āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2832 (3)

------------------------অবুঝ ভালবাসা-------------------------
-------------------৩য় পর্ব-----------------
-তোর কথা একদম ভুল রাহুল, মেয়েটি মুটেও পাগল নয়।
রুমে এসেই অভি কথাটি বলল। রাহুল বিছানায় শুয়ে মোবাইল টিপছিল। মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থেকেই বলে সে,
-তোর মাথায় এখনো ঐ মেয়েটি ঘুরছে?
-হয়তো ঘুরতো না, কিন্তু মেয়েটির সাথে আমার আবার দেখা হয়েছে।
কথাটি শুনে রাহুল বিষণ অবাক হয়। মোবাইল রেখে শুয়া থেকে উঠে বসে বলে,
-ঐ মেয়েটির সাথে তোর আবার দেখা হয়েছে! কখন? কোথায়?
-তুই কি ভেবেছিস মেয়েটি এমনি এমনি এসেছে? সে ছাড়দিক দিয়ে তৈরি হয়েই এসেছে। একেবারে তুই যেখানে ঠিক সেখানে।
-মানে!
-আবার মানে জিগায়, এই হোটেলে উঠেছে।
-বলিস কি!
চিন্তায় পড়ে যায় রাহুল।
-হুম, আচ্ছা রাহুল মেয়েটির নাম কি রে? বারবার মেয়েটি মেয়েটি বলতে আর ভালো লাগছে না।
-মেয়েটির নাম কি আমি কি করে জানবো?
-বাহরে! তোর প্রেমিকার নাম তুই জানবি না তো কি আমি জানবো?
রাহুল আবার বিরক্ত হয়ে যায়। অভির প্রতি রাগ দেখিয়ে বলে,
-ধুত্তুরি! তোর সাথে আর কোনো কথাই বলবো না।
কথাটি বলেই রাহুল রুম থেকে বেরিয়ে যায়। আর অভি মুখ গোমড়া করে রুমে বসে থাকে।
"ঐ মেয়েটি আমাকে ভালোমতো ফাঁসিয়েছে। তবে সুযোগ পেলে আমিও ছাড়বো না।"
কথাগুলো মনে মনে বলতে বলতে রাহুল হোটেলের বাগানে চলে আসে। কিন্তু এখানে এসে অনামিকাকে বসে থাকতে দেখে আরো বিরক্ত হয়। ঘুরে দাঁড়িয়ে চলে যেতে চায় তখনি অনামিকা তাকে দেখে ডাক দেয়।
-আরে আপনি! এইযে শুনেন, আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিল...
রাহুল লক্ষ্য করলো অভির সামনে মেয়েটি তুমি করেই বলছিল অথচ এখন আপনি বলছে। তখন রাহুলের মাথায় অন্যরকম এক বুদ্ধি খেলে গেলো। ভাবলো, এইতো সময় পাল্টা আক্রমণ করে প্রতিপক্ষকে গোল খাওয়ানোর।
সে বলে,
-কি জানুউউ..... আমরা হানিমুন করতে কোথায় যাবো সেই আলোচনা করবে?
-ছিঃ আপনি এইসব কি বলছেন?
-ছিঃ বলছো কেন জানু? আর আমাকে আপনি করেই বা কেন বলছো? আমাদের তিন বছরের প্রেমের সম্পর্কে কি কখনো কেউ কাউকে আপনি করে ডেকেছি?
-প্লিজ থামেন! এখন আপনিও আমার মতো শুরু করে দিলেন?
-এটাই তো নিয়ম,যেমন কুকুর তেমন মুগুর।
-আমাকে কিছু বলতে দিন প্লিজ।
-কি বলবে তুমি? ফাজিল মেয়ে কোথাকার...
-আমি ফাজিল হলে আপনি অসভ্য। আপনি ঐভাবে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন কেন?
-তাকিয়ে থাকা কি অপরাধ? সুন্দর কিছু দেখলেই সবাই তাকায়,আমিও তাকিয়েছি। এইজন্য কাজী নজরুল ইসলাম বলে গেছেন, "তুমি সুন্দর তাই তাকিয়ে থাকি।"
আপনার ইচ্ছে হলে আপনিও আমার দিকে তাকিয়ে থাকতেন। আমি কি আপনাকে মানা করতাম?
-আজব! আমি কেন আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবো?
-তাহলে ঐরকম কেন করলেন?
-এইজন্যতো আপনার কাছে ক্ষমা চাইতে চাচ্ছি।
-ঠিক আছে, আপনি যখন নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন তাই আপনাকে ক্ষমা করে দিলাম।
-আপনার ধারণা ভুল। আমি নিজের ভুল নিজে বুঝিনি। বরং আপনাদের সাথে ফাজলামি করে বেশ মজা লাগছিল। ভেবেছিলাম আবার দেখা হলে আরো মজা করবো। কিন্তু আম্মু বললেন ক্ষমা চেতে তাই আপনার কাছে ক্ষমা চাইলাম।
কথা বলার মাঝেই মেয়েটি বাচ্চাদের মতো হেসে উঠে। রাহুল অবাক হয়ে সেই হাসি দেখে। আরো অবাক হয় মেয়েটির আচরণে। কত সহজ সরল ভাবে মেয়েটি মনের কথাটি প্রকাশ করলো।
-আপনার মা তো খুব ভালো মানুষ।
-হুম আম্মু খুব ভালো।
-আচ্ছা একটা প্রশ্ন করতে পারি?
-একটা প্রশ্ন করেই তো ফেলেছেন, ২য় টা কি করেন।
রাহুল হালকা হাসি দেয়। যেন লজ্জা পেয়ে গেলো।
-আপনার নাম কি জানতে পারি?
-আমার জেনে আপনার কাজ কি?
-অনেক কাজ আছে.....
কথাটি আনমনে বলে রাহুল।
-কিছু বললেন?
-না মানে আপনার সাথে আমার জীবনের সবচেয়ে মজার একটা ঘটনা ঘটলো। তাই নাম জেনে রাখলে ভালো হতো।
-আমার নাম অনামিকা।
-বাহ খুব সুন্দর নামতো।
-জানি, সবাই বলে আমার নাম খুব সুন্দর। আপনার নামের মতো বিদঘুটে না।
রাহুল অবাক হয়ে বলে,
-মানে!!!
-মানে রাহুল কোনো নাম হল?
-কেন? রাহুল নামটাও তো খুব সুন্দর একটি নাম।
-আপনার নাম আপনার কাছে সুন্দর হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমার কাছে নয়।
রাহুল দেখল নাম নিয়ে আর কথা বাড়ালে ঝগড়া হবে। তাই কথার টপিক চেঞ্জ করে বলে,
-আচ্ছা আপনি কত নাম্বার রুমে উঠেছেন? আর আপনার সাথে আর কে কে আছে?
-আমার মনে হয় না এগুলা আপনার জানার প্রয়োজন আছে।
-না.... মানে....
-আমজ এখন চলে যাবো...এইযে শুনেন.....
অনামিকা রাহুলের কথা না শুনেই চলে গেলো।
রুমে ফিরতেই অভির প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় রাহুলকে।
-কিরে কী কথা ওর সাথে?
-অনেক কিছুই...
রাহুলকে অনেক আনন্দিত দেখাচ্ছে। বলে যায় সে,
-আরে অনামিকা তো আমাদের সাথে মজা করছিল।
"ওর নাম অনামিকা!!"
মনে মনে কথাটি বলে অভি। ঘটনাটা সত্য নয় শুনে তার খুব আনন্দ হয়। সে ভাবে এবার তার পছন্দের কথা রাহুলকে জানাবে। কিন্তু রাহুলের পরের কথায় অভি পাথর হয়ে যায়। আর কোনো কথা বলতে পারে না।
-অভি, অনামিকার এই আচরণে আমি বিষণ রাগ করেছিলাম। কিন্তু এখন সে আমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর আমি তাকে ভালবেসে ফেলেছি....
>>>>>>>>>>>>|||<<<<<<<<<<<<<
রাতটা খুব ভালোভাবেই কেটেছে রাহুলের। জীবনের প্রথম প্রেম। সে প্রেমে পড়েছে মনে হলেই তার ঠোঁটের কোণে একটা অদ্ভুত হাসির রেখা ফোঁটে উঠে। মনের মধ্যে কেমন একটা অজানা অনুভূতি ছুঁয়ে যায়।
অন্যদিকে অভির মনটা খুব খারাপ। রাতে ঘুমও হয়নি ঠিকভাবে। সে বুঝতে পারে না তার সাথেই কেন এমন হল? জীবনে এই প্রথম কোনো মেয়েকে দেখে ভালবাসার ফিলিংস আসলো।কিন্তু এখন তার প্রিয় বন্ধু রহুলও তাকে ভালবেসে ফেলেছে।
এখন সে না পারবে মনের কথা জানাতে আর না পারবে ভালবাসা ভুলে সুখে থাকতে।
অভি একবার ভেবেছিল সে এখান থেকে আজি চলে যাবে। কিন্তু পরক্ষণেই ভাবলো এখন যদি রাহুলকে বলে সে চলে যাবে তাহলে রাহুল তাকে নানান প্রশ্ন করবে। হয়তো তার মনের কথাই বের করে ফেলবে। রাহুল খুব চালাক ছেলে, সে খুব সহজেই বুঝে যাবে। তারচে বরং যত কষ্টই হউক সেটা মনের মধ্যে রেখে এখানে থাকবে।
অভি ও রাহুল যখন রুমে থেকে বেরুলো তখন অনামিকা ও তার মা পিছন দিক থেকে আসছিলেন। অনামিকা ওদের দেখতে পেয়ে তার মাকে বলে,
-আম্মু ঐযে দেখো, এই ছেলে দুটিই।
-তাই নাকি! চল যাই।
-কেন?
-ওদের কাছে ক্ষমা চাইবি।
-আম্মু আমি ক্ষমা চেয়েছি তো। আবার কেন?
-আহা, চলতো...
এই বলে তিনি মেয়ের হাত ধরে একটু তাড়াতাড়ি হাঁটা শুরু করলেন। ওদের কাছে গিয়ে ডাকলেন,
-এইযে শুনো...
অভি ও রাহুল ফিরে তাকালো। রাহুল চমকে উঠলো। কারণ এই মহিলার সাথেই সে বাগানে কথা বলেছিল। এখন সে বুঝতে পারছে উনিই তার ভালবাসার মানুষ অনামিকার মা। রাহুল মুখে হাসি নিয়ে বলে,
-আরে আন্টি আপনি?-হাঁ..
-ভালো আছেন তো?
-হুম, তোমরা?
-জ্বী ভালোই।
-তুমি করে বলছি বলে কিছু মনে করছ না তো আবার? বয়সের দাবিতেই বলছি।
-এইসব কি বলেন আন্টি, আপনি আমাদের মায়ের বয়সী। তুমি করে বললেই শুনতে ভালো লাগবে। আপনি বললে অস্বাভাবিক লাগবে।
রাহুল যেন লজ্জা পেয়ে গেলো। একগাল হেসে নিয়ে বলেন আফরোজা চৌধুরী,
-আমার মেয়েটি কাল তোমাদের সাথে একটু দুষ্টুমি করে ফেলেছে। তাই এসেছি তোমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়াতে।
-অনামিকা তো অলরেডি আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে আর আমিও কিছু মনে করিনি।।
-আসলে ও খুব দুষ্টুমি করে। ছোটবেলা থেকেই এইরকম। একমাত্র সন্তান বলে আমি আর ওর বাবা কখনো তাকে শাসন করতে পারিনি। তাই যখন যা খুশি করে।
-আচ্ছা ঠিক আছে আন্টি,আমরা তাহলে যাই এখন।
-কোথায় যাবে?
-ঘুরতে বেরুবো। কোনো নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করিনি। দেখি কোনদিকে যাওয়া যায়।
-আমরাও তো ঘুরতে বের হচ্ছি। আমরা একসাথে যেতে পারি যদি তোমাদের কোনো আপত্তি না থাকে।
রাহুলের সাথে কথা বলে উনার রাহুলকে খুব পছন্দ হয়েছে। তাই ভাবলেন এখানে তদের পরিচিত কেউ নেই। অজানা অচেনা জায়গায় দুটো ছেলে সাথে থাকলে ভালো হয়। যদিও তাদের সাথে ড্রাইভার আছে। তারপরও থাকুক ওরা সাথে।
রাহুলও এমন সুযোগ হারালো না। ও মনে মনে খুব খুশি হয়েছে। তাদের সাথে ঘুরলে সে অনামিকাকে সারাক্ষণ দেখতে পাবে। এরচেয়ে আনন্দের ব্যাপার আর কি হতে পারে?
আফরোজা চৌধুরী মেয়েকে বললেন,
-অনামিকা চল, আমরা আজ একসাথে ঘুরবো।
অনামিকা এই কথায় চমকে উঠলো। আসলে এতক্ষণ আফরোজা চৌধুরী এবং রাহুলের মধ্যে যেসব কথাবার্তা হচ্ছিল তার কিছুই শুনেনি অনামিকা ও অভি। ওরা সেই কখন থেকেই একজন আরেকজনের চোখে চোখ রেখে হারিয়ে গিয়েছিল। ঠিক কতক্ষণ তারা এভাবে তাকিয়ে ছিল নিজেরাই জানে না। তাই অনামিকা তার মায়ের কথায় চমকে ওঠে। বোকার মতো বলে,
-কিছু বলছিলে আম্মু?
-সে কি! তুই শুনতে পাসনি? আজ আমরা সবাই একসাথে ঘুরবো।
-আমরা সবাই মানে!!
-মানে আমরা আর ওরা দুজন
-ওহ...
-চল এবার...
-হুম...
মাথা নেড়ে সম্মতি দিলো অনামিকা।
তারপর তারা সবাই হাঁটা ধরে। অনামিকাদের ড্রাইভার গাড়ী নিয়ে অপেক্ষায় ছিল। সবাই গিয়ে গাড়িতে ওঠলে ড্রাইভার গাড়ি ছেড়ে দেয়। আফরোজা চৌধুরী আবার আলাপ শুরু করে দেন।
-তোমাদের নামটা এখনো জানা হল না।
-আমার নাম রাহুল।
-তোমার নাম কি?
-অভি...
-তোমরা কি করো?
-আমরা এইবার HSC এক্সাম দিয়েছি। তাই রেজাল্টের আগে এখান থেকে ঘুরে যেতে এলাম।
(সবকথা রাহুল আর আফরোজা চৌধুরীই বলছেন)
-আমরাও একই কারণে এসেছি। অনামিকা পরীক্ষা শেষ হতেই বলল রাঙ্গামাটি দেখবে।
-আসলেই জায়গাটা খুব সুন্দর। ইচ্ছে করছে সারাজীবন এখানে থেকে যাই।
-তোমরা কোথা থেকে এসেছো? মানে তোমাদের বাড়ি কোথায়?
-আমাদের বাড়ি সিলেট সদর।
-আমরা ঢাকা থাকি।
কথা বলতে বলতে তিনি ব্যাগ থেকে একটা কার্ড বের করলেন। রাহুলের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন,
-এই নাও, এতে আমাদের বাসার ঠিকানা আছে। যদি কখনো ঢাকায় যাওয়া হয় তবে আমাদের বাসায় অবশ্যই যাবে।
রাহুল কার্ডটি নিয়ে পকেটে রেখে দিলো।
অনামিকা এতক্ষণ নিরব ছিল। হঠাৎ বলে উঠে,
-আচ্ছা আমরা ঝর্ণা দেখতে যাচ্ছি?
আফরোজা চৌধুরী বলেন,
-হাঁ, এইরকমই তো কথা ছিল।
-কিন্তু ঝর্ণার নাম কি এখনো জানি না আমি।
-তাইতো! আমিও জানিনা।
রাহুল খানিকক্ষণ মাথা চুলকে বলে,
-কারো কাছ থেকে জেনে আসলে হতো....
অভি মলিন হাসি দিয়ে বলে,
-আমরা খাগড়াছড়ির শুকনাছড়া ঝর্ণা দেখতে যাচ্ছি।
নাম শুনে অনামিকা হেসে ফেলে। হাসতে হাসতেই বলে,
-এ কেমন নাম!!! শুকনাছড়া? ঝর্ণা আবার শুকনা হয় নাকি? ঝর্ণাতে পানি না আসলে সেটা ঝর্ণা কেমনে হয়? এটার এই অদ্ভুত নামকরণ কেন?
-সেটাতো বলতে পারবো না। তবে এর আরেকটা নাম হচ্ছে হাজাছড়া ঝর্ণা। তাছাড়া সেখানকার স্থানীয়রা ডাকে 'চিত জুরানি থাংঝাং'।
-এ কেমন নাম? এইটা কেমন ভাষা? এই বাংলা কি?
-এটা ঐখানের আঞ্চলিক ভাষা। এর মানে হল 'মন প্রশান্তি ঝর্ণা'
এই পর্যায়ে রাহুল বলে,
-কিরে অভি!! তুই তো আর কখনো এখানে আসিসনি। তবে এতকিছু কি করে জানলি?
অভি ঠোঁটের কোণে হালকা হাসি রেখে বলে,
-তোমরা যখন গল্প করছিলে তখন আমি গোগল থেকে এই ঝর্ণা সম্পর্কে টুকটাক জেনে নিচ্ছিলাম.....
কিছুক্ষণ পর অনামিকা রাহুলকে উদ্দেশ্য করে বলে,
-আপনি গিটার নিয়ে ঘুরেন সবসময়?
-হাঁ, আমার আরেক বন্ধু।
-কতটুক বাজাতে পারেন?
-এই টুকটাক বাজানোর চেষ্টা করি আর কি।
-চেষ্টা করেন মানে?
-মানে নিজে নিজে যা পারি তাই বাজাই।
-তাহলে একটা গান করেন তো, দেখা যাক কেমন বাজান।
-ইয়ে.... মানে... এখন...?
-হাঁ...
-ও বলছে যখন গাওনা একটা গান। সমস্যা কি?
বললেন আফরোজা চৌধুরী। উনার সামনে গান করতে একটু সংকোচ কাজ করছ এখন উনি নিজে বলায় কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে গান শুরু করে রাহুল। বহু পুরাতন একটা গান।
♪♪♪ভালো আছি ভালো থেকো
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লেখো
দিও তোমার মালা খানি...
বাউলের ও মনটারে....
আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে
আছো তুমি হ্নদয় জুড়ে..................
গিটার খুব পছন্দ করে রাহুল। গিটা-পুরনো দিনের গান তোমরা তাহলে এখনো শুনো? এখনকার বেশিরভাগ ছেলেমেয়েরা কি সব রক্সস্টার টাইপের গান শুনে। কানের একেবারে বারটা বাজিয়ে দেয়।
রাহুল হেসে বলে,
-আমি সব ধরণের গান শুনি।
কথা বলতে বলতে এরিমধ্যে তারা গন্তব্য স্থানে পৌঁছে যায়। ড্রাইভার গাড়ি থামাতেই অনামিকা ঝর্ণার দিকে ছুটে যায়। তার মাও তাকে অনুসরণ করেন। আজ তাকে খুব খুশি খুশি দেখাচ্ছে। মেয়ের খুশি দেখে আফরোজা চৌধুরী নিজেও খুশি হন। রাহুল অভিকে শুধু "চল" বলে সেও চলে যায়। ড্রাইভার এতক্ষণ টানা ড্রাইভ করে ক্লান্ত। দূরে গিয়ে বসে বসে ফোনে কথা বলছে। হয়তো বা স্ত্রী-সন্তানের খোঁজ খবর নিচ্ছে।
অভি একটি দীর্ঘ শ্বাস ফেলে গাড়ী থেকে নামতে যাবে তখন দেখলো রাহুলের গিটারটা গাড়ীতে পড়ে আছে। যে অভি সারাটা রাস্তা বলতে গেলে নিরব ছিল সে এখন গিটার হাতে নিয়ে গিটারের সাথে কথা বলা শুরু করে দেয়।
"কি রে! বন্ধু ফেলে গেছে বলে মন খারাপ করছিস? তোর বন্ধু এখন সবকিছুই ভুলে যাবে। শুধু একজনকেই মনে রাখবে। তুই মন খারাপ করিস না। আমিতো আছিই তোর সাথে।"
(চলবে)................

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ