āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2318 (3)

_______অশরীরী প্রেম-৩_______
       _______পর্ব-৫_______

--হুমমম.....তবে এই শিহাবটা আমার শিহাব না। আগে ওর আত্মার সাথে আমার যে টান ছিল, এখন সেটা নেই। ও মনে হয় সত্যি বলছে। ও আসলেই শিহাব না। নইলে আমাদের কাউকে চিনছেনা কেন?
--তাহলে শিহাব কোথায়?
--এমন হতে পারে ওর দেহে অন্য কারো আত্মা আছে।
--তাহলে আব্বুর আত্মা কোথায় গেলো?" জিজ্ঞেস করল মিরাজ।
--জানিনা.....
--কিন্তু তোমার তো জানার কথা। যার কারণে তুমি আত্মহত্যা করেছিলে। তার আত্মার সব খবর তো তুমি জানবে।
--সেটাই তো আমি বুঝতেছিনা। শিহাবের ঐদিন মৃত্যু হওয়ার কথা, ও বাঁচল কিভাবে?  সে মারা গেছে,  হয়তো তার মৃত দেহে অন্য কারো আত্মা বাস করছে আর তার আত্মাটা কেউ তন্ত্র বিদ্যা প্রয়োগ করে নিয়ে গেছে। তবে আমি হাল ছাড়বনা, আমার সাথীকে সাথেই নিয়ে যাব আমি।" বলতে বলতে আবার অদৃশ্য হয়ে গেলো ইভা।


শিহাব বাসস্ট্যান্ড ধরে হাটতেছিল। তখন পাশ দিয়ে যাওয়া একটা লোককে থামিয়ে বলল: ভাই, বিপদে পড়েছি, আপনার মোবাইলটা দিবেন? আমার স্ত্রীকে একটা ফোন করব।"
শিহাবের ভদ্র চেহারা দেখে লোকটা নিজের মোবাইলটা এগিয়ে দিল শিহাবের দিকে। শিহাব মোবাইল নিয়ে একটা নাম্বারে কল করল। ওপাশ থেকে রিসিভ করতেই সে বলল: রিতু, আমি অনিক? কোথায় তুমি?"
রিতু খুশি হয়ে জবাব দিল: অনিক? আমি গাড়িতে। আমি তো ভাবতে পারিনি তুমি নিজেই আমার সাথে যোগাযোগ করবে...."
--মানে কি? আর আমি কক্সবাজার এলাম কি করে?"
--সব বলব, আমি আগে এসে পৌছি। আর কিছুক্ষণ পর পৌছব আমি। তুমি এখন কোন জায়গায় আছ?
--বাসস্ট্যান্ডে।
--আচ্ছা,  আমি তোমার সাথে বাসস্ট্যান্ডেই দেখা করব।"
--ঠিক আছে।
ফোন কেটে দিয়ে মোবাইলটা দিয়ে দিল শিহাব। তারপর একা একা বাসস্ট্যান্ডে ঘুরতে লাগল। তখন সে শুনল কেউ মেয়েলী  কণ্ঠে তার কানে কানে বলল:
--অনিক, তুমি ভয় পেয়োনা আমাকে। তোমার কোন ক্ষতি করবনা আমি। প্লিজ, আমার সাথে একটু কথা বল। খুব জরুরী।"
শিহাব বলল: ঠিক আছে, তুমি সামনে এসো।"
ইভা সামনে এল শিহাবের। তারপর লোকজনের আড়ালে বসে দুজন কথা বলতে লাগল।
ইভা বলল প্রথমে:- তুমি আসলে কে?"
--আমি অনিক, ঢাকায় থাকি। একটা প্রাইভেট ফার্মে কাজ করি।
--তুমি এখানে কি করে এলে জান?
--না, আমি কিছুই জানিনা।
--তুমি কি নিজের চেহারাটা দেখেছ?
--কেন? কি হয়েছে আমার চেহারায়?
--দেখতে চাও?
--হ্যা....
দাড়াও....
ইভা মুহূর্তের জন্য অদৃশ্য হয়ে গেল। তারপর একটা আয়না নিয়ে হাজির হলো। আয়নাটা শিহাবের সামনে ধরল সে। সাথে সাথে শিহাব জোরে চিৎকার করে উঠল।
--চিৎকার করলে কেন?" জিজ্ঞেস করল ইভা।
--এটা কে? এটা তো আমার চেহারা না।" ভয়ে ভয়ে বলল শিহাব।
--এটা শিহাবের চেহারা। এই দেহটা শিহাবের। কিন্তু আত্মাটা তোমার।
--এটা কিভাবে হলো?
--সেটা আমিও জানতে চাই। তুমি কি কিছুই জাননা?
--না...তবে আমার স্ত্রী রিতু হয়তো জানতে পারে।
--সে আসবে তোমাকে নিতে? কথা হয়েছে তার সাথে?
--হ্যা, এতক্ষণে তার এসে পৌছার কথা।
--চল খুঁজে দেখি।
--চল।
দু'জনে উঠে দাঁড়াল।  দেখল বাসস্ট্যান্ড পুরো খালি। কোথাও কেউ নেই। শুধুমাত্র কাউন্টারের লোকটাকে দেখা গেলো কাউন্টার বন্ধ করে চলে যাচ্ছে। শিহাব উনাকে জিজ্ঞেস করল: আর কি বাস আসবেনা?"
লোকটা জবাব দিল: সব বাস এসে গেছে। আর আসবেনা।
--আপনার মোবাইল একটু দেবেন, আমার স্ত্রীকে একটা কল করব।
লোকটা নিজের মোবাইল এগিয়ে দিল শিহাবের দিকে। শিহাব মোবাইলটা নিয়ে রিতুর নাম্বারে কল দিল। সাথে সাথে কিছুটা দূরে একটা ঝোপের কাছে বেজে উঠল একটা মোবাইল।  শিহাব ওখানে গিয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়ে চিনতে পারল। রিতুর মোবাইল এটা। তাহলে রিতু কই? কোন বিপদ হয়নি তো তার?
কাউন্টাররের লোকটা চলে যাওয়ার পর শিহাব তাকাল ইভার দিকে। তারপর বলল: ইভা, আমার স্ত্রীর হয়তো বিপদ, প্লিজ কিছু কর......
--রিতুকে এই মুহূর্তে আমারও প্রয়োজন। তাকে না পেলে আমি আমার শিহাবকে পাবনা। যেকোনভাবে রিতুকে উদ্ধার করতে হবে......" ইভার কণ্ঠটা তেজী শুনাল।
--অনিক, তুমি মোবাইলের কললিস্ট গুলো চেক করতো....' বলল ইভা।
শিহাব মোবাইলের কললিস্টগুলো চেক করে দেখল, শিহাব প্রথমে যার নাম্বার থেকে রিতুকে কল দিয়েছিল, সেই নাম্বারে রিতু আবার যোগাযোগ করেছিল, হয়তো তার খুঁজে।  লোকটা হয়তো রিতুকে মিথ্যে বলে ধরে নিয়ে গেছে। ৭ মিনিট আগে ওদের মধ্যে ফোনে কথা হয়,  তারমানে ওরা বেশিদূর যেতে পারেনি এখনও। আশেপাশেই আছে।
--অনিক, চল খুঁজি ওদের। ওদিকে চলে।"
ঝোপের পাশ দিয়ে তারপর ওরা সামনে এগোতে লাগল। কিছুদূর গিয়ে তারা  একটা উড়না পেল, রিতুর উড়না এটা। তারমানে এদিক দিয়েই ধরে নিয়ে গেছে তাকে।
দ্রুত পা চালাল ওরা। আরো  কিছুদূর গিয়ে খোঁজ পেল দুর্বৃত্তকারীদের। কয়েকজন মিলে রিতুর সম্ভ্রমহানির চেষ্টা করতেছে। ঐ লোকটাও আছে তাদের মধ্যে, যার মোবাইল দিয়ে শিহাব রিতুর সাথে যোগাযোগ করেছিল।
শিহাব এবং রিতুকে দেখে দুর্বৃত্তকারীরা  ঘিরে ফেলল তাদের। ইভাকে দেখে ভাবল তারা একটাট সাথে আরেকটা মেয়েকে বোনাস হিসেবে পেয়েছে তারা। শিহাব রিতুকে তুলার জন্য যেতে চাইল, তখন ওরা তাকে ধরে মারতে লাগল।
সময় এসেছে এবার ইভার আসল রুপটা দেখানোর। ওরা এগিয়ে আসতে আসতে লাগল ইভার দিকে। ভেবেছে তাকেও রিতুর সাথে উপভোগ করা যাবে। নির্ভয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ইভা। ওরা কাছে আসতেই ভয়ংকর রূপ ধারণ করল সে। পিছিয়ে যেতে লাগল তখন দুর্বৃত্তের দল। পালিয়ে যেতে চাইল ওরা। চোখের ইশারায় ইভা ওদের সবাই মাটি থেকে অনেক উপরে তুলে ফেলল। হাওয়ায় ভাসতে লাগল ওরা। আর চিৎকার করে বলতে লাগল: প্লিজ আমাদের ক্ষমা করে দাও।
ইভা ভয়ংকর কণ্ঠে জবাব দিল: নারীর ইজ্জত লুটকারীদের আমি ক্ষমা করিনা।"
তারপর ইভা নিজেও হাওয়ায় ভেসে ওদের একজন একজন করে সবাইকে বীভৎসভাবে খুন করে, লাশ গুলোকে কুকুর শেয়ালের খাবার বানাল।
তারপর ইভা ভয়ংকর রুপ ছেড়ে শিহাব আর রিতুর কাছে এল। রিতু ইভাকে কাছে আসতে দেখে প্রথমে ভয় পেয়েছিল। শিহাব তার ভয় দূর করল।
শিহাবকে দেখার আগে রিতু কল্পনাও করেনি অনিকের আতৃমা এমন একজন সুদর্শন মানুষের দেহে প্রবেশ করবে। এত সুদর্শন একটা মানুষের মৃত্যু হয়েছে রিতু ভাবতে পারেনি। ঐদিন যদি তান্ত্রিক অনিকের আত্মা শিহাবের দেহে না দিত, তাহলে এই সুন্দর দেহটা হয়তো এখন মাটির নিচে চলে যেত।
(চলবে.....??
লেখা:ShoheL Rana

_________অশরীরী প্রেম-৩__________
       ________পর্ব:-৬_________

রিতুর ভাবনার মধ্যে হঠাৎ বাধা দিল ইভা।
--রিতু, এসব কি করে হলো?" জিজ্ঞেস করল ইভা।
ভয়ে ভয়ে রিতু সব খুলে বলল ইভাকে।
শুনে শিহাব (অনিক) অবাক হয়ে গেলো। ইভা বলল: এইজন্যই আমি শিহাবের আত্মার খোঁজ জানিনা, কারণ সে আমার মতো অন্য একজনের কাছে। নইলে শিহাব যেখানে যেত, তার আত্মার খোঁজ আমি পেতাম। এখন ওর আত্মাকে আমার চাই। রিতু, তুমি ঐ তান্ত্রিকের সাথে আবার কথা বল। তান্ত্রিককে বলবে,  তার তন্ত্র বিদ্যা পৃরয়োগ করে আমাকে ঐ দুষ্ট আত্মার কাছে নিয়ে যেতে। তারপর আমি তোমার স্বামীকে নিয়ে যাব ওখানে, কারণ শিহাবের এই দেহটা প্রয়োজন ওখানে।
--ঠিক আছে। আমি তাহলে কালকেই ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দেব অনিককে নিয়ে।"
--নাহ, অনিক যাবেনা, তুমি একাই যাবে। আমি তোমার স্বামীকে তোমার কাছে ফিরিয়ে আনব। তুমি চিন্তা করোনা।"
--আচ্ছা"
সেই রাতে ওরা সাদিয়ার কাছেই থাকল। মিরাজকে দেখে ইভার শিহাবের কথা বেশি করে মনে পড়ল। এই বয়সে শিহাবও দেখতে ঠিক এরকম ছিল। ইভা মিরাজকে সেইরাতে অনেক আদর করল। ছোটবেলায় ওর মা মারিয়া যখন মারা যায়, তখন ইভা-ই ওর মা সেজে যেত। সে আজ কত বছর আগের কথা। মিরাজ এখন অনেক বড় হয়েছে। সবকিছু বুঝতে শিখেছে। জানে সে তার মা মারা গেছে। মানুষ আর অশরীরীর পার্থক্য বুঝে।
ইভা তাকে দুষ্টুমি করে জিজ্ঞেস করল: কয়টা মেয়ে পটায়ছ? দেখ আবার তোমার জন্যও কোন মেয়ে আত্মহত্যা করে বসবে আমার মতো।"
মিরাজ বলল: সে কোন প্রেম করেনা।
ইভা তাকে  উপদেশ দিল: যদি কখনো প্রেমে পড় কারো, তাহলে সত্যকারের ভালোবাসা পরখ করে নিও।"
--সত্যকারের ভালোবাসা কিভাবে বুঝব?"
--সত্যকারের ভালোবাসা মরতেও ভয় পায়না। এসো আজ তোমাকে আমি সেই ছোটবেলার মতো করে ঘুম পাড়িয়ে দেব।
--ওকে।" মিরাজ চোখ বুজল। ইভা তার মাথায় হাত বুলাতে লাগল। একসময় ঘুমিয়ে পড়ল মিরাজ।
পরদিন রিতু চলে এল ঢাকায়। পৌছতে পৌছতে রাত হয়ে গেলো। তারপর সেই তান্ত্রিকের বাসায় গেলো। তান্ত্রিক মশায় তাকে দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল: কি ব্যাপার রিতু, তুমি একা কেন? তোমার স্বামীকে পাওনি?"
--পেয়ছি। কিন্তু আমি ঐ অনিককে চাইনা, তাকে যদি আমি চাই,  তাহলে একটা আত্মা যুগ যুগ ধরে কষ্ট পাবে। শিহাব আর ইভার প্রেম কাহিনী (অশরীরী প্রেম-১ ও অশরীরী প্রেম-২)  আমি শুনেছি। শুনার পর আমি সারারাত কেঁদেছি। কি করে একটা মেয়ে একটা ছেলেকে এতো বেশি ভালোবাসতে পারে? শিহাবের আত্মার সাথে ইভাকে আপনি মিলিয়ে দিন প্লিজ। ওর ভালোবাসা দেখে আমাদের অনেককিছু শেখার আছে। সে বলেছে, আমার অনিককে সে আমার কাছে ফিরিয়ে আনবে। একবার অনিককে আমি ফিরে পেলে, আর হারাতে দেবনা, অনেক ভালোবাসা দেব তাকে।" কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলল রিতু।
--এখন আমাকে কি করতে বলছ তুমি?" জিজ্ঞেস করল তান্ত্রিক।
রিতু বলল: ইভা বলেছে আপনি তাকে আপনার তন্ত্র বিদ্যা প্রয়োগ করে ঐ দুষ্ট আত্মার ঠিকানায় নিয়ে যান। তারপর যা করার সে করবে।
--ঠিক আছে।"
তান্ত্রিক আবার বসলেন আগুন আর পানি নিয়ে। অদ্ভুত ধরণের মন্ত্র পড়তে পড়তে পানির ছিটাতে লাগলেন আগুণে। তারপর অনেক্ষণ নিরবে মন্ত্র পড়ে উঠে  দাঁড়ালেন তিনি। রিতুর দিকে তাকিয়ে বললেন: যাও, তোমার কাজ হয়ে গেছে।"
তান্ত্রিক এর কথা শুনে রিতু খুশিতে চোখে জল নিয়ে হেসে উঠল।


_______অত্মার জগৎ________
আত্মার জগতে শিহাব (অনিক) পা রাখল ইভার সাথে। ভয়ংকর এক অনুভূতি হতে লাগল তার মাঝে। সে দেখল আশেপাশে অনেক আত্মা। এরা সবাই হয়তো অস্বাভাবিকভাবে মরেছে। কেউ হয়তো বিষ খেয়ে,  কেউ হয়তো ফাঁসি খেয়ে। আবার কেউ হয়তো খুন হয়েছে। যারা খুন হয়েছে তাদের আত্মাগুলো পৃথিবীর মানুষগুলোকে দেখতে পারেনা। তাই শিহাব রূপী অনিককে দেখে তারা রাগে ফুলতে লাগল। কিন্তু কিছু করার সাহস পেলনা। কারণ তার সাথে আছে ইভা। ভালোবাসার কারণে যারা আত্মহত্যা করে এখানে তাদের শক্তি বেশি। তাই ইভাকে দেখে ওরা কিছু করার সাহস পেলনা।
তবুও কয়েকটা আত্মা মানুষের গন্ধ পেয়ে শিহাবের দিকে ছুটে এল আক্রমণ করতে। ইভা তখন ভয়ংকর রূপ নিয়ে মোকাবেলা করল তাদের সাথে। জয়ী অবশ্য সে-ই হয়েছে। এরপর আর কোন আত্মা  সাহস পাইনি কিছু করার।
ইভা শিহাবকে নিয়ে খুঁজতে লাগল সেই দুষ্ট আত্মাকে। খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ শিহাব (অনিক) চিৎকার করে উঠল: ইভা, ঐ তো আমার দেহ, আর পাশে যে আছে ও নীলা।"
শিহাবের দৃষ্টি অনুসরণ করে তাকাল ইভা। দেখল একটা লোকের পাশে একটা মেয়ের আত্মা দাঁড়িয়ে আছে। ঐ লোকের দেহেই আছে শিহাবের আত্মা। ইভা ওদের দিকে এগিয়ে যেতে লাগল......
(চলবে......??
লেখা:ShoheL Rana

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ