āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ģ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

1761

আব্বুর  জন্মদিন
.
টিংটিং, আজ একটু জোরেই প্রাইমারি স্কুলের ছুটির বেলটা বেজে গেল। আজ বৃহস্পতিবার তাই হয়তো সবার মনেই খুশি, স্যার, দপ্তরি সবাই হয়তো আজ খুশি কারণ পরের দিন শুক্রবার, সবাই ফ্রী হবে, সেই খুশিতে দপ্তরিটা আজ জোরেই বেলে আঘাত করলো।
.
স্কুল ছুটি হওয়ার সাথে সাথে ক্লাসের সবাই দৌড়ে ছোটাছুটি করতে করতে রুম থেকে বের হতে লাগলো। প্রাইমারি স্কুল তো তাই সবাই বাচ্চা, ছুটির বেল দিলে বাচ্চারা কেমন খুশি হয় সেটা কম বেশী আমরাও জানি। আমরাও একদিন এমন বাচ্চা ছিলাম। ছুটির বেল পরলে আমরা যেমন খুশিতে হইহুল্লোড় করে ক্লাস থেকে দৌড়ে বের হতাম,
.
সেভাবেই আজ রিপা আর আবরার বের হচ্ছে ছোটাছুটি করে।
ওরা দুজন ভাইবোন। পড়ে ক্লাস থ্রি তে, দুজনে একই ক্লাসে, আর ওরাও দুজন সমবয়সী, তাই যেখানে যায় দুজন একসাথে যায়।
.
অবশেষে ছোট্ট ছোট্ট পাঁয়ে ক্লাস থেকে তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে স্কুলের  মাঠ পেরিয়ে গেটের সামনে এসে পড়লো ওরা। মানুষটাও ছোট তাই মনটাও ছোট, সবসময় আনন্দ করতে মন চায়, তাই গেটের সামনে এসে গেটের দরজা দিয়ে লাফ দিয়ে পার হলো দুজন। হুররে কি মজা।
.
স্কুলের  গেটের সামনে থেকে একটু দূরেই মেইন রোড। তাই ওরা সেখান থেকে আর বেশী দূর না  এগিয়ে পাশের এক গাছতলায় দাড়িয়ে রইলো।
আর কিছুক্ষণ পরই ওদের কাকা আসলো বাইক নিয়ে। আর তারপর ওরা ওদের কাকার সাথে বাইকে করে বাসার দিকে রওনা হলো।
.
স্কুল থেকে ওদের বাসা একটু বেশীই দূরে। একা যাওয়া সম্ভব না বলে কোনো দিন ওদের কাকা আসে ওদের নিতে আবার কোনো দিন ওদের আম্মু আসে নিতে। একেক দিন একেক জন আসে। আর দুই ভাইবোন পড়াশোনায় ও খুব মেধাবী।
.
পরের দিন,,
আজ শুক্রবার তাই আজ এই পিচ্চি দুটির একটু খাটতে হবে। প্রতি শুক্রবার ওরা দুজন নিজেরাই নিজেদের থাকার ঘরটা গুছিয়ে রাখে। কাউকে গুছাতে দেয় না,, বলে কিনা নিজের কাজ নিজে করা ভালো, অলসতা কমবে, বাব্বা কি পাক্কা পাক্কা কথা বলে পিচ্চি দুটি।
.
দুপুরের দিকে ঘর গুছানোর কাজ হয়ে গেল,, এবার দুজন ভাবলো, কাকা তো অগোছালো তাই আজ না হয় একটু বেশী কাজ করলাম, কাকার ঘরটা গুছিয়ে দেই।
যেই কথা সেই কাজ।
দুজন লেগে পড়লো কাকার ঘর গুছাতে। এদিকে কাকা বাসায় নেই, তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য আড্ডায় চলে গেছে।
.
এই ফাঁকে পিচ্চি দুটি ওনার ঘর গুছিয়ে দিচ্ছে।
ঘরের জিনিস নাড়াচাড়া করার সময় হটাৎ কাকার আলমারির উপর থেকে একটা এলবাম রিপার মাথায় পরে। এলবাম মাথায় পরার জন্য একটু রাগ হয় রিপার ওই এলবামের প্রতি তবুও রাগ ফেলে দিয়ে আবরার কে কাছে নিয়ে দুজনে মিলে ওটা দেখতে থাকে।
.
ভেতরের কিছু ছবি দেখেই হিহিহি করে হেসে উঠে রিপা,, কারণ একটা বাচ্চা ছেলের ছবি, তার সাথে আছে রিপার দাদী আর ছেলেটার নিচে নাম লেখা আছে, ও মা, এতো ওদের আব্বুর নাম। তাহলে এই বাচ্চাটা নিশ্চয় ওদের আব্বু।
হুম, তাহলে এটা আব্বুর ছোট বেলার ছবি।
.
আবার নিচে জন্ম তারিখও আছে। আজ ১২ তারিখ,, তাহলে আব্বুর  জন্ম দিন হলো এই মাসের শেষে, ২৯ তারিখে।
এখনো অনেক দেরী।
.
ওমনি হটাৎ পিচ্চি রিপার মন মানসিকতা চেন্জ হয়ে গেল,,
আচ্ছা প্রতি বছর আব্বু তো আমাদের জন্ম দিন পালন করে আমাদের অনেক কিছু গিফট দেয় তাহলে এবার আব্বুর জন্ম দিন করলে কেমন হয়!!!
.
- এই আবরার, আয় আব্বুর জন্ম দিন করি।
- হাহাহা আব্বু তো অনেক বড়।
- তাতে কি হইছে? বড়দের জন্ম দিন করে না বুঝি? এইতো কয়েক দিন আগে পাশের বাসার নানুর জন্ম দিন হলো, নানু তো আব্বুর চেয়ে অনেক বড় তাহলে তার জন্ম দিন হলে আব্বুরটাও হবে।
- আচ্ছা ঠিক আছে, কিন্তু গিফট কেনার টাকা পাবি কই?
- আরে গাঁধা ভুলে গেলি গত জন্ম দিনে আব্বু আর আম্মু আমাদের গিফট সহ এত্তো গুলো টাকা দিয়েছিল ওগুলো তো আমি রেখে দিছি আমার কাছে ওগুলো দিয়ে আনবো।
- আচ্ছা।
- তোর পেটে তো আবার কথা থাকে না।  এটা সারপ্রাইজ হবে কাউকে বলবি না কিন্তু!
- আচ্ছা।
.
ওদের এই দুষ্টামি গুলোর মাঝে আব্বুর জন্য জন্ম দিন পালন করার চিন্তাটা খুব প্রখর হয়।
ওরা দুজন একেবারে ফাইনাল, আব্বুর জন্ম দিন করেই ছাড়বে।
যদিও বড় করে করতে না পারে, আব্বুকে বেশী কিছু দিতে না পারে তবুও, যা পারে তারই আয়োজন করবে।
.
অবশেষে আব্বুর জন্ম দিন করবে এই আশায় আশায় ওরা দিন গুণতে লাগলো,
দিন গুলো ওদের কাছে অনেক বড় বড় মনে হলো। কেন যে এই পাঁজি দিন গুলো ফুরায় না, একটু তাড়াতাড়ি ফুরালে ভালো হতো।
তাহলে আব্বুকেও তাড়াতাড়ি সারপ্রাইজ দিতে পারতাম।
.
অতঃপর ২৮ তারিখ,,
খুব সকাল বেলা আবরার আর রিপা ঘুম থেকে উঠে সেই টাকা গুলো নিয়ে কাকার রুমের দিকে দৌড় দেয়।
কাকার রুমে গিয়ে দেখে কাকা আরামসে নাক ডেকে ঘুমোচ্ছে।
তারপর রিপার মাথায় দুষ্টামি করার বুদ্ধি চেপে বসলো।
.
আর কিছু না ভেবে ঘুমন্ত কাকার নাকের মধ্যে দিল এক কামড়। নাক একেবারে লাল করে ছাড়ছে,,,
- অওওওচ, ওই কামড় দিলি ক্যান?
- তোমাকে জাগালাম।
- ক্যান?
- এই টাকা গুলো গুণে দাও।
- তরা পারিস না?
- উফফফ হাঁদারাম, পারলে তো তোমার কাছে আসতাম না।
- আচ্ছা দে,,
( একটু পর)
- এখানে ২ হাজার ৫০ টাকা আছে,, এই ৫০ টাকা আমি নিলাম আর বাকিটা তোদের।
- আচ্ছা ঠিক আছে নাও। কিন্তু আমাদের জন্য একটা কাজ করে দিতে হবে।
- কি?
- দুপুর  বেলা আব্বুর সাইজের একটা পাঞ্জাবি এনে দিবা। কিন্তু কাউকে বলবে না তাহলে নাক কেটে দিব একেবারে।
- আচ্ছা,, কিন্তু এগুলো দিয়ে কি করবি?
- পরে বলবো।
.
কথাটা বলেই দুই পিচ্চি দৌড় দিয়ে চলে গেল।
তারপর দুপুর বেলা যখন রিপা আর আবরারের স্কুল ছুটি হলো তখন আজও নিত্য দিনের মতো ওরা ওদের কাকার সাথে বাসায় ফিরতে লাগলো। তবে আজ সরাসরি বাসায় না,, স্কুল থেকে ওদের কাকা ওদের কে শপিংমলে নিয়ে গেল।
.
সেখানে ওরা দুজন ওদের পছন্দ  মতো টাকা অনুযায়ী আব্বুর জন্য  ড্রেস কিনলো, সব ওরাই করছে আর ওদের কাকা শুধু দাড়িয়ে দাড়িয়ে ওদের কাজকর্ম দেখছে।
তারপর কেনা শেষ হয়ে গেলে ওরা তিনজন বাসায় ফিরে আসে।
.
বাসায় এসে দেখে আব্বু আম্মু বাসার কাজে ব্যস্ত তাই আবরার দৌড়ে  গিয়ে পোশাকটা ওর কাকার ঘরে গিয়ে লুকিয়ে রাখে। যাতে আব্বু আম্মু দেখতে না পারে কিন্তু ওদের কাকা এটা জানে যে ড্রেসটা ওর ঘরেই লুকানো আছে তবুও পিচ্চি দুটির জন্য কোনো সাড়াশব্দ না করে চুপচাপ সব দেখে যেতে লাগলো।
.
২৯ তারিখ,,,
আজ পিচ্চি দুটি আর স্কুলে যায়নি, ঘরে চুপটি করে বসে আছে, কাকা ওদের স্কুলে নেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করল কিন্তু পারল না। তাই কাকা হাল ছেড়ে দিয়ে ওর রুমে  চলে গেল।
.
কিছুক্ষণ একসাথে বসে থাকার পর আবরার বললো,
- আপু কেক পাব কই? টাকা তো নেই,
- বড় কেক তো আনতে পারবো না, তবে আমরা ছোট মানুষ ছোট কেক দিব হিহিহি।
- আচ্ছা।
.
ওমনি আবার দুজন দৌড় লাগালো,, সরাসরি কাকার ঘাড়ের উপর গিয়ে চেপে বসলো, আর তখনই রিপা কাকার কানে এক কামড় বসালো আর আবরার কাকার পকেটে থেকে একশো টাকার এক নোট বের করে দিল দৌড়। আবরার আর ধরতে পারলো না ওদের।
.
বিকেল বেলা,
সেই টাকাটা নিয়ে ওদের বাসার সামনে একটা দোকান আছে সেই দোকানে চলে গেল,, সেই দোকানদারের সাথে এদের দুটির  আবার অনেক ভাব। আবরার আর রিপার বন্ধু তিনি।
তাই তার কাছে গিয়ে ছোটখাটো একটা কেক চাইলো ওরা।
.
তিনি একটা ছোট্ট বার্থডে কেক ওদের হাতে ধরিয়ে দিল তারপর প্রাপ্য টাকা রিপাকে ফিরিয়ে দিল। তিনি চাইলে পারতো বাকি টাকা ওদের ফেরত না দিয়ে নিজে নিয়ে নিতে কিন্তু তিনি এতটা লোভী না, যে অবুঝ বাচ্চাদের টাকা চুরি করে খাবে। বলতে গেলে তিনিও সৎ মানুষ। তাই ওদের ন্যায্য টাকা ফিরিয়ে দিল।
.
আর ওমনি কেকটা বাসায় এনে ওদের খাটের নিচে লুিকয়ে ফেললো। কেউ দেখে ফেললে আবার সারপ্রাইজ দেওয়া হবে না এটা ভেবে।
.
রাত ১০:৩০ বাজে।
পড়াশোনা শেষ করে খেয়ে নিয়ে পিচ্চি দুটি ঘুমাতে গেল,, কিন্তু ওদের তো ঘুম আসবে না, যে পর্যন্ত বাবাকে আজ বার্থডে উইশ না করবে সে পর্যন্ত ওদের চোখে ঘুম নেই।
.
কিন্তু বাচ্চা মানুষ তো, কত সময় আর চেয়ে থাকতে পারে চোখ দুটি ঘুমে তলিয়ে আসছে তাই আর দেরী না করে দুজনে কেকটা নিয়ে আব্বু আম্মুর ঘরে গেল।
সেখানে গিয়ে দেখে আব্বু আম্মু বসে বসে গল্প করতেছে।
তাই আব্বুর কাছে গিয়ে দুজনে একসাথে বলে উঠলো,,
.
- - হ্যাপি বার্থডে টু ইউ মাই ডিয়ার আব্বু ( দুজনে একসাথে)
হ্যাপি বার্থডে টু ইউ,
- রিপা, আবরার এইসব কি?
- আব্বু আজকে ২৯ তারিখ তোমার বার্থডে,, এই নাও এই কেকটা কাটো।
- ( আব্বু তো পাথর হয়ে গেল এইসব দেখে)
- এই আব্বু কেকটা কাটো তাড়াতাড়ি, আমাদের ঘুম পাচ্ছে।
- আচ্ছা আম্মু কাটছি, ( চোখের আনন্দ অশ্রুটা মুছে নিয়ে)
.
অতঃপর ওদের আব্বু ওদের দুজন কে দুইপাশে রেখে কেক কাটলো, তারপর দুই পিচ্চিকে আগে খাইয়ে দিল তারপর ওরাও ওদের আব্বুকে খাইয়ে দিল,,
ওদের আম্মু তো এইসব দেখে কথাই বলতে পারছে না, রুমের একপাশে চুপচাপ দাড়িয়ে আছে।
.
অতঃপর কেক খাওয়া শেষ হয়ে গেল যখন আব্বুর জন্য কেনা গিফটটা আব্বুর হাতে দিল দুজন তখন আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি তিনি,, দুই বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয় ওদের আব্বু।
.
যখন জানতে পারলো তিনি, পিচ্চি দুটি ওই এলবাম থেকে ওনার জন্ম তারিখ দেখেছে তখন একটু অবাক হয়ে হেসে দিলেন,,
.
শেষে ওদের এইসব কাজকর্ম দেখে আব্বু আম্মু দুজনই কেঁদে দিল। এ কোনো দুঃখ বা কষ্টের কান্না নয়, এইগুলো হলো এই বাচ্চা দুটির আব্বুর প্রতি যে ভালবাসা দেখিয়েছি তার কান্না। এই পিচ্চি দুটোই একদিন অনেক বড় হয়ে নিজের পাঁয়ে দাড়াবে এই কামনা করে ওদের আব্বু।
.
অনেক রাত হওয়ার পরেও রিপাকে ওর আব্বু কোলে তুলে নিয়ে একটা গল্প শোনায় আর আবরারকে ওর আম্মু কোলে তোলে নিয়ে রবীন্দ্রনাথের সেই বীরপুরুষ কবিতাটা শোনায়।
সমাপ্ত,,
লেখক : Akash Sarker Nil

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ