āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2824

কে ছিলো ও?

~~~~~~~~~~~
রাত ১১টা... ঠিক এই মুহৃর্তে আরশ ফুল ভলিউমে তার রুমে বসে গান শুনছে... মেজাজ খুব বেশি খারাপ থাকলে আরশ ফুল ভলিউমে গান শুনে...!!
.
মাত্র কয়েক মিনিট আগেই নিহার সাথে আরশের ব্রেক-আপ হইছে... এর আগেও নিহার সাথে তার অনেকবার ব্রেক-আপ হইছিলো,, কিন্তু এবারের ব্রেক-আপ আর কখনো প্যাচাপ হবেনা... এরকম সাইকো মেয়ের সাথে আর যাইহোক, রিলেশন কন্টিনিউ করা যায়না... সারাক্ষন ঝগড়া ঝগড়া আর ঝগড়া... কিসের এতো মোবাইল টিপো?? কার সাথে এতো চ্যাট করো? কে এতো ফোন দেয় তোমায়?? মেয়েটা তোমার পিকে লাইক কেনো দিলো?? কমেন্ট কেনো করলো?? আরো অনেক টপিক নিয়ে নিহা প্রতিদিন আরশের সাথে ঝগড়া করে... তাই আরশ শেষবারের মতো নিহার সাথে ব্রেক-আপ করে আসলো... সত্যি প্রতিদিন এগুলো সহ্য করা যেকোনো মানুষের পক্ষেই কষ্টকর..!!
.
রাত ১২টা... আরশ তার রুমে বসে উপরে ফ্যানের দিকে তাকিয়ে নিহার কথা চিন্তা করছে... মেয়েটার এতো রাগ কেনো?? এত্ত জেদ কেনো?? এত্ত একঘেয়ে কেনো মেয়েটা?? এসব চিন্তা করতে করতে হুট করে আরশের মোবাইলটা বেঁজে উঠলো... মোবাইলের স্কিনে তাকিয়ে দেখলো নিহার নাম..!!
.
--হ্যালো...!! (আরশ)
-- (~~~)
ওপাশ থেকে শুধু নিহার ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করার শব্দ শুনতে পাচ্ছে আরশ...!!
--দেখো নিহা,, এরকম কান্না করবেনা... তুমি এর আগেও এরকম কান্না করেছো... আর আমি প্রতিবার তোমার কান্না শুনে বোকার মতো তোমার কাছে ফিরে আসছি... কিন্তু এবার আর আমি ফিরছিনা... তোমাকে অনেক চেষ্টা করেও যখন বদলাতে পারলাম না, তাই নিজেই তোমার কাছ থেকে সরে গেলাম...!!!
আরশের মুখে কথাগুলো শুনে নিহার ফুঁপানোর আওয়াজটা আরো বেড়ে গেলো... অনেক কষ্টে কাঁদতে কাঁদতে আরশকে বললো-
--এরকম বলিওনা আরশ... আমি বুঝতে পারছি আমার দোষ,, আমাকে মাফ করে দাও প্লিজ.. তোমার এরকম আচরণ আমার একদম সহ্য হয়না... প্লিজ এরকম করিওনা...!!
--এগুলো তুমি আগেও বলেছো নিহা... কিন্তু আমি ফিরে আসার পর তুমি আবার আগের মতো হয়ে গেছো... তাই বার বার বোকার মতো আমি তোমার কাছে ফিরতে চাইনা..!!
--আরশ প্লিজ, এরকম করিওনা... দেখো আমার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে,, তোমায় ছাড়া কি করে থাকবো বলো?? মাফ করে দাও প্লিজ...!! (একটু জোরে কাদঁতে কাদঁতে কথাগুলো বলে নিহা)
--যদি এই প্রথমবার কথাগুলো বলতে তাহলে হয়তো বিশ্বাস করে নিতাম... কিন্তু এই কথাটা বলে তুমি বার বার আমাকে বোকা বানাইছো... বার বার বলো তুমি আর এটা করবেনা,, কিন্তু ঠিক তুমি আবার আগের মতো হয়ে যাও... ফোন আসে কেনো? ফোন টিপি কেনো?? চ্যাট করি কেনো? ওই মেয়ে পিকে লাইক দিলো কেনো?? কি নিয়ে তুমি ঝগড়া করোনা বলতে পারো?? এই ছোট বিষয়গুলো নিয়ে যখন তোমার রাগ উঠে তখন তুমি আমাকে কি কি বলো জানো?? আমার বাবা-মাকে অবধী গালি দাও...!! আমি আর ফিরছিনা নিহা, এটাই শেষ কথা...!!
কথাগুলো শুনে ফোনের ওপাশে নিহার কান্নার আওয়াজ ক্রমশ বেড়েই চলেছে... ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করার কারনে মুখ দিয়ে ঠিকমতো কথা বলতে পারছেনা সে... নিহা কান্না করতে করতে আরশকে বলে -
--প্লিজ এরকম বলিওনা আরশ, আমি মরে যাচ্ছি... আমি সত্যি নিশ্বাস নিতে পারছিনা... কষ্ট হচ্ছে আমার, খুব কষ্ট হচ্ছে... তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবনা আরশ... তুমি এরকম করলে আমি কিন্তু সুসাইড করবো... এই কষ্ট থেকে আমার জন্য মরে যাওয়া অনেক সহজ...!!
নিহার কথাগুলো শুনে আরশ অনেক জোরে একটা হাসি দিয়ে বলে-
--হিহিহি... তুমি সুসাইড করবা?? আমার জন্য?? এত্ত ভালোবাসো?? হিহিহি... বোকা পাইছো আমাকে না..?? এরকম ভালোবাসা এখন আর এই পৃথিবীতে নেই... এরকম ভালোবাসা রোমিও-জুলিয়েটের আমলে শেষ হয়ে গেছে, এসব ড্রামা বাদ দাও ওকে...?? তুমি তোমার মতো সাইকো টাইপ কাউকে খুঁজে নাও... ফোন রাখলাম, বিদায়...!!
--আরশ শুনো... আরশ... আরশ... হ্যালো... হ্যালো...!!
ফোনের ওপাশ থেকে ফোন কেটে মোবাইল সুইচ অফ করে দেয় আরশ... কান্না ভেজা চোখে ফোনের স্কিনের দিকে তাকিয়ে থাকে নিহা... খুব কষ্ট হচ্ছে তার... আরশকে সে কতোটা ভালোবাসে সেটা কখনোই তাকে বুঝাতে পারেনি... কিন্তু সত্যি এটাই যে, আরশকে ছাড়া নিহার ১টা মিনিট এক একটা বছর মনে হতো... সেই আরশের সাথেই এখন আর কথা হবেনা..?? দেখা হবেনা?? কথাগুলো ভাবতেই বুকের ভিতর ব্যাথা অনুভব করে নিহা... অনেক কষ্ট সেই ব্যাথায়... অনেক বেশিই কষ্ট...!!
.
রাত ১:৩০মিনিট... বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছে আরশ, সে জানে আজকে রাতে আর ঘুম আসবেনা... তারপরেও ঘুমানোর জন্য বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছে সে... বার বার নিহার কথা মনের ভিতর চলে আসছে,, মেয়েটা নিশ্চই এখন অনেক কান্না করছে... যে টাইপের রাগি মেয়ে, নিজের কোনো ক্ষতি করবে না'তো?? কথাগুলো চিন্তা করতে করতে বিছানা থেকে উঠে বসে আরশ... পুরো রাজ্যের চিন্তা মাথায় নিয়ে আর যাইহোক, ঘুমানো যায়না... বাইরে থেকে একটু হেঁটে আসলে খুব একটা খারাপ হয়না... হয়তো হেঁটে আসলে একটু ঘুম আসলেও আসতে পারে...!!
.
রাত ১:৫০মিনিট... বাইরে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হচ্ছে আরশ... বাসার গেইট খুলতেই বড় রকমের ধাক্কা খেলো সে... নিহা... নিহা দাঁড়িয়ে আছে গেইটের সামনে...!!
--নিহা তুমিইইই??? এতো রাতে?? আমার বাসার সামনে..?? পাগল হয়ে গেছো না'কি তুমি..??
কান্নাভেজা চোখে আরশের প্রশ্নের কোনো উত্তর দিচ্ছেনা নিহা, একদম চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে আরশের সামনে, হুট করেই আরশের সামনে হাটু ভেঙে বসে পড়ে নিহা... কাদঁতে কাদঁতে বলে-
--তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না আরশ, আমি পারবনা তোমাকে হারাতে... ভালোবাসি তোমায়, প্রচন্ড ভালোবাসি... আমাকে ছেঁড়ে যেওনা... মাফ করে দাও আমায়...প্লিজ...!!
নিহার দিকে তাকিয়ে আরশ মুচকি একটা হাসি দেয়,, কতোটা ভালোবাসলে একটা মেয়ে রাত ২টার সময় কারো বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে?? কতোটা ভালোবাসলে একটা মেয়ে রাত ২টার সময় রাস্তার মধ্যে হাটু ভেঙে বসে ক্ষমা চাইতে পারে?? কথাগুলো ভাবতেই আরশের মনটা খুশিতে ভরে উঠে... ছোট ছোট পায়ে নিহার কাছে এগিয়ে যায় আরশ... আলতো করে নিহার হাতটা ধরে নিহাকে বুকে টেনে নেয় সে...!!
.
এই মুহৃর্তে রাস্তার মধ্যে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আছে আরশ আর নিহা... শেষরাতে রাস্তার মধ্যে প্রিয় মানুষটাকে জড়িয়ে ধরার ফিলিংসটা আসলেই অন্যরকম... আরশের বুকে মাথা রেখে নিহা ফিসফিস করে বলে-
--আরশ শুনোনা... খুব চা খেতে ইচ্ছা করছে... চলোনা দুজন মিলে একসাথে চা খাই...!!
--এতো রাতে চা কোথায় পাবো নিহা...?
--এইতো তোমার বাসায় আসার সময় ওইপাশে একটা টং দোকান খুলা আছে দেখলাম... চলোনা প্লিজ...!!
--ঠিক আছে চলো... দেখি দোকান খুলা আছে কি'না...!!
.
রাত প্রায় ২:৩০মিনিট,, নিহার কথা অনুযায়ী হাটঁতে থাকে আরশ... কিছুক্ষন হাঁটার পর আরশ খেয়াল করলো সামনেই একটা টং দোকান খুলা দেখা যাচ্ছে...!!
--মামা, ২কাপ চা দেন তো...!! (আরশ)
আরশের কথা শুনে টং দোকানের মামা আরশের দিকে তাকিয়ে অদ্ভুত একটা হাসি দিলেন... এই হাসির মানে কি আরশ বুঝতে পারেনা...!!
.
ঠিক এই মুহৃর্তে আরশ আর নিহা দাঁড়িয়ে আছে টং দোকানের সামনে... দোকানের মামা গুনগুন করে গান গাইছেন আর চা বানাচ্ছেন... হুট করেই আরশের মোবাইলটা বেজেঁ উঠলো... একটু বিরক্ত হয়ে পকেট থেকে মোবাইলটা বের করলো আরশ... একটা আননোন নাম্বার থেকে কল আসছে... আরশ ফোনের দিকে বিরক্ত হয়ে তাকিয়ে বলে-
--এতো রাতে আবার কে ফোন করলো...??
--ফোনটা ধরিওনা আরশ...!! (নিহা)
--আজব, ধরবো না কেনো নিহা...??
--আমি বলছি ধরবেনা, ব্যাস ধরবেনা... (একটু রেগে কথাটা বলে নিহা)
--আচ্ছা ঠিক আছে...!!
.
ঠিক ২মিনিট পরেই আরশের মোবাইলটা আবারো বেজেঁ উঠলো... সেই আগের আননোন নাম্বার থেকে কল আসছে... আরশ টেনশনে পড়ে যায়,, কার কল?? এতো রাতে কে কল করবে তাকে?? নিহার দিকে তাকিয়ে আরশ বলে-
--আমি সরি নিহা, আমার টেনশন হচ্ছে খুব... আমাকে কলটা ধরতে হবে...!!
নিহার কোনো উত্তর না শুনেই আরশ ফোনটা ধরে...!!
--হ্যালো... হ্যালো... হ্যালো....
--(~~~)...!!
ফোনের ওপাশ থেকে কোনো আওয়াজ পাচ্ছেনা আরশ... কান থেকে মোবাইলটা হাতে নিয়ে মোবাইলের দিকে তাকায় সে... কি অদ্ভুত, মোবাইলে নেট পাচ্ছেনা কেনো...?? একটু বিরক্ত হয়ে আরশ নিহাকে বলে-
--নিহা, তুমি চা খাও, আমি দেখি রাস্তার ওপাশে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় কি'না...
--আরশ যেওনা...!!
--আমি যাচ্ছি না'তো... অপেক্ষা করো ২মিনিট... আমি ফোনে কথা বলেই আবার আসছি...!!
কথাটা বলে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে রাস্তার ওপাশের দিকে হাটাঁ শুরু করে আরশ... এইতো নেটওয়ার্ক পাওয়া গেছে এখন... আরশ তাড়াতাড়ি নাম্বারটাতে কল দেয়...!!
--হ্যালো...!! (আরশ)
--আপনি কি আরশ....??!!
--জ্বি, আমিই আরশ...!!
--ও, আমি পুলিশ অফিসার মুন্না বলছি... একটু আগে নিহা নামের একটা মেয়ে সুসাইড করেছে... আমরা ওর মোবাইল চেক করে লাস্ট ডায়েল নাম্বার বের করে দেখলাম নাম্বারটা আপনার... আপনাকে এই মুহৃর্তে আমাদের থানায় আসতে হবে...!!
--হোয়াটটট??? সুসাইড মানে?? আপনি কি মজা করছেন আমার সাথে?? নিহা আমার সাথেই আছে এখন...!! (অবাক হয়ে বলে আরশ)
--মিঃ আরশ সাহেব,, মজা আমি না, আপনিই করছেন... আমি নিহার লাশের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে আপনার সাথে কথা বলছি...!!
পুলিশ অফিসারের কথা শুনে আরশের বুকটা ধুক করে উঠে... পুরো শরীরটা কেমন অচেতন হয়ে যায় আরশের... হাত থেকে মোবাইলটা মাটিতে পড়ে যায়... পুরো শরীর মুহৃর্তের মধ্যেই ঘামতে শুরু করে... প্রচন্ড ভয় নিয়ে আস্তে আস্তে মাথাটা ঘুরিয়ে রাস্তার ওপাশের দিকে তাকায় আরশ... রাস্তার ওপাশে তাকিয়ে বড় রকমের ধাক্কা খায় সে... এখানে কোনো টং দোকান নেই...এখানে নিহা নেই...!! তাহলে রাস্তায় কাকে জড়িয়ে ছিলো আরশ?? কে ছিলো ও...??? আরশ শুনতে পেলো বাতাসে তার কানের মধ্যে কিছু কথা ভেসে আসছে... "তোমাকে ছাড়া আমি কি করে থাকবো আরশ? আমি আছি তোমার পাশে... আমি আছি... আমি আছি""... আরশ ২হাত দিয়ে জোরে কানটা চেপে ধরে... কথাগুলো যেনো এবার আরো জোরে জোরে কানে ভেসে আসছে... "আমি তোমার সাথেই আছি আরশ,, আমি আছি... আমি আছি... আরশ নিজের কানটা আরো জোরে চেপে ধরে থানার দিকে হাঁটা শুরু করে দেয়... এই মুহৃর্তে তার থানায় যাওয়া প্রয়োজন... বড্ড বেশিই প্রয়োজন...!!
.
লেখকের নাম→ Mehrab Noyon (আরশের পাপা)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ