āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2807

-- কি ব্যাপার, জড়িয়ে ধরলে কেন??
-- পড়ে যাব যে।
-- ঠিকমত বাইকে বসাটাও শিখলে না।
-- কি করব, তুমি খুব জোরে চালাও তো, ভয় লাগে।
.
খুব হাসি পাচ্ছে ওর কথাগুলো শুনে। স্পষ্ট বুঝতে পারছি এটা আমাকে জড়িয়ে ধরার একটা অজুহাত । আমারো যে খারাপ লাগছে তা নয়। বরং ইচ্ছে করছে এভাবেই ওকে পেছনে বসিয়ে বিস্তীর্ণ হাইওয়ে ধরে হারিয়ে যেতে। "এই পথ যদি না শেষ হয়" গানটা যিনিই লিখেন না কেন মনে হচ্ছে যেন আজকে আমার এই পরিস্থিতির কথা ভেবেই লিখেছিলেন।
.
সেতুর সাথে আমার ইন্টারমিডিয়েট থেকেই পরিচয়। এক ইয়ার জুনিয়র ছিল ও। আমি এখনো বুঝতে পারিনা ওর মত এত সুন্দরী একটা মেয়ে আমার মত কালো, অসুন্দর একটা ছেলেকে কি দেখে প্রপোজ করেছিল। কোমর ছাড়ানো লম্বা রেশমী চুল, চিকন ঠোঁট, নেশা ধরানো টানা দুটি চোখ, আর বাম চোখের নিচের ছোট্ট একটা তিলে এক কথায় অপরুপা সে। চাইলেই কলেজের সবচেয়ে সুন্দর ছেলেটার সাথে প্রেম করতে পারত । কিন্তু কেন যে ও আমাকে ভালবাসল সেটা আজো আমার কাছে রহস্য। আর আমিও ছিলাম চরম নির্বোধ। কোন এক মরীচিকার পেছনে ছুটে দিনের পর দিন সেতুর পবিত্র ভালবাসাটা এড়িয়ে চলেছিলাম। টানা ৫ টা বছর আমার জন্য অপেক্ষা করেছে মেয়েটা। নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবেসে গেছে আমার মত অযোগ্য একটা লোককে। আমি যখন অন্য কারো মুখে হাসি ফোঁটানোর ব্যর্থ চেষ্টা করতাম, তখনো সে আমার পাশে ছিল। আমার ব্যর্থতা, হতাশায় সাহস দিয়ে গেছে আমাকে।
.
ওর সততা, পবিত্রতা আর ধৈর্য্যের কাছে অবশেষে হার মেনেছি আমি। দীর্ঘ পাঁচটা বছর অপেক্ষার পর আমাকে কাছে পাওয়ায় সেতুর উচ্ছ্বাসটা ছিল দেখার মত । আমার হাত ধরে খুব কেঁদেছিল মেয়েটা। সত্যি খু্ব খারাপ লাগছিল তখন। এই মেয়েটাকে কেন যে ৫ টা বছর কষ্ট দিয়েছিলাম।
.
সম্পর্কের পর আজ দ্বিতীয়বারের মত দেখা করেছি আমরা। এই প্রথম সেতু আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। সে এক পবিত্র অনুভূতি। শহরের বাইরে হাইওয়ে ধরে ঘুরে বেড়ালাম আমরা। টুকটাক এটা ওটা খেলাম। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এতটা সময় যেন এক মুহূর্তে কেটে গেল। সেতুকে ছাড়তে একদম ইচ্ছে করছিল না, কিন্তু আমি নিরুপায়। ফেরার আগে সেতুর হাতে দুটো রোমান্টিক উপন্যাস ধরিয়ে দিলাম। ওর মতে বইপড়ুয়ার বউয়েরও নাকি পড়ুয়া হতে হয়। খুব হেসেছিলাম ওর কথাটা শুনে। তবে সত্যি বলতে ভালোও লেগেছিল অনেক। এর ফলই এদুটো বই। আপাতত রোমান্টিক দিয়ে শুরু করুক, পরে অন্যসব দেখা যাবে। বিকেলের দিকে ওকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে হোস্টেলে ফিরে এলাম।
.
সেতুকে বাসায় দিয়ে আসার পর থেকেই হালকা জ্বর জ্বর লাগছিল। রাতে জ্বরটা আরো বাড়ল। আর পরদিন সকালে মারাত্মক আকার নিল সেটা। আধবেলা পর্যন্ত বিছানায় পড়ে রইলাম। উঠার শক্তিটুকুও নেই। বাড়ির লোকদের কথা খুব মনে পড়ছিল তখন। এ সময় আম্মুর কাছে থাকলে সেবাযত্ন কাকে বলে উদাহরণসহ বুঝিয়ে দিত। অথচ এখানে সারাদিন বিছানায় পড়ে থাকলেও দেখার কেউ নেই। অবশ্য হোস্টেলে কারো কাছ থেকে সেবা পাওয়ার আশা করাটাও বাহুল্যতা। সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। চোখ বন্ধ করে পড়ে আছি বিছানায়। হঠাৎ কপালে শীতল একটা হাতের স্পর্শে চোখ খুললাম। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না আমি। মনে হল জ্বরের ঘোরে হয়তো ভুল দেখছি। নয়তো বয়েজ হোস্টেলে সেতু কোথা থেকে আসবে। কিন্তু ওর হাতের স্পর্শটা তো মিথ্যে নয়। আমার কপালে হাত দিয়ে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটা।
.
-- তুমি এখানে কি করে এলে??
-- তোমার বন্ধুকে ফোন করেছিলাম, ওই নিয়ে এসেছে।
-- এখানে আসাটা উচিত হয়নি তোমার।
-- চুপ কোন কথা নয়। উঠে বস।
.
বাধ্য ছেলের মত ওর কথা শুনলাম। একটা টিফিনবক্স থেকে আমার পছন্দের কিছু খাবার বের করল মেয়েটা। টেবিলে রাখতে রাখতে বলল-
.
-- নিজের হাতে রান্না করে এনেছি।
-- কেন শুধুশুধু করতে গেলে এসব?
-- কেন, করার মত আরো কেউ আছে নাকি?? যাই হোক,মাথাটা এদিকে দিয়ে শুয়ে পড়তো দেখি।
-- কি করবে??
-- মাথায় পানি দেব।
.
চুপচাপ একটা বালিশ নিয়ে চৌকির প্রস্থ বরাবর শুয়ে পড়লাম। সেতু একমনে পানি ঢালতে শুরু করল আমার মাথায়। একটা প্রশান্তি খেলা করছে আমার মনে। আমরা ছেলেরা একটুখানি ভালবাসার কাঙাল। একটু সেবা, একটু সহানুভূতি দিয়েই আমাদের বশ করা যায়। আমিও এখন সেতুর বশ। অসহায় আমি ওর সান্নিধ্য খুব বেশি চাইছি এখন। কিন্তু তবুও শেষ বারের মত ক্ষীণস্বরে বললাম--
.
-- এটা বয়েজ হোস্টেল সেতু, তোমার এখানে আসাটা উচিত হয়নি।
.
সেতু সাথে সাথে কিছু বলল না। একটু সময় নিল ।ঢালতে থাকা মগের পানিটা শেষ করে আরেক মগ পানি নিতে নিতে আমাকে চুপ করিয়ে দেয়া শেষ কথাটা বলল ও --
.
-- দুঃখের সময়ে যদি প্রিয় মানুষটার পাশে না দাঁড়াই তাহলে সুখের সময়ে কোন মুখে সেই মানুষটার সামনে এসে দাঁড়াব।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ