āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2829 (3)

আমার বিয়ে-২
লেখকঃSabbir Hossain Sohag Salmaniac
পর্বঃ৫
জয়ের এখান থেকেই আমার অফিসের কাজ কর্ম
১ম সপ্তাহ ভালোই হলো।
.
এখানে আর তেমন কোনো কম্পানি নাই।
যেখানে ভিসিট করবো।
ভাবতেছি জয়ের এখানে থাকাটা আমার
বেকার হবে।
তাই যায়গা পরিবর্তন করতে হবে।
অন্য কম্পানিগুলো দেখার জন্য।
***
আজকে সকালে আর কোথাও যাইনি বাসায় ছিলাম।
জয় ওর অফিসে চলে যায়।
দুপুর ১২:৩০ টা বাজে।আমি আমার কাপড়
গুলো ব্রিফকেসে প্যাক করতে লাগলাম।
সব কাপড় গোছানো শেষ।
১ টার সময় জয়কে ফোন দিলাম।
--হ্যালো,জয় তুই কি অফিসেই আছিস?
--হুম,অফিসে কেনো?
--খুব ব্যস্ত নাকি।
--না,তেমন ব্যস্ত নেই কিন্তু কেনো?
--আসলে জয় তোকে বলা হয়নি,আমার ক্যালিফোর্নিয়ায় সব কাজ শেষ,আর কোনো কাজ নেই।ভাবছি এখানে থাকাটা আমার পক্ষে বেকার হবে।আজকে ফ্লাইট ধরে Little Rock Arkannasa যাবো। ফ্লাইট বিকাল ৪ টায়।তুই একটু ৪ টার আগে আসিস।
--কিন্তু,আজকেই কালকে সকালে ফ্লাইটটা ধর?
--না,দোস্ত আমি কালকে রাতে টিকিট কাটে নিয়ে আসছি।তোকে বলতে চেয়েছিলাম
বাট মনে ছিলো না।
--ঠিক আছে,তুই তোর ব্যাগিং পত্র সব রেডি কর,আমি আসছি ৪ টার আগে।লাঞ্চটা বাহিরে করবো।
--আচ্ছা ঠিক আছে রাখি।
***
সব কিছু রেডি করে আমি নিচে গেলাম,রন আঙ্কেল আর জেরিয়ার কাছ থেকে বিদায় নিতে।
***
3 টা বাজে,জয় বাসায় আসলো।
--কিরে রানা তোর সব কিছু রেডি তো?
--হুম চল।
--তুই,আরকান্নাসায় কার কাছে থাকবি?
--কার কাছে আবার, ভাবতেছি একটা হোটেলে উঠবো।
--আচ্ছা,তুই যা চাস।
--হুম চল হাতে সময় কম।
--ওকে চল।
.
.
২ জন বেরিয়ে পড়লাম।
ফ্লাইটের আরো ৫০ মিনিট বাকি আছে।
তাই একটা রেস্টুরেন্ট থেকে লাঞ্চটা সেরে নিলাম।
এয়ারপোর্ট এর গেট পর্যন্ত আসলাম।
--আচ্ছা জয় তুই দেশে ফিরবি কবে?
--অফিসের লোং টাইম ছুটি পাইলে যাবো।
--আচ্ছা,ঠিক আছে ভালো থাকিস।বায়।
--আরে জয় শুন,তোকে কিছু কথা বলতে চাই।
--কি বলবি?
--জয় শুন,আমাদের জীবন হচ্ছে একটাই আর আমরা লাইফটাকে গোছানোর সময় একবারই পাবো।লাইফ গোছানোর নির্দিষ্ট
একটা সময় থাকে বুঝলি।
--কিন্তু তুই কি বলতেে চাইছিস।
--তুই, আরেকটা বিয়ে কর।আঙ্কেল আন্টির একমাত্র ছেলে তুই।
তারা তো চায় তুই বিয়ে কর সংসার কর।
ছোট বেলা থেকে যা চাইছিস তাই দিয়েছে।
এখন শেষ বয়সে বাবা মা কে খুশি করার জন্য তাদের কথা রাখবি না।কথা গুলো বলছি এ কারনে, তুই নাকি আন্টিকে বলে দিয়েছিস তুই আর বিয়ে করবি না,তুই যেদিন আমেরিকা আসিস তার আগের রাতে আন্টি আমাকে কাদো কাদো কন্ঠে সবকিছু খুলে বলে।
--ঠিক আছে,আমি দেশে গিয়ে দেখছি,।
--শুন,ভুলের মাধ্যমে মানুসের অনেক কিছু শেখা হয়।তুই বিয়ে করতে চাচ্ছিস না,তারমানে কি তুই সাবরিনাকে এখনো চাস।তাহলে তুই কিছু একটা করছিস না কেনো।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি আর মাত্র ১৫
মিনিট পর ফ্লাইট।
--জয়,দোস্ত ১৫ মিনিট পর আমার ফ্লাইট।
ঠিক আছে আমি যাই,তুই ভালো থাকিস বায়।
--আচ্ছা ঠিকআছে, নিজের দিকে খেয়াল রাখিস,আর পৌছে গিয়ে একটা ফোন দিস।বায়।
***
অতঃপর আরকান্নাসায় পৌছে গেলাম।
এখন তো রাত ৮ টা বাজে।
আমি কোথায় যাবো হোটেলের ঠিকানা ঠিকমতো জানি না।
তার মধ্যে আবার একেবারে নতুন পরিবেশ।
খুব টায়ার্ড লাগছিলো।
কফি শোপ এ ঢুকে কফি খেতে লাগলাম।
এসময় আমার পাশের টেবিলে একটা লোক বসে কফি খাচ্ছিলো।
মনে হচ্ছে সে এখানকারই বাসিন্দা।
তাই তাকে জিগ্গাসা করে একটা হোটেলের খোজ নিতে চাইলাম।
প্রথমে লোকটি একটু ইতস্তবোধ করলো।
আমার মুখ দেখে বুঝতে পারছিলো খুব বিপদ।
তাই একটা হোটেলে আমাকে পৌছে দিলো।
লোকটিকে ধন্যবাদ দিয়ে,হোটেলের ম্যানেজার এর কাছ থেকে সব কিছু বুজে নিয়ে রুমের চাবি নিয়ে চলে আসলাম।
কাপড় চেন্জ করে গোসল করে গা এলিয়ে দিলাম বিছানায়।
খুব টায়ার্ড লাগছিলো।এখন শুয়ে পড়লে ঘুমিয়ে যাবো,তাই একবারে বাইরে থেকে ডিনারটা সেরে আসলাম।
বিছানায় শুয়ে পড়েছি।
জয়ের একটা কথা বারবার মনে পড়ছিলো
""তুই কি সাবরিনাকে চাস""
আমি সাবরিনাকে চাইলেই সে কি আসবে।
সাবরিনার লিখা চিঠিটা পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে গেলাম।
(৬ ষ্ঠ পর্ব চলবে)

আমার বিয়ে-২
লেখকঃSabbir Hossain Sohag Salmaniac
পর্বঃ৬
সকালে ঘুম থেকে উঠলাম অনেক দেরি করে,প্রায় ১০ টা।
ধুর আজকে আর কোনো অফিসে
যাবো না।
প্রচন্ড খিদা পাইছে।ফ্রেশ হয়ে হাত মুখ ধুয়ে
নিচে গেলাম খাবার খাইতে।
রেস্টুরেন্টে বসে আর খাবার ইচ্ছে নেই।
তাই একটা পিজ্জা আর একটা পানির বোতল নিয়ে, খোলা মাঠে উন্মুক্ত ভাবে
বসে খেতে লাগলাম।
সত্যি বলতে এখানকার কম বেশি মানুষই
এভাবে খাবার খায়।
খাওয়া শেষ করে একটা পার্কের দিকে
এগোতে থাকলাম।বেশি রোদ নেই।
পরিবেশটা অনেক ভালো লাগছিলো।
একটা ব্রেঞ্চে বসে মোবাইল টিপতে লাগলাম।
মোবাইলটা বের করেই দেখি জয়ের ২৫ টা মিসডকল।
মোবাইলটা সাইলেন্ট মুডে ছিলো।
--হ্যালো জয়।
--কিরে,মোবাইল পিক করিস না কেনো?
--স্যরি,আসলে ফোনটা সাইলেন্ট মুডে ছিলো।
--ও,আজকে কোনো অফিসে যাস নি।
--না,ঘুম থেকে উঠতে অনেক দেরি হয়ে গেছে।কাল থেকে ভিসিট করা শুরু করবো।
--আচ্ছা,ব্রেকফাস্ট সারলি।
--হুম,তুই কি অফিসে।
--হুম অফিসে,আচ্ছা ঠিকআছে পরে কথা হবে বায়।
--ওকে,বায়।
***
হোটেলের দিকে হাটতে হাটতে
ফিরছিলাম।
হঠাৎ পথিমধ্যে লক্ষ করলাম,৩-৪ জন ছেলে
একটা মেয়েকে টর্চার করতেছে,তার ব্যাগটি নিয়ে টানাটানি করছে।
আমি তাদের দিকে দৌড়ে এগিয়ে যেতে যেতে ছেলে গুলো মেয়েটির ব্যাগ নিয়ে
দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকলো।আমি মেয়েটিকে সান্তনা দিয়ে ব্যাগটির উদ্দেশ্য দৌড়ালাম।
অবশেষে দৌড়ে গিয়ে তাদের ধরতে পারি,এবং অনেক হাতাহাতির পর ব্যাগটি উদ্ধার করলাম।
তাদের সাথে হাতাহাতি করতে গিয়ে আমার হাত একটু কেটে যায় ছুরির আঘাতে।
ওরে সালারা মানুষ নাকি কুকুর রে,এতো কেরাতি স্প্রাইট।
মেয়েটির দিকে যেতে লাগলাম,এবং তার ব্যাগটি তাকে দিলাম।
মেয়েটি তার ব্যাগটি নিয়ে আমাকে লম্বা থ্যাংক্স দেয়।
সে আমার হাতের কাটা দেখতে পায়,এবং তার রুমাল দেয় ব্যান্ডেজ করে দেয়।
হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলো সে।
আমি যেতে চাইলাম না।মেয়েটির সঙ্গে
কিছুক্ষণ গল্প করলাম।
মেয়েটির নাম হচ্ছে কেইট্ ফার্দো।
মেয়েটির সাথে প্রায় অনেকক্ষণ গল্প হয়।
মেয়েটি অনেক বড়লোক,তার বাবা মার একমাত্র মেয়ে সে।
দুপুর হয়ে এসেছে।মেয়েটির সাথে একসাথে
লাঞ্চ করলাম।
মেয়েটির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম আমার হোটেলে।
***
গোসল সেরে নিয়ে শুয়ে শুয়ে ফেসবুক
চালাচ্ছিলাম।
মার সাথে প্রায় ৪ দিন থেকে কথা হয় না।
কিন্তুুুু বাংলাদেশে এখন মাঝ রাত।
তবুও একবার দেখি কল দিয়ে।
কল দিলাম,প্রথমবার রিং হতেই মা রিসিভ করে ফেললো।
--আরে মা,তুমি এখনো ঘুমাও নি?বাংলাদেশে তো এখন অনেক রাত।
--না,আমি জেগে আছি।
--কিন্তু এখন তো,বাংলাদেশে প্রায় রাত ১:৩০ টা বাজে।
--হুম,বাবা তোর দাদু একটু অসুস্থ হয়ে গেছে।
--মা কি বলছো, দাদুর কি হলো আবার?সিরিয়াস কিছু এখন কেমন আছে?
--না,তেমন কিছু হয়নি,এখন সুস্থ আছে।
-- মা, তুমি প্লিস দাদুকে একটু ফোনটা দাও তো।
--এখন তো ঘুমুচ্ছে।তুই তাহলে পরে ফোন দে।
--আচ্ছা ঠিক আছে মা,তুমি শুয়ে পড়।
***
এখন এখানে রাত ৮ টা বাজে।মনে হয় বাংলাদেশে সকাল হয়েছে।
মাকে আবার ফোন দিলাম।কিন্তু মার ফোন তো সুইচড অফ।
অনেকবার ট্রাই করলাম কিন্তু মার ফোন তো বন্ধ।
তাই বাবার নাম্বারে ফোন দিলাম।
ফোন রিসিভ করার পর বাবার কথাগুলো ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।
মনে হয় বাবা একটু সরে আসলো।
--হ্যালো,বাবা দাদু এখন কেমন আছে।
আর এতো কোলোহল কেনো বাবা।দাদুর সাথে আমি একটু কথা বলবো একটু ফোনটা দাও দাদুকে।
--রানা শুন,আমারা হসপিটাল এ আছি।
--কি,হসপিটাল এ কেনো কার কি হইছে।
--বাবা,তোর দাদু হার্টএট্যাক করেছে।ICU
তে আছে।
--হার্ট এট্যাক!!!!!কি বলছো এসব বাবা।কিন্তু আমি তো রাতে ফোন দিয়েছিলাম।
মা বললো দাদু এখন সুস্থ আছে।
--হুম,তখন সুস্থ ছিলো।ভোরের একটু আগে
হার্টএট্যাক করেছে।
--মার ফোন বন্ধ কেনো বাবা?মা কোথায়?
--এখানেই,হসপিটাল এ আছে।হয়তো চার্জ নেই।
--ঠিকআছে বাবা,আমি কালকেই বাংলাদেশে ফিরছি,সন্ধার আগে।
--সেকি তোর কাজ হ্য়েছে?তোর তো একমাস থাকার কথা।
--বাবা,এইটা কোনো সিরিয়াস কাজ না যে,আমার না করলে চাকরি চলে যাবে।
--আচ্ছা ঠিক আছে তুই যা ভালো বুজিস।
--আচ্ছা,ঠিকআছে। রাখি এখন।
***
খুব টেনশন হচ্ছে,
দাদু হার্টএট্যাক করেছে,শুনেছি মানুষ বেশিরভাগ টেনশন এ পড়লে হার্টএট্যাক করে।
দাদুর আবার কিসের টেনশন।
ঘুম আসছে না।
আবার বাবাকে ফোন দিলাম।
--বাবা,এখন দাদুর কি অবস্থা?
--এখন একটু সুস্থ আছে।জেগে আছে
অক্সিজেন মাস্ক লাগানো।কথা বলতে পারবে না।তুই এতো টেনশন করিস না,আমরা সবাই এখানে আছি।
--ঠিকআছে বাবা রাখি।
***
ফোন রাখতে না রাখতেই জয়ের ফোন।
--রানা,দোস্ত একটা সুখবর আছে।
--কি বল?
--পরশু থেকে আমার অফিস হঠাৎ করেই ২০ দিনের জন্য বন্ধ।
--সত্যি বলতেছিস জয়।কিন্তু হঠাৎ এতদিন কেনো বন্ধ।
--হুম বেটা সত্যি।আরে এইমাসে কোনো টেন্ডার ড্রপ হয়নি।তাই কোনো কাজ নাই।
ভাবতেছি আমি আর জেরিয়া তোর কাছে
গিয়ে আরকান্নাসায় সময় কাটাবো।
--আরে শুন।আমি আর আরকান্নাসায় থাকছি না।দাদু হার্টএট্যাক করেছে।
কালকে দুপুর ২ টার বাংলাদেণ এয়্যারলাইনসে ঢাকা ফিরবো।
--সেকিরে,হার্টএট্যাক। ঐ শুন রানা আমিও বাংলাদেশে ফিরছি তাহলে গতকাল।
--কিন্তু,তোর অফিসের ম্যানেজার।আর জেরিয়া।
--ধুর তোর ম্যানেজার।আমি বোস এর সাথে
কথা বলে দেশে ফিরবো।আর জেরিয়াকে বুঝিয়ে বললেই হবে।
--আচ্ছা ঠিকআছে, তুই ক্যালিফোর্নিয়া থেকে দুপুর ২ টার বাংলাদেশ এয়্যারলাইনসে যা।ঐখানে একসাথে দেখা হবে।আমি কালকে সকালে গিয়ে টিকেট কাটবো।এখন রাখি বায়।
--আচ্ছা বায়।
***
অনেক রাত হলো, এখন ঘুম পাইছে।
কালকে সকাল সকাল উঠতে হবে।
সকাল ৮ টার সময় ঘুম থেকে উঠলাম,
ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে, জয়কে ফোন দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
জয় আগে অফিসে যাবে ওর বোসের
কাছ থেকে ছুটি নেওয়ার জন্য।
_________________
টিকেট কাটে রুমে এসে সব কাপড়গুলো
ব্রিফকেসে ভরলাম।
১২:৩০ টার সময় হোটেল ত্যাগ করলাম।
১ টা বাজতে বাজতে এয়ারপোর্টে পৌছালাম।
বাবাকে আবার ফোন দিলাম।
--দাদু এখন কেমন আছে বাবা?
--আছে ভালোই কোনো কথা বলতে পারছে
না।
(বাবা যেন কেমন একটা কাদো কাদো কন্ঠে বললো)
--ঠিক আছে বাবা টেনশন করো না,আমি
এয়ারপোর্টে আছি।সন্ধার আগে পৌছে যাবো।
--আচ্ছা ঠিক আছে,ভালোমতো আয়।
.
.
ফোন রেখে আবার জয়কে ফোন দিলাম।
--জয় তুই কোথায়?
--আমি এয়ারপোর্টে আছি।২ টায় ফ্লাইট।
--আচ্ছা ঠিকআছে আমারও ২ টার ফ্লাইট।
***
ওতঃপর বিমানে উঠলাম,আর বাংলাদেশের
দিকে উড়াল দিলাম।
বিমানে বসে দাদুর সাথে সেই দুষ্টমির কথা গুলো মনে পড়তে লাগলাম।
দাদুর সাথে তার ছাতা নিয়ে কতো না মজা করেছি।
এখন কিনা দাদু হসপিটালের কেবিনে ভর্তি।
এসব এসব ভাবতে থাকলাম।
(৭ম পর্ব চলবে)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ