গল্প: স্বার্থের জন্য স্বার্থপর
.
আজকে কয়দিন ধরে মন টা খুব একটা ভালো নেই।সব সময় ঘরে ভিতরে অন্ধকারে বসে সিগারেটের টানতে থাকে আর কষ্ট গুলো ধোয়ার আসে উড়িয়ে দেয় রাফি।মোবাইলের ডিসপ্লে নিলার ছবি দেখে আর সিগারেট টানতে থাকে।
এতে করে রাফির কষ্টটা আরো বেশি হয়।
খাওয়া দাওয়া ঠীক মতো করে না।
রাতে ঘুমও ঠীক মতো পারে না। তাই চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে।
রাফির বাবা মা রাফিকে অনেক বুঝিয়েছে... একটা মেয়ে গেছে তো কি হয়েছে হাজারটা মেয়ে আসবে তোর কাছে।তোর কোন কমতি নাই।
যেমন চেহেরা তেমনি একটা জব।
কিশের অভাব তোর বল।।
কোন কিছুর অভাব নাই তোর।
মেয়েরা তোর পিছনে ঘুরবেনা তো কার পিছনো ঘুরবে।
কিন্তু রাফি বলে....
আমি অন্যমেয়ের ভালোবাসা চাই না।
আমি নিলার ভালোবাসা চাই।
নিলাকে আমি চাই।সারা জীবনের জন্য চাই।
.
দুই বছর আগের কথা.....
রাফি একটা অনেক বড়ো কোম্পানির ম্যানাজার।প্রতিমাসে চল্লিশ হাজার টাকা প্রেমেন্ট পায়।রাফি অনেকটা স্মার্ট।
যে মেয়ে দেখবে সেই মেয়ে পাগল হয়ে যাবে। রাফি অনেক গুলো প্রপোজ ও পেয়েছে । কিন্তু সব গুলো কে না বলে দিছে।
কারন রাফির পছন্দ হয় নাই
তাদের কে।
এভাবে চলছে রাফির জীবন।
হঠাৎ একদিন রাফির
কোম্পানিতে ছোট একটা পোষ্টে
একটা মেয়ের চাকরি হলো।
মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দর।
যে দেখবে সেই পাগল হয়ে যাবে।
তেমনি রাফিও দেখে পাগল
হয়েগেলো...
রাফির কাছে মেয়েটা আসলো
একটা ফাইল দেখানোর জন্য...
তখন রাফি মেয়েটার দিকে হা
করে তাকিয়ে ছিলো।কি সুন্দর
মেয়ে। মনে হয় আকাশ থেকে একটা
নীল পরী নেমে এসেছে।রাফি যে
কতোক্ষন মেয়েটার দিকে
তাকিয়ে ছিলো বলতে পারবে না।
এক অন্যজগতে হারিয়ে গেছে
রাফি...
সেই জগত থেকে ফিরে আসলো
মেয়েটার ডাকে....
স্যার এই য়ে ফাইলটা?
ধন্যবাদ....তুমি বসো?
নিলা বসলো....
রাফি ফাইলটা দেখছে.... কোথাও
ভুল নাই তাই রাফি মেয়েটার
প্রতি প্রসংশা করছে....
ধন্যবাদ তোমাকে এতোসুন্দর
করে ফাইলটা পূরন করার
জন্য......
--তোমার নামটা কি?(রাফির বসে
মেয়েটাকে চাকরি দিছে তাই
রাফি মেয়েটার নাম জানে না)
--নিলা আক্তার ফারিয়া।সবাই
নিলা বলে ডাকে।
--ও আচ্ছা সুন্দর নাম।
এখন তোমার কাজে যাও।
.
।আগেই বলেছি রাফিকে যে মেয়ে
দেখবে সেই মেয়েই পাগল হয়ে
যাবে।নিলাও রাফি কে দেখে
ক্রাশ খেয়ে গেছে।।
.
রাফি প্রয়োজন হলেও নিলাকে
ডাকবে।
আর অপ্রয়োজন হলেও নিলাকে
ডাকবে।
না হলেও প্রতিদিন একবার।
শুধু নিলাকে দেখার জন্য।
রাফি নিলার প্রেমে পড়ে
গেছে।
নিলা অবশ্য বুঝতে পারছে
স্যার আমার প্রেমে পড়েছে
কারন প্রয়োজন ছাড়াও নিলাকে
ডাকে।
এভাবে চলছে অনেক দিন।
নিলাও রাফির প্রেমে পড়ে
গেছে।
কিন্তু নিলা ভয়ে বলতে পারে
না।
কারন নিলার বস রাফি।
রাফি অবশ্য কয়েক বার
ভালোবাসার কথা বলতে চেয়েছে
নিলাকে কিন্তু বলতে পারে
নাই।
.
নিলারা একটু গরিব।
জব করে মাসে দশ হাজার টাকা
পায় এই টাকা দিয়ে তাদের
সংসার টেনে টুনে চলে । নিলার
বাবা-মা বেঁচে আছে।আর ছোট
একটা ভাই আছে।
ক্লাস ট তে পড়ে।
.
নিলা ভাবে কি করে প্রমোশন
পাওয়া যায়।যদি আমি প্রমোশন
পাই তাহলে মাসে বিশহাজার
টাকা বেতন পাবো।এতে করে
আমাদের সংসার অনেক ভালো মতো
চলবে।
নিলা ভাবে প্রমোশন পেতে হলে
বসের সাথে ভালো সম্পর্ক
করতে হবে। তাকে ভালোবাসারর
জালে ফেলতে হবে।সে তো
অলরেডি আমার প্রেমে পড়েই
গেছে।
এখন তার সাথে মিষ্টি শুরে
কথা বলতে হবে।
জানি সে ভালোবাসার কথাটা
তারা তাড়ি বলতে পারে।
.
অফিসে....
রাফি নিলাকে ফোন দিলো তার
রুমে আশার জন্য।
স্যার আসবো?
হুম আসো... তোমার জন্য
অপেক্ষা করছি।
নিলা আজকে শাড়ি পড়ে এসেছে।
অনেক সুন্দর লাগছে নিলাকে।
রাফি মনোমুগ্ধ হয়ে নিলার
দিকে তাকিয়ে আছে...তার সাথে
আবার নিলা যে পারফিউম শরীরে
দিছে সেই পারফিউমের ঘ্রাণ
নিচ্ছে রাফি।
রাফি এখন এক অন্য গ্রহে
হারিয়ে গেছে
যে গ্রহে থাকবে না কেউ বাধা
দেওয়ার মতো মানুষ।
মন ইচ্ছা মতো প্রেম করবে।
সেই জগত থেকে ফিরে আসলো
নিলার ডাক শুনে.....
।
--স্যার কি দেখছেন এমন করে?
--কই কিছু না তো...।
--না স্যার আপনি আমাকে
দেখছিলেন?
--হুম তোমাকেই দেখছিলাম।
শাড়ি পড়েছে তো তাই তোমাকে
অনেক সুন্দর লাগছে।তা
ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
--নিলা কিছুটা লজ্জা পেয়ে
একটা মুসকি হাঁসে দিলো..।
--তোমাকে হাঁসলে যে এতো
সুন্দর লাগে তা আগে জানতাম
না।
--কি যে বলেন না স্যার।
আপনাকেও দেখতে অনেক সুন্দর
লাগে।
আপনি কি স্মার্ট। আমি
আপনাকে প্রথম দিন দেখেই
ক্রাশ খেয়ে গেছি স্যার।
(--রাফি মনে মনে ভাবলো তার
মানে নিলা আমাকেও পছন্দ
করে।
তাহলে তো নিলাকে এখন আমার
ভালোবাসার কথাটা বলে দেওয়া উচিত।)
(আর ঐ দিক দিয়ে নিলার প্ল্যান
স্যার জানি আমাকে ভালোবাসার
কথাটা বলতে পারে তারা তাড়ি।
তার জন্য নিলা এরকম ভাবে কথা
বলছে।তাহলে নিলার প্রমোশন
পাবে তারা তাড়ি।স্যারের
সাথে সম্পর্ক করলে।)
--নিলা তোমাকে একটা কথা বলতে
চাই?
--স্যার আপনি একটা না দশটা
বলেন।আপনার কথা শুনতে আমার
ভালো লাগে?
--আমি না তো তো মা কে?
--কি স্যার বলেন ফেলেন?
--আমি না তোমাকে ভালোবেসে
ফেলেছি। একদমে বললো রাফি।
নিলা লজ্জা পেয়ে.. মুখটা লাল হয়ে গেলো তার পরেও নিলাও বললো কাপা কাপা গলায়....
--স্যার আমিও আপনাকে
ভালোবাসি।নিলা এই কথা বলে এক দৌড় দিয়ে রুম থেকে চলে গেলো।
.
.তার পর থেকে তাদের
ভালোবাসার দিন চলতে থাকে।
রাফি নিলাকে অনেক ভালোবেসে
ফেলেছে।
নিলা যা বলে রাফি তাই করে।।।
নিলা রাফিকে বলে আমাকে
প্রমোশন দিতে। রাফি নিলাকে
প্রমোশন দেয়।
অফিসের সবাই তো অবাক।
তার কলিগ রা তার থেকে আরো এক
বছর আগে থেকে কাজ করে তারা
প্রমোশন পায় না আর নিলা
প্রমোশন পেয়ে গেলো।
সবাই চিন্তায় পরে গেলো।
নিলাকে এভাবে দুই ধাপ এগিয়ে
দিলো।
এখন নিলার পঁচিশ হাজার টাকা
বেতন।।(নিলা সফল হয়েছে।
কারন নিলার প্ল্যান ছিল
রাফিকে প্রেমের জালে ফেলে
প্রমোশন নেওয়ার ধান্দা।)
.
.
এভাবে অনেক দিন কেটে গেলো।
হঠাৎ একদিন রাফি নিলাকে বলে
চলো আমরা বিয়ে করে ফেলি।
তখন নিলা বলে না।
আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো
না কারন আমার বি এফ আছে।
আমি যদি বিয়ে করি তাহলে
তাকেই বিয়ে করবো।
তাহলে আমাদের সাথে এতোদিনের
সম্পর্ক....
সব আমার একট্রিন।
কারন তোমার সাথে আমি যদি
ভালোবাসার সম্পর্ক না করতাম
তাহলে আমি প্রমোশন পেতাম
না।
ছি ছি সামান্য প্রমোশন
পাওয়া জন্য তুমি আমার সাথে
এতো বড় মিথ্যা অভিনয় করলে।
তুমি এতোটা স্বার্থপর।
হুম আমি স্বার্থপর।
কিন্তু আমার স্বার্থের জন্য
আমি স্বার্থপর।
একথা বলে নিলা চলে গেলো।
.
তার পরে রাফি নিলাকে অনেক
ফোন দিছে।ফোন ধরে না।
তার পরের দিন অফিসে।
রাফি নিলাকে ডাকলো।
জ্বী স্যার বলেন কেন
ডাক দিছেন?
তুমি আমার সাথে এরকম করছো
কেন?।
আমি যা করছি আমার ভালোর জন্য
করছি।
আপনি আর আমার সাথে যোগাযোগ
করার চেষ্টা করবেন।
অফিসের কোন কাজ থাকলে বলবেন
তা ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে
আপনার সাথে কথা বলার ইচ্ছা
আমার নাই।
নিলা চলে গেলো এই কথা বলে।
..
এরপর থেকে রাফি আর নিলার
সাথে য়োগায়োগ করার চেষ্টা
করে নাই।
অফিসেও আসে না শুধু
অন্ধকারে ঘরে বসে বসে
সিগারেট খায় আর কষ্ট গুলো
ধোয়ার সাথে উড়িয়ে দেয়।
.
......সমাপ্ত......
.
লেখক:...... অগোছালো লেখক।
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ