উপন্যাস
.
*****★★এমনত প্রেম হয় ★★*****
.
পর্ব ________৭
.
লেখক: Ashikur Rahman
.
কি করব আমি কি হবে আমার হাসির।
যে আশায় অরে ছেড়ে আসলাম এই আশা কি পুরুন
হবে আমার?
আমি কি আবার আমার হাসির সাথে ইস্কুলে
হাসি খুশি ভাবে থাকতে পারবো?
পারব কি ওই মামার দোকানের ঝালমুড়ি
খাইতে।
.
রাতে খাইতে গেলাম। আল্লাহ এ কি প্লেটের
ভিতর চোখের পানি পরে।
কি হইছে আমার। বুকের ভিতর কেন এমন করছে?
ভাত গলা দিয়ে নামছে না কেন।
ভাত যে আটকে গেছে।
সব যায়গায় যে হাসি আর হাসি।
হাসি একদিন আমাকে বলছিল আশিক আমি
ভাত খাইতে গেলে যখন পানি খাই গ্লাস এর
ভিতর তোমার মুখ দেখতে পাই। আজ বুঝতে
পারছি দূরে রেখে ! কতটা আপন আমার তুমি
হাসি। পারবো না আমি তোমায় ভুলতে একদম
পারবে নাহ।
.
রাতে ঘুমাইতে যাই আহা চোখ বুঝতে
পারিনা আমি। কি মায়াবি চাঁদ মুখ ভেসে
আসে আমার দুই চোখের সামনে এই কি
মায়াবি চাঁদ মুখ। জেনো ঝলসানো এক চাঁদ
আমার হাসি।
বালিসের কোনে চোখের জল চেপে রেখে
কাটে আমার রাত
তো কি করে পার করব আমার এ জীবন
এ দিল হে মেরা আশিকি তেরি লিয়ে।
পরদিন সকালে ভাই এর ফোন হাতে পেলাম।
দেই একটা কল।
ওমনি বোন এসে ধরল হাত।
দুই চোখ দিয়ে বেয়ে যায় জল
তবুও মায়া হয়না অদের! দেয়না ফোন আমায়।
কি করব আমি এ কেমন জীবন।
.
১০ টার দিক শেরপুরে গেলাম। আমার মামাতো
ভাই এর কাছে। সাথে আমার দুলাভাই। ভাই সব
কিছু বললো। আমার মামাতো ভাই আবার দুলভাই
এর ও মামাতো ভাই। মামাতো ভাই এর নাম আবু
বক্কার আজিজুল এ অনার্স এ পরে। তো বক্কার
ভাই বললো থাক জত দিন ইচ্ছা।
.
পরদিন আপুর বাড়িতে আসলাম। আপু বলছে অরে
জাইতে দিওনা অই বাসায় গেলে আর আসবে
নাহ। কিন্তু আমাকে তো আসতেই হবে জেনো
হাসি আবার ইস্কুলে যায়। অনেক বলে বলে
বাড়ি আসার জন্য রাজি করলাম।
বাছের ভিতর জানালার পাশে বসে আছি। কি
ভাবে গাছ গুলো পিছুনে যাচ্ছে।আমি শুধু
দেখে যাচ্ছি। কখন যে দুই চোখের কনা দিয়ে
জল পরতে শুরু করছে জানিনা। কন্টেক্টার এসে
বলছে মামা ভাড়া দেন। আমার চোখের দিকে
তাকিয়ে চলে গেলো। ভাড়া আর নিচ্ছে
নাহ।
.
.
রুমাল দিয়ে মুখ মুছলাম। আসার সময় বাসের ভিতর
হতে হাসি দের বাড়ি দেখা যায়। পাগলি টা
প্রতিদিন বিকালে ছাদে দারায় থাকত।আজ
নেই কেন।
বাস হতে নামার সময় ভাড়া দিয়ে আসলাম।
কন্টেক্টার টা আমার দিকে তাকাই ছিল কি
জেনো বলবে কিন্তু নাহ কিছু বললো না।
.
বাসায় গিয়ে বললাম আমার বই খাতা সব
গুছিয়ে দে আমি এখন চলে যাব। আম্মু কান্না শুরু
করছে। নাহ বাবা তোর যাইতে হবেনা অই
খানে গিয়ে কি করিস আবার আল্লাহ জানে
তুই বাড়িতেই থাক যা হয় হক।
আম্মু যাইতে দিবে নাহ। কিন্তু আব্বু আম্মু কে
বুঝাইয়া। সকাল বেলা আমার সাইকেল আর
একটা টাংকের ভিতর বই তুলে নিয়ে বাসে
উঠলাম।
.
আসার সময় মায়ের চোখের জল দেখে এসেছি।
তাকাইতে পারি নাই বাবার দিকে। জখনি
একা একা থাকি চোখ দিয়ে জল পরতে থাকে।
এ কি কান্না আমি তো কাদি না কেন
তাইলে এমন হয়।
.
বক্কার ভাই বলছে ধুনুটমোড়ে এসে ফোন দিও
কিন্তু আমার মনে নাই। তাছাড়া কাছে ফোন
ও নাই।
বাস থামিয়ে আমার চাউল আর টাংক নামাই
দিল। সাইকেল না নামাইতেই গাড়ি ছেড়ে
দিছে। আমি বলতেই ছি আমার সাইকেল
সাইকেল। কে শোনে কার কথা অনেক দূর
গিয়ে নামাই দিছে।
.
এই দিক চাউল এর বস্তা রেখে এক রিক্সা
আলাকে বললাম মামা দেখেন এক টু। রিক্সা
নিয়ে গেলাম বক্কার ভাই এর কাছে। অর রুমে
সব রেখে চলে গেলাম আপুর কাছে।
কিছু ভাল লাগেনা। কি করব। হাসিরে আর
ফোন দেই নাহ। হাসিও দেয় না। কি করে
দিবে। আমার নাম্বার তো অর কাছে নাই।
পর দিন বক্কার ভাই এক কোচিং এ ভর্তি করায়
দেয়। কোচিং এর স্যার আমার মামাতো ভাই
ইব্রাহিম ভাই এর বন্ধু। ভাই আমার বিষয়ে স্যার
কে সব আগেই বলছিল। আমি থাকতাম আলিয়া
মাদ্রাসা ফরেস্ট এর কাছে আর আমার
কোচিং করতে যাইতাম মডার্ন হসপিটাল এর
কাছে।
.
শুরু হয় আমার নতুন কোচিং ক্লাস। হাসির
ভালবাসা নিয়ে নতুন করে মন টা স্থির করে
পড়া শুরু করলাম।আমি আর ভাই এ থাকতাম এক টাই
রুম মনে হয় ১২ শো টাকা ভাড়া দিতাম।ভাই ই
দিতো। দুই দিন পর পর দুইজন মিলে বাজার
করতাম। শেরুয়া বটতলা প্রতিদিন বাজার
করতাম। দুই জন শুধু পাংগাস খাইতাম। সকালেও
পাংগাস রাতেও পাংগাস। দুপুরে আলু ভরতা।
ভাত রাইচ কুকারে তুলে দিতাম। আর তরকারি
অই বাসার আন্টি রান্না করে দিতো ওই টা
সকালে আর রাতে খাইতাম।
.
প্রথম দিন কোচিং এ গেলাম। কাও কে
চিনিনা।
স্যার আসার আগেই পিছুন হতে এক টা মেয়ে
বলছে এই যে এক টু দেখি আপনাকে।
পিছুনে তাকাতেই কেমন এক টা হাসি
দিলো। এই হাসির মানে কেমন জানি। যাই হক
স্যার আসলো সবার সাথে পরিচয় করিয়ে
দিলো।
পিছুন থেকে মেয়েটা বলছে স্যার আমরা
আগেই সব শুনেছি মেয়েটার নাম সাদিয়া। আর
অর বান্ধুবিরা হল জেবা, এনি। আর মালিহা।
আমি অদের দিকে তাকাতাম নাহ।অনেক সুন্দর
প্রথম দেখায় প্রেমে পরা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
কিন্তু আমি ফিল করতাম নাহ ওই টা।
.
কিন্তু সাদিয়া পিছুন থেকে কেমন জানি
করে আমার ভাল লাগেনা। এই হাত দিয়ে
ধাক্কা দিবে আর এমনি পিছু তাকাতে বলে
শুধু। আমি কিছু বলিনা। শত কষ্টের মাঝেও আমি
হেসে যাই।
.
রাতে শুয়ে শুয়ে নিরবে চোখের জল ফেলি
হাসির জন্য। কখনো কখনো কান্না টার এক টু শব্দ
হয়। ভাই বলে কি হইছে আমি বলি কিছুনা এমনি
মশা তো।ভাই বলে মশারির ভিতর মশা ঘুমাও।
আমার কাছে ফোন থাকে। ভাই এর দুই টা ফোন
একটা আমি রাখি আর এক টা ভাই। বিকালে
আমি ঘুরতে বের হই শেরপুর এর যত সব শপিং মল
এমনি ঘুরে বেড়াতাম। ভাই বলত যেখানেই
যাবে ফোন নিয়ে যাবে।
.
সাদিয়া আমার কাছে ফোন নাম্বার চাইছে
আমি বলছি ফোন নেই আমার।
মালিহাও আজ কাল কেমন করে তাকাই ভালো
লাগে না এই গুলা।
সাদিয়া অরা পরতো পল্লি উন্নয়ন ল্যাবরেটরি
ইস্কুলে।সবাই খুব ভাল ইস্টুডেন্ট বই এর পাতা মুখুস্থ
করে। জা আমার দাড়া সম্ভব না। অরা পরত আমি
শুধু শুনে যেতাম এরা মেশিন নাকি।
.
স্যার আমাকে পড়া ধরত না। একদিন একটু
তাড়াতাড়ি এসেছি আমি। স্যার বলছে আশিক
অনেক পাবা বড় হউ। আমি চুপ ছিলাম। মনে হয়
ইব্রাহীম ভাই সব বলে দিছে।
আজ ১৮ দিন হলে কোচিং করি এর মাঝে কয়টা
ভাল বন্ধু পাইছি যাদের সাথে বিকালে ঘুরি
ফিরি। আর হাজারো মানুষ এর মাঝে আমি
হাসির মুখ টা খুঁজে ফিরি।
.
হাসিকে কল দেই না জানিনা হাসি কেমন
আছে। কেও জানেনা আমি কই আছি আমার
ফ্যামিলি নয়ন আর করিম ছাড়া। নয়ন কে বলি
কিরে হাসি এখন ইস্কুলে আসে নাকি। নয়ন
বলে আসে।
ভাবছি সামনে মাসে বাড়ি যাব।
সব যখন ঠিক হয়ে গেছে।
.
সাদিয়ে বলে আশিক তোমাকে কিছু বলতে
চাই আমি। মালিহাও বলে আশিক তোমাকে
কিছু বলতে চাই আমি। কিন্তু কি বলবে এরা।
একদিন সাদিয়া বলছে আশিক তুমি এক টু আজ
বিকালে আসতে পারবে। অই মসজিদ এর কাছে
দারাবা জাস্ট ৪ টায়। আমি বলছি পারব নাহ।
কিন্তু মেয়েটা অনেক দিন ধরে কিছু বলবে
কিন্তু কি বলবে।
.
৩ টার দিক ভাই কে বলে বের হলাম।
এসে দেখি আগেই সাদিয়ে দাড়িয়ে আছে।
অরে বাবা এ পরি নাহ অন্য কিছু। যাই হক আমি
অই ভাবে দেখিনা একটা ভালো বন্ধু ছাড়া।
বড় লোকের মেয়ে সুন্দর হতেই পারে।
_ কি করলে কখন হতে দারাই আছি (সাদিয়া)
_ ঘুমাইছিলা তাই দেড়ি হল (আমি)
_ খাইছো দুপুরে
_ হুম। কি বল ডাকলা কেন।
_ না তোমাকে নিয়ে আমি এক টু শপিং করব
পিলিজ তুমি যাবে এক টু।
_ নাহ মানে।
_ নাহ চলো
_ আসলে সাদিয়া তুমি যাও নাহ।
_ না আশিক এমন করনা।
.
_আচ্ছা চল বেশি সময় দিতে পারব না কিন্তু
(আমি)
_ দেখা যাবে।
.
কেমন জানি লাগছে। এক রিকশায় দুই জন। অনেক
কাছাকাছি বসে আছি। আমার মনে হচ্ছে
হাসি আমার পাশে বসে আছে। যার দিকেই
তাকাই হাসিকে ছাড়া কিছু দেখতে পাইনা।
হাসি যে আমার সব।
_ আশিক এক টা ফোন কিনবো ( সাদিয়া)
_ কেনো সমস্যা কই।
_ এই টা কেমন দেখো তো?
_ ভালই তো।
_ ভাই দাম কত (সাদিয়া)
_ ৬৯৯৯ টাকা (দোকানদার)
_ এই নেন ভাই
.
_ আশিক গেঞ্জি টা কেমন দেখো তো।
_ ভাল তো।
_ এইটা তোমার।
_ আরে না লাগবে নাহ। আমি নিব নাহ।
_ মামা কয়টা প্যান্ট দেখান তো ভাল গুলা।
_ সাদিয়া কি করতেছো এই সব আমি কিন্তু কিছু
নিবো নাহ (রেগে)
_ পিলিজ আশিক পিলিজ।
.
ধুর এই মেয়ে কি করছে এই গুলা। অর সাথে আশাই
ভুল হইছে। কেন যে আসলাম।
_ সাদিয়া সন্ধ্যা হইচে আমাকে মেসে
যাইতে হবে।
_ হ্যা আমিও যাব কিছু খাই রেস্টুরেন্ট এ তারপর
যাই।
_ না অন্য দিন।
_ আশিক এক কাফ কফি পিলিজ।
_ আচ্ছা চলো।
.
পকেট হতে ফোন বের করে দেখি ১১ বার কল
দিছে বক্কার ভাই। সাদিয়া দেখে নাই আমার
ফোন আছে।
_ এই আশিক কি হল বসো নাহ কেন।
_ না সাদিয়া আমায় বাসায় যেতে হবে।
_ আচ্ছা একটু বস না । এই মামা আসেন তো এই
দিকে ।
_ আরে সাদিয়া এতো গুলা খাবো কখন। উফ।
_ চুপ সব খাবা এক টু একটু করে খাবা।
_ আচ্ছা তুমি খাও আমি খাচ্ছি।
.
এই মেয়েটা কি পাগল নাকি।
আজ কতদিন হলে হাসির সাথে কথা নেই মনটা
খুব খারাপ থাকে। দিন টা যেমনি জাকনা
কেন রাতটা আমার চোখের জলে ভাসতে
ভাসতে যায়।
_ এই সাদিয়া কি খাও না কেন আমি চলে
যাব। কি দেখো? (আমি)
_ তোমায়(সাদিয়া)
_ কি
_ কিছুনা আশিক ফোন টা তোমার। জাওয়ার
সময় একটা সিম কিনে নিয়ে যাবা আর আর এই
টা আমার নাম্বার লিখে দিলাম কল দিও।
_ মানে কি আমি ফোন কেন নিবো না আমি
পারবনা।
_ কেন কি প্রব্লেম আশিক নেও না আমি
তোমার জন্য কিনলাম তো।
_ আছে প্রব্লেম।
_ আশিক তোমায় আমার ভাল লাগে।
_ মানে কি (দাড়িয়ে)
_ ইস এমন করতেছো কেন বস। (সাদিয়া)
_ মানে এই গুলা কি বল তুমি।
_ আশিকI love you Really 1st তোমায় দেখে
তোমার প্রেমে পরে গেছি।
_ সাদিয়া কি বল এই সব কেন এই ভুল করলা। আমি
যে আমার এই অসমপূর্ন জীবনে তোমায় জড়াতে
পারবোনা।
_ না আশিক আমি সব দেখবো তুমি শুধু আমায়
ভালবাস পিলিজ।
- সাদিয়া আমি কেন এই খানে এসেছি
জানো তুমি।
_ হ্যা জানি আল্লাহ আমার সাথে তোমার
দেখা করাই দিবে বলে এসেছো।
.
_সাদিয়া আমার বাসায় যাইতে হবে আসি।
_ আশিক পিলিজ দারাও এই মামা কয় টাকা এই
নেন আশিক প্লিজ দারাও।
_ উফ রাস্তার ভিতর এমন করে কেও।
_ ফোনটা নেয়ে যাও আর এই যে প্যান্ট
গেঞ্জি।
_ সরি কিছু নিতে পারবো নাহ।
_ আশিক প্লিজ ফ্রেন্ড ভেবে তো নেও।
_ ঠিক আছে গেঞ্জি টা দেও।
_ নাহ সব গুলাই।
_ এক টাও নাহ।
_ আচ্ছা এই গুলাই নেও।
_ যাও বাসায় যাও।
_ হুম (কান্না করে)
_ উফ কান্না করার কি হল আচ্ছা দেও ফোন তবে
এক বারে নিব কি নিবনা বলতে পারছি নাহ।
যাও বাসায় যাও। এই মামা আসেন তো। যাও
উঠো।
_ কল দিও কিন্তু।
_ যাও
.
হেটে হেটে যাচ্ছি হাসিকে খুব মনে পরছে
আজকে হাসিকে কল দিবো।
হাসি আমাকে বলছিল আশিক আমার পায়ের
নুপুর বিক্রি করে তুমি ফোন কিনো। কারন আব্বু
আমাকে ফোন দিতো না মাঝে মাঝে। আজ
ফোন আমার কাছে দুইটা একটা সাদিয়ার
একটা ভাইয়ার। হাসিকে কল দেই না ভয়ে।
যদি অর আম্মু টের পায় তাহলে সব শেষ।
জানিনা কি করছে হাসি আর আমাকেই কি
ভাবছে। আমি তো অর ভালর জন্যই চলেই
এসেছি।
.
ভাই বলছে এই গুলা কি কিনে আনলা আর ফোন
ধর না কেন। বললাম ফোন সাইল্যান্ট ছিল তো।
ভাগ্য ভালো নতুন ফোন টা ভাই দেখে নাই।
সাদিয়ার নাম্বার যে কই রাখলাম। ধুর হারায়
গেছে।
কত বারি যে হাসির নাম্বার উঠাই কিন্তু ফোন
দেই না। ভাই ৮ টার সময় টিউশানি করতে যায়
আসে ১১টায় এই সময় আমি একা থাকি। ইচ্ছা
করে হাসিকে কল দেই কিন্তু ভয়ে দেই নাহ।
সাদিয়ার ফোনটা খুলেও দেখি নাই। শুধু
কেনার সময় দেখছি। সিম আমারি আছে কিন্তু
ওপেন করি নাহ।
ভাল লাগেনা আর ১০ দিন পরেই বাসায় যাব।
কেমন আছে হাসি খুব মিস করি হাসি তোমায়।
.
সকালে কোচিং এ গেলাম। সাদিয়ার মুখের
দিকে তাকানো যাচ্ছে না।
আসার সময় শুধু এক টা কথাই বললো আশিক
তোমায় ছাড়া কিছু ভাবতে পারিনা আমি
কাল সারারাত ফোন নিয়ে তোমার কলের
অপেক্ষায় ছিলাম।
এই দিকে আবার মালিহা। ধুর এই গুলা কি যে
করি। আজ ২৩ তারিখ।
পরের দিন গিয়ে দেখি মালিহা সবার আগে
এসেছে কোচিং এ । কেউ নাই।
_ আশিক এতো তাড়াতাড়ি আসলে (মালিহা
মুচকি হেসে )
_ না এমনি আসলাম আর কি
_ তোমার নাম্বার টা দিবা একটু।
_ একটু কেনো পুরাই নেউ।
_ হুম দেও
_ আমি ফোন ব্যাবহার করি নাহ।
_ এই আশিক ওয়াও এতো তাড়াতাড়ি আসছো
কখন আসলা ( সাদিয়া)
_ hi সাদিয়া (মালিহা)
_ কি খবর সাদিয়া কি কথা হচ্ছে আশিক এর
সাথে ( সাদিয়া)
_ এই আর কি তাড়াতাড়ি আসল কেন এই নিয়ে।
(মালিহা)
_ সাদিয়া জাওয়ার সময় দেখা করে জাবা এক
টু। (আমি)
.
ক্লাস করলাম কেমন জানি উদাসিতা আমার
কিছু ভাল লাগেনা।
বাসায় আমার জাইতেই হবে এই খানে আর
থাকা যাবেনা। যে প্রেমের জন্য বাসা
ছাড়লাম এই খানে এসে আবার একি সমস্যা।
_ আশিক আজো ফোন দিলা না। কেন দেখা
করতে বললা বল।
_ কি করবা সময় হবে কি। ইস্কুল কয়টায়।
_ হুম হবে ইস্কুল ১২ টায়।
_ আচ্ছা তোমাদের উপজেলায় গিয়ে একটু বসি
কিছু কথা বলার ছিল তোমায়।
_ ঠিক আছে আজ ইস্কুলে যাব নাহ।
_ প্রব্লেম হবেনাহ তোমার।
_ না তুমি পাশে থাকলে কোন প্রব্লেম
হবেনা।
_ ভালই তো তোমাদের শেরপুর উপজেলা টা। বস
এই জায়গায়। কেন ডাকছি তোমায় জানো ?
_ হুম বল কেন ডাকলে।
_ সাদিয়া আমি কেন এসেছি শেরপুর জানো
উল্লাপাড়া হতে? আমি হাসি নামে একটা
মেয়েকে অনেক ভালবাসি............................
_ আশিক কি শুনাইলা এই গুলা
_ হ্যা সাদিয়া এই টা সত্যি তোমার ফোন! আর
প্যান্ট আর গেঞ্জি টা আমার কাছেই থাক
বন্ধুরতের স্মৃতি হয়ে।
আশি সাদিয়া
_ আশিক দারাও আমার কথা শোন পিলিজ
আশিক পিলিজ ( কান্না করে)
_ আমায় আর ডেকো না সাদিয়া
_ আশিক দাড়াও
_ আশিক I love you তুমি শুধু আমার আশিক
.
পিছুনে তাকাই নাই। অনেক কষ্ট হইতেছিল
সাদিয়ার কান্না দেখে কিন্তু আমি নিরুপায়
কিছুই করার নাই আমার।
আজ ২৭ তারিখ কোচিং এ গেলাম।
সাদিয়ার দেওয়া গেঞ্জি আর প্যান্ট পরেছি
কিন্তু সাদিয়া আসে নাই আজ। কেমন জানি
মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
স্যার কে বলে আসলাম স্যার আমি বাসায় যাব!
কাল হতে আর আসবো নাহ। সব ফ্রেন্ড দের
কাছে হতে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম। শুধু
সাদিয়াকে কিছু বলতে পারলাম না।
.
_ আশিক এই আশিক দাড়াও (মালিহা)
_ কি বল
_ আশিক শেরপুর আসলে আমাদের বাসায় এসো
(জেবা)
_ ঠিক আছে আসবো।
_ ভাল থেকো আশিক বায় ( জেবা)
_ আশিক তুমি সত্যি চলে যাবা ( মালিহা)
_ তো মিথ্যা বলছি নাকি।
_ তোমার নাম্বার টা দিয়ে যাবা প্লিজ।
_ মালিহা আমার ফোন নেই
_ আচ্ছা আশিক আমার সিম টা নিয়ে যাও।
_ আরে আজব তো সিম কেন নিবো।
_ আশিক আমার সাথে এক টু যোগাযোগ রেখো
প্লিজ।
._ সাদিয়ার কাছে সব শুনো ভাল থেকো।
.
পিছুনে তাকাতে পারছিলাম নাহ মেয়েটা
খুব কান্না করছিল। এ কেমন চোখের পানি।
আমাকে কেন দূর্বল করে। আমি যে আমার
হাসির জন্য পাগল। কেমনে জানি এক টা
মায়া হয়ে গেছে সাদিয়াকে মনে পরছিল।
কিন্তু পরেই কি আর।
.
আব্বু কে ফোন দিলাম।
_ কেমন আছেন। (আমি)
_ ভালো আছি বাবা।
_ আব্বু আমি না বুঝে কি সব করছি। আমি বুঝতে
পারি নাই আপনাকে অনেক কষ্ট দিছি আমি
বাসায় যাব আমি কাল চলে আসি।
_ আচ্ছা এসো।
_ রাখলাম।
.
কাল বাড়ি যাব অনেক ভাল লাগছে অনেক দিন
পর হাসিকে দেখতে পাবো। আমার হাসি
আমার জীবন হাসি।
প্যান্ট টা ধুয়ে দিবো । ভিজিয়ে রেখে
ধুইতে ছিলাম। ধুর পকেটে কি এই টা। খুলে
দেখি সাদিয়ার নাম্বার অহ নো। সব মুছে
গেছে শুধু কয়টা অক্ষর দেখা যাচ্ছে। অনেক
চেষ্টা করেও নাম্বার টা মেলাতে পারি
নাই।
.
রাতে ঘুমালাম অনেক ভাল লাগছিল। কাল
কেই হাসির দেখা পাব।
_ আশিক অনেক কষ্টে তোমার নাম্বার যোগাড়
করেছি কই তুমি ( আসিফ)
_ এই তো ভাই আছি।
_ আশিক হাসিকে জোড় করে বিয়ে দিতে
ছিল অই বিশ খাইছে।
_ কি বলতেছো এই সব তুমি।
.
লাফ দিয়ে ঘুম থেকে উঠলাম এই কি স্নপ্নে
দেখলাম আমি। রাতেই সিম টা তুলে আসিফ
কে কল দিলাম নাহ আমার এমন লাগে কেন রাত
৩ টা বাজে। আসিফ এর বাসা হাসিদের
গ্রামে
_ কি হইছে আশিক এতো রাতে লাইট জালাও
কেন (ভাই)
_ কিছু নাহ ভাই।
ধুর কল ও ধরে নাহ।
_ হ্যালো আসিফ (আমি)
_ কে (আসিফ)
_ আসিফ আমি আশিক কেমন আছো হাসি কেমন
আছে।
_ ভাই কি বলব তোমায় তোমার নাম্বার কত
খুজে ছি আমি হাসির তো.........
.
.
.
.
.
to be continue
উপন্যাস
.
*****★★ এমনত প্রেম হয়★★*****
.
পর্ব : __________৮___ & শেষ পর্ব
.
লেখক :Ashikur Rahman
.
_ কি হইছে আশিক এতো রাতে লাইট জালাও
কেন? (ভাই)
_ কিছু নাহ ভাই।
ধুর কল ও ধরে নাহ।
_ হ্যালো আসিফ (আমি)
_ কে (আসিফ)
_ আসিফ আমি আশিক কেমন আছো হাসি কেমন
আছে?
_ ভাই কি বলব তোমায়!!! তোমার নাম্বার কত
খুজে ছি আমি হাসি তো...
_ কি হইলো চুপ কেন তুমি কথা বলতেছো নাহ কেন!
_ কি বলব তোমাকে বল!
_ পিলিজ বল কি হইছে হাসির বল।
_ ভাই হাসি তো আর নেই
_ কি বলতেছো নেই মানে কি সব বল
_ ভাই তুমি বাড়ি আসো
_ আমাকে বল কি হইছে
_ ভাই হাসি আর নেই! হাসি না ফেরার দেশে চলে গেছে ( হ্যালো আশিক কি হইলো কথা বল হ্যালো হ্যালো আশিক হ্যালো)
.
_ এই আশিক কি হইলো আশিক উঠো আশিক উঠো বলছি কি হইছে আমাকে বল। ( ভাই)
_ এই বক্কার কি হইছে আশিক এর কি হইছে (বাড়ির আন্টি)
_ আশিক কথা বল আশিক নাহ হস্পিটালে নিতে হবে। আন্টি বগুড়া মেডিকেলে নিতে হবে। আরে কি হইছে বলবে তো নাকি।
_ ভাই আমার হাসি আর নাই ( অজ্ঞান)
.
বিকাল ৫ টা
- কি হইছে আমি এই খানে কেন। মুহুর্তের মাঝে হাসির ছবি ভেসে উঠেছে মুখের সামনে। আব্বু আমার হাসি আর নেই আমি কি নিয়ে বাঁচবো ( আব্বু কে জড়িয়ে ধরে)
.
কিছু বলতে পারছি না। মনে হয় বাক শক্তি হারিয়ে ফেলেছি।
একটু পর বুঝতে পারি আমি হস্পিটালে। অনেক মানুষ আমার পাশে। হাসির কথা মনে হলেই চিৎকার দিয়ে জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলি।
এতো মানুষ পাশে তাও মনে হচ্ছে চারিপাশে কেও নেই।
হঠাৎ ফিরের মাঝে দেখি হাসি দাঁড়িয়ে আছে।
অরে কান্না রে ও মা আমি কি করব আমাকে ছেরে দে তোরা আমি আর থাকতে পারছি নাহ।
.
মারে অই যে হাসি আমার হাসি আমাকে ডাকছে আমাকে ছাড় তোরা আমি আমার হাসির কাছে যাব......(অজ্ঞ্যান)
পরের দিন সকালে দেখি আমি আমার রুমে শুয়ে আছি।
পা পাশে বসে আছে।
কিছু বলতে পারছি নাহ।
কেমন জানি হয়ে গেলাম আমি। মুখ দিয়ে আহ বের করতে পারছি নাহ।
.
মা শুধু কাঁদছিল। আবার হাসির মুখ টা সামনে ভেসে উঠছে।
নাই আমার হাসি নাই।
আমার হাসি ----------
___ আল্লাহ রে চুপ কর বাপ যে গেছে সে তো গেছে কাদলেন আর আসবে।
--- মারে আমি কি করব কি নিয়ে বেচে থাকবো আমার যে আর কেউ রইলো নাহ।
_ কে বলছে কেউ নাই তোর আমি আছি তোর বাবা আছে তোর বোনরা আছে। আমাদের মুখের দিকে তাকা একবার দেখ কেউ ঠিক মতো খাইনা যা তোর বাপের কাছে যা বাইরে বসে আছে কিছু খায়না দেখ যা।
_ না মা আমার হাসি নাই। হাসি তুমি থাকো আমি তোমার কাছে আসছি।।
.
_ আব্বু আমি কি করব এখন
_ কি হইছে বাবা কিছু হয়নাই অই তোমার ভাগ্যে নাই (জড়িয়ে ধরে)
_ আমাকে একটু হাসির কবর এর কাছে নিয়ে যাবেন আব্বু?
_ -------- ( আব্বু কাঁদছে)
_ কি হইলো কথা বলেন না কেন কি হইলো বলেন।
আল্লাহ রে কেউ কথা বলে নাহ আমি কি করব কিছু বলেন নাহ কেন নিয়ে যাবেন।
.
_ কেন এমন করলেন আপনারা কেন আমাকে শেরপুর পাঠাইলেন। আমি যে আমার হাসিকে হারালাম। আমি কি করব এখন আমি যে পাগল হয়ে যাব।
_ ভুল হইছে বাবা যদি সব শুনতাম আমি তাহলে আজ হয়ত এমন দিন আমাকে দেখতে হতনা। (আব্বু)
_ এখন বলে কি লাভ কি হবে আর পারবেন এখন আমাকে বাঁচাতে আমি যে শেষশয়ন করতে চাই।
_ না বাবা কি বলিস এই গুলা কি বলিস তোর কিছু হলে আমরা যে কেউ বাঁচবো নারে (মা)
.
জানিনা আমার কি হবে তবে আমার হাসি আমায় ডাকছে আমাকে যে যেতে হবে তাছাড়া বড় বেইমানি হয়ে যাবে যে। কেমন করে থাকবো আমি হাসিকে ছাড়া কি করে কি ভাবে।
আমার বর্তমান অতীত সব যায়গা জুরে যে হাসি।
.
আমি যে আর নিশ্বাস নিতে পারছি নাহ।
গলা চেপে ধরে পরে গেলাম মাটিতে।
ওমা এ কি গলা দিয়ে যে একি লাল পানি বেয়ে যাচ্ছে।
এই কি। এ যে রক্ত!!!
.
আব্বু চিৎকার করছে ধর ধর হসপিটালে নিতে হবে।
নাহ বাবা কোথায় নিতে হবে না আমার যে সময় হয়ে গেছে।
এই টা কি মরে যাওয়া নয়।
মরন কেমন বাবা কেমন।
এ কি যন্তনা।
.
দিন চলে যাচ্ছে রাতের আধার
এ কেমন আধার
এ যে মরা আধার
আমাকে যে ডাকে এই আধার একি আধার।
হাসি কেন এমন করলে তুমি নিয়ে যাও আমাকে আমি যে পারছি নাহ থাকতে।
.
সকাল বেলা উঠে আব্বু কে বললাম আব্বু আমি যাব হাসির কবরস্থান এ।
আব্বু তো যাবেনা। আসিফ কে ফোন দিলাম আসিফ আসলো।
আমি তো জানিনা আমার প্রাণ পাখি কই শুয়ে আছে আমাকে রেখে।
কেমনে গেলো আমাকে রেখে কি করে।
.
বিকাল বেলা আসিফ কে নিয়ে গেলাম হাসির কবরস্থান এর দিকে।
আমাকে দেখিয়ে দিলো ওই টা কবর।
_ কবরের কাছে গিয়ে দেখি ঘ্রাস উঠেগেছে দুই এক টা।
চোখ দিয়ে কান্না বেয়ে নামছে। আসিফ দূরে দারিয়ে।
ঘ্রাস গুলা টেনে তুলছিলাম।
কি করলে হাসি। কেন আমাকে রেখে চলে গেলা।
কথা বলনা কেন।
কি হইলো হাসি কথা বলবা নাহ তুমি।
আমি তোমার আশিক আমি ডাকছি তুমি কথা বলবা নাহ।
এতো রাগ তোমার। আমার অপর অভিমান করে তুমি এই ভাবে এতো দূর চলে গেলা।
.
আমাকে নাকি কোন দিন ছেড়ে জাবানা তুমি। অই হাসি কি বলছিলা তুমি। আমাকে না বলছিলা আশিক বাচলেও এক সাথে মরলেও এক সাথে আর আজ তুমি কি করে এই নিষ্ঠুর দুনিয়াতে আমাকে একা রেখে গেলে।
কি হইলো কথা বলনা কেন। আমি কিন্তু কিছু খাবনা।কথা বল নাহ।
আল্লাহ রে কথা বলে নাহ।
আমি কি করব
কি ভাবে বেচে থাকবো আমি।
কেন এতো বড় কষ্ট দিলা আমাকে তুমি হাসি।
.
কেউ একজন পিছুন থেকে আমার কাধে হাত রাখলেন।
পিছু তাকিয়ে দেখি একটা মুরুব্বি হয়তো এই কবরস্থান এ থাকেন। তিনি এক টা কাগজ দিলেন আমার হাতে।
কাগজ টা খুলে দেখি হাসির চিঠি......
....
.
প্রানের স্বামী
.
আমি জানি তুমি আসবে কারন আমাকে যে তুমি ভালবাস। আমার ভালবাসা তোমাকে নিয়ে আসবে এই আমার বিশ্বাস। জানি তুমি ভাল নাই হি হি হি হি তুমি ভাল নাই আমি না জানলে কে জানবে বল আমি যে তোমার সব। আশিক তোমায় খুব দেখতে ইচ্ছা হচ্ছে। অই রাজ তুমি কি আগের মত আছো নাহ মোটা হইছো হুম। আশিক ওরা আমাকে তোমার কাছে থাকতে দিলনা। আশিক কাঁদছ কেন। আশিক পিলিজ কেদনা আশিক কথা শুনো আমার। আবার কাদে। একদম বাচ্চাদের মত কান্না করে।পিলিজ থামো। তুমি কাঁদলে যে আমি আর ঘুমিয়ে থাকতে পারবোনা আমাকে যে জাগতেই হবে। আশিক রে আমিনা তোমাকে এই ভাবে একা রেখে যেতাম নাহ। জানো আশিক ওরা আমাকে অন্য জন এর সাথে বিয়ে দিতেছিল। আমি কি করব বলো। আমি কিছু ভেবে পাচ্ছি লাম না।তুমি তো আমার সাথে সেই লুকোচুরি খেলে পালালে। তো আমি কি করব বল?
আমি তো তোমার জায়গায় অন্য কাওকে বসাতে পারব না। আমি যে মহান আল্লাহ কে সাক্ষি রেখে কাগজের চিঠিতে তিনবার কবুল বলে তোমাকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেছি।এই আশিক কাদতেছো কেন তুমি শোনা। পিলিজ কেদনা তুমি কাঁদলে আমি যে সইতে পারিনা। তোমার সাথে বড্ড বেশি লুকোচুরি হয়ে গেলো তাইনা আশিক।
ও আশিক আমার আশিক আমাকে একটা কথা দিবা বল দিবা। এই যে তুমি কিন্তু কথা দিলা। আশিকরে তুমি একটা সুন্দরী বউ বিয়ে করবা যে তোমাকে অনেক ভালবাসবে। আশিক রে মাঝে মাঝে জ্যোৎস্না রাতে ছাদে এসো তোমার বউ কে নিয়ে আমি তোমাদের ভালবাসা দেখবো অই দূর আকাশ হতে।ওই আশিক কেদনা পিলিজ পিলিজ আমি সতিহ্য তোমায় অনেক ভালবাসি তাই তো ওই পারে তে গিয়ে অপেক্ষা করব তোমার জন্য। যেই খানে কেউ আমাকে আমার আশিকের সাথে ছাড়া অন্য কারো সাথে বিয়ে দিতে পারবে নাহ। আশিক আমি সারাখন তোমার সাথে আছি।
আশিক আমায় আর একটা কথা দিবা। তুমি নাহ প্রতি মাসে একবার হলেও আমার কবরের সামনে এসে আমার সাথে দেখা করে যাইও। আচ্ছা তুমি তো অনেক বিজি থাকবা বছরে দুইবার এসো। এই আশিক একা আসবে না কিন্তু তোমার বউ কে সাথে নিয়ে আসবা। ও আশিক কেন আমাকে রেখে হারাই গেছিলে তুমি কেন। যাই হক কিছু বলবনা তোমায়। যদি আমার কথায় কষ্ট পাও আবার। আর কিছু বলবনা আশিক সুখে থেকো।
নিজের খেয়াল রেখো।
ঠিক মত গোসল আর খাওয়া দাওয়া কর।
আশিক আজ অনেক কিছু বলতে ইচ্ছা করছে কিন্তু আমার যে সময় নেই আর।
একটু পর তো ওরা আসবে আমাকে নিয়ে যেতে তাই তোমায় কিছু বলতে চাই আশিক। আমি তোমাকে না খাইতে বললে তো তুমি কোন সময় ভাত খাইতা না তো এখন কে তোমায় খাইতে বলবে আশিক?আর পারছিনা আশিক আমার সময় শেষ । সব সময় ভালো থেকো!!!!!
.
.
.
.
ইতি
তোমার হাসি
.
হাসিরে আমার হাসি ওরে হাসি আহ কই গেলি তুই হাসি কার কাছে রেখে গেলি...........................
_ আশিক ওঠো আশিক..........
.
.
!
!
!
!
!
!
.
কিছু দিন পর
_ আশিক চল মামা দোকানে হতে ঘুরে আসি ( নয়ন)
_ যাবনা তুই যা।
_ এই ছেড়া এই ভাবে সব সময় মন খারাপ করে থাকলে হয় নাকি। ইংলিশ ক্লাস করলি নাহ। (করিম)
.
!
!
!
!
!
৬ মাস পর
_ আশিক হাসি ইস্কুলে আইছে অই দিকে দেখ............
.
.
কেন প্রিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু ছেড়ে যাইবা যদি ............
.
.
.
.
********★ সমাপ্ত★********
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ