āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2812

আজ বিয়ের প্রথম দিন।
মেয়েটা আমার জীবনে আসতে চাইনি তবু ও আমার জীবনে তাকেই এনেছি কারন তাকে ভালবেসে ফেলেছিলাম ,
আজ বিয়ের প্রথম সকাল যদিও সারারাত ঘুমিয়েছে সে আর এখনো ঘুমাচ্ছে,
-পিংকি উঠো আর কতো ঘুমাবা ।
-জ্বী উঠছি ।
-ফ্রেশ হও তোমাকে দেখতে আসবে তো সবাই ।
-আমি তো দানব ,তবে আমাকে দেখে কি করবে মানুষ?
-পিংকি!আমি মানা করেছিলাম তোমায় এসব বলতে
-আচ্ছা আর পিরিত দেখাতে হবে না ,আরো সকালে ডাক দিলেন না কেনো ।
-সকালে ডাক দিলে তোমার ঘুমের মুখ দেখতাম কি করে ।
-আহারে কতো ভালবাসা ।
-ভালবাসা আর কোথায় দেখালাম,বিয়ে করা বরকে রেখে বউ বাসর রাতে ঘুমায় ।
-তো, আপনার সাথে কি রোমেন্স করবো !
-তবে কি করবে শুনি ।
-প্রতিরাতে ঘুমাবো আর আপনি পাহারা দিবেন ।
-সে না হয় দিব ,তবে রোমেন্সের পর ।
-হয়েছে হয়েছে আর পিরিত দেখাতে আসবেন না ,আমাকে দয়া দেখাতে হবে না ।
-আচ্চা বাবা ফ্রেশ হয়ে আসো ।
-সে আমার ইচ্ছে আপনার না ,তবু ও যাচ্ছি ।
পিংকি বড্ড জিদ্দি হচ্ছে দিনদিন ।
তাকে চিনি প্রায় তিন বছর ধরে খুব দুষ্ট স্বভাবের ছিলো সে , প্রথম দেখা থেকেই তার প্রতি ভালো লাগা শুরু হয়,এক সময় ভাল লাগা প্রকাশ করি তবে প্রথমে মানা করলে ও পরে হ্যা মত আসে ।
দেখতে অনেক কিউট ছিলো সে ,তবে একটু বেশি মোটা ও ছিলো তবুও চোখের দেখাকে মোটাতে নয় ভাল লাগাতে বাধ্য করি।
সে ও আমায় ভালবাসতে থাকে আর সে ভালবাসা এক সময় তার প্রতি আমার,
আমার প্রতি তাকে আসক্ত করেছিল ।
আমাকে পেয়ে হারিয়েছে সে অনেক কিছুই ,হয়তো আমি তার কারন ।
খুব ভালবেসে ফেলি তাকে তাই দুজনের পরিবারই রাজি করার চেষ্টায় নেমে যাই এক সময়।
তার পরিবার আমাদের সম্পর্ক মেনে নেবে না,আর মানবেই বা কি করে তারা তো নিম্ন মধ্যবিত্ত ছিলো আর আমি ছিলাম ধনী বাবার ছেলে,তাই হয়তো ভেবেছে আমি তাকে নিয়ে সময়ের অপব্যবহার করছি ।
খুব কষ্ট হয়েছিল সেদিন।
তবে দুজনের পরিবারকে মানাতে সক্ষম হই এক সময়,
আর পাগলীটাও ছিলো বড্ড জেদি তাই হয়তো সম্ভব হয়েছিল।
হ্যা আমাদের দুই পরিবারই রাজি হয় ,কারন আমি ছিলাম বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে আর পিংকি ও আমার মত ছিলো।
আমাদের রিলেশনের দুবছর পরই বাসা থেকে এই প্রস্তাব মেনে নেয় আর তখন থেকে শুরু হয় নতুন জীবন।
ফোন দিতে একটু দেরি হলে রাগ করবে কান্না করবে কখনো কখনো আবার কথা না বলে চুপচাপ বসে থাকতো আর সে রাগ ভাঙ্গাতে হতো তার বাসায় যেয়ে।
খুবই রোমান্টিক ছিলাম দুজন না হয় এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না। কত মেয়ে আমাকে প্রপোজ করছে সে আমার নিজেরও মনে নেই কিন্তু এই আমি তার প্রেমে পরেছিলাম আর আল্লাহ ও আমাদের ইচ্ছে পূরন করছে। তবে সত্যি ই কি পূরন হচ্ছিল নাকি একাকিত্ব বাড়ছিল একসময় বুঝতেছিলাম না।
কিন্তু হঠাৎ সে পরিবর্তন হতে থাকে ,আর কিছু জিঞ্জাসা করলেও কিছু বলতো না ! হঠাৎ পরিবর্তেনর কারন জানতে চাইলেও কিছু বলতো না, বারবার শুধু বলতো আমাকে ভুলে যাও এ রিলেশন সম্ভব নয় ।
তার বাসায় গেলেও তাকে পেতাম না ,তার মা বাবা ও আমাকে খুচা দিয়ে কথা বলতো তার মাঝেই আমার বাসা থেকে আমাকে বিয়ের চাপ দিচ্ছে তাও আবার অন্য মেয়ের সাথে তাই বুঝতে বাকি রইলো না এ পিংকির কথা না বলার কারন আমার পরিবার।
কিন্তু কি করেছে আর পিংকি তো বড্ড রাগী সহজে মুখ থেকে কথা বের হয় না ।
তবু অনেক চেষ্টা করে প্রায় তিন মাস পর দেখা করি পিংকির সাথে তাও তার ইচ্ছের বিরোদ্ধে দেখা ,
তার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়েছিলো আর সেখানে আমি যাই নির্লজ্জের মতো যদিও আমি বলেছিলাম তাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা,
-পিংকি !
-তুমি এখানে
-আমাকে অবহেলার কারন।
-আমরা তোমাদের হাতে ময়লা তো জানতে আসছো কেন?
-কখনো এমন বলেছি ।
-আমি দানবের মত দেখতে?
-কি বলছো যাতা ,আর এতদিন দেখা করোনি কেনো।
-তোমায় ভাল লাগে না তাই।
-ভাল না লাগার কারন ?
-আমি তোমার জন্য যোগ্য নই?
-সে কথা আসছে কেনো ,আমি তো শুধু তোমায় চাই
-সে তুমি চাও তবে তোমার পরিবার না !
-কি
-কিছু না ।
-আমার পরিবার কি করেছে
-কৈ কিছু করেনিতো
-সত্য কাহিনীটা বলো আর তুমি এমন করলে আমি চিরতরে হারিয়ে যাবো।
-তবে শুনো,তোমার পরিবারের চাকরানীর যোগ্য ও নই আমি সে তোমার পরিবার এসে বলেছে।
-আর কি বলেছে?
-আরো বলেছে..........
.
সব কিছু শুনার পর নিজের পরিবারকে ত্যাগ করতে ইচ্ছে করছিল তবু ও বাসায় যাই সেদিন রাতে আর পিংকিও খুব কেদেছে আর কাদবেই বা না কেন আমাদের রিলেশন তো মিথ্যে ছিলো না,
অপমান তাকে দূর করতে চেয়েছিলো, সবকিছু জানার পর রক্তের সম্পর্কের মানুষগুলোকে পশু মনে হচ্ছিল ।
বাসায় যাওয়া মাত্রই বাবা মায়ের সেই পুরোনো কথা বিয়ে আর বিয়ে তার মাঝে মাথাতে রাগ,
তাই রাগের মাথায় বলে উঠি
- বিয়ে তো পিংকিকেই করছি।
-মানে কি বলিস সে তো তোকে বিয়ে করতে চায় না।
-তার কারনটা ও হয়তো ভালো ভাবেই জানো আর ভালো সাজার চেষ্টা করোনা তোমরা।
-মানে।
-তোমরা তাদের বাসায় যেয়ে তাদের অপমান করেছো কেনো?
-সে যখন জেনেছো তবে শোন সে যোগ্য নয়।
-আমি তবু ও তাকেই চাই আর কাল তাদের বাসায় যাবে আর না হয় আমার মরা মুখ দেখবে।
.
কথা শেষ করে আমার রুমে চলে যাই ,খুব ভেবেওছিলাম
নিজের বাবা মা ,
যারা টাকার জন্য নিজের ছেলের চিন্তা ও করে নি ,করছে নিজেদের ইজ্জতের চিন্তা।
খুব অবাক হয়েছিলাম বাবা মায়ের কথাতে,এত বছর বয়সে নিজের বাবা মাকে চিনতে পারিনি ,নিজের বাবা মার প্রতি ক্রোধ শুধু বাড়ছেই সে যেনো কমার নয়।
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে যাই সে মনে নেই,
পরদিন সেই বাবা মা আমার রুমে আসে ,তাদের মুখের দিক তাকিয়েই বুঝেছিলাম তারা আমার বিরোধী কিছু বলবে তাই শোনার আগ্রহ না দেখিয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়ে টিপছিলাম,
প্রায় ১৫মিনিট তারা দাড়িয়েই আছে তাই একটু অবাক হচ্ছিলাম,কি চাচ্ছিল বুঝতেছিলাম না ,
তবে নিজ থেকে প্রশ্ন করি এক সময়
-আমার রুমে আসছো কেন তোমরা?
-এমনি !
-মরি নি তবে মরবো না,কারন মরলে তো পিংকি একা হয়ে যাবে।
-পিংকি আমাদের সাথে যায় না সে বুঝ বাবা ।
-সবাই যদি ধনী হতো তবে গরীব থাকতো না,আর ভালোবাসা টাকাতে নয় মনে।
-নিশ্চুপ।
-শেষ বার বলছি ,না হয় আমাকে হারাবে।
-সে কখনো চাই না বাবা ,একটা মাত্র ছেলে তুই ,যা বলবি তাই শুনবো।
-তবে যা বলেছি তাই করো !
-পিংকি ।
- হ্যা পিংকি কেই বিয়ে করবো ।
.
এ কি পিংকি তো আমাদের বাসায় ,খুব অবাক হয়েছিলাম যদিও ,
মেয়েটা কান্না শুরু করে দিয়েছিল কথা গুলো শুনেই ,আর বাবা মা ও আমাদের দিক চেয়ে মুচকি হেসে চলে যায়,খুব খুশি মনে হচ্ছিল নিজেকে ,বাবা মা তো কখনো খারাপ চায় না আর তাদের পশু ভেবেছিলাম ছি ,তারা তো সন্তানের ভালোই কামনা করে ।
সবচেয়ে খুশি মনে হচ্ছিল তাকে পাশে পেয়ে তবে কান্না থামাতে পারছিলাম না কোন ভাবেই তার,
পাগলী একবার কাদঁলে সহজে কান্না থামে না ,তাই বুকে জড়িয়ে নিয়েছিলাম পিংকিকে।
এই প্রথম কাউকে বুকে জড়িয়ে নেই তাও আবার সে কেউ অন্য কেউ না সে তো আমার সকালের রৌদ্দর।
অতঃপর আবার আমাদের নতুন করে মেনে নেয়া , এ মেনে নেয়াই
" চার দেয়ালের মাঝে নতুন সকালে রৌদ্দর একসাথে দেখার সুযোগ করে দেয় " ।

NaHid AhMed(ছদ্মবেশী)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ