āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2817 (2)

উপন্যাস
.
****★★এমনত প্রেম হয় ★★*****
.
পর্ব _______৩
.
লেখক: Ashikur Rahman
.
প্রানের প্রিয়তম
কেমন আছো তুমি? জানি তুমি ভাল নাই কাল ইস্কুলে যা হইছে আমি সব শুনছি!!!আমার এক বান্ধবি তোমাদের সাথে পড়ে আমি অর কাছে হতে সব শুনেছি। কাল আমি কিছু খাইনাই জানো।
ভালবাসার বিনিসুতায় বেধেছি তোমায় তাই তো এমন হয় আমার। কাল বিকালে ক্লাস করতে করতে হঠাৎ করে বুকের ভিতর কেমন করে উঠেছিল। বার বার বাইরে ছুটে গেছি কিন্তু তুমি বাইরে বের হলে নাহ।
কেমন করে এতো টা আপন করে নিলাম তোমায় বলতে পারবা আশিক। দুই দিন আগেও তো ভাল করে চিনতাম নাহ। আশিক মেহেদি পাতা দেখেছো তুমি।
উপড়ে কেমন সবুজ কিন্তু ভিতরে লাল রং  এর মত  ক্ষত বিক্ষত দেখেছো তুমি। তোমায় ভালবেসে আমি আমার জীবন মেহেদী পাতার মতো রাঙাতে চাই।
তুমি যদি আমাকে ছেড়ে যাও আশিক আমার জীবন টা মেহেদি পাতার লাল রঙ্গের  মত ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাবে। আজ আর নয়। ভাল থেকো নিজের খেয়াল রেখো পত্র দিলাম পত্রের উত্তরের আশায় থাকব
!
!
ইতি দিয়ে শেষ করলাম স্মৃতি  দিয়ে রেখো আমার কথা মনে হলে পত্র টা খুলে  দেখো।
ইতি তোমার হাসি
.
হায়রে চিঠিটা যে কত বারি পরেছি বলতে পারব নাহ।
এতো সুন্দর হাতের লেখা।

চিঠি টা কই রাখব যায়গা খুজে পাচ্ছি নাহ। কই রাখি কই রাখি।
একবার বই এর ভিতর রাখি। না আবার যদি আম্মু দেখে ফেলে।
নাহ ভেবে পাচ্ছি নাহ। হুম পাইছি। বিছানা একদম সন্নি করলাম করে মাঝ খানে বিছানার নিচে রেখে দিলাম।
.
আর যে দিন রাত কাটে নাহ কি করি। খাইতে গেলেও হাসির চাঁদ মুখ টা ভেসে উঠে প্লেট এর মাঝে। নাহ আমার সব জায়গায় হাসি আর হাসি। 
নাহ একটা চিঠি লেখা যাক। কিন্তু কি দিয়ে শুরু করব হুম।
কি দিয়ে। নাহ কেমনে যে লিখি।
.
.
প্রিয় হাসি
-

পত্রে প্রথমে জানাই আমার বুকের বাম পাশের সেই ভালবাসা যা লিখে বুঝাতে পারবনা।আমি অনেক ভাল আছি। কারন তোমার চিঠি পেয়ে আমার সব কষ্ট দূর হয়ে গেছো। তুমি কেমন আছো? কাল কেন খাও নাই আর কিন্তু এমন পাগলামি করবা নাহ। স্যার মাড়ছে তাতে কি স্যার ই তো।
আমাকে মাড়ছে বলে তুমি এতো কষ্ট পাইছো? এতো ভাল বাসো আমায়। আমি এমনি বাইরে যাই নাই।
হাসি আমিও তাই বলি দুই দিন আগেও ভাল করে চিনিনাই আর কি ভাবে এতো আপন করে নিলাম। তোমার দুই চোখে যে শুকনো কামিনি ফুল। কেন ভুলবো তোমায়। তুমি যে আমার ভালবাসার ফুল।
আমার জন্ম যে শুধু তোমার জন্য। তুমি দেখনা আমি ইস্কুলে গেলে কিভাবে তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি। হাসি আমার খুব ইচ্ছা হয় যদি তোমার সামনে সব সময় ইস্কুল টাইমে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারতাম। 
কি লেখব আর বুঝতে পারছি নাহ আমি।
আমায় শুধু ভালবেসো তুমি এই দ্রেহে  প্রান থাকতে তোমায় ভুলবো নাহ।
তুমি আমার লাইফ এর প্রথম ভালবাসা।

আর তোমাকে নিয়ে আমি সারাটা জীবন পার করতে চাই।
আর আমি ইতিকে ভাল বাসি নাহ এমনি শুধু তাকিয়ে থাকি।আর থাকবো না প্রমিস করলাম।

অনেক রাত হইছে ঘুমালাম। কি কর তুমি খুব জানতে ইচ্ছা হচ্ছে। ফোন নাম্বাার চাইলাম ওই দিন দিলে নাহ। এই টা আমার নাম্বার কল দিও ০১৭.......।
নিজের খেয়াল রেখো।
ইতি
তোমার আমি
.
পর দিন ইস্কুলে গিয়ে ওকে ইশারায় ইস্কুলের পিছুনে যাইতে বললাম। পরে চিঠি টা দিলাম।   প্রতি দিন চিঠি দিতাম। কিন্তু হাসি ফোন দিত নাহ। এর মাঝে সবে বরাত চলে আসে সামনে রোজা।
নামায পরে এসে কোরান শরিফ পরে আমার রুমে যাইতে ছিলাম। আম্মু বলছে একটু এই রুমে থাক পরে যা। আমি ঘুমাই গেছি।
১২ টার দিক এক টা আননন নাম্বার থেকে কল আসে।
হ্যালো বলতেই বলল আমি হাসি। অই দিন বেশি কথা হয় নাই। বলল নামাজ পড়ছ নাকি। কি দোয়া করলা।
কি কর এখন। পরে বলল আশিক এই টা আমার এক আন্টির নাম্বার কল জানি দিও নাহ আর। পরে ফোন রেখে দেয়।
.
পরের দিন সকালে আমি ফোন দিছি লাম। কারন ইস্কুল ছুটি ছিল। মন একদম মানতে ছিল নাহ। হাসিরে না দেখে একদম থাকতে পারছিলাম নাহ।কিন্তু ফোন অন্য জন ধরে ছিল রং নাম্বার বলে কেটে দেই।
  ধিরে ধিরে এই ভাবে এগুতে থাকে আমাদের ভাল বাসা। 
.
প্রতি দিন ৪_৫ পেজ করে চিঠি দিতাম। হাতের লেখা এতো সুন্দর হয়ে গিয়েছিল যে বলার বাইরে। পরাশোনা করতেও ভাল লাগতো।
.
টিফিন শেষ হওয়ার আগে হাসি ইস্কুলের পিছুনে ওই দিকে একটা দোকানে যেতো। সবাই ক্লাস এ ঢুকত আর আমি আমাদের ইস্কুলের বাতরুম এর কাছে দাড়িয়ে থাকতাম। এই পাশ অই যায়গা টা একটু চাপা।
'
এই পাশ হতেও কিছু দেখা যায় না অই পাশ হতেও নাহ।  একদিন হাসি বলছে আচ্ছা আশিক তুমি যে আমাকে চিঠি দেও কোন দিন তো  একটু আমার হাতে টাচ ও করলে নাহ। আমি বললাম  অহ তাই তো টাচ তো করিনাই। 
৭ মাস হলে রিলেশন আমি ছুয়েও দেখি নাই। ভয় লাগতো। মানে কেমন কেমন লাগতো।  কিন্তু পরের দিন আমি হাত ধরেছিলাম।
.
_হাতে লাগছে  ছাড়ো স্যার ক্লাসে গেছে (হাসি)
_হুম ধরি না নাকি ( আমি)
_উহ তাই বলে এই ভাবে চেপে ধরতে হবে।
_কাকে ধরব তাছাড়া
_ইতি আছে তো।
_উফ আমি বলছি  না ইতি কেও নাহ তাও অর কথা বলো তুমি।
_ কেন কি হইছে (মুখ ব্যাকা করে)
_ কিছু নাহ
_ ক্লাসে যাব
_যাও
.
হাসি বিকালে বিকালে ফোন দিতো রাতে দিত নাহ। আগে তো বিকাল ৪ টার আগে ৪০ মিনিট দিয়ে কথা বলা যেতো।
পরে তো আর যেতো নাহ। আমিও জানতাম না কি ভাবে সুপার এফেনেফ করে। কম কথা হত ফোনে। শুক্রবার করে বেশি কথা হত। তাছাড়া শুধু চিঠি লেখা হত।  
আজ হাত ধরা কাল চুলের গন্ধ নেওয়া ধিয়ে ধিরে আমার পাগলামি বারতে থাকে। 
কিছু দিন যাইতে যাইতে এমনি পাগল হলাম প্রতিদিন জড়িয়ে ধরা আর লিপ কিচ নাহ করলে জেনো হতই নাহ।
.
ইস্কুলের পিছুনে এক টা বাড়ি ছিল অই বাড়িতে আমরা পানি খাইতে যাইতাম। আমি করিম কে নিয়ে জাইতাম আর হাসি একাই জেতো।
অই বাড়িতে আবার লোকজন থাকে নাহ।
.
_একদিন বিকালে ফোনে  বললাম আচ্ছা তুমি টিফিনে খাইতে কেন যাও নাহ বলো তো
_আমি খাইতে যাব আর তুমি নাহ খেয়ে থাকবা তাইনা (হাসি)
_আরে আমার  খুধা লাগে নাহ অভ্যাস হয়ে গেছে।
_ বললেই আমি বিশ্বাস করলাম সকাল  ৯ টায় আসো যাও বিকাল ৪ টায়।
_ তো কি।
_কিছু নাহ তুমি খাবানা আমিও খাইতে পারবো নাহ।
_আর তুমি তো আমাকে দোকান রিজার্ভ করে দিছো যা ইচ্ছা খাইতেছি তো।
_হ কয় টাকাই খাও আর গত সপ্তায় মাত্র ২২০ টাকা বিল দিছি। তোমার যা ইচ্ছা দোকান থেকে খাবা আমি টাকা দিয়ে দিবো।(হাসি)

_ হ তুমি তাইলে বাড়িতে খাইতে যাবা তাছাড়া আমি দোকান থেকে কিছু খাবো নাহ।(আমি)
_ ঠিক আছে বাড়িতে তো আর খাইতে যাইতে পারবো না কারন তোমাকে দেখতে পারবো নাহ।
_কি দেখা লাগবে এতো? দেখোই তো সারাদিন ( আমি)
_আচ্ছা কাল হতে টিফিনে খাবার নিয়ে যাবো। আর তোমার জন্য ও ভাত নিয়ে যাব তুমি খাবা আর আমিও।(হাসি)
_ ইরে নাহ আমার বন্ধুরা কি বলবে । তাছাড়া দুই জন দুই ক্লাস এ পড়ি এক ক্লাস এ পড়লে হত।
_ তাইলে থাক খাইতে হবে নাহ অই দোকানের খাবার খাইলেই  হবে। আর শোনো দোকানে বেশি করে খাবা একটুও মোটা হউ বাবু রাখলাম কাল সকালে ইস্কুলে এসো 
_ আচ্ছা রাখো
.
হাসির সাতে এমন রিলেশন সবাই অই ভাবে জানেনা।  হাল্কা হাল্কা জানে। কিন্তু করিম জানে কারন মাঝে মাঝে অরে পাহারায় রাখতাম।নয়ন অ তেমন জানেনা। সানিল ও কম।

বন্ধুদের সাথে গিয়ে দোকানে খাইতাম। কি আর খাওয়া যায় একটা মেয়ের টাকা এই ভাবে খাওয়া যায়। কেও বুঝত না কার টাকা দিয়ে খাইতেছি।  না খাইলে আবার রাগ করে। আর না খাইলে রাতে পাগ্লিটা কিছু খাবেনা। আমি কিছু  নিবো তার পর ওই নিবে দোকান হতে!!
দোকান দার টাকা দিতে চাইলেও নিতো নাহ। অই মানা করে দিয়েছিল।
.
ধিরে ধিরে আমার jsc  পরিক্ষা চলে আসে। আমি আর ইস্কুলে যেতে পারিনা।
আমার কলিজা ফেটে যায় হাসিরে দেখার জন্য!! "কিন্তু পারতাম না।

পরিক্ষার কেন্দ্র পরে উল্লাপাড়া তে। প্রায় ৭ দিন হলে দেখা নাই।  ফোন ও দেয় নাহ।
কেন ফোন দেয় না হাসি কি ভুলে গেলো আমাকে।
নাহ কেন ভুলবে। আমাকে ভুলতে পারেই নাহ।
যে মেয়ে মেন্স নিয়েও ইস্কুলে আসে শুধু আমাকে দেখার জন্য। সে কি করে ভুলবে।
.
দুই দিন পরিক্ষা দিয়ে ইস্কুলে গেছিলাম কিন্তু পাগ্লি টা নাকি ইস্কুলে আসে নাহ।
কেনই বা আসবে আমি নাহ ইস্কুলে আসলে অই জিবনেও আশবে নাহ।
একটা চিঠিও পাইনা। কিজে করি আর ভাল লাগে নাহ।

বিকালে ওদের গ্রাম এর দিকে একদিন গেলাম তাও পাইলামনা। অর বাড়ির  নাম্বারে তো কল দেওয়া মানা।

তার মানে কি আমাকে ভুলে গেলো হাসি।
উফ আমি কেন কাদি নাহ কাঁদবো নাহ। কেন ভুলবে?
আমি তোর অর সব।
একটা বার কল দেও হাসি একবার জাস্ট একবার।
আমার কলিজা ফেটে যাচ্ছে।

তবে কি হাসি ভুলে গেলো আমাকে।
.
রাত টা কি পার হয়?? নাহ আমার  এই রাত জেনো পার হচ্ছে না।
রাত জত গভির হয় ভোর নাকি তত ঘনিয়ে আসে।
আহারে আমি বসে ভাবি নিরালায় আগে তো বুঝি নাই এই প্রিরিতের মায়া। আমার ভোর আসেনা।
কাল আবার পরিক্ষা কেন যে রাত জাগছি। 
নাহ ঘুমাতে হবে আমাকে।
হাসিরে তুই বিনে মরে যাব আমি!!
.
.
.
to be continue

উপন্যাস
.
*****★★এমনত প্রেম হয় ★★*****
.
পর্ব ________৪
.
লেখক: Ashikur Rahman
.
হাসি কেন যে ফোন দেয় না ভাল লাগে না।
মনে হয় কি নাই কি নাই আমার। আহারে
এই দীর্ঘ রাত কি পার হবে।
আর কয়টা পরিক্ষা আছে।
রাত ২ টা বাজে ঘুম ধরে নাহ।
.
_ এই রাসেল কি রে পরিক্ষা দিতে যাবি নাহ নাকি কত ঘুমান লাগে নামাজ কালাম তো নাই কাই। কুরআন  শরিফ হাতে দিছি তাও পরে নাহ রে কোরান শরিফ বদদোয়া দিবে রে। এর নাম হল আরবি যে কি না বলে আমাকে এক দিন নাহ দেখলে পারবি (আম্মু+ আমার ডাক নাম রাসেল)
_  উম কয়টা বাজে (  আমি মোচড় পারতে পারতে)
_ কয়টা বাজে ৮ টা বাজে তোর নাহ পরিক্ষা এতো ঘুম পারে নাকি!
_ তুমি ডাক দেও নাই কেন হ্যা
_ আমি ডাক দিলাম নাহ তুই অনেক রাতে ঘুমাইছিছ তাই! ভাত বাড়ছি খাইয়া যা ।
_যাও আসি।
.
হায়রে আমি  যে রাত জেগে কি করছি মা তুমি কি জানো।
আমার যে আমার হাসিরে ভাবতে রাত যায়।
বিকালে যাব হাসিদের গ্রামে। অরে না দেখলে আমি কিছু করতে পারব নাহ।
.
_ ভাত এতো গরম কেন খাওয়া যায় নাকি (আমি)
_ হ্যা ফু দিয়ে খা
_ ধুর খাবো নাহ থাকো গেলাম
_ তুই জা আমিও খাবো নাহ ফ্যান এর নিচে যা বাবা না খেয়ে পরিক্ষা দিতে হয় নাহ।
.
কিরে করে বুঝবো মা কেন যে  আমার খাইতে ভাল লাগেনা।
আমি যে তারে ছাড়া কিছু ভাবতে পারিনা।
_ মা আশি
_ যাহ ভাল করে পরিক্ষা দিস।
.
মায়ের চোখে কত স্বপ্ন  রে আমি কি আমার মায়ের স্বপ্ন  পুড়ুন করতে পারবো।
কেন যে মন টা খারাপ। খারাপ কেনই হবে নাহ কত দিন হাসির সাথে কথা হয় নাহ। কেমনে ভুলে আছো হাসি?
.
পরিক্ষা দিয়ে আসলাম ড্রেস খুলি নাই। রুমে মাত্র প্রবেশ করলাম।
আম্মু ও নাই ভাল লাগে নাহ কই যে যায় সব।
ফোনটা বাজে কেও ধরে নাহ অহ হাসির নাম্বার এই টা।  রুমের পিছুনে গিয়ে কল টা ধরলাম।
_হ্যালো (আমি)
_ কেমন আছো (হাসি)
_ কেমন আছি জানতে চাও কেমন রাখছো তুমি।
_ আশিক তোমার পরিক্ষা তার জন্য আমি কল দেই নাই তোমার পরিক্ষা খারাপ হবে তাই।
_এখন কি পরিক্ষা ভাল হচ্ছে হাসি?
_ কি হইছে এমন করতেছো কেন তুমি?
_ কল দেও নাই কেন আগে তাই বল।
_ বুঝতেছ না কেন তোমার পরিক্ষা চলছে তাই।
.
_কি হল আশিক কথা বল নাহ কেন (হাসি)
_ কি
_ I love you
_বলতে হবে নাহ তুমি ভুলে গেছো আমাকে?
_ কি বলতেছো তুমি আশিক?  কাকে ভুলব আমি আমার লাইফ আমার জীবনের বেচে থাকার এক মাত্র সম্বল তাকে ভুলব?
_ ভুলে তো ভালই ছিলা নাকি।
_ আশিক আমি সারাখন তোমায় মিস করি। তুমি ইস্কলে নেই তার জন্য আমিও জাই নাহ আর তুমি বলছো ভুলে গেছি ভালই বলছো।
_ ভাল লাগছে না রাখো (আমি)
_আশিক সোনা আমার কথা শোনোপরিক্ষা কেমন হচ্ছে।
_ ভালো হচ্ছে।
_ ভাল আছো জান তোমায় ছাড়া কিছু ভাবতে পারিনা বিকালে এক টু এসো আমাদের বাড়ির দিকে কাল তো ছুটি পরিক্ষা নাই।
.
_  জানিনা
_ আশিক আমি কিন্তু  কি করব!!! ভাল করে কথা বল।
_ আচ্ছা যাব যাও রাখো।
_ I love you
_ হুম
_ কি হুম আচ্ছা বলতে হবে না রাখো।
_ I love u too
_ থাক লাগবেনা।
_ দেখো ভাল লাগছে নাহ এমনি কিন্তু?
_  বিকালে এসো খাওয়াদাওয়া কর।
_ হুম তুমিও কর।
_ রাখলাম।
_ হাসি
_ কি
_ I love you
_ I love you too কাল হতে বিকালে কল করব
_ দেখবো নাহ হলে খবর আছে। রাখলাম
.

আহ কি শান্তিরে কলিজা শুকাইয়া গেছিল এই কই দিন কথা নাহ বলে।
_ কখন আসলি? পরিক্ষা কেমন হল কাপড় খুলিস নাই? (আম্মু)
_কই গেছো তুমি খুধা লাগছে (জড়িয়ে ধরে)
_ কি হইছে ছাড় গোসল দিয়ে খাইতে আয়
_ হুম যাও আশি।
.
মন খালি খালি তুই তুই করে তুই তুই করে এ বুকের চোরা বালি ছুই ছুই করে......
_ কিরে কি শুরু করলি খাইতে আয় (আম্মু)
_ হ্যা আশি আম্মু।
!
আহ শান্তি এতো ভাল লাগে কেন রে।
.
-আম্মু আমার এই গেঞ্জি ধুয়ে দেও নাই কেন  (আমি)
_ ধোয়াইতো কই যাবি।
_ নাহ কোথাও নাহ সাজেশন আনতে যাব একটু। টাকা দেও তো।
_ হ টাকার গাছ গারছি আমি।
_ দেও নাহ
_ বিছানার নিছে আছে যা লাগে নিয়ে যা।
_ফোন কই আম্মু
_ ফোন কই নিয়ে যাবি টেবিল এর পার দেখ।
.
ফোন টা নিয়ে বের হয়ে সানিল দের বাসা হতে সানিল কে নিয়ে গেলাম হাসিদের গ্রামে
.
কিন্তু ফোন দিবো নাকি। নাহ মেসেজ দেই।
জান আমি তোমাদের বাসার কাছে কই তুমি (এসএমএস)
না কই রিপ্লে নাই।
.
_দোস্ত কিছু কেন না (সানিল)
_ যা দোকান নে খা টাকা দিচ্ছি (আমি)
_ তুই ও চল নাহ।
_যা আশি।

.
কল দিতেছি কল ও ধরে নাহ।
_ হ্যালো (আমি)
_ কই তুমি (হাসি)
_ তোমাদের বাসার পাশে এক টা দোকান এই খানে।
_ বাসার সামনে আসো।
_ ওকে
.
_ শানিল দুইটা স্প্রিড নে তো।
.
আহ আমার হাসি দাড়িরে আছে ছাদে।
কত বছর পর মনে হয় দেখছি।
কেন যে অরে দেখলে নিজেকে ধরে রাখতে পারিনা জানিনা।
_ একা একাই খাও (এসএমএস)
---দিলাম ফেলে।
_ কি ফেলে দিলা কেন (এসএমএস)
_ কল দিবো কি একটু (এসএমএস আমি)
_ দেও।
.
_হ্যালো (আমি)
_ অনেক সুন্দর লাগছে তোমায় আশিক ( হাসি)
_ তোমাকে কি কম লাগছে আহ যদি একটু কাছে যাইতে পারতাম। নিয়ে যাও বাসার ভিতর।
_ এই এই দিক তাকিও নাহ সবাই বুঝবে অই দিক তাকাও।
_ বুঝলে বুঝুক
_ ছাগল এক টা যাও বাসায় যাও সন্ধ্যা হয়ে গেছে।
_ না তোমার বাসায় নিয়ে যাও।
_ পাগল যাও তোমার আবার পরিক্ষা আছে কাল দিন পর।
_ ধুর পরিক্ষা।
_ রাখলাম

.
কি ভাবে তাকিয়ে আছে হাসি আমায় পাগল করে দিবে। কিছু খন থেকে চলে আসলাম। একটুও আসতে মন চাইছিল নাহ।
হাসিরে তরে ছাড়া বাচতে পারব না।
.
পরিক্ষা শেষ হয়ে আসলো। জিএসসি পরিক্ষা। এখন রেজাল্ট এর অপেক্ষা।
পরিক্ষা অনেক ভাল হইছে।
পরিক্ষা শেষ প্রতিদিন বিকালে হাসিদের গ্রাম এ গিয়ে দোকানে কেরাম খেলি। আর হাসি ছাদে দাড়িয়ে থাকে। এক টু এক টু দেখা যায়।
পরিক্ষার রেজাল্ট ও দিলো। আমার রোল টা এক মামার কাছে দিয়ে ছিলাম। আমি দুপুরে খাইতে বসেছি।
মামা এসে বলল ভ্যাগ্না তুমি জিপিএ ৫ পাইছো।
আম্মু আব্বু যে কত খুশি হইছে বুঝাতে পারবনা।
.
মনে মনে খুশি হইছি  আমি কিন্তু হাসতে পারিনা। হাসিরে খুব মনে পরছে।
করিম কে ফোন দিলাম করিম আসলো আমাদের বাড়ি করিম পাশ করছে।
নয়ন কে ফোন দিলাম নয়ন পাইছে ৩.৭৩।
.
সাইকেল নিয়ে আমি আর করিম চলে গেলাম ইস্কুলে।
গিয়ে দেখি আমি একাই জিপিএ ৫ পাইছি। ক্লাস এর প্রথম বয় পাইছে ৪.৯০। হেড স্যার তো খুব খুশি। আমাকে জড়িয়ে ধরছিল স্যার। অই দিন ভাবছিলাম হাসি তুমি আমার পাশে আছো বলে আমার এতো ভাল রেজাল্ট হইছে।
হাসিকে ফোন দিলাম হাসি অনেক হ্যাপি। বলছে আশিক আমি জানি তুমি ভাল রেজাল্ট করবা।
.
ক্লাস ৮ এ আমি মনে হয় ৮ দিন ও ইস্কুল কামাই দেই নাই। আসলে নিয়মিত ক্লাস করলে অনেক ভাল রেজাল্ট করা সম্ভব।
ক্লাস eight এ রোল ছিল ১৮ আর nine এ রোল হইলো এক। স্যার রা কত ভাল বাসে।
চলতে থাকে হাসির সাথে আমার ভালবাসা।
ক্লাস 9 এ উঠে প্রেম টা যেন আরো অন্য রকম হয়ে গেলো।
সারারাত ফোনে কথা। মানে অন্য রকম প্রেম।
ধিরে ধিরে স্যার রা জানতে পারে। ভাল ছাত্র ছিলাম তাই স্যাররা কিছু বলে নাই।
ইংলিশ ক্লাসে পড়া হত নাহ।
একদিন বিপ্লব স্যার বলছে আশিক কি হইছে পড়াশোনা কেন করনা। আমি
কিছু বলতে পারি নাই চুপ ছিলাম। আমাকে বলে অই সব ভুত মাথায় থেকে নামাও অনেক পাবা বড় হউ আগে।
.
নাহ আমি হাসিরে ছারা কিছু ভাবতে পারিনা। ২ মাস পার হয় ক্লাস ৯ এর।

হাসিরে বলছিলাম হাসি একদিন বের হউ পার্ক এ যাব। কিন্তু অর বাসা হতে প্রব্লেম বের হতে পারত নাহ। কিন্তু আমি হাসিকে সব সময় কাছে চাইতাম কিছু ভাল লাগতো নাহ।
কাল ২৬ মার্চ হাসিকে বলছি বের হতে। রাতে কল দিল হাসি।
_  কি কর  (হাসি)
_ কিছুনা তুই ( আমি)
_ কি হইছে জান এমন করতেছো কেন।
_ ভাল লাগছে নাহ ঘুমা তুই
_আশিক কাল আমি বের হব আমার বোন কে নিয়ে আকবর আলি কলেজে যাব। তুমি একটু এসো।
_ সত্যি আচ্ছা যাব।
_ আশিক তুমি ফোন কাছে রেখো আমার কাছে তো ফোন থাকবে না আমি অই কলেজে গিয়ে কারো ফোন থেকে তোমায় কল করব।
_ ঠিক আছে
_ রাখলাম আম্মু জেগে আছে।
_ হ রাখবি তো রাখ।
_ আশিক এতো রাগা রাগি কেন কর আমার ভাল লাগে নাহ পিলিজ।
_ আচ্ছা ঘুমাও কাল দেখা হবে
.

.
.
to be continue

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ