গতকাল সারারাত বাসার কেউ ঘুমাতে পারেনি, দুশ্চিন্তায়!
সকালে নাস্তার টেবিলে সবাই কেমন মনমরা হয়ে থেকেছে। ছোট খালা তো দুই টুকরা রুটি মুখে দিয়ে আর কিছু খেতে পারেননি! মা দেখলাম একটু পর পর শাড়ির আচলে চোখ মুছছেন।
নিরুপায় হয়ে বললাম, 'মা, এমন করছো কেন তোমরা? আমি কি সারাজীবনের জন্য যাচ্ছি নাকি?'
ছোট খালার বিচ্ছুটা অবশ্য বেশ ফুর্তিতে আছে। খালি বলছে, 'চক্কেট নিয়ে আসবা। অনেক অনেক চক্কেট!'
ছোট বোন চুমকিকে বললাম, 'কি রে? তোর কিছু লাগবে না?'
সে বললো, 'লাগবে ভাইয়া। তুমি সহী সালামতে ফিরে আসো!'
আমি বললাম, 'আল্লাহ ভরসা!'
নাস্তা শেষ করে বাবাকে সালাম করলাম। বাবা কি জানি একটি দোয়া পড়ে বুকে ফুঁ দিয়ে দিলেন। বললেন, 'ভয়ের কিছু নেই!'
এমন সময় ছোট খালা কই থেকে একটা পলিথিনের টুপলা এনে বললেন, 'এটা ব্যাগে রাখ বাবা। শুকনা চিঁড়া আর গুড় আছে। পথে খুব খিদে লাগলে খেয়ে নিস। বলা তো যায় না, কবে গিয়ে পৌঁছাস!'
চুমকি ফ্রিজ থেকে ১লিটারের একটা পানির বোতল বের করে দিলো। আমি ধমক দিয়ে বললাম, 'এতো বড় বোতল দিয়ে কি হবে? ছোট একটা দে!'
ঘড়ি দেখলাম। সাড়ে ৭টা বেজে গেছে। ৮টার মধ্যে স্টেশনে পৌঁছাতে হবে! বাসা থেকে বের হলাম। আমার পিছু পিছু একে একে বাসার সবাই বের হলো, হাজার মানা করার পরও শুনলো না! ১০মিনিট হাঁটার পরই সবাই স্টেশনে পৌঁছে গেলাম! একে একে সবার কাছ থেকে বিদায় নিলাম! মা তো জড়িয়ে ধরে কাঁদতেই থাকলেন! কোনমতে তাকে শান্ত করে লাফ দিয়ে বাসে উঠে পড়লাম!
মিরপুর ১২নম্বর বাস স্টেশন! অফিসের উদ্দেশ্যে মতিঝিল রওনা হচ্ছি.....
Collected
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ