।
-রাঙ্গামাটি এসেছি ঘুরে দেখার জন্যতো? আর তুই বলছিস তোর ক্লান্তি লাগছে হোটেলের রুমে গিয়ে বসে থাকবি!
-আর কত ঘুরবি? সেই সকাল বেলা বের হয়েছি আর এখন বেলা তিনটে বাজে। তোর ক্লান্তি না আসতে পারে কিন্তু আমার খুব ক্লান্ত লাগছে। এখন হোটেলে গিয়ে রেস্ট নিবো।
-আচ্ছা অভি সত্যি করে বলতো তোর হয়েছেটা কি? কাল রাত থেকে মনে হচ্ছে কি যেন ভাবছিস। বেড়াতে এসে তোর কি হল বলতো?
-আমি একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছি।
রাহুল বিস্ময় চোখে অভির দিকে তাকাল!
-বলিস কি!! কে মেয়েটি?
-সে এক অপরূপা সুন্দরী.....
অভি যেন কল্পনায় হারিয়ে যায়। এই মুহূর্তে সে যেন ঐ মেয়েটিকে দেখতে পাচ্ছে। বলতে থাকে সে..... যার মায়াবী দুটি চোখের দিকে তাকালে হারিয়ে যেতে মন চায়। যার চিকন গোলাপি ঠোঁটের বাঁকা হাসিতে হ্নদয়ের মাঝে ভালবাসার বীজ রোপণ করে দেয়।বাতাসে এলোমেলো তার কালো কেশ হ্নদয়ের দরজায় প্রেমের কড়া নাড়ে।
অভি কথা গুলো আনমনা হয়ে বলে।রাহুল বুঝতে পেরে তাকে হালকা ধাক্কা দেয়।অভির ঘোর কেটে যায়। এবার সে বলে,
-এক কথায় বলা যায় যাকে দেখলে বুকের ভিতর একটা চিনচিন ব্যথা অনুভূত হয়।
রাহুল এইসব শুনে বোকা হয়ে যায়।সে অভির কথার কিছুই বুঝতে পারেনা।
-এই অভি কি বলছিস এইসব? আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আচ্ছা তুই প্রেমে পড়লি কভে এটা বল।
-কাল বিকেলে আমরা রাঙ্গামাটি পৌঁছালে তুই আর হোটেল থেকে বের হলি না।
-হাঁ, কারণ লং জার্নি করে আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম তাই কাল হোটেলে রেস্ট নেই।
-আর আমি বেরিয়ে পড়ি আশপাশটা একটু ঘুরে দেখার জন্য। হঠাৎ একটি দৃশ্য আমার নজর কাড়ে। কিছু ছোট ছেলে মেয়ে তাদের মেষ গুলো নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। তখন একটি মেয়ে ওদের ছবি তোলছিল। তোকে কিভাবে বুঝাবো বুঝতেছি না বন্ধু।তখন আমি মেয়েটির কাছ থেকে চোখ সরাতে পারছিলাম না। এক দৃষ্টিতে লক্ষ্য করছিলাম মেয়েটিকে। কিন্তু আমি তাকে কিছু বলার আগেই কোথা থেকে একটি গাড়ি আসলো আর সে চলে গেলো।
কথা গুলো বলে হতাশার একটি দীর্ঘ শ্বাস ফেলে অভি।
-বুঝতে পারছি মেয়েটি সাথে করে আমার বন্ধুর দামী মনটাও নিয়ে গেছে। কিন্তু তুই কাল আমায় কিছুই জানালি না কেন?
-তখন বুঝতে পারিনি মেয়েটিকে ভালবেসে ফেলেছি। সারারাত শুধু মেয়েটির কথা মনে হয়েছে। চোখ বন্ধ করলেই সেই মেয়েটির হাসি হাসি মায়াবী মুখটি ভেসে উঠছিল। আজ ঘুরতে এসেও সারাটা দিন আমার চোখ তাকে খুঁজেছে।
-ওহ এইবার বুঝতে পারছি। কাল রাতে তোর ঘুম হয়নি বলে তুই এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিস। ঠিক আছে হোটেলে চল।
অভি এবং রাহুল দুই বন্ধু। তাদের বন্ধুত্বটা অনেক গভীর। সেই ছোট বেলা থেকে একসাথে খেলছে, পড়ছে, চলাফেরা, খুনসুটি সব একসাথে করে।সেই সুবাদে তাদের আত্মার মধ্যে একটি গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। হবেই বা না কেন? তাদের দুজনের বাবা একে অন্যের ভালো বন্ধু। তবে অভি রাহুলের মতো বন্ধুত্ব আর খুব একটা দেখা যায় না। তাদের অন্যান্য বন্ধুরা বলে তাদের নাকি দুই দেহ এক আত্মা।
হয়তো তাই,ওরা একজন আরেকজনের জন্য জান দিতে দ্বিধা করবে না। এবার ওরা hsc এক্সাম দিয়েছে। তাই অনেক অবসর সময় হাতে। রাহুলের আবার রাঙ্গামাটি দেখার ইচ্ছে অনেকদিনের। তাই এই সুযোগে সিলেট থেকে ওরা রাঙ্গামাটি ঘুরতে চলে আসে।কাল বিকেলে এসে পৌছালেও আজ তারা দুজন সকাল থেকে ঘুরে বেড়িয়েছে। এখানে একটি নিরিবিলি হোটেলে উঠেছে। এখন সেই হোটেলের কাছাকাছি চলে এসেছে ওরা। অভিকে এখনো সেই গম্ভীর দেখাচ্ছে। তাকে স্বাভাবিক করতে রাহুল নানান কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অভি শুধু 'হু হা' তে উত্তর দিচ্ছে।
-অভি তোকে তো একটা মজার ঘটনা বলা হয়নি।
অভি ভ্রু কুঁচকে বলে,
-মজার ঘটনা!! কিসের মজার ঘটনা?
-কাল যখন তুই একা বেরিয়ে পড়লি তারপর হোটেলের রুমে বসে থাকতে আমার বিরক্ত লাগছিল। তাই ভাবলাম হোটেলের বাগানে একটু হেঁটে আসি। সেখানে গিয়ে দেখলাম এক মধ্যবয়স্ক মহিলা বসে আছেন....
-বসে থাকতেই পারেন। এতে মজার কি আছে?
-আরে আমার পুরো কথাটা তো শুনবি আগে।
-ঠিক আছে বল।
-তারপর আমিও সেখানে গিয়ে বসি। কিছুক্ষণ পর মহিলাটি উঠে দাঁড়ায় ও সেখান থেকে চলে যেতে থাকে। তখন আমি খেয়াল করলাম উনি তাঁর মোবাইল ফেলে যাচ্ছেন।তাই ডাক দিলাম, 'আন্টি আপনার মোবাইল ফেলে গেছেন।' উনি ফিরে তাকিয়ে দেখলেন সত্যিই তাই। তারপর আবার এসে তিনি আগের জায়গায় বসলেন এবং আমার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করলেন। গল্প করার এক পর্যায়ে উনি আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আবার চলে যাচ্ছেন। আমি আবারো পিছন থেকে ডাক দিয়ে বললাম,'আন্টি আপনি আবারো মোবাইল ফেলে যাচ্ছেন।' এইবার মহিলাটি খুব লজ্জা পেয়ে গেলেন।
কথাটি শেষ করেই রাহুল উচ্চস্বরে হেসে উঠে। তার কাছে যেন এটা খুবই মজার ব্যাপার। কিন্তু অভি মজা পেলো না। সে বিরক্ত হয়ে বলল,
-এটাই তোর মজার ঘটনা?
-কেন তোর কাছে মজার মনে হয়নি?
-মোটেও না। বয়ষ্ক মহিলা,এইরকম ভুল হতেই পারে। এতে মজার কি আছে?
রাহুল আর কিছু বলতে পারে না। কিছুক্ষণ দুজনেই নিরব। তারপর রাহুল বলে,
-আচ্ছা অভি কাল কোথায় যাওয়া যায় বলতো।
কিন্তু অভির কোনো উত্তর নেই। রাহুল আবার বলে,
-কিরে কি হয়েছে?কথা বলছিস না কেন?
-সামনে তাকিয়ে দেখ!
অবাক হয়ে বলল অভি।
রাহুল ঘাড়টা ঘুরিয়ে সামনে নিতেই তার চোখের পাতা আর পড়ে না। মনে মনে বলে, অসাধারণ! একটা মানুষ এতটা সুন্দর হতে পারে? এই সৌন্দর্যের কাছে ভোরের সদ্য ফোঁটা গোলাপও হার মানবে।
তাদের বিপরীত দিক দিয়ে একটি মেয়ে হেঁটে আসছে। ওরা যে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছে মেয়েটি সেটা বুঝতেই পারছে।
অভি বলে,"রাহুল এই মেয়েটিইইই.....
সে কথা শেষ করতে পারে না। মেয়েটি এসে তাদের সামনে দাঁড়ায়। তারপর রাহুলকে উদ্দেশ্য করে বলে,
-আচ্ছা তুমি তাহলে এখানে? আমি তোমাকে কত জায়গায় খুঁজেছি জানো? কিন্তু কোথাও তোমার খোঁজ নেই।
রাহুল এইরকম একটা পরিস্থিতির জন্য মুটেও প্রস্তুত ছিল না। অভিও খুব অবাক হয়ে গেছে। রাহুল কিছু বুঝতে না পেরে সাথে সাথে বলে,
-কে আপনি? আমাকে কেন খুঁজছেন?
-আমাকে তুমি চিনতে চিনতে পারছো না? আর আমাকে আপনি করে কেন কথা বলছো? তোমার সাথে কি আমার আপনি করে বলার সম্পর্ক?
আহত স্বরে কথাটি বলে মেয়েটি।-সত্যিই আমি আপনাকে চিনতে পারছি না।
-কি বললে! তুমি আমাকে চিনতেই পারছো না?
এইবার যেন কেঁদেই দিবে মেয়েটি।
-আমাদের তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক, আর এখন কি না আমায় চিনতেই পারছো না?
অনেকক্ষণ ধরে অবাক হয়ে ওদের কথা শুনছিল অভি। এই প্রথম কথা বলল,
-রাহুল তুই তিন বছর হল প্রেম করছিস অথচ আমাকে একটি বারের জন্যও জানালি না!
দারুণ এক ঝামেলায় পড়ে যায় রাহুল।
-বন্ধু তুই বিশ্বাস কর, আমি এই মেয়েটাকে চিনিই না।
-তা চিনবে কেন! রেগে যায় মেয়েটি,আমাকে তো এখন আর চিনবে না। আমি এখন পুরানা হয়ে গেছি। এখন তুমি নতুন কাউকে খুঁজে বেড়াচ্ছ। নাকি এরমধ্যেই কাউকে পেয়ে গেছ?
-এইসব কি আজেবাজে কথা বলছেন?
-ওহ! এখন আমার কথাও তোমার কাছে আজেবাজে মনে হয়? আগে বলতে আমার কথাগুলো তোমার কাছে মধুর চেয়ে মিষ্টি লাগে।
-পাগল নাকি এই মেয়ে!! এই অভি চলতো।
একথা বলে রাহুল অভির হাত ধরে চলতে শুরু করে। মেয়েটি পিছন থেকে বলে,
-আমি পাগল কিনা তার প্রমাণ পাবে। আর একবার যখন তোমার দেখা পেয়েছি তবে দেখবো এইবার তুমি কিভাবে পালিয়ে যাও।
মেয়েটির কথায় কান না দিয়ে অভি রাহুল হোটেলের দিকে হাঁটতে থাকে। কিছুদূর যাওয়ার পর রাহুল বলল,
-আমার মনে হচ্ছে মেয়েটির মাথায় সমস্যা আছে। পুরাই পাগল একটা।
-এত সুন্দর একটি মেয়ে পাগল? উঁহু মানতে পারছি না।
-পাগল হওয়ার সাথে সুন্দরের সম্পর্ক কী? যে কেউ পাগল হতে পারে।
-তা ঠিক। তবে আমার মনে হচ্ছে মেয়েটি পাগল নয়।
-তবে কি তুই ঐ মেয়েটির কথা বিশ্বাস করেছিস!!
অভি সন্দেহের স্বরে বলে,
-বিশ্বাস করিনি বললে মিথ্যা বলা হবে। কিছুটা করেছি।
-তুই আমার বন্ধু হয়ে... একটা অচেনা মেয়ের কথা বিশ্বাস করে আমাকে ভুল বুঝলি?
-তোকে ভুল বুঝলাম কই? তবে একটু কষ্ট পেয়েছি.... তুই অন্ততপক্ষে আমাকে জানাতে পারতিস।
-অভি তুই বিশ্বাস কর বন্ধু, আমি মেয়েটিকে চিনিই না।
-রাহুল তুই স্বীকার করছিস না কেন বলতো? মেয়েটি তো অসম্ভব সুন্দরি। আচ্ছা বাদ দে.... এইবার তোর প্রেম কাহিনী বল।
-মানে !!!
-মানে কিভাবে মেয়েটির সাথে তোর দেখা হয়েছিল, কিভাবে প্রেম হল...
-তুই যখন ঐ মেয়ের কথা বিশ্বাস করেছিস তবে যা, তার মুখ থেকেই প্রেম কাহিনী শোন। আমার সাথে আর কোনো কথা বলবি না।
-আরে শোন না....
-কোনো কথা বলবি না আমার সাথে।
রাগ ও অভিমান এর সমন্বয়ে একটি ধমক দিলো রাহুল। অভিও নিচু কণ্ঠে বলে,
-আচ্ছা ঠিক আছে।
(চলবে)....
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļুāĻ্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āĻেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
2832 (1)
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ž:ā§Ļā§Ŧ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ