āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2318 (1)

_______অশরীরী প্রেম-৩________
    ________পর্ব-১________

(গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক )
________দেহ ও আত্মা_______
রাত প্রায় একটা বাজে তখন।     প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে। মাঝেমাঝে বিজলির আলোতে দাঁড়িয়ে থাকা গাছপালা গুলো দেখা যায় শুধু। এই বৃষ্টির মধ্যে এক মহিলা ভিজতে ভিজতে দৌড়ে যাচ্ছে। মাঝেমাঝে হোচট খেয়ে পড়তেছে, কিন্তু তা পরোয়া না করে আবার উঠে দৌড়াচ্ছে সে।
একটা বাসায় এসে দরজা ধাক্কাতে লাগল সে।
--তান্ত্রিক মশায়! তান্ত্রিক মশায়!" বলে চিৎকার করে ডাকল কিছুক্ষণ।  একটু পর একটা অদ্ভুত ধরণের লোক দরজা খুলে দিল। মাথাভর্তি লম্বা চুল, পরণে তার ধুতি, আর গলায় একটা গামছা। হাতে একটা হারিকেনের বাতি।
--কি হয়েছে রিতু? এত রাতে কোন সমস্যা?" তান্ত্রিক মশায় জিজ্ঞেস করলেন।
--হ্যা তান্ত্রিক মশায়, অনেক বড় সমস্যা।  অনিককে আটকে রাখা যাচ্ছেনা, সব দড়ি ছিড়ে ফেলতেছে। আর তার দেহটা কিছুক্ষণ পর পর ফুলে উঠতেছে।"
--চল তাড়াতাড়ি,  দাড়াও একটা ছাতা নিয়ে আসি। এভাবে ভিজলে তোমার অসুখ করবে।
--আমার অসুখ নিয়ে আমি ভাবিনা, আমার স্বামীকে আপনি ভালো করে তুলুন প্লিজ।"
তান্ত্রিক মশায় ভেতর থেকে দুইটা ছাতা নিয়ে এলেন। একটা রিতুর দিকে এগিয়ে দিলেন, আরেকটা নিজে নিয়ে বের হলেন।
ঝড়বৃষ্টির বেগ আরো বেড়ে গেলো। দু'জনে দ্রুতবেগে পা চালাতে লাগল।
১৫ মিনিটের মধ্যে ওরা পৌছল বাসায়। ভেতর থেকে অনিকের আর্তনাদ শুনা গেলো। প্রচন্ড বজ্রপাতের শব্দের ভেতরও তার গর্জনটা আলাদাভাবে শুনা যাচ্ছে। তাকে যে ঘরে আটকে রাখা হয়েছে সেই ঘরে আসল রিতু আর তান্ত্রিক। ওরা দেখল অনিকের বাধন আরেকটু মাত্র বাকি আছে ছিড়তে।
--সর্বনাশ রিতু,, তাড়াতাড়ি রশি নিয়ে আস, এই বাধনটা ছিড়ে গেলে তুমি তোমার স্বামীকে চিরতরে হারাবে।" তান্ত্রিক মশায় চমকে উঠে বললেন।
--না, না, আমি রশির ব্যবস্থা করছি, আমি ওকে হারাতে চাইনা।" বলতে বলতে রিতু তাড়াহুড়া করে বের হয়ে গেল রুম থেকে। কিছুক্ষণ পর ফিরে আসল মোটা একটা রশি নিয়ে। দুজনে ধরে অনিককে আবার বিছানার সাথে বাধল রশি দিয়ে। অনিকের আর্তনাদ কয়েকবার প্রতিধ্বনি তুলল রুমে।
রিতু তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগল। তান্ত্রিক মশায় তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে লাগলেন:
--রিতু, তোমার স্বামীর উপর এক দুষ্ট আত্মার নজর পড়েছে। সে তোমার স্বামীকে তার কাছে নিয়ে যেতে চাই।"
--কিন্তু কেন? আমার স্বামী কি দোষ করল?"
--বেঁচে থাকতে মেয়েটার সাথে প্রেম করে ধোকা দিয়েছে তোমার স্বামী,  যার কারণে মেয়েটা আত্মহত্যা করে। এখন তার আত্মা তোমার স্বামীকে যেকোনভাবে তার কাছে নিয়ে যাবে। এই রশিটাও বেশিক্ষণ থাকবেনা, ছিড়ে ফেলবে, কারণ তোমার স্বামীর ভেতর এখন অশরীরী শক্তি বিরাজ করছে। যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে। নইলে.....
--না তান্ত্রিক মশায়, আপনি কোন একটা ব্যবস্থা করুন।
--একটা উপায় অবশ্য আছে।
--কি সেটা??
--ঐ আত্মার কাছে তোমার স্বামীর বদলে অন্য কাউকে পাঠাতে হবে, যার জীবন ঠিক তোমার স্বামীর মতো,, যার কারণে কোন মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আর অবশ্যই ঐ মানুষটাকে মৃত্যুপথযাত্রী হতে হবে। অর্থাৎ এমন মানুষ হতে হবে যার মৃত্যু খুব নিকটে।
--কিন্তু এরকম কাউকে এখন পাবেন কোথায়? আর পেলেও তার মৃত্যু যে খুব নিকটে তা বুঝব কিভাবে?"
--সেটা নিয়ে তোমাকে চিন্তা করতে হবেনা। আমি আমার তন্ত্র বিদ্যা প্রয়োগ করে এরকম একজনকে খুঁজে নেব। কিন্তু তারপরেও একটা সমস্যা.....
--কি সমস্যা তান্ত্রিক মশায়?
--তুমি তোমার স্বামীর দেহ ও আত্মা দুইটা একসাথে ফিরে পাবেনা। যেকোনো একটা পাবে। এখন তুমি বল, দেহ চাও নাকি আত্মা চাও?
--মানে বুঝলাম না।
--মানে তুমি যদি তোমার স্বামীর আত্মা চাও, তাহলে দেহ পাবে অন্য জনের, যাকে ঐ দুষ্ট আত্মার কাছে পাঠাব। আর দেহ চাইলে আত্মা পাবে অন্যজনের। একজনের দেহে অন্যজনের আত্মা থাকবে। বল এখন তুমি কোনটা চাও?
--দেহ দিয়ে কি হবে? আত্মা দিয়েই তো আমার স্বামী আমাকে চিনবে। আমি আমার স্বামীর আত্মাটাকে চাই।"
--বড় বুদ্ধিমতী মেয়ে তুমি। বেশ আমি তাহলে কাজ শুরু করে দিই। যাও তুমি একটা কাঠে আগুন ধরিয়ে নিয়ে আস আর সাথে একবাটি পানি....."
তান্ত্রিকের কথা শেষ না হতেই রিতু দৌড় দিল আগুন আর পানি আনতে।
একটুপর আগুন আর পানি নিয়ে হাজির হলো রিতু। তান্ত্রিক মশায় আগুনটা সামনে রেখে পানির বাটিটা পাশে রেখে বসল। গামছাটা পাগড়ির মতো করে বাধল মাথায়। তারপর কি যেন মন্ত্র পড়ে আগুনে পানি ছিটাতে লাগল। আর ধীরে ধীরে অনিকের গর্জন কমতে লাগল। একসময় নিস্তেজ হয়ে গেল অনিক।
রিতু ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করল: তান্ত্রিক মশায়, কি হলো ওর?"
তান্ত্রিক জবাব দিলেন:
--কিছুই হয়নি। ওর দেহে এখন আরেকজনের আত্মা প্রবেশ করতেছে। কিছুক্ষণ পর ও আর তোমার স্বামী থাকবেনা। ওকে নিয়ে যাবে ঐ দুষ্ট আত্মা। আর তোমার স্বামীর আত্মা এমন একজনের শরীরে প্রবেশ করবে যে অনেক বছর ধরে বিরহ জালায় ভুগতেছে। যে প্রতিনিয়তই মরতে চাই।
--কিন্তু ওকে আমি কোথায় খুঁজে পাব? আর সে কি আমায় চিনতে পারবে?"
--তার নাম শিহাব, সে কক্সবাজার শহরে থাকে। কিন্তু তোমার স্বামীর আত্মা তার শরীরে প্রবেশ করার পর সে আর শিহাব থাকবেনা। দেহকে নিয়ন্ত্রণ করে আত্মা। তাই দেহটা শিহাবের হলেও, আত্মার কারণে ওকে অনিক নামে ডাকলেই সে সাড়া দেবে।"
তান্ত্রিকের কথা শেষ হতেই পাশে অনিক জোরে একটা আর্তনাদ করে উঠল। তান্ত্রিক তার বাধন খুলে দিল। সাথে সাথে অনিক উঠে  বাইরে দৌড় দিল। তান্ত্রিক এবং রিতুও আসল বাইরে। কিন্তু অনিককে কোথাও দেখা গেলনা। কোথায় যেন মিলিয়ে গেলো সে।
রিতু কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল:
--এ কি করলেন আপনি? আপনি ওকে ছেড়ে দিলেন?"
তান্ত্রিক বললেন:- ও তোমার স্বামী ছিলনা রিতু, ও হচ্ছে শিহাব........"
তান্ত্রিকের কথা শুনে রিতুর অশান্ত হৃদয় কিছুটা শান্ত হলো। সে এখন তার স্বামীকে খুঁজতে কক্সবাজার যাবে......
(চলবে.....??
লেখা:ShoheL Rana

_______অশরীরী প্রেম-৩________
      _______পর্ব-২________

হাসপাতালে অপারেশন চলতেছে শিহাবের।  অনেকদিন ধরেই সে হাসপাতালে আছে। জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো হাসপাতালেই কাটাতে হবে ভাবতে পারেনি সে। আজ অনেক বছর ধরেই সে অসুস্থ। কারো সাথে ঠিকমতো কথা বলেনা, ঠিকমতো খাইনা, বাসার বাইরে বের হওয়ার তো প্রশ্নই উঠেনা। সেই যে ইভার আত্মা চলে গেলো, তারপর থেকেই শিহাবের এই অবস্থা। সাদিয়ার সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। বিয়েটাও আর হয়নি তখন।
সেদিন ইভার রেখে যাওয়া চিঠিটা পড়ে দৌড়ে বের হয়েছিল সে ইভার খুঁজে। কিন্তু ইভাকে সে আটকাতে পারেনি, তার আগেই হাওয়াতে মিলিয়ে গেছিল সে। কিছুই করার ছিলনা শিহাবের তখন আর। শুধু হাটুগেড়ে বসে জোরে জোরে আর্তনাদ করে কেঁদেছিল সে। একটা ভুল, হ্যা, শুধুমাত্র একটা ভুল বুঝার কারণে ইভা সেদিন চলে গেছিল। না জেনে কাউকে ভুল বুঝা যে কতবড় অপরাধ শিহাব সেদিন বুঝেছিল। জোরে আর্তনাদ করতে করতে তার কান্না হঠাৎ করেই থেমে যায়। পেছন থেকে সাদিয়া এসে তার কাঁদে হাত রেখে বলেছিল: শিহাব চল, বিয়ের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে..... "
সাদিয়ার কথা শেষ হওয়ার আগেই শিহাব মাটিতে ঢলে পড়ে যায় জ্ঞান হারিয়ে। তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। অনেকদিন কোমায় ছিল। যখন একটু একটু নড়াচড়া করতে পারল, তখন তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে নিয়ে আসা হয়। সম্পূর্ণ একা থাকত, আর চোখ বেয়ে পানি পড়ত শুধু। সাদিয়ার সাথে বিয়ে না হলেও এরপর থেকে সাদিয়া শিহাবের বাসায় থাকত, মিরাজ আর শিহাবের দেখাশুনা করত। নিজেই একটা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করে,  যা রোজগার করত, তা দিয়ে অনেকবছর ধরে সে সংসারটা চালিয়ে আসতেছে। ওখান থেকেই শিহাবের চিকিৎসার খরচ চলত আর মিরাজের লেখাপড়ার খরচ।
মিরাজ এখন অনেক বড় হয়েছে। কলেজে পড়ে। সাদিয়াকে সে "মা" বলে ডাকে। আর বাবার চিকিৎসার খরচ চালাতে সে বাড়তি রোজগারের জন্য একটা ছোটখাটো চাকরি নিয়েছে।
কয়েকদিন ধরে শিহাবের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। একটা ব্যর্থ প্রেম তাকে এতটা নিঃস্ব করেছে। এরকম ঘটনা পৃথিবীর কোথাও হয়তো নেই।  বেঁচে থাকতে যাকে সে এতটুকু ভালোবাসেনি, মৃত্যুর পর তার প্রতি এত ভালোবাসা কিভাবে আসল বুকে? ইতিহাসে যেসব প্রেমকাহিনীগুলো ঠাই পেয়েছে, শিহাব ইভার প্রেমকাহিনীটা তাদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
রাত প্রায় দুইটা বাজে। বাইরে প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসা চলছে শিহাবের। মিরাজ বসে আছে কেবিনে। জানালার পাশে বসে সে বাইরে অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে বৃষ্টি দেখতেছে, আর চোখ বেয়ে তার সমানবেগে অশ্রু ঝরতেছে। জীবনে সবকিছু হারিয়েছে সে, আপন বলতে আছে একমাত্র বাবা, তাকেও সে আজ হারাতে বসেছে।
পাশে সাদিয়া তাহাজ্জুদ নামাজ শেষ করে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেছিল শিহাবের জন্য।  হঠাৎ মিরাজ চিৎকার করে উঠল "মা" বলে.....
সাদিয়া তাড়াতাড়ি প্রার্থনা শেষ করে উঠে মিরাজের পাশে এসে দাঁড়াল।
--কি হলো মিরাজ?" জিজ্ঞেস করল সাদিয়া।
--আমার মাকে দেখেছি আমি ওখানে।" অন্ধকারে হাত দিয়ে ইশারা করল মিরাজ।
--কোথায় তোমার মা? ওদিকে তো অন্ধকার।"
হঠাৎ বিজলি চমকে উঠল। বিজলির আলোতে সাদিয়া দেখতে পেল, সাদা শাড়ি পরা একটা যুবতী মেয়ে বৃষ্টিতে ভিজতেছে। তাকিয়ে আছে সে ও.টিএদিকে, যেখানে শিহাবের অপারেশন চলতেছে। অনেকদিন আগের ইভার চেহারাটা ভেসে উঠল সাদিয়ার চোখের সামনে। সাদিয়ার কোন সন্দেহ নেই, বৃষ্টিতে যে ভিজতেছে সে ইভা ছাড়া আর কেউ নয়......
ইভার উদ্দেশ্যে ডাক দিল সাদিয়া: ইভা......"
প্রচন্ড বজ্রপাতের শব্দে তার আওয়াজটা কেবিনের ভেতরেই আটকে রইল। তারপরেও ইভা যেন শুনতে পেল। মুহূর্তেই ইভা জানালার পাশে এসে দাঁড়াল।
সাদিয়া অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল: ইভা তুমি??
করুণকণ্ঠে জবাব দিল ইভা: হ্যা আমি। আমার সাথীকে নিয়ে যেতে এসেছি। ও একা কি করে যাবে?"
--মানে, কোথায় নিয়ে যাবে তুমি তাকে?"
--আমার সাথে, আমার জগতে। তার সময় ফুরিয়ে এসেছে সাদিয়া......."
ঠিক তখনই কেবিনের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলা  একজন নার্স।
নার্স বলল: আপনাদের রোগীর জ্ঞান ফিরেছে।"
নার্সের কথা শেষ না হতেই সাদিয়া এবং মিরাজ ছুটে গেল অপারেশন থিয়েটারে। দেখল শিহাব উঠে দাঁড়িয়ে আছে। শিহাবকে একদম সুস্থ দেখে দুজনে একসাথে জড়িয়ে ধরল তাকে। শিহাব তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল: কারা আপনারা?"
--মানে?" দুজনে একসাথে অবাক হলো সাদিয়া এবং মিরাজ।
--দেখুন, আমি আপনাদের চিনিনা। আর আমি এখানে কেন? এটা কোন জায়গা? আমার স্ত্রী রিতু কোথায়?" শিহাবের চোখেও বিস্ময়।
--শিহাব, তুমি এসব কি বলতেছ?" সাদিয়া কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল।
শিহাব বলল: কে শিহাব? আমি শিহাব নয়, আমার নাম অনিক.....
(চলবে....??
লেখা:ShoheL Rana

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ