āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2826

গল্প: ব্রিলিয়েন্ট গার্লফ্রেন্ড

সকালে বিভোর হয়ে ঘুমিয়ে আছি...

তখনই মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গো কিন্তু প্রথম ক্লাসটা মিস হয়ে গেল। কিন্তু আমি অয়নিকা কে বলেছিলাম যে আমায় সকালে যে ফোন দিয়ে ডেকে দেয়। কিন্তু মেয়েটা প্রতি বারের মত ভুলে গেল। কি দূর্ভাগ্য হওয়ার কারনে যে আমি এই বিরক্তকর মেয়েটার সাথে রিলেশন করতে গেলাম। যে কি না বেশি হলে সপ্তাহে ৩ বার ফোন দিবে নিজে থেকে কিন্তু বেশিভাগ সময়ই আমি ফোন দেই।

আর ফোন দিয়ে যদি বলি দেখা করতে তাহলে বলে ওর বাইরে বের হতে ভাল লাগে না। গতকাল রাতে আমি ওরে ফোন দিয়ে বলছি যেন আজ সকালে ফোন দিয়ে আমায় তুলে দেয় কিন্তু সে আজও ভুলে গেছে।
.
-- কিরে শুয়ে শুয়ে কারে নিয়ে চিন্তা করছিস আর রাগ দেখাচ্ছিস।
-- না কেউ না। আসলে ক্লাস মিস হয়ে গেল তো তাই খারাপ লাগছে।
-- সারা রাত যদি জেগে থেকে ভোরে ঘুমাস তাহলে তো এমন হবেই।
-- হুমম।
-- রাজ এটা কিন্তু তোর ফাইনাল ইয়ার। এমনি পড়ার চাপ বেশি থাকার কথা কিন্তু তুই যদি এতো সকাল পর্যন্ত পরে পরে ঘুমাস তাহলে কি হবে?
-- আচ্ছা আর রাত জাগবো না।
-- আচ্ছা তুই ফ্রেশ হতে যা, আমি তোরে নাস্তা দিচ্ছি।
-- আচ্ছা।
.
ফ্রেশ হয়ে মায়ের সাথে বসে নাস্তা করে ভার্সিটির জন্য বার হলাম। রাস্তায় বের হয়েই মোবাইল টা বের করে অয়নিকা কে ফোন দিলাম। কিছুখন রিং হওয়ার পর ফোনটা কেটে গেল। তাহলে কি ও আমায় ইচ্ছা করে সকালে ফোন দেয় নি। ধ্যাত তাই আর ফোন না দিয়ে হাটতে লাগলাম। যদিও ভার্সিটি যেতে তাহলে সময় লাগবে। কিন্তু আমার একটা বদ অভ্যাস হলো আমি রেগে গেলে বেশী হাটি। পরে যখন হাটতে হাটতে ক্লান্ত হয়ে যাই তখন এমনিতেই রাগটা কমে যায়।
.
কিছুখন হাটার পর হঠাৎ ফোনটা বেজেঁ উঠলো। তাকিয়ে দেখি অয়নিকার ফোন কিন্তু রাগ দেখিয়ে কেটে দেই। তারপর আবার ফোন আসে তাই বাধ্য হয়েই ধরি....
-- কি হলো যখন ফোন দিলাম তখন ধরো নি কিন্তু এখন কেন ফোন দিয়ে পিড়িত দেখাচ্ছো।
-- এমন করে কথা বলছো কেন?
-- আমি তো মানুষটাই এমন।
-- আসলে আমার ফোনটা হাত থেকে পড়ে ভেঙ্গে যায়। কিন্তু তবুও নিজে নিজে ফোনের পার্ট গুলো লাগিয়ে চালু করি। কিন্তু সমস্যা হলো বার বার বন্ধ হয়ে যায়। তুমি যখন ফোন দিছো তখনও বন্ধ হয়ে গেছিল। তারপর আমার বড় বোনের ফোনে সিম লাগিয়ে তোমায় ফোন দিলাম।
-- ও আচ্ছা। কিন্তু তোমার কারনে আজও আমার ক্লাস মিস হলো।
-- সরি।
-- ঠিক আছে। তুমি এখন কোথায় আছো?
-- কেন?
-- তোমার মোবাইল নিয়ে আসো, আমি আমার বন্ধুর দোকান থেকে ঠিক করে দিচ্ছি।
-- না তার দরকার নেই।
-- কেন? ও তোমার তো আবার আমার সাথে বাইরে বের হতে ভাল লাগে না।
-- আসলে তা নয়।
-- যদি তাই না হয় তাহলে আমি ভার্সিটির গেটে ৩০ মিনিট ওয়েট করবো। যদি আসো তাহলে ভাল আর যদি না আসো তাহলে আরো ভালো।
-- রাজ শুনো...
-- আমি ফোন রাখলাম।
.
কি ভাবে ও নিজেকে, আরে কোন বয়ফ্রেন্ড যদি নিজে থেকে কিছু করতে চায় তাহলে মেয়েরা খুশি হয়। আর ও পুরু উল্টো। ওর পিছনে আমি প্রায় ৩ বছর ঘুরছি। এরপর শর্ত সরূপ আমার সাথে প্রেম করতে রাজি হয়েছে।
.
আজও আগের মত ভার্সিটির গেটের বাইরে দাড়িয়ে আছি অয়নিকা কে দেখার জন্য। প্রায় ৩ মাস হয়ে যাবে আমি ওরে রোজ দেখার জন্য ভার্সিটির গেটে দাড়িয়ে থাকি। ও বুঝতে পারে কি না জানি না তবে আমি চেষ্টা করি ওরে বুঝাতে। আসলে অনেক গল্পে নানা রকম প্রপোজ স্টাইল পড়ছি কিন্তু যখন ওরে সামনে থেকে প্রপোজ করতে যাবো তখনই সব কেমন যেন ভুলে যাই। তাই বলি গল্প আর বাস্তব পুরু উল্টা। হঠাৎ অয়নিকা কে আসতে দেখলাম। আমি ওর পিছনে যেতে লাগলাম। ও কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে ২য় বর্ষের ছাত্র আর গত সেমিস্টার গুলোর মাঝে বেস্ট রেজাল্ট ওর ছিল। সত্যিই ব্রিলিয়েন্ট ছাত্রিরা একটু চুপচাপ হয়। তাই বাধ্য হয়ে আমি পিছন থেকে ডাক দিলাম....
-- এই যে অয়নিকা...
--( ও পিছন ফিরে একটু অবাক হয়েই তাকালো যেন ডাক দিয়ে কত্তো ভুল করছি)
-- হুমম তোমাকেই, একটু সামনে আসো।
-- জ্বী ভাইয়া বলেন।
-- এই যে ফাজিল,শয়তান যা ইচ্ছা ডাকো কিন্তু ভাইয়া ডেকো না।
-- মানে?
-- মানে হলো গিয়ে আমি তোমায় ভালবাসি।
-- (.............)
-- কি হলো নিরব হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছো কেন?কিছু তো বলো...
-- কি বলবো?
-- হায়রে আমি যে প্রপোজ করলাম তাই তার উত্তর দাও।
-- ও
-- ও কি? হ্যা বা না কিছু তো বলো।
-- আসলে আপনাকে গত অনেক দিন ধরেই খেয়াল করছি আপনি ভার্সিটির গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকেন। আজ মূল কারন টা জানতে পারলাম। দয়া করে আমার সাথে প্রেম করে আমার পরীক্ষার রেজাল্ট টা খারাপ কইরেন না। আর মাত্র চার মাস আছে ফাইনাল পরীক্ষার।
-- এ্যা মানে কি?
-- মানে আপনি তো বাজি ধরছেন কারো সাথে যে আমি আপনার প্রেমে পরবো আর প্রেম করবো। এতে আমার পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হবে তাই না।
-- হুমম বুঝলাম ব্রিলিয়েন্ট মেয়েরা কেন প্রেম করে না। আমি কারো সাথে বাজি ধরি নি।তোমায় আমার ভাল লাগে তাই ভালবাসি ওকে আর আপনার পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপের কারন হওয়ার কোন ইচ্ছা আমার নেই।
-- সত্যি।
-- হুমম আর ৪ মাস সেমিস্টারের বাকি আছে। আরে আমি তো পরীক্ষার আগের দিন রাত ছাড়া পড়ি না।
-- ও আচ্ছা তাহলে আমি প্রেম করবো যদি একটা শর্ত মানেন?
-- কী শর্ত?
-- আমাকে পড়ার মাঝে কোন বিরক্ত করা যাবে না আর নিজেও দিনে বেশী নয় ৪ ঘন্টা পরতে হবে।
-- আমি ৪ সপ্তাহেও ৪ ঘন্টা পড়ি না।
-- তাহলে রিলেশন হবে না।
-- আরে না না আমি পরবো তো।
-- আর কিছু শর্ত আছে।
-- কী?
-- আমায় ছুয়া যাবে না, আর লাভ ইউ বলা যাবে না।বললে বলবেন ভালবাসি।রিকশার ভাড়া দেওয়া যাবে না। যার যার ভাড়া নিজে দিতে হবে।
-- ও আর?
-- আর তেমন মনে আসছে না। মনে আসলে বলবো।
-- বাহ্ তবে আমার একটা শর্ত আছে?
-- যদি শর্ত টা আমার রেজাল্ট খারাপের দিক হয় তাহলে আমি রাজি না।
-- এতো ভয় পেয়ো না। শুধু আমাকে তুমি করে বলতে হবে।
-- ওকে।
এরপর থেকে আমাদের রিলেশন শুরু হয় কিন্তু আমি পুরু তেতো হয়ে যায় ওর সাথে প্রেম করে। ও রিলেশন করে নাকি আমায় সারা দিন পড়ার জ্ঞান দেয়।
.
৩০ মিনিট প্রায় পাড় হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ওর আশার কোন নামই নেই। খুব রাগ লাগছে তাই চলেই যাবো তখনই দেখি একটা রিকশা এসে আমার সামনে থামলো আর তাতে অয়নিকা বসে আছে। ভাড়া টা ভাবলাম আমি দেই কিন্তু মনে পরলো রিকশার ভাড়া দেওয়াও তো নিষেদ। তাই পকেটে দেওয়া হাতটা বের করে নিলাম।
-- হুমম তাহলে আসলে।
-- যে পরিমান রাগ দেখালে তাই তো পড়া বাদ দিয়ে আসতেই হলো।
-- জানো মাঝে মাঝে মনে হয় এই তোমার পড়া গুলো আমার সতিন।
-- ভাল হইছে।
-- তোমার মোবাইল টা দাও।
-- কেন?
-- না একটা সেলফি তুলবো । নষ্ট সেট দিয়ে আর কি করা যেতে পারে।
-- হুহ এই নাও।
-- হুমম চলো
-- কোথায়?
-- আমার বিয়ের বরযাত্রী নিয়ে যাবো তো তোমায়। চলো।
-- ও আচ্ছা চলো।
-- আমার বর যাত্রী বললাম আর তুমি নরমাল আছো।
-- এটাই তো স্বাভাবিক।
-- তুমি তো আমায় ভালবাসো না তাই এটা স্বাভাবিক তাই তো।
-- ওই কি যাবে চলো তো। আমার পড়ার সময় নষ্ট করতে পারবো না।
-- ওকে চলো।
.
রাগ নিয়ে হাটতে লাগলাম। সামনেই আমার একটা বন্ধুর দোকান আছে তাই হেটেই যেতে লাগলাম। বেশী হলে ১০ মিনিট লাগবে। আর আজই রিলেশন ব্রেকআপ করে দিবো। আর ভাল লাগে না এই রকম যন্ত্রনা। আরে এই রকম জি এফ থাকার চেয়ে না থাকাটাও ভাল। অনেক হয়েছে আর পারবো না একা রিলেশনটা চালিয়ে যেতে। কখনো একা একটা রিলেশন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না যদি দুইজনের ইচ্ছা না থাকে। আর এখানে তো অয়নিকার কোন ইচ্ছাই নাই রিলেশন চালিয়ে যাওয়ার। যাই হোক,আজই সব শেষ করে দিবো। ও ওর মত দিন রাত পড়তে পারবে , কেউ তাকে বিরক্ত করবে না।
.
দোকানে মোবাইল টা দিয়ে আমার বাইরে একটু হাটতে বের হলাম কারন আপাতত ২ ঘন্টা লাগবে বলছে। ও তো কোন কথা বলছে না বরল চুপচাপ কি যেন ভাবছে।
-- অয়নিকা শুনো
-- হুম
-- সামনে একটা ভাল রাস্তা আছে। যদি খারাপ না ভাবো তাহলে কি আমার হাতটা ধরে একটু হাটবে।
--( মনে হয় আমি ওর থেকে ওর কলিজা চাইছে এমন করে তাকালো)
-- যদি তোমার ইচ্ছা থাকে।
-- রাজ এটা কিন্তু শর্ত ছিল যে টার্চ করা মানে ছুয়া যাবে না।
-- আচ্ছা ।
.
আমি চুপচাপ হয়ে গেলাম। আমি তো বেশি কিছু চাই নি। আমি তো বাজে ছেলেদের মত কোন আবদার করি নি বরং শুধু ওর হাতটাই ধরতে চেয়েছি। আচ্ছা যাই হোক, ও হয়ত আমায় ভালবাসে না। তাহলে ওকে মুক্ত করে দেওয়াটাই ভাল হবে।
.
-- আচ্ছা অয়নিকা..
-- হুম বলো।
-- হয়ত তোমার পড়ার ক্ষতি হচ্ছে আমার জন্য। আসলে যদি শর্ত মেনে নিয়েছি তবু আমি তো মানুষ তাই না। আমার তো ইচ্ছা হতেই পারে। হয়ত এমন করে চললে তোমার মনে হবে আমার ইচ্ছা দিন দিন বাড়বেই তাই আমি তোমায় মুক্ত দিতে চাই। ভাল থাকো তোমার দুনিয়ায় আর আমি বাচিঁ আমার দুনিয়ায়। অনেক মিস করবো তোমায়, তবে মানিয়ে নিতে পারো। আমি চলে যাচ্ছি আর তুমি ওই মোবাইল টা নিয়ে চলে যেও। ওরা তোমার থেকে টাকা চাইবে না। বায় ভাল থেকো।
-- ওই শুনো...
.
ওর আর ডাক না শুনে পিছনে না তাকিয়ে হাটতে লাগলাম। খুব খারাপ লাগছে ওর জন্য। ওরে যে নিজের থেকেও ভালবাসি। মনে হয় ওর সাথে কথা হলেও আর না হলে ও আমি এক তরফাই ভালবাসি। ও তো কখনো ভালবাসিও বলে নি। না হয় দূর থেকেই ওরে ভালবেসে যাবে। কাছ থেকে ভালবাসলে হয়ত ওর সাথে কথা বলতে মন চাইবে তবে ওর পড়ার ক্ষতি হবে কিন্তু দূর থেকে ভালবাসলে হয়ত ওর কোন সমস্যাই হবে না।হাটতে হাটতে ভার্সিটির পাশে একটা খুলা মাঠ আছে, যেখানে প্রায় অনেকেই যায়। তাই আমার ও খুব খারাপ লাগছে বলে একটা ছোট গাছের নিচে গিয়ে বসলাম।
.
-- রাগটা কি খুব বেশি হয়ে গেল নাকি?
পিছনে তাকিয়ে দেখি অয়নিকা আমার সামনে দাড়িয়ে আছে। মানে ও আমার পিছু পিছু আসছে।
-- তুমি এখানে কেন?
-- কেন আসতে বুঝি মানা?
-- এই ভার্সিটি তুমিও পরো তাই আসার অধিকার তোমারও আছে।

ও আর কোন কথা না বলে চুপচাপ আমার পাশে এসে বসলো আর আমার হাতটা ধরে আমার কাধেঁ মাথা রাখলো।
-- কি হলো তুমি আমায় টার্চ করলে কেন?
-- তুমি তো আমার আমানত তাই টার্চ করা আমার অধিকার।
-- আর আমি শুধু হাতটা ছুতে চাইলেই যত সমস্যা।
-- আরে এতো রাগো কেন? যদি তোমায় আমি ভালবাসি বলি তাহলে এটা নিয়ে তোমার ভাবতে ভাবতে সময় যাবে আর লেখাপড়ায় সমস্যা হবে। আমি চাই না আমাদের ভালবাসার জন্য কারো লেখাপড়ার ক্ষতি হোক কিন্তু আমি চাই আমরা দুইজনে মিলে লেখাপড়া করি যেন আমাদের ভবিষ্যৎটা সুন্দর হোক। আর তোমায় তো আমি ভালবাসি রে পাগল। ওকে মাঝে মাঝে আমরা পড়ার ফাকেঁ রুটিন করে প্রেম করবো নে।
-- হা হা হা কেউ রুটিন করে প্রেম করে নাকি।
-- যাক আমার পাগলটা হাসছে।
-- হুমম
-- ওই এবার চলো।
-- কোথায়?
-- কেন পড়তে বসতে হবে তো সামনে তো পরীক্ষা । চলো মোবাইল নিয়ে বাড়ি যাই।
-- আবার ??
-- হুমম
যাই বাসায় গিয়ে পড়তে বসি। না পারবো ওরে ছাড়তে না পারবো কিছু বলতে। এমন ব্রিলিয়েন্ট ছাত্রীর সাথে প্রেম যে সবার কপালে জুটে তাহলে বাংলাদেশে আর কোন বেকার থাকবে না। সবাই লেখাপড়া করে দেশে বিদেশে চাকরী পাবে।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ