āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2318 (2)

________অশরীরী প্রেম-৩________
      ________পর্ব-৩_________

শিহাবের কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেল সাদিয়া। মিরাজ শিহাবের বাহুধরে নাড়া দিয়ে বলল:
--বাবা, কি হয়েছে তোমার? এসব কি বলছ?"
--বাবা? কে তোমার বাবা?  আমার এতবড় ছেলে একটা কবে হলো? আমার তো কোন  সন্তান নেই। ছাড় আমাকে। কি হচ্ছে এসব আমার সাথে?" শিহাবের গলার আওয়াজ তীক্ষ্ণ শুনাল।
মিরাজ তার বাবার বাহু ছেড়ে দিল। অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল তার বাবার চলে যাওয়ার দিকে। সাদিয়া গিয়ে শিহাবের পথ আটকাল। তারপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করল:   ডাক্তার ও এরকম করতেছে কেন? কি হয়েছে ওর?"
ডাক্তার জবাব দিল: দেখুন, উনি সম্পূর্ণ ঠিক আছেন, উনার মধ্যে কোন সমস্যা নেই। উনার স্মৃতিশক্তিও নষ্ট হয়নি। তবুও কেন যে উনি এরকম করতেছেন বুঝতেছিনা।"
সাদিয়া কি করবে বুঝতেছেনা। এখন যা করার ইভা করবে। দৌড়ে গেল সাদিয়া কেবিনে। মিরাজও গেল পিছু পিছু। জানালার দিকে তাকিয়ে কোথাও ইভাকে দেখতে পেলনা। ইভাকে ডাকল তারা কিছুক্ষণ। কিন্তু ইভা এলনা। তারপর আবার কেবিন থেকে বের হয়ে এল তারা। চমকে উঠল দু'জন। শিহাব গেল কোথায়?
একটা লোকের কাছ থেকে জানতে পারল শিহাব বেরিয়ে গেছে হাসপাতাল থেকে।
এই বৃষ্টির মধ্যে সে কোথায় গেল? সাদিয়া মিরাজকে নিয়ে ভিজতে ভিজতে বের হল শিহাবকে খুঁজতে। কিন্তু কোথাও খুঁজে পেলনা। ঠিক তখনই তাদের সামনে এল ইভা।
সাদিয়া কেঁদে কেঁদে বলল: ইভা, শিহাব আমাদের কাউকে চিনতে পারছেনা।  কোথায় যেন চলে গেছে সে আমাদের ছেড়ে।"
সাদিয়াকে সান্ত্বনা দিয়ে ইভা বলল: সাদিয়া, তুমি মিরাজকে নিয়ে বাসায় ফিরে যাও। আমি দেখছি বাকিটা......"
সাদিয়া মিরাজকে নিয়ে চলে যেতে লাগল। ইভাও অদৃশ্য হয়ে গেল তখন।


বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে হাটছে শিহাব। কোথায় যাচ্ছে সে নিজেও জানেনা। পথঘাট তার অচেনা। তার উপর অন্ধকার। বৃষ্টিটাও থামছেনা। হাসপাতালে আরো কিছুক্ষণ থাকলে ভালো হতো। কিন্তু ওরা মা ছেলে যা শুরু করেছিল, তারচেয়ে বৃষ্টিতে ভেজা অনেক ভালো। পাগল মনে হয় ওরা। একজন বলছে শিহাব, আরেকজন বলছে বাবা। কে শিহাব? কে বাবা? ধুর! আর কিছুক্ষণ থাকলে ওরা তাকেও পাগল করে দিত।
কিন্তু এতরাতে সে এখন কোথায় যাবে? এখন কয়টা বাজছে কে জানে। হাতে ঘড়ি আছে, কিন্তু অন্ধকারের জন্য টাইমটা দেখা সম্ভব হচ্ছেনা। মোবাইলটাও কোথায় গেছে কে জানে। পকেটেই তো ছিল। আর সবচেয়ে বড় কথা সে এখানে এল কি করে?  মাথায় কিছুই ঢুকছেনা তার।
হঠাৎ পেছন থেকে একটা নারী কণ্ঠ শুনা গেল:
--শিহাব....."
এত রাতে আবার কে তাকে শিহাব বলে ডাক দিল এই বৃষ্টির মধ্যে? শিহাব পেছনে ঘুরে তাকালো। অন্ধকারে কিছুই দেখতে পেলনা। কিন্তু অনুভব করল কেউ যেন তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কান্না শুরু করে দিছে। হঠাৎ এই আলিঙ্গনে শিহাব ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল।
--আরে আরে আরে, কে আপনি?  ছাড়ুন বলছি......" মেয়েটার আলিঙ্গন থেকে শিহাব ছাড়াতে চেষ্টা করল নিজেকে।
মেয়েটা আরো শক্ত করে শিহাবকে জড়িয়ে ধরে বলল: আমার স্পর্শ পেয়েও বুঝলেনা আমি কে? আমি ইভা.... তোমার ইভা।"
--দেখুন আপনি ভুল করছেন। আমি শিহাব না, আমি অনিক। আর কোন ইভা/টিভাকে আমি চিনিনা।
--হোয়াট! শিহাব তোমার কি হয়েছে? এরকম করতেছ কেন?
--কে শিহাব? ছাড়ুন আমাকে।" বলেই শিহাব ইভাকে ধাক্কা দিল। কিছুটা দূরে  আলো দেখা যাচ্ছিল। শিহাব সেদিকে হাটতে লাগল। পিছু পিছু কারো আসার শব্দ না পেয়ে সে খুশি হলো। কিছুক্ষণ হাটার পর সে   একটা  যাত্রীছাউনিতে এসে পৌছল। আশেপাশে তাকাল সে। নাহ, মেয়েটা আসেনি পিছুপিছু। যাক, বাঁচা গেল। গায়ের পানিগুলো ঝেড়ে যখন সে বসতে যাবে, তখন সে দেখল আগে থেকেই একটা মেয়ে বসে আছে তার পাশে। অন্ধকারে তখন চেহারা দেখতে না পেলেও এখন দেখল, বড় রূপসী মেয়ে। বয়সে তার চেয়ে অনেক ছোট হবে। 
--তুমি? কখন এলে?" অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল শিহাব।
--মাত্র এলাম।" ইভা জবাব দিল।
--কিন্তু আমার কাছে কি চাও তুমি?"
--কি চাই জাননা? ভালোবাসা.....
--দেখ, তোমার ভুল হচ্ছে, আমি শিহাব না। আর আমি যদি শিহাব হয়েও থাকি, বাবার বয়সী একটা মানুষের ভালোবাসা চাইতে তোমার লজ্জা করেনা?"
--আমি তো অশরীরী, আমার তো বয়স বাড়েনা।
--কি বললা তুমি? অশরীরী?
--হ্যা, অশরীরী।
--মানে তুমি ভূত?" ভয় পেয়ে শিহাব জোরে চিৎকার করে উঠল। সাথে সাথে অদৃশ্য হয়ে গেল ইভা।
শিহাব দেখল তার পাশে কেউ নেই। তবুও তার ভয় কাটেনি। এতক্ষণ সে একটা ভূতের সাথে কথা বলেছে? আল্লাহ,  সারারাত সে এখন কীভাবে কাটাবে?
তখন অদৃশ্য কেউ তার কানেকানে বলল:
--শিহাব, আমাকে তুমি ভয় পাচ্ছ? আগে তো এমন ছিলেনা।"
--প্লিজ, চলে যাও তুমি। আমি শিহাব না সত্যি। আমি অনিক।" বলার সময় শিহাবের গলা কেঁপে উঠল।
--আচ্ছা,  আমি তোমার সামনে আসবনা। তবে তোমাকে ছেড়েও যাবনা....." কোমলকণ্ঠে বলল ইভা......
(চলবে.....??
লেখা:ShoheL Rana

_________অশরীরী প্রেম-৩_________
       ________পর্ব-৪_________

ইভা অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পর শিহাব সেখানেই শুয়ে পড়ল। বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে একসময় ঘুমিয়ে পড়ল সে। তখন ইভা আসল আবার। শিহাবের বুকে শুইল সে। সেই রাতগুলোর কথা মনে পড়ে গেল তার। একটা সময় ছিল, শিহাবের এই বুকটা প্রতিরাতে তাকে আগলে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকত। সারারাত ইভা তার বুকে শুয়ে প্রেম করত। শেষরাতে শিহাব তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ত। সেই রাতগুলোর কথা মনে পড়লে এখন কেবল কান্না পায় তার।
শিহাবের বুকে শুয়ে তার ঘুমন্ত চেহারাটা দেখতে লাগল ইভা। মুখে হাত বুলিয়ে,  তার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট আলতো করে স্পর্শ করল। তারপর বাকি রাতটা কাটিয়ে দিল শিহাবকে জড়িয়ে ধরে। ভোর হওয়ার আগেই সে অদৃশ্য হয়ে গেল।
ভোরের আলো চোখে পড়তেই ঘুম ভাঙল শিহাবের।  চোখ খুলেই দেখল বৃষ্টি থেমে গেছে। সময় দেখার জন্য ঘড়ির দিকে চোখ যেতেই সে চমকে উঠল। আরে এটা তো তার ঘড়ি না।  আর এই জামা পোশাক এগুলো কার?  এগুলোও তো তার না, তার শরীরে কি করে এল? রিতু কোথায় গেল? সে থাকলে সবকিছু জানা যেত। কি মেয়েরে বাবা! স্বামীর কোন খোজ রাখেনা।
পেটে ক্ষিদে অনুভব করতেই শিহাব উঠে দাঁড়াল।  কিন্তু এখন সে খাবার কোথায় পাবে? পকেটে হাত দিয়ে দেখল কোন টাকা নেই সেখানে। খুঁজে খুঁজে একটা খাবার হোটেল বের করল। তারপর সেখানে  গিয়ে নিজের সমস্যার কথা বলে বলল: ভাই কিছু খেতে দিবেন?  পকেটে টাকা নেই।"
হোটেল মালিক শিহাবের ভদ্র চেহারা দেখে তার সমস্যা উপলব্ধি করতে পারল। তারপর ভেতরে ডেকে শিহাবকে পেটভরে খেতে দিল। হোটেল মালিক থেকেই সে জানতে পারল, জায়গার নাম কক্সবাজার।
খাওয়ার পর শিহাব বের হয়ে এদিক ওদিক ঘুরতে লাগল। অপরিচিত জায়গা। কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে সে নিজেও জানেনা। একসময় হাটতে হাটতে সে সমুদ্র সৈকতে এসে হাজির হলো। অনেক্ষণ সৈকতের বালুচরে হেটে নিজের মনটা শান্ত করল। তারপর আবার অপরিচিত রাস্তা ধরে হাটতে লাগল। লোকজনের কাছে জানতে চাইল ঢাকার বাস কোথায় পাওয়া যাবে। ওরা যেদিকে দেখায় দিল শিহাব সেদিকে হাটা শুরু করল। অনেক্ষণ হাটার পর শিহাব একটা বাসস্ট্যান্ডে এসে হাজির হলো। কিন্তু  টাকা ছাড়া কেউ তাকে গাড়িতে তুলতে রাজি হলনা। 
অনেকগুলো গাড়ি চলে গেল একটার পর একটা। কোন গাড়ি তাকে তুললনা। সন্ধ্যার পর যখন অন্ধকার নেমে আসল, সে একটা বাসে উঠে বসল। এমন ভাব করল যেন পকেটে অনেক টাকা আছে তার।
একটু পর ড্রাইভার গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিল। কিন্তু গাড়ি কোনমতেই সামনে নিয়ে যেতে পারলেননা। গাড়িতে তো কোন সমস্যা নেই। তাহলে চলতেছেনা কেন? অবাক হলেন ড্রাইভার। গাড়ির সবকিছু চেক করলেন আবার। না, কোন ত্রুটি নেই। গাড়ি আবারও স্টার্ট দিলেন তিনি। কিন্তু ব্যর্থ হলেন। তখন একটা হুজুর ধরণের লোক উঠে বললেন: গাড়িতে এমন একটা লোক উঠেছে, যার কারণে গাড়ি চলতেছেনা।  সে নেমে গেলেই গাড়ি চলবে।

--কে সেই লোক?" জিজ্ঞেস করল ড্রাইভার।
হুজুর লোকটা শিহাবের দিকে ইশারা করে দেখিয়ে দিল। তখন সবাই শিহাবকে ধরে নামিয়ে দিল গাড়ি থেকে।
তখন শিহাবের চোখের সামনে দিয়ে চলে গেল গাড়িটা। শিহাব আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে রইল সেদিকে। যাহ বাবা! এটা কি হল? তার কারণেই নাকি এতক্ষণ আটকে ছিল গাড়িটা। কি করেছে সে?
আরেকটা গাড়িতে উঠল শিহাব চুপিচুপি।  সেটারও একই অবস্থা।  তখন ড্রাইভার শিহাবকে দেখল। একটু আগে তার জন্য আগের গাড়িটা একই জায়গা থেকে নড়তে পারেনি তা এই ড্রাইভার দেখেছে। তাই সে সবাইকে বলল: এই লোকটা অপয়া, যে গাড়িতে উঠে, সেই গাড়ি চলেনা।" 
তখন সবাই মিলে মারতে মারতে নামিয়ে দিল শিহাবকে। মার খেয়ে শিহাব রাস্তায় পড়ে রইল। গাড়ি ছেড়ে দিল ড্রাইভার। কিছুক্ষণ চলার পর গাড়ি রাস্তা থেকে উপরের দিকে উঠতে লাগল ধীরে ধীরে। হাওয়ায় ভাসতে লাগল গাড়ি। ভাসতে ভাসতে সমুদ্রের দিকে যাচ্ছে। সবাই ভয় পেয়ে গেল। গাড়ির হেলপারের চোখ হঠাৎ বাসের উপর যেতেই চমকে উঠল সে।
ভয়ে চিৎকার করে উঠে বলল: একটা মেয়ে গাড়িটাকে হাওয়ায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।"  গাড়ির ভেতর সবাই ভয়ে কাঁপতে লাগল। কেউ কেউ কালেমা পড়া শুরু করে দিল। একসময় গাড়িটা হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে সমুদ্রের মাঝখানে চলে এল। মেয়েটা গাড়িটাকে ছেড়ে দিলেই সমুদ্রের গভীরে তলিয়ে যাবে গাড়িটা। আর সাথে সাথে গাড়িভর্তি মানুষগুলোও হারিয়ে যাবে চিরতরে.........

গাড়ির ভেতরে চিৎকার বেড়ে গেল। গাড়ি ধীরে ধীরে  উপর থেকে নিচে নামতে লাগল। তখন ভেতর থেকে সবাই বলতে লাগল:
--কে তুমি? প্লিজ আমাদের মেরনা......
মেয়েটা বলল: মারবনা, তবে যে ছেলেটাকে অপয়া বলে সবাই মিলে মেরেছ, তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
--ঠিক আছে ক্ষমা চাইব। গাড়িটা নিয়ে যাও তার কাছে।"
তখন গাড়িটা আবার হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে শিহাবের কাছে চলে এল। মেয়েটা অদৃশ্য হয়ে গেলো। গাড়ি থেকে সবাই নেমে  শিহাবের কাছে গেল। সবাই ক্ষমা চাইল তার কাছে। শিহাব বলল: ঠিক আছে, ক্ষমা করব, তবে আমাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে হবে।"
রাজি হলো ড্রাইভার। শিহাব গাড়িতে উঠল। কিন্তু গাড়ি আগের মতো এক ইঞ্চিও নড়লনা। তখন সবাই শিহাবের কাছে মাফ চেয়ে বলল: ভাই, আপনি দয়া করে নামুন। দেখতেই তো পাচ্ছেন, আপনি থাকলে গাড়ি একটুও চলেনা।"
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে শিহাব নেমে পড়ল গাড়ি থেকে।  তারপর খাবারের খুঁজে হাটতে লাগল। তখন অদৃশ্য কেউ তার কানে কানে বলল: শিহাব, এখানে তোমার সন্তান আছে, সাদিয়া আছে, ওদের ছেড়ে তুমি চলে যেতে চাইছ? আমি তোমাকে যেতে দেবনা।"
শিহাব কানে হাত চেপে ধরল। তখন দেখল তার সামনে খাবার ভাসতেছে হাওয়ায়। সে খিদের জালায় সব খেয়ে ফেলল। খাওয়ার পর ভাবতে লাগল: কে এই অশরীরী?  কেন তার পিছু নিয়েছে। মেয়েটা অশরীরী হলেও তার কোন ক্ষতি করেনা। বরং উপকার করছে। তার সাথে বন্ধুত্ব করা যেতে পারে। জানতে হবে সে কে। কি চাই তার কাছে। শিহাব তখন ইভার উদ্দেশ্যে ডাক দিল:
--কই আপনি? আছেন? থাকলে সামনে আসুন......"
কিন্তু ইভার কোন সাড়া পাওয়া গেলোনা।
ইভা তখন সাদিয়া আর মিরাজের কাছে এসেছে। ইভাকে দেখে সাদিয়া জিজ্ঞেস করল: ইভা, শিহাবের কোন খোঁজ পেলে?
(চলবে......??
লেখা:Shohel Rana

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ