āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§§ā§Š āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

1511

"ছেঁড়া পাতার কাব্যে - ঝরাপাতার গল্প"
/
\
বুইপোকা মেয়েটির আজ কোন গল্পই পড়তে ইচ্ছে করছেনা।  গল্প পড়তে পড়তে কোন এক গল্প হয়তো মনে পরে গিয়েছে মেয়েটির। অনেক আতঙ্কিত একটি অতীতস্মৃতির গল্প হবে হয়তোবা। হয়তো গল্পটা এমন হবে!
অনেক আনন্দময় হাজারটা লাইন থেকে যেই গল্পের শুরু হয়েছিল। আর শেষ হয়েছিল মন কাঁদানোর বেদনা আর আতঙ্কগ্রস্ত কিছু স্মৃতি রেখে!
অসম্ভাব্য কিছু নয়। হতেও-তো পারে!
/
মারুফ কথা গুলো ভাবছে, আর মন খারাপ করে গল্পের বই গুলো গুছিয়ে রাখছে টেবিলের পুরনো বই গুলোর উপর।
"ঝরাপাতার গল্প" নামে একটি বই হঠাৎ করেই নজর কাড়লো মারুফের।
বইটি সে এনেছিলো কিনা তাও সঠিক মনে পরছেনা তার।
বহুদিন আগে কেউ একজন এই নামেরই একটি বই মারুফকে উপহার দিয়েছিলো। বইটা চোখে পরা মাত্রই মারুফেরও মনে পরে গেলো সেই পুরনো দিনের একটি গল্পের কথা। স্মৃতিময় এমনকিছু গল্প হঠাৎ বিষণ্ণ করতে প্রায়মানুষের জীবনেই থেকে যায়। এমনই একটি গল্প মারুফকেও মন খারাপ করে দিলো।
/
বইটি কিছুক্ষণ খুব যত্নভরে দেখার পর মারুফ তার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো ...
--- আচ্ছা ফাহিয়া! এটা কি তুমি এনেছিলে??
--- জানিনা। মনে পরছেনা। (জেনেও না বলল)
--- বইটা তবে এখানে কি করে এলো! বলতে পারো??
--- নাহ! তাও বলতে পারছিনা।

--- তুমি কি পড়েছিলে এই বইটা??
--- হ্যা! এটা পড়েই মন খারাপ লাগছে। আজ কিছুই ভালো লাগছেনা।
--- আচ্ছা কেনো মন খারাপ বলবে??
--- নাহ! সব মন খারাপের কারণ জানতে নেই ...
আচ্ছা আমি তোমার চা' বানাতে চললাম। তুমি বসে বসে গল্প পড়ো ....
/
ফাহিয়া মারুফের স্ত্রীর নাম। চা বানাতে চলে গেলো সে। ফাহিয়ার কোন ডায়েরী আছে কিনা খুব আগ্রহভরে দ্রুত খুঁজতে শুরু করলো মারুফ।
নহা! কোথাও পাওয়া যায়নি কোন ডায়েরী।
হঠাৎ বা'হাতে থাকা "ঝরাপাতার গল্প" নামক বই থেকে ঝরে পরলো একটি ছেঁড়া কাগজ। অধীর আগ্রহ নিয়ে কাগজটি দেখতে শুরু করলো মারুফ।
---- তাতে লিখা ছিলো ....
-
.... ছেঁড়া পাতার কাব্য ঘুড়ি" তোমার ফেইসবুক আইডির নাম ছিলো। তোমার নামটি কখনো জানতে মনে ছিলোনা। কারণ তোমাকে আমি "কাব্য" বলেই ডাকতাম। ভেবেছিলাম একদিন তোমার সবকিছু জেনে নেবো। তোমার ফোন নাম্বারটা লজ্জা ভেঙে চেয়ে নেবো।
কিন্তু কিছুই জানা হলোনা।
যেদিন "ঝরাপাতার গল্প" নামে দু'টো বই' - বইমেলা থেকে কিনেছিলাম!
ভাবছিলাম একটি বই কাকে দেওয়া যায়! তখন হঠাৎ করেই তোমার ফেইসবুক আইডিটার কথা মনে পরে গিয়েছিলো। আর আমিও তোমার কলেজের পোস্ট অফিসের ঠিকানায় বইটি পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তুমি বইটি পেয়ে আমাকে বলেছিলে, তোমার সীমাহীনপ্রায় ভাল লাগার কথা।
তুমি বলেছিলে দু'জনে একসাথে পড়বো গল্পটা। নিয়ম ধরে পড়বো। এক' থেকে তেরো' পৃষ্ঠা পর্যন্ত তুমি নিয়ম বেঁধে দেবে! আর আমি তুমি দু'জনে সে নিয়মে দূরে বসেও একত্ররূপে গল্প পড়বো।
কিন্তু! কি হয়ে গেলো! সেদিককার সে সময়টাতে??
তোমার আইডিটা আর নীল দেখায় না। কালো হয়ে যায় সবকিছু। দু'দিন অপেক্ষার পর আমার আইডিটাও ডিয়েকটিভ করে দিলাম। মাঝেমধ্যেই তোমাকে খুঁজতে যেতাম। এরপর আবারও ডিয়েকটিভ করে দিতাম। আজও মনে পরে তোমার কথা। "ঝরাপাতার গল্প" নামক সেই গল্পের বইটা আজও শেষ করতে পারিনি। তুমিই তো আমার জীবনে ঝরাপাতার গল্প হয়ে গেলে ....
/
লিখাটা পড়া শেষ হতে না হতেই চোখ দু'টো ভেজা মারুফের। কাঁদতেও পারছেনা সে। কিভাবে মেয়েটিকে সে আজ বলবে ...
"ছেঁড়া পাতার কাব্য ঘুড়ির" সেই কাব্য এই মারুফ নামের আমিই ছিলাম! মেয়েটা কি বিশ্বাস করবে আমার কথা?? "ঝরাপাতার গল্প" নামক উপহার পাওয়া সেই বইটাও-তো আমি হারিয়ে ফেলেছি!
....
কথা গুলো ভাবতে শেষ হতে না হতেই পত্রটা চোখের কোলে লুটিয়ে চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠলো মারুফ। ফাহিয়া দৌঁড়ে এসে দাঁড়ালো মারুফের সামনে। মারুফ আর কিছু বলতে পারছেনা। নতুনভাবে বুকের সবটুকো ভালবাসায় ফাহিয়াকে বুকের পাঁজরে আগলে ধরে শুধু বলল ...
আমিই সেই কাব্য ঘুড়ি - মিলে যাওয়া এলোপাথাড়ি।
-
কথাটা শুনামত্রই ফাহিয়া অবাক হয়ে নতুনভাবে দেখছে মারুফকে। মারুফের সাথে কথা বলার সময় দু'জনের প্রায় কথা গুলোই তাদের মিলে যেতো। আর মারুফ দু'লাইনে এই ছন্দটা মিলে যাবার পরপরই বলে ফেলতো।
ফাহিয়া ভাবছে ...
এই দু'টো চোখ  নিয়ে কত না কল্পনাই না ছিলো আমার! এই মুখের হাসিটা দেখার কত অপেক্ষাই না ছিলো আমার!
এসব কি সত্যিই! নাকি স্বপ্ন!
ফাহিয়া মারুফের বুকেপিঠে খুব শক্তভাবে মারছে আর বলছে ....
তুইই ছিলিস আমার ঝরাপাতা! এতদিন তবে কেনো লুকিয়েছিলিস গল্পটা???

--
সত্যিই কিছু মানুষের জীবনে এমনকিছু গল্প থাকে, যা সবাইকে বলা যায়না। না বলার পরও হঠাৎ একদিন গল্প গুলো মিলে যায়। ছেঁড়া পাতায় লিখে রাখা একটি ছোটকাব্য, একদিন কারোর স্বপ্ন ঘুড়ির রূপ নেয়। আর ঝরাপাতার গল্প গুলো এভাবেই একদিন ঝরাপাতা কুড়িয়ে পাওয়ার মত, জীবনের তরে ফিরে আসে নতুনভাবে। 😊
\
লিখা -- Md Marufur Rahman (দুঃখ নিবাসী)
/

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ