অনুগল্প :- ময়নাতদন্ত: আত্মহত্যা
.
.
প্রভাবশালী বাবার একমাত্র ছেলে জয়। দেখতে খুবই সুদর্শন ও স্মার্ট কিন্তু ভীতরে পশু। যেমনটা মাকাল ফল আর শিমুল ফুল। বখাটে ছেলে হিসেবে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে স্বীকৃত। নেশা করে মাতলামি করা, মারপিট, ইভটিজিং করা তার নিয়মিত কাজ। বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে অনেকবার জেলও খেটেছে। কিন্তু বাবার অধিপত্যের প্রভাবে সহজেই মুক্তি পেয়ে যায়।
,
কলেজের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রী রাজিয়া। একটা ভালো মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার । দেখতেও খুব সুন্দর। কলেজের অনেকে মেয়েটির সাথে সম্পর্ক করার চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ। মেয়েটি কাউকে সুযোগ দেয় না। সে পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চায়। জীবনের একমাত্র লক্ষ্য সফলতা অর্জন।
,
কয়েকদিন ধরে জয় রাজিয়ার পিছু নিয়েছে। রাজিয়াকে বারবার প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছে। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ। জয় হার মেনে নেওয়ার পাত্র নয়। সে একটা মেয়ের প্রত্যাক্ষান এত সহজে মেনে নিবে না।
একদিন রজিয়া কলেজ শেষে বাড়ি যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষা করছে। জয় রাজিয়ার সাথে কথা বলছে -
- রাজিয়া, কেমন আছো ?
- ভালো ( অনেকটা বিরক্তের সুরে)
- আমি সত্যিই তোমাকে আমার জীবন থেকেও বেশী ভালোবাসি।
- কিন্তু আমি আপনাকে ভালোবাসি না। আপনাকে আর কত বলল ?
- তোমাকে আমায় ভালোবাসতেই হবে।
- কি পেয়েছেন ? সব কিছুতেই প্রভাব দেখাতে হবে ? রাস্তার কুকুরকে একবার তারিয়ে দিলে আর পিছু নেয় না। আপনি দেখি কুকুরের চেয়েও নির্লজ্জ।
- তুমি কিন্তু আমাকে অপমান করছো।
-অপমান তাকেই করা যায় যার মান - সম্মান আছে । সবাই আপনাকে ভয় পায় যেমনটা রাস্তার পাগলা কুকুরকে করে।
- তুমি কিন্তু ভালো করলে না। এর চরম ফল ভোগ করতে হবে।
তারপর জয় রাগান্বিত হয়ে চলে গেল।
,
কয়েকদিন পর...
,
সকাল থেকেই রাজিয়াকে পাওয়া যাচ্ছে না। কলেজের জন্য বের হয়েছিল। কিন্তু কলেজেও যায়নি। ফোনও বন্ধ। সে কোনোদিন এরকম করেনি। তাই আত্মীয়স্বজন সহ সবাই চিন্তায় আছে। শেষে পুলিশের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
পুলিশের কাছে যাওয়ার পূর্বেই রাজিয়া বাসায় ফিরেছে। সবার মনে স্বস্তি। কিন্তু সব সময় হাসি খুশি থাকা মেয়েটিকে কেমন বিষন্ন লাগছে। কারো সাথে কথা না বলে সোজা নিজের কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো। সবাই নিস্তব্ধ। কারো মুখে কোনো কথা নেই। কেউ একজন তাকে ডাকলো। কিন্তু কোনো উত্তর নেয়। তার মন খারাপ তাই তাকে সময় দেওয়ার জন্য কেউ তাকে বিরক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিলো।
,
অতঃপর ... কখনও হার না মানা মেধাবী ছাত্রীটির-
শরীর ঝুলন্ত, নাক দিয়ে ঝড়ছে রক্ত। নিচে রক্তাক্ত চিরকুট, যার মধ্যে কাঁপা হাতে লেখা -
" ধর্ষিত জীবন নিয়ে সমাজে সম্মানের সাথে বেঁচা অসম্ভব। তাই হে! মানুষের মধ্যে পশুত্ব লালন করা সমাজ, তোমাকে বিদায় "
ময়নাতদন্ত : আত্মহত্যা !
.
.
লেখা : সজীব সূত্রধর (মৃতকল্প)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļুāĻ্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āĻেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
2798
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧍:ā§Ļā§ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ