āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ē āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2288 (5)

নদীর পাড়ের খেয়া নৌকা
পর্ব নং :- (৫/১০)
লেখক :- বিবাগী শাকিল
=============================
.
নদীর পাড়ে খেয়া নৌকাটি বাঁধা আছে। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করেই বেরিয়ে পড়ে মানিক আর রুমি। মানিক দুইদিন ধরে অনেক কষ্ট করে এই খেয়া নৌকাটি যোগাড় করতে পেরেছে। নদীর তীরে অনেক মানুষ। অনেক নৌকা আসা যাওয়া করছে। সবাই যার যার মত করে ব্যস্ত। রুমি আর মানিক ধীরে ধীরে খেয়া নৌকাটির কাছে এগিয়ে যাচ্ছে। নৌকায় উঠে পড়ে দুজন। মানিক নৌকার বৈঠা সন্তর্পনে চালাচ্ছে। কেন যেন রুমির দিকে তাকাতে মানিকের এখন ভয় হয়। এটা কি ভয় নাকি কোন সংশয়। তবে না তাকিয়ে থাকতেও পারছেনা। তাই ইতিউতি করে ঘুরে ফিরে আবার রুমির দিকেই তাকাচ্ছে। রুমিও ব্যপারটা খেয়াল করেছে। তাই মাঝে মাঝে খানিকটা লজ্জা পায়। কেউই কথা বলছেনা। চুপচাপ বসে আছে।
.
মানিক বৈঠা দিয়ে নৌকা বাইছে। চারিদিকে শুধুই জলরাশি। নদীর ছোট ছোট স্রোত গুলি যেন নৌকাকে আলিঙ্গন করার জন্য নৌকার উপর এসে আছড়ে পড়ছে। নৌকা ধীরে ধীরে এগিয়ে যায়। রুমি চারপাশে তাকিয়ে সেই পরিবেশটা নিবিড় ভাবে উপভোগ করছে। তারপর মানিকের দিকে তাকিয়ে বলে
-- এভাবে যদি সারাটা জীবন নৌকায় কাটিয়ে দিতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হত।
- কেন? আর নৌকা চালাতে পারো তুমি?
-- না তা পারিনা।
- তাহলে নৌকায় সারাজীবন কাটাবে কিভাবে। একটা মাঝিতো দরকার নাকি?
রুমি কথাটা শুনে ফিক করে হেসে দেয়। তার হাসির সাথে তাল মিলিয়ে নদীর পানি গুলোও যেন ঢেউয়ের মাধ্যমে হাসছে। মানিক সেই মায়াবী হাসির দিকে তাকিয়ে আছে। খুব ইচ্ছে হয় তার রুমির সারাজীবনের মাঝি হতে।রুমি হাসি থামিয়ে বলে
-- হ্যা....  আসলেই একটা মাঝি দরকার।
- অবশ্য আমি খুব ভাল নৌকা চালাতে পারি।
রুমি আবার শব্দ করে হাসে। মানিক সেই হাসির দর্শক হয়ে থাকে। রুমি যে ব্যাপারটা খেয়াল করছেনা তা কিন্তু না। রুমিরও খুব ইচ্ছে করে মানিকের সাথে তার সময়গুলো অতিবাহিত করতে। কিন্তু মুখ ফুটে তো আর বলতে পারেনা। তাই চুপি চুপি থেকে অপেক্ষা করে মানিকের মুখ থেকে কখন শুনবে।
.
চলতে চলতে তারা অনেক দুর চলে এসেছে। খুব খিধেও পেয়ে গেছে। ভাগ্যিস মানিক সাথে খাবার এনেছিল। দুজনে একসাথে খাওয়া দাওয়া করে। মানিক রুমির দিকে তাকালেই এখন কেমন যেন অপ্রতিভ হয়ে যায়। রুমিরও একই অবস্থা। মানিক চারিদিকে তাকিয়ে চারপাশটা একবার দেখে নেয়। আশেপাশে কেউই নেই। রুমি চুপচাপ বসে আছে। অন্যরমকম এক নীরবতা এসে রুমিকে ঘিরে রেখেছে।
.
বিকেলের সূর্য্য একেবারে পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে। সূর্য্যের লাল আভা নদীর পানিতে প্রতিফলিত হয়। আর তাই নদীর পানি লাল হয়ে আছে।মানিক নৌকা ঘুরিয়ে আবার ফিরে আসছে। রুমি ভালো লাগা নিয়ে হাত গুলো নদীর পানিতে ডোবায়। তারপর হাতে করে কিছু পানি নিয়ে মানিকের গায়ে ছুড়ে মারে। মানিক প্রথমে চমকে উঠে। তারপর সেও রুমির দিকে ছুড়ে মারে। দুজনেই একে অপরকে পানি ছুড়ে মেরে ভিজিয়ে ফেলেছে। কিন্তু এরপর মানিকের কিছুটা অস্বস্তি লাগে। কারন তার মনে হচ্ছে রুমিকে পানি ছুড়ে মেরে ভুলই করেছে। মেয়েদের ভেজা অবস্থায় শরীরের অবয়ব টা অনেকটাই বোঝা যায়। ছেলেদের বেলায়ও তাই হয়। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে বিষয়টা অনেক অপ্রীতিকর। রুমিও কেমন যেন অস্বস্তিতে পড়ে। ভেজা ওড়না দিয়ে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে আর কতটুকুই বা ঢেকে রাখা যায়। নৌকায় মানিকের একটা শার্ট ছিল। সাথে করে নিয়ে এসেছিল। যদি কাজে লাগে তাই। কিন্তু এটা যে এখন এভাবে কাজে লেগে যাবে সেটা আর কেই বা জানত। মানিক শার্টটা রুমির দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে
- এই নাও এটা পরে নাও।
-- কেন?
- ভেজা শরীর তোমার। ঠান্ডা লাগবে তাই।
রুমি নীরবেই মানিকের কথা মেনে নিয়ে শার্টটা নেয়। মানিক অন্যদিকে ফিরে নৌকা চালাচ্ছে। রুমি শার্টটা পরে নেয়। তারপর সেই শার্টের উপর দিয়ে ভেজা ওড়নাটা পেঁচিয়ে রাখে। এবার কিছুটা আড়াল করতে পারল নিজেকে। একটু একটু করে নদীর পাড়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মানিক রুমির দিকে তাকিয়েই বৈঠা চালায়।ব্রীজে গুমগুম শব্দ করে ট্রেন চলছে।কিন্তু মানিক আজ সেদিকে ভ্রুক্ষেপই করছেনা।একটানা রুমির দিকে তাকিয়ে আছে।রুমি অবাক হয়ে যায় মানিকের এই পরিবর্তন দেখে।কিন্তু কেন জানি তার এই অবাক হওয়াটা কিছুক্ষন পরে প্রচন্ড ভালো লাগায় পরিণত হয়। রুমি কখনো নিচের দিকে, কখনো ডানে, কখনো বামে আবার কখনো চোখ বন্ধ করে বসে থাকে।কিন্তু তারপরও মানিকের সাথে কয়েকবার চোখাচুখি হয়ে যায়। রুমি অনেক কষ্টে মুচকি হাসিটাকে চেপে রেখে মুখটা অন্যদিকে ফিরিয়ে নেয়।
.
পাড়ে এসে থামল ওদের খেয়া নৌকা। খুব শীতল বাতাস বইছে। আর সেই বাতাসটা রুমের চুলকে পুরোপুরি অবাধ্য করে ফেলেছে। রুমি দুহাত দিয়ে বারবার চুলগুলোকে আটকে রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাতাসের ঝাপটা রুমির চুলকে তার নিয়ন্ত্রনের বাইরে নিয়ে যায়। নৌকা থেকে নেমে পড়ে দুজনে। নদীর পাড় ঘেষে ধীরে ধীরে বাড়ির পথে অগ্রসর হয়। মানিক নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটছে। কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা। কিন্তু নীরবতাও তার কাছে ভাল লাগছেনা। তাই নীরবতা ভেঙ্গে দিয়ে রুমিকে বলে
- রুমি
-- হ্যা বলেন।
- আজ বিকেলটা কেমন কাটল?
-- অনেক অনেক ভালো। বলে বোঝাতে পারবনা।
- আচ্ছা.... সারাজীবন নৌকার মাঝি করে রাখার জন্য কাউকে পেয়েছ?
-- জানিনা.......
- আমি কিন্তু মাঝি হিসেবে খারাপ না।
রুমি আবার নীরব হয়ে যায়। লজ্জায় মাটির উপর থেকে চোখ তুলতে পারছেনা। অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করে রুমির মাঝে। মানিকের কথা রুমির কাছে অমৃত খাদ্যের মত লাগে। মানিক বেচারাও কেমন যেন চুপসে আছে। কিছুক্ষনের জন্য ওরা নীরবতা পালন করে। বাড়ির কিছুটা কাছাকাছি চলে আসে। মানিক রুমিকে আবার বলে
- একটা কথা বলব?
-- অবশ্যই.... বলেন
- তোমাকে আমার খুব ভালো লাগে।
বলেই মানিক চোখ বন্ধ করে ফেলে। রুমি একটু থমকে যায়। মানিকের দিকে আড়চোখে তাকায়। মানিক চোখ বন্ধ অবস্থায় হাঁটছে দেখে রুমি মুচকি মুচকি হাসে। কিন্তু মুখে কিছুই বলেনা। মানিক কোন উত্তর না পেয়ে চোখ খুলে। রুমির দিকে তাকিয়ে দেখে রুমি আগের মতই নির্বিকার ভাবে হাঁটছে। আর কিছু বলতে চায়না মানিক। তাই সেও নীরবতার মাঝে নিজেকে ছেড়ে দিল। বাসার কাছাকাছি চলে এসেছে দুজন। ঠিক এমন সময় রুমি বলল
-- আমারও আপনাকে খুব ভালো লাগে।
বলেই রুমি দৌড়ে ঘরের ভেতরে চলে যায়। মানিক হকচকিয়ে গেল। যেখানে ছিল সেখানে থমকে দাড়িয়ে গেল। তারপর আস্তে আস্তে সেও ঘরের ভেতর ঢুকে। মানিকের মা বলে
-- কিরে তোরা কই ছিলি বিকেল ধরে।
- নৌকায় চড়েছি মা। রুমি নৌকায় চড়বে বলল তাই।
-- তো রুমির গায়ে তোর শার্ট কেন?
- ওর নাকি ঠান্ডা লাগছিল বাতাস। তাছাড়া নদীর পাড়ে ভীষন বাতাস ছিল।
-- আচ্ছা বস তোরা আমি নাস্তা আনছি।
মানিক আর রুমি বসে আছে। দুজনেই কেউ কারো দিকে তাকাচ্ছেনা। লজ্জায় দুজনেই কাঁচুমাচু হয়ে যাচ্ছে। মানিক রুমির দিকে অনেক কষ্ট করে আড়চোখে একবার তাকায়। তখনই রুমির সাথে চোখাচুখি। প্রচন্ড লজ্জা পেয়ে রুমি চোখ নামিয়ে ফেলে। মানিকের মা নাস্তা নিয়ে আসে। ওরা নাস্তা করে। মানিক বাইরে যাবার জন্য ঘর থেকে বের হয়।
.
প্রচন্ড এক প্রশান্তি এসে মানিকের সারাবুকে ছড়িয়ে পড়ে। একটু পর পরই রুমির কথা মনে করে নিজে নিজেই হাসে। রুমিও মানিককে পছন্দ করে ব্যপারটা ভাবতেই মানিকের খুব ভাল লাগে। হাঁটতে হাঁটতে গুন গুন করে গান গায়। রুমির ভাবনাগুলো অন্ধকারের মত মানিককে চারিদিক থেকে ঘিরে আছে। মানিক এই অন্ধকারের জাল থেকে বের হতে চায়না। সে চায় রুমি তাকে অন্ধকারের মতই চারিদিক থেকে ঘিরে রাখুক।
.
রুমি শুয়ে আছে। বুক থেকে বোধ হয় এতদিনের আটকে থাকা পাথরটা অদৃশ্য হল। অলৌকিক এক অনুভুতি রুমির পুরো মন জুড়ে বয়ে চলছে। ইচ্ছে করছে মানিককে একবার দেখতে। কিন্তু অনেক রাত হয়ে গেছে তাই ইচ্ছেটা পুর্ণ করার জন্য প্রাধান্য দেয়নি। মানিকের ভাবনা গুলো বুকে নিয়ে রুমি আস্তে আস্তে গভীর নিঃশ্বাস ফেলে ঘুমিয়ে পড়ে।
.
(চলবে)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ