গল্পর নামঃ সেই ডায়েরীটা
.
লেখক: নীল হিমু(অপ্রত্যাশিত লেখক)
.
পাশের বাড়িতে বিয়ে হচ্ছে। খুব জোরে মমতাজের
লোকাল বাস গানটা চলছে। গানের অাওয়াজ টা এই
বাড়ির কান্নার আওয়াজ গুলোকে মলিন করে দিচ্ছে
। এই বাড়ির বড়মেয়ে অনুরাধা আজ মারা গেছে।
মারা গেছে বললে ভুল হবে, গলায় ফাঁস দিয়ে
আত্মহত্যা করেছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত রিপোর্ট হাতে
পাওয়ার কারণে মেয়েটির আত্মহত্যার কারণ সবাই
জেনে গেছে। তিন মাসের প্রেগন্যান্ট ছিলো সে ।
আশেপাশের প্রতিবেশী আর আত্মীয়স্বজনরা
বলাবলি করছে
মাইয়্যাটারে ভালোই জানতাম।কি দিনকাল যে
আইলো ! কাউরে ভালো বলা যাইবোনা । আজকাল
দেখতেছি সব মাইয়্যাই খারাপ।
এক প্রতিবেশী বললো
মরসে ভালো কথা। নিজের পাপের ফল ভোগ করসে।
তবে এইভাবে মা বাবার মুখে চুনকালি মাইখা মরল
কেন?
সবাই যে যার মতো ব্যস্ত। কেউ কাঁদছে আর কেউ
বলাবলি করছে। এতকিছুর মধ্যেও কেউ একজন বড্ড
বেশি নিরব হয়ে আছে। তনুশ্রী, অনুরাধার ছোট বোন।
কে কি করছে, কি বলছে খুব সুক্ষভাবে দেখছে। আর
অপেক্ষা করছে, কখন তার দিদির লাশটা আসবে।
অনুদি!তোর কি কিছু হয়েছে?
কি হবে?
না, আসলে আজ কয়দিন ধরে দেখছি তুই অন্যমনস্ক
থাকিস। ঠিকমতো খাসনা,ঘুমোসনা। কালরাতে হঠাৎ
ঘুম ভেঙে গেলে পাশে তাকিয়ে দেখি তুই নেই।
বারান্দায় গিয়ে দেখি, তুই বসে বসে কাঁদছিলি।
বলনারে দি তোর কি হয়েছে?
তনুর কথা শুনে অনুরাধার চোখ দিয়ে কয়েকফোঁটা জল
গড়িয়ে পড়ে। তারপর ও সে চুপ করে থাকে।
দি! প্লিজ বল না।
অনুরাধা নিজের কষ্টটাকে ছোটবোনের কাছ থেকে
লুকাতে পারলোনা। তাকে জড়িয়ে ধরেই কেঁদে
দিল।আর বললো
তনুরে! দুনিয়াটা বড্ড বেশি কঠিন হয়ে গেছেরে
আমার জন্যে। এই সমাজটা যে আমাকে আর চায়না।!
আমি যে বড্ড বেশি নোংরা হয়ে গেছি।আমি বাবা
মায়ের অপমান দেখতে পারবোনা।
সপ্তাদশী তনু তার দিদিকে এইভাবে ভেঙে পড়তে
দেখায় শুধু অবাকই হলোনা,ভয়ও পেল।আর কিছু
জানতে সাহস হলোনা। তবে এত সহজে হাল ছেড়ে
দেইনি। ছোটবেলা থেকেই সে জানে, তার দিদি
নিজের সব মনের কথা একটা ডায়েরিতে লিখে
রাখে।সেটা আলমারির ড্রয়ারেই থাকে। লুকিয়ে
দেখতে গিয়ে একবার ধরা পড়ে গিয়েছিল।তবে
এবার ধরা পড়লে চলবেনা। ভোরের দিকে অনুরাধা
ঘুমিয়ে পড়লো ভেবে তনু যখন বালিশের নিচে রাখা
চাবিটার নিতে যাবে ঠিক তখনই অনুরাধা জেগে
যায়।
কিরে কি করছিস এত সকালে?
না আসলে আটটায় একটা ক্লাস আছে। তাই
সকালে একটা সুযোগ পেল অবশেষে। দিদিকে
দেখলো ছাদের দিকে যেতে।তাড়াতাড়ি করে
ড্রয়ার খুলে ডায়েরিটা নিল।কিন্তু বাড়িতে পড়া
যাবেনা।সিদ্ধান্ত নিলো কলেজে গিয়ে পড়বে।
বেশিরভাগ পৃষ্ঠাই পড়া হয়ে গেছে । নিজের
পরিবার নিয়েই বেশি লেখা । বাইরের শুধু কয়েকটা
বন্ধু বলা হয়েছে । শেষের কয়েক পৃষ্ঠা আগে একটা
লেখায় চোখ আটকে যায় ।
তনু ! আমার ছোটবোন কিন্তু আমার সন্তান এর মতো ।
কিভাবে যেন আমার সব কষ্ট বুঝে যায় । ওর মুখের
দিকে চেয়ে বাঁচতে ইচ্ছে করে । কিন্তু নিয়তি যে
আমার জন্যে অন্যকিছু রেখেছে । তোকে ছেড়ে
যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে রে ছুটকি !
ডায়েরী শেষ হওয়ার এখনও দুই পৃষ্ঠা বাকি আছে ।
কিন্তু আর পড়তে পারলোনা । তার মনে নানা প্রশ্ন
উকি দিচ্ছে । "ছেড়ে যাবে মানে ? কোথায় যাবে ?
দিদি কোন খারাপ কিছু করে বসলো নাতো ? "
ভয়ের সাথে সাথে অস্থিরতা বেড়েই চলেছে ।
ক্লাস শেষ হতে এখনও দশ মিনিট বাকি আছে । কিন্তু
এই দশ মিনিট সময় তার কাছে দশ বছরের মতো মনে
হচ্ছে । কোনভাবেই যেন সময়টা পার হচ্ছে না ।
বাড়ির সামনে লোকজনের ভীড় দেখতে পেল ।
অবশেষে মনের ভয়টাই যে সত্যি হয়ে গেল । পুলিশ
কাউকে ভিতর প্রবেশ করতে দিচ্ছে না । বাবা
মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে আর মা শোক সইতে না
পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে । মাসি আর পিসিরা
মিলে মায়ের মাথায় পানি দিচ্ছে । কিন্তু তনু এখনও
তার দিদিকে দেখতে পেল না ।
পুলিশ তনুর সামনে দিয়েই তার দিদির লাশটা নিয়ে
যাচ্ছে । চোখ দুটো এখনও মেলে আছে । ঠিক যেমন
কাল রাতে ছিলো ।
তনু আস্তে আস্তে বাড়ির ছাদে উঠলো । এককোনে
গিয়ে বসে পড়লো । নিজেকে নিজেই ধিক্কার দিল
কেন বুঝলাম না দি । তুই এতটাই কষ্টে আছিস ? কেন
এভাবে চলে গেলি আমাদের ছেড়ে । আমি না হয়
ছোট বুঝতে পারতাম না । বাবা মাকে তো অন্তত
বলতে পারতি । কত সপ্ন ছিলো তোকে নিয়ে তাদের
।
এমন সময় তার ডায়েরীটার কথা মনে পড়লো । শেষ
দুই পৃষ্ঠা এখনও বাকী । ডায়েরীটা ব্যাগ থেকে
নিয়ে পড়া শুরু করলো ।
আমি কখনোই ভাবিনি আমার জীবনে এইরকম একটা
দিন আসবে । সপ্ন দেখতাম বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল
করবো একদিন । পড়াশুনার ক্ষতি হবে বলে কখনো
কোন প্রেমে জড়াইনি । সবার সাথেই খুব ভালো
ব্যবহার করতাম । যেকেউ সাহায্য চাইলে আমি
আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করতাম ।
রিপনদা ! আমার পাশের বাড়ির ছেলে । নিজের
দাদার মতই শ্রদ্ধা করতাম তাকে । আমাদের
পরিবারের সাথেও যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ ছিলো তার সম্পর্ক
। কিন্তু এখন সে আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে
নিকৃষ্ট মানুষ । যে দাদা নামক ডাকটির অপমান
করেছে ।
সেদিন আমার ভীষণ জ্বর ছিলো । উঠে দাড়ানোর
শক্তি টা পর্যন্ত ছিলো না । বিকেলের দিকে একটু
সুস্থ বোধ করলে বাইরে বের হই । জ্বর কমেছে কিন্তু
শরীরটা প্রচণ্ড দুর্বল ছিলো । রাস্তার মধ্যেই
রিপনদার সাথে দেখা হয় ।
তোকে একবার তোর কাকীমা যেতে বলেছে ।
আমার এখন শরীরটা ভালো নেই
পরে যাব
গিয়ে দেখ ।সবসময়ই কি মানুষকে দরকার হয় নাকি ?
হয়তো গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজে তোকে দরকার পড়েছে ।
আচ্ছা ঠিক আছে যাচ্ছি । তুমি কোথায় যাচ্ছ ?
একটু বাজারের দিকে গেলাম ।
আস্তে আস্তে এক পা দুই পা করে রিপনদাদের
বাড়িতে গেলাম ।
বাইরে থেকে কয়েকবার কাকীমা কাকীমা বলে
ডাকলাম , কিএন্তু কোন সাড়া শব্দ শুনতে পেলাম না
। বাধ্য হয়েই দরজা ঠেলে ঘরে প্রবেশ করলাম ।
কাকীমার রুমে গিয়ে দেখলাম কেউ নেই । সারা ঘর
খুঁজেও কাউকে দেখতে না পেয়ে ফিরতে যাবে
এমনসময় কারো দরজা লাগানোর শব্দ শুনতে পেলাম ।
পিছন ফিরে দেখি রিপনদা দাঁড়িয়ে আছে । আমি
কিছু বলার আগেই আমার মুখটা চেপে ধরে সে ।
এরপর সে যা করলো একজন নারীর জীবনে এর থেকে
কষ্টের কিছু হয়না । আমি তার ভালোমানুষির
আড়ালে তার নোংরা , নিষ্ঠুরতার সংমিশ্রণে গড়া
আসল রূপটা দেখতে পেলাম সেদিন । হয়তো তাকে
বাধা দিতে পারতাম , কিন্তু আমার শারীরিক
অসুস্থতা সে সুযোগটাও কেড়ে নিয়েছে ।
রিপনদা আমার সাথে চরম বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে
। কাকীমা আর রিপনদার ছোটবোন তার বাপের
বাড়িতে গেছে । আর সে সুযোগে রিপনদা আমার
সাথে এই ঘৃণ্য কাজ করেছে ।
সেদিন খুব জ্বর থাকায় অসুস্থ ছিলাম বলে
ব্যাপারটা কেউ বুঝতে পারিনি । আর আমিও
কাউকে বলিনি । শুনলে বাবা মা ছুটকি সবাই খুব কষ্ট
পাবে । সহ্য করতে পারবেনা তাদের মেয়ের এমন
পরিণাম । আমিও ব্যাপার টা নিজের মধ্যে
রেখেছিলাম । আস্তে আস্তে ভুলতে চেষ্টা করলাম ।
কিন্তু ভগবানের যে অন্য ইচ্ছে ।
আজ আমি প্রথম শুনলাম আমি মা হবো । পৃথিবীর
পৃথিবীর প্রত্যেক নারীর জীবনে এটা যে কত সুখের
সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা । কিন্তু আমার
জীবনে সে দিনটি হয়তো আর কখনো আসবে না ।
আমি জানি ,আমি কোন পাপ করিনি ।কিন্তু তার
পরেও আমি এই সমাজের কাছে পাপী । আর আমার
পাপের ফল আমার ই শরীরে একটু একটু করে বড় হতে
থাকা আমার অনাগত সন্তান । আমি না পারছি
তাকে হত্যা করতে আর না পারছি তাকে এই
পৃথিবীতে আনতে । কারণ আমি তাকে কখনও একটা
সুস্থজীবন দিতে পারবোনা । অন্য সবার মতো সেও
হয়তো আমাকে ঘৃণা করবে । নষ্টা বলে গালি দিবে ।
আমি আমার জীবনের শেষ চেষ্টাটুকু করলাম আমার
সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে । রিপনদার পায়ে পড়ে
বলেছিলাম সবকিছু মেনে নিতে ।
রিপনদা শুধু একটা কথাই বলেছিল
পাপী , নষ্টা মেয়ে । তোর পাপের ফল তুই ভোগ কর ।
আমাকে কেন এর মধ্যে টানছিস ।
রিপনদার বিয়ে ঠিক হয়েছে । আর আমি ঠিক করেছি
আমার সন্তানকে নিয়ে চলে যাব ।
এইটুকু পড়েই নিজেকে ধরে রাখতে পারলোনা তনু ।
কান্নায় ভেঙে পড়লো সে । সে খুব ভালোভাবেই
বুঝতে পারলো তার অনুদি কতটা কষ্টে ছিলো ।
আবার পড়া শুরু করলো
আমি জানি আমার ছুটকি একদিন ঠিক পড়বে এই
ডায়েরীটা । ততদিনে হয়তো আমি আর এই পৃথিবীতে
থাকবোনা । সবাই আমাকে পাপী বললেও তুই অন্তত
বলিসনা ছুটকি । তা নাহলে তোর দি যে মরেও
শান্তি পাবেনা ।
পৃথিবীটা যে বড্ড বেঈমান আমাদের জন্য । খুব
সাবধানে থাকিস ।
ভালো থাকিস আর বাবামার খেয়াল রাখিস ।
শেষ পৃষ্ঠায় শেষে এখনও কিছুটা জায়গা খালি
আছে ।
তনু ব্যাগ থেকে কলম নিয়ে লিখতে লাগলো
এই দিন দিন নয় , আরো দিন আছে । আফসোস শুধু
একটাই দি ,
তোর ছুটকি তোর জন্যে কি করতে পারে তুই সেটা
দেখে যেতে পারলিনা । পারলি না দেখে যেতে
একজন সন্তান তার মায়ের সম্মান রক্ষার জন্য ঠিক
কি কি করতে পারে ।
ডায়েরীর পাতায় কয়েক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো ।
দূর থেকে অ্যাম্বুলেন্সের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে ।
পুরো উঠোন, বাড়ির ছাদ রাস্তা মিলিয়ে কয়েক
হাজার মানুষ হবে । সবাই লাশ দেখতে এসেছে ।
অপমৃত্যু বলে কথা । তার উপর ফাঁস দিয়ে মরেছে ।
লাশ দেখার চেয়েও জরুরী বেশি কিভাবে মরল , কি
করে মরলো এসব জানা । অনেকে ছোট ছোট জটলা
পাকিয়ে এসব বিষয় আলোচনা করছে । জটলার মধ্য
থেকে একটা পরিচিত কন্ঠস্বর শুনতে পেল তনু ।
মা বাবার মনেও বোধহয় এইরকম নোংরামি আছে ।
তা নাহলে এরকম কাজ কেউ কেমনে করে ?
ভালোভাবে খেয়াল করে দেখল সেটা রিপনদার মা
মালতী কাকীমা ।
লাশটাকে উঠোনের মাঝখানে রাখা হলো । লাশ
আনার আগেই তার সৎকারের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করে
রাখা হয়েছিল । এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র ।
তনু ঘরে গিয়ে বাবার বিদেশ থেকে আনানো চকচকে
ধারালো চুরিটা নিয়ে আসলো । চুরিটা পিছনে
লুকিয়ে রেখে পাশের বাড়ির দিকে গেল । যাওয়ার
আগে পুরোহিতদের বলে গেল
আমি আসার আগে যেন আমার দিদিকে না নিয়ে
যাওয়া হয় ।
পাশের বাড়িতে বর রিপনকে গোসল করানো হচ্ছে ।
সেখানে সবাই রং তামাশা করছে । বোঝাই যাচ্ছে
না পাশের বাড়িতে কেউ মারা গেছে ।অনেক্ষণ
প্রাণভরে সেই দৃশ্যটা দেখলো তনু । দিদি বেঁচে
থাকলে হয়তো একদিন এরকম হতো ! নাহ্ থামলে
চলবে না । তাকে এগুতেই হবে। দি যে তার জন্যে
অপেক্ষা করছে । ওড়নাটা ভালোভাবে কোমরে
বেধে নিল । খুব সন্তর্পণে সামনের দিকে এগিয়ে
গেল ।
পুরো উঠোনের লোকজন এবার লাশের দিকে নয় ,
সবার দৃষ্টি এখন রিপনের দিকে । যার গলায় চুরি
ধরে আছে তনু । তনুর এইরকম কান্ডে তার বাবা মা সহ
আশেপাশের প্রতিবেশী ,আত্মীয়স্বজন সবাই স্তব্ধ
হয়ে গেল ।
রিপনের মা চিৎকার করে কান্না জুড়ে দিল
ওরে বাপরে ! কে আছিস ? আমার ছেলেটাকে যে
মেরে ফেললো বলে !
রিপনের মার কান্না শুনে কয়েকজন এগিয়ে আসতে
চাইলো । কিন্তু তনু তাদের থামিয়ে দিয়ে বললো
কেউ আসবিনা এখানে । আর এক পা এগুলে এই কুত্তার
বাচ্চার গলাটা দুভাগ করে দিবো ।
এবার তনুর বাবা বললেন
তুই কি পাগল হয়ে গেছিস ? কি করছিস ওকে । কেটে
যাবেতো ? ছাড় ওকে ।
হ্যাঁ বাবা আমি পাগল হয়ে গেছি । আমি পাগল
হতাম না যদি না আমার বোনটা অসুখে বিসুখে মারা
যেত , স্বাভাবিকভাবে মারা যেত । তবুও তো মনকে
শান্তনা দিতে পারতাম । এই লোকটার কারণে আমার
দি আমাকে ছেড়ে চলে গেছে । আমি দেখেছি
আমার দি দিনের পর দিন কিভাবে কষ্ট পেয়েছে ।
শুধুমাত্র তোমাদের অপমান হবে বলে কাউকে কিচ্ছু
বলেনি ।
রিপনকে উদ্দেশ্যে করে বললো
এই কুত্তার বাচ্চা ! বল কি করেছিস আমার দির
সাথে ! বল !
রিপন ভয়ে সমস্ত ঘটনা খুলে বললো একে একে ।
পুরো বাড়িতে পিনপতন নিরবতা বিরাজ করছিল ।
এবার রিপনের মায়ের উদ্দেশ্যে বললো
এই যে কাকীমা ! তখন কি বলছিলেন ?
মালতী দেবী ভয়ে ভয়ে উত্তর দিলেন
কি! কি কইছিলাম ?
আমার দিদি নষ্টা , আমার দি পাপী । আমার
বাবামার মনেও নোংরামি । এখনতো আপনার
ছেলের কুকৃতি সবাই জেনে গেছে । এবার কি
বলবেন ?
মালতী ভয়ে চুপ করে আছে ।
চুপ করে থাকলে তো হবেনা কাকীমা । তখনতো খুব
খবরগিরি করছিলেন ।
তনু ধমকের সুরে বললো
বলবি না বলবিনা ? নাকি তোর ছেলের মুন্ডুটা ঘাড়
থেকে আলাদা করে দেব ।
এই বলে সে চাকুটা একটু ভালোভাবেই চেপে ধরে ।
আর তাতে ধার লেগে গলার একপাশে কেটে গিয়ে
ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হয় ।
রিপন বেশ ভয় পেয়ে যায় । সে হঠাৎ করে তনুর পা
ধরে বসে ।
উপস্থিত প্রায় সকলের মুখেই রিপনের জন্য তীব্র
ঘৃণার রেশ দেখা যায় ।
তনুশ্রীর চোখ দিয়ে জ্বলন্ত লাভা বের হচ্ছে । সে
চোখদুটো যেন বলছে
আমি পেরেছি দি । আমি আমার কথা রাখতে
পেরেছি । আমি তোর খুনীকে শাস্তি দিতে
পেরেছি । আমি মায়ের সম্মান ফিরিয়ে দিতে
পেরেছি ।
বি:দ্র: সমাজে এরকম হাজারো অনুরাধা যেমন আছে
তেমনি রিপনদের মতো লম্পটরাও আছো । তবে
তনুশ্রীর মতো ছোটবোনরা নেই । কারণ এই সমাজ
অনুরাধা আর রিপনদের তৈরি করলেও তনুশ্রীদের
তৈরি করতে পারেনি । তাই তাদের সংখ্যা
হাতেগোনা ।
.
[প্রথম অংশ পুরোপুরি বাস্তব কিন্তু দ্বিতীয় অংশ
সম্পূর্ণ কাল্পনিক । শেষ দৃশ্যটা তৈরি করেছি যাতে
গল্পের একটা গতি হয় । পাঠকের ভাল লাগে]
,
অভিজ্ঞতার অভাবে ভালোভাবে লিখতে পারিনি।
এজন্য সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি ।
.
লেখক: নীল হিমু(অপ্রত্যাশিত লেখক)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļুāĻ্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āĻেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
2797
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧍:ā§Ļā§ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ