āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ģ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

1760


#অপ্রকাশিত
.
গল্পঃ "বাঁধ ভাঙ্গা ঢেউ"
.
মাকে কয়টা দিন ধরে ভীষন আনমনা লাগছে।কি হয়েছে বুঝে উঠতে পারছে না জয়?
জয় আর চাঁদনী তারা দু'ভাই বোন।জয় বড় আর ছোট আদোরের একটি বোন চাঁদনী।এই নিয়েই ভাঙা খেলার মধ্য দিয়েই জয়দের পরিবার চলতেছে।
জয় খুব কৌতুহলি।প্রায় সময় মায়ের কাছে নিজের বাবার কথা জানতে চায়।কিন্তু জয়ের মা প্রতি বারই জয়কে এরিয়ে চলে যান।জয় একটু হলেও বুঝে যে ওর বাবা সাধারণ ভাবে মারা যাননি।হয় বড় ধরনের কোন ঝড়ে আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে।
.
জয় এখন অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।অর্থনীতি নিয়ে পড়তে শুরু করছে।একদিন জয় তার দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ার নানুর কাছে গল্প করার মাঝে তার নিজের বাবার প্রসঙ্গ তুলতে গিয়ে থেমে যায় জয়।কোন কিছু যেন সে মুহুর্তে তার মুখ থেকে বের হচ্ছে না।ওই নানুটা অপলক জয়ের দিকে তাকিকে বুঝে গেছেন বুকের ভেতর চেপে রাখা কষ্টটা প্রকাশ করতে পারছে না জয়।
.
নানু বলতেছেন,এই জয় ভাই আমার বলতো তোমার কি হয়েছে?নানুকে সব বলো এতে তোমার মনের ভেতর ঝমে থাকা পাহাড় সমান কষ্টটা একটু হলেও হালকা হবে ভাই!
জয় হু হু করে কেঁদে উঠলো।সাথে সাথে উঠনের আঁধারে বসে থাকা নানুটাও কেঁদে উঠলেন?
এ কেমন রহস্যময়ী কান্না!কিছুই যেন তাল মাতাল বুঝা জয়ের জন্য দূরুহ্ হয়ে দাঁড়ালো!
অনেক জোড়াজোড়ি করার পর জয় তার বাবার মৃত্যুর রহস্যটা জানতে পারার একটা পথ উন্মোচিত হলো।
নানু বলতে শুরু করলেন,তোর বাবা ছিলো সৎ পুলিশ অফিসার।একদিন এক অফিসারকে ঘুষ খাইতে দেখে প্রতিবাদ করেন।এনিয়ে অনেক ঝগড়া হয় তোমার বাবার সাথে।একদিন কি একটা মিটিং ছিলো।তোমার মাকে শুধু বলে গেছেন আজ মিটিং আছে ফিরতে দেরি হবে চিন্তা করো না?
তোমার মা এই পর্যন্তু জানেন।কিন্তু তোমার মাকে বলে যাননি কোথায় বা কি ধরনের মিটিং!প্রায় দু'দিন চলে যায় যায়।তোমার বাবার কোন খুঁজ পাওয়া যায় না।এদিকে তুমি আর তোমার বোন চাঁদনী খুব ছোট ছিলে।তোমার বয়স মাত্র পাঁচ বছর আর তোমার বোনের বয়স তখন তিন মাসের ছিলো।
.
অচেনা শহরে অচেনা মানুষের ভীরে কোথায় খোঁজবে তোমার বাবাকে দিশেহারা হয়ে শুধু দিনের পর দিন কাঁদতে থাকেন তোমার মা।সব আমি নিজের চোখে দেখেছি।এমনকি তোমার বাবার লাশটাও ঘরে ফিরে আসলো না।সেই থেকে আজ ১৯ বছর তোমার মা এত ঝড় ঝাপটার মাঝে তোমাদের কে বড় করেছেন তা উপর ওয়ালা ভালো জানেন।আজ আবার সেই করুণ নিয়াতির বিধান মনে পরে আমিও আমাকে ধরে রাখতে পারছি না ভাই।
.
জয়ের মুখ দিয়ে একটা ও শব্দ বের হচ্ছে না।অভিরাম দ্বারায় অস্রু কণা বৃষ্টির মতন গাল বেয়ে বুকের মাঝে ঝড়ে পরছে বিরামহীন ভাবে।
এক দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে নানুকে বুকে জড়িয়ে ধরে জয় বলে;নানু তুমি থামো আমি ও আর পারছি না আমাকে আর ধরে রাখতে।এত পাঁজর ছিঁড়া কষ্ট আমার গর্ভধারনী মা কেমন করে সহ্য করছে বলে হু হু হু করে কাঁদতে থাকে জয়।আজ প্রথম বারের মতন জয় জানতে পারলো ওর বাবার নির্মম মৃত্যুর কথা।
আজকে রাতটাই যেন এত দীর্ঘ জয়ের কাছে লাগছে!মনে হচ্ছে এক একটা মিনিট যেন এক একটা বছরের মতন সুদীর্ঘ।
উফ আজ আমার এত যন্ত্রনা হচ্ছে কেনো?এ কেনম ব্যথা যা আমার ভেতরটাকে হাত দিয়ে টেনে হেঁচড়ে বের করে প্রাণ পাখীটাকে নিয়ে যাচ্ছে যাচ্ছে লাগছে।আল্লাহ আমাদের সহায় হও বলে নানা দোয়া জিকড় করছে জয়।এত কষ্ট চাপা রেখে কি করে মা যে আমাদের আর আমার ছোট বোনটাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে?
.
মা এজন্য আমাকে বলতেন,তোকে আমি বাংলার সৈনিক করবো!তুই দেশ সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করবি!আমি তো বেশ মুচকি হাসি দিয়ে বলতাম,হ্যাঁ মা আমার ও ইচ্ছে,এ জন্য দোয়া করিও।
আজ বুঝতে পারছি এই বলার ভেতরে কত বড় নির্মমতা লুকানো ছিলো এত দিন ধরে!
.
নতুন আরো একটা প্রভাত দেখলো জয়।উঠেই মায়ের মুখের দিকে থাকিয়ে মুচকি হাসি দিলো জয়। মা আজকে আমার প্রিয় খাবারটা রান্না করবা?হ্যাঁ করবো বাবা।তা আজ হঠাৎ তুই প্রিয় খীচুরী খেতে চাইছিস যে?
জয়,না মা তেমন কিছু না।ইচ্ছে হচ্ছে তো তাই।আচ্ছা আমি রান্না করে তোকে দিচ্ছি খীচুরী।তুই গিয়ে তোর রুমে বিশ্রাম কর বাবা।
.
হুম মা আমি যাচ্ছি।বলে জয় নিজের রুমে গিয়ে শুয়ে পরলো।আজ তো একটা বিজ্ঞাপন বের হওয়ার কথা সেনাবাহিনীর।
খীচুরীটা খেয়ে কলেজে যাওয়ার পথে খোঁজ নিয়ে দেখবো বিজ্ঞাপনটার আজ পাবলিশ হয়েছে কি না?
আম্মু কলেজে যাচ্ছি।চাঁদনীকে বলো সে যেনো স্কুলে দেখে যায়। রাস্তা পাড়টা হয় যেনো দেখে।হুম বাবা আমি বলে দিবো।তুই ও দেখে যাস রাস্তা গুলা।
মা আসি এই কথা জয় কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।
আশা আনুযায়ী সে প্রথমে চাকুরীর বিজ্ঞাপনটা হাতে নিয়ে দেখলো।তারপর আল্লাহ রহমতে সুযোগটাও পেয়ে গেলো।তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে এসে মাকে কদমবুসি করলো।পরে মাকে বলে মা আজ আমি দেশসেবার কাজে একটা সুযোগ পাচ্ছি।আগামী সপ্তাহে এ্যাপ্লাই করবো।তার পরে লিখিত পরীক্ষায় যেনো সফল হতে পারি দোয়া করিও।
হ্যাঁ বাবা আমার দোয়া তুর সাথে সব সময় আছে আর থাকবেও।
.
চলে গেলো পনেরো দিন।জয় ঠিকেও গেলো লিখিত পরীক্ষায়।এখন ছয় মাসের ট্রেনিং এ যাবে।সব প্রস্তুতি হয়ে গেছে।
আজ জয় মায়ের কাছ থেকে আর ছোট্ট আদরের বোন চাঁদনীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে প্রথম বারের মতন দীর্ঘ ছয় মাসের ট্রেনিং এ যাচ্ছে।খুব মন খারাপ সবার।কান্নার দোয়ার টা আঁটকিয়ে রাখতে পারছেনা জয়।কেঁদেই দিলো শেষ পর্যন্ত।মা নিজেকে দেখে রেখো।আর নানু কে রেখে যাচ্ছি আমার জন্য চিন্তা করো না।নিজের দিকে খেলায় রেখো মা।চাঁদনী কই!এই তো ভাইয়া আমি!এই কথা শেষ করতেই আদরের বোনটাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললো,বোন আমার ঠিক করে খাওয়া দাওয়া করিস।আর মায়ের দিকে খেয়াল রাখিস।নিজেও খেয়াল করে চলিস।মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দিলো চাঁদনী।
চলতে থাকলো অপরিসীম স্বপ্ন পূরনের যুদ্ধে জয়...
.
ছয় মাসের ট্রেনিং শেষ আগামী পরশু।
জয় আত্নহারা হয়ে মায়ের কাছে চিঠি পাঠালো,
প্রিয় মা,
প্রথমে সালাম নিও।আদোরের ছোট কে মায়া দিও ভালবাসা দিও।আর নানুকেও সালাম দিও।আশা করি আল্লাহ রহমতে ভালো আছেন। জানো মা,আমি দীর্ঘ ছয় মাস সফলতার সাথে ট্রেনিং শেষ করে বাড়িতে আগামী পরশু ফিরছি।এতে যে কতোটা খুশী আমি তা তোমাকে লিখে শেষ করতে পারবো না।আচ্ছা মা অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পরছি।তুমি চিন্তা করো না।আমার জন্য দোয়া করো।
.
ইতি তোমার আদরের ছেলে
জয়।
.
শেষ হলো ট্রেনিং!কি আনন্দ বয়ে যাচ্ছে জয় আর জয়ের মা সহ পরিবারের সবার মনে।আজ ছুটি হলো!কিন্তু তার কিছু সময় আগে জয়কে অফিসে ডাকা হলো।স্যার আসতে পারি?হ্যাঁ জয় আসো।
তোমাকে একটা বিষয় জানিয়ে দেয়ার জন্য অফিসে ডাকা হলো।জি,স্যার বলুন। তুমি আগামী সপ্তাহে চাকুরী জয়েন দিচ্ছো তাতো জানার কথা।তার সাথে আরেকটা কথা হলো তুমি এর আগে দশ লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে?
কথাটা শুনে আকাশ ভেঙে মাথায় পরলো জয়ের।বাঁধ ভাঙা ঢেউ যেনো তুলপার করে দিচ্ছে জয়ের গোঠা জীবন তরীকে।
কিছু বলার ভাষা নেই!বাক্ শক্তিটা যেনো মুহুর্তে হারিয়ে ফেলছে জয়।এত বড় পরাজয় নিয়ে বাড়িতে ফিরবে ভুলেও কল্পনা করেনি জয়।নামটা জয় বটে..
কিন্তু পরাজয়টাই যেনো আমার জীবনে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিচ্ছে।
.
বাড়ির পথে চললো জয়।এক রাশ হাসি আনন্দের জায়গা এক বিষাদ সিন্ধু দুঃখ নিয়ে ফিরলো ছোট আশার খু্ঁটিরে।
.
মা মা ভাইয়া আসছে দেখো?কই গেলা তাড়াতাড়ি আসো মা ভাইয়া ফিরেছে?কি যে আনন্দ চাঁদনীর মাঝে যেন পুরো দুনিয়ার সুখ বিরাজ করছে আমাদের ছোট্ট ঘরে!
মলিন মুখটাকে মিথ্যা হাসির ফাঁকে লুকিয়ে জয় মাকে কদমবুসি করলো।পরে বুকে জড়িয়ে জয়ের মা জয়কে কপালে মুচু দিলেন।ছোট বোনটাকেও আদর করে কপালে চুমু এঁকে দিলো জয়।
এই দিনটা বেশ একটু কাটলো।তারপর দুদিন পর জয়ের মা বললো কিরে বাবা আসার পর থেকে তোকে আন্যমনষ্ক দেখছি।মা তো আমি কিছু লুকালেও বুঝতে পারি?বল মাকে কি হয়েছে?
.
_জয়,মা তোমাকে লুকাবো না।তবে ভাবছি কি ভাবে কথাটা তুমি মেনে নিবা এইটা?
_মা,বল মায়ের কোন কিছু সহ্যের বাহিরে নেই!
_জয়,মা চারদিন পর স্যার বলছেন দশ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকুরীতে জয়েন দিতে।নয় তো আমি আর সুযোগ পাবো না মা।এই বলে নিজেকের পাজর ছিঁড়ে কান্না করতে লাগলো জয়।মা কে বুকে ধরে বলে এখন কি করবো মা?আমি বা তুমি এত টাকা কোথায় পাবো কি ভাবে দিবো?আমার দরকার নেই ঘুষ দিয়ে চাকুরী করে মানব সেবা করা দেশের সেবা করা।
মা বলেন চুপ থাক,তুই একটু দাঁড়া আমি তোর জন্য একটা জিনিষ নিয়ে আসছি।
জয় অবাক নয়নে মায়ের পথের দিকে থাকিয়ে রইলো।মা নিজের রুমে গিয়ে একটা পুঠলি এনে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেন,এতে দশ লক্ষ টাকা আছে।আমি জানি এসবে ঘুষ লাগবে তাই তোর বাবার বাড়িতে একটা জমি ছিলো। ওটা তুই ট্রেনিং এ থাকার সময় বিক্রি করে টাকা টা তুলে রেখেছি।না মা আমার লাগবে না।এখানে একা আমার অধীকার নেই?আমার বোনেরও আছে ওর পড়া লেখা সহ আর বিয়ের সব কিছুতে টাকা দরকার থাক মা আমার লাগবে না।মায়ের কথার অবাধ্য কখনও হয়নি জয়।তাই টাকাটা মাত্র হাতে নিলো।তাতেই আরেকটা অজানা কালবৈশাখী খবর আসলো।
স্কুলের একটা ছেলে এসে বললো,জয় ভাই,জয় ভাই আপনার বোন চাঁদনী রোড এক্সিডেন্ট করেছে!
কথাটা শুনেই জয়ের মা সাথে সাথে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।এদিকে বোনটার রোড এক্সিডেন্ট সব যেনো একটা কঠিন নির্মম পরীক্ষা।
জয় নানুকে দিয়ে মাকে হসপিটালে পাঠিয়ে ভর্তি করালো আর বোনকে নিয়েও গেলো একই হসপিটালে।
.
উভয়েরই ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করানো হলো।জয়ের মাকে এক্সরে করে মাথায় ব্রেন টিউমার ধরা পরলো।এই মুহুর্তে অপারেশন করাতে হবে।তবে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুব কম।বোনটাকে হসপিটালে নিয়ে আসার পথেই মারা গেলো।খবরটা শুনেই একটা জোরে চিৎকার দিয়ে মেঝেতে পরে যায় জয়।দিশেহারা চোখে দিশাহীন হয়ে শুধু কান্নাই সাঙ্গ দিচ্ছে জয়ের।
এদিকে তার মায়ের ও একই অবস্থা।মৃত্যুর পথ যাত্রী জয়ের মাও।কি করবে জয়?এ কেমন বিচার জয়ের সাথে বিধাতা করছে?শত কথার প্রলাপ করছে আর কাঁদছে জয়।
.
অপারেশনে নেয়ার পর জয়ের মাকে ও মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।ইয়া আল্লাহ আমি কি অপরাধ করেছি আমার দুনিয়া এত আঁধারে ঢেকে দিলে আল্লাহ?মনে হয় জয়ের সাথে পুরো দুনিয়াই নীরব দর্শক হয়ে নিস্তব্ধতা সাঙ্গ দিচ্ছে।
.
দুইটা মানুষই ছিলো জয়ের দুনিয়া।আজ এই দুইজনই এক সাথে না ফেরার দেশের সঙ্গী হলেন।কি নিয়ে বাঁচবো আমি দুইটা প্রিয় মানুষই আমাকে জীবিত রেখে মৃত করে দিয়ে গেলো!
মা আর আদরের ছোটকে চির নিদ্রায় নিদ্রিত করে দিয়ে শান্তির জায়গায় ঘুম পারিয়ে দিলো জয়।
.
আজ জয়ের শেষ পরাজয় নিয়ে মা আর বোনের কবরের পাশেই দিবা- রাত্রি কাটিয়ে দিচ্ছে জয়। এখন জয় নিঃস্বঙ্গ জীবন অতিবাহিত করছে।কোথায় গেলো স্বপ্ন ছোঁয়া আশাটা জয়ের মায়ের?আর কোথায় আজ জয়ের বাঁধ ভাঙ্গা ঢেউয়ের স্রুত ধারা? এখন জয়ের মা বোনের কবরটাই হলো আসল ঠিকানা।
জয় আদৌ কি পারবে নিজেকে শক্ত করে দাঁড় করিয়ে গড়ে তুলতে?প্রশ্ন টা আজীবনই উত্তরহীন ভাবে চলতে থাকবে!

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ