āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§§ā§Š āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

1504

গল্প : ঝিগার আঠা

বিভ্রান্ত বাউণ্ডুলে।

(বছর দুয়েক আগে লিখা। বনলতা সেন গ্রুপে হয়তো কেউ কেউ পড়ে থাকবেন)

সুনীলের কবিতা প্রথম নিজের জীবনে প্রয়োগ করলাম। বাথরুমের ছিটকিনি টেনে দু পাঁক নেচে নিলাম। তারপর আয়নার সামনে এসে দাঁড়ালাম। ঠোঁটের কোণে বেরিয়ে এল এক চিলতে হাসি। নিজেকে প্রথমবার সুখী মনে হলো। যে নিজেকে সুখী ভাবতে পারে না, চারপাশের মানুষগুলোকে সে কি করে সুখী করবে?

পুষ্পিতার সাথে আমার ব্রেক আপের ঠিক দুই বছর পর রাত দুটোর সময় যখন ওর ফোনে ফোন দিয়ে ওয়েটিং পেলাম তখনও এক ধরণের কষ্ট অনুভূত হলো। টেবিলের ওপর সিগারেটের প্যাকেটে দুটো সিগারেট এখনো অবশিষ্ট আছে, নিজেকে বোঝালাম আর খাব না।

বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে দেখলাম পুষ্পিতা কল ব্যাক করেছে। ফোনটা রিসিভ না করে বাথরুমে গিয়ে আবার দু পাঁক নেচে আসলাম। তারপর লাইট অফ করে কাথা মোড়া দিয়ে ঘুম।
সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর দেখি পুষ্পিতা আরো চার বার ফোন দিয়েছে। প্রেম হলো ঝিগার আঠা যা সহজে ছাড়ে না যদিও নব্য প্রেমিকের এ খবর জানার কথা না।
এই যে কাল রাতে পুষ্পিতা যে ছেলেটার সাথে ফোনে কথা বলেছে সে কি জানে পুষ্পিতা এখনো....?

দুপুর গড়িয়ে বিকেল।
আমি আর পুষ্পিতা মুখোমুখি বসে আছি একটি ক্যাফেটেরিয়ায়। এ এক দারুন অনুভূতি!
প্রাক্তন প্রেমিকার সাথে গরম কফির মগে তৃপ্তির চুমুক।
যদিও প্রাক্তন প্রেমিকার সাথে পুনরায় কফি খাওয়ার সংস্কৃতি আমাদের দেশে এখনো চালু হয়নি, তবে এটা বেশ উপভোগ্য বটেই!

কথা শুরু করল পুষ্পিতা নিজেই।
কাল রাতে আমি যার সাথে ফোনে কথা বলছিলাম, তিনি আমার কলিগ।আমরা একসাথে একটা কলেজে পড়াই। তিনি আমাকে একটু আধটু পছন্দ করেন। বিয়ের কথা হচ্ছে আমাদের।

আমি শুষ্কমুখে একটুখানি হেসে বললাম, ও আচ্ছা!

পুষ্পিতা কথা বাড়ালো।
দেখো অর্ক আমি আর চাচ্ছি না আমাদের মধ্যে যোগাযোগ থাকুক। আমি ফোন নাম্বার চেঞ্জ করে ফেলব তুমি আর আমাকে ফোন দিবে না।
- তুমি ফোন নাম্বার চেঞ্জ করলে আমি ফোন দিব কিভাবে?
- সেটাই। আর শোনো?
- বলো।
- যেহেতু আমাদের আর যোগাযোগ থাকছে না আজকের বিকেলটা আমরা একসাথে কাটালে নিশ্চয় আপত্তি নেই তোমার?
- না, নেই।
- কিন্তু আজকের বিকেলটাই, আর নয় কিন্তু?
- হুম।
- যাই হোক তুমি তো আর ফোন নাম্বার চেঞ্জ করছ না।তোমাকে ফোন দিলে তো পাবই আমি?
- হ্যাঁ পাবে।

কথা বাড়ে, বেলা গড়ায়।
পুষ্পিতা আর আমি, আমি আর পুষ্পিতা।
পুরনো অভিযোগ, পরস্পরের প্রতি দোষারোপ।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই শহরের রাস্তায় সোডিয়ামের হলুদ আলো বিদায়ের বার্তা নিয়ে এলো।
আমি আর পুষ্পিতা বেইলি রোডের একপাশ দিয়ে হেটে চলেছি, পরস্পরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করে, গা ঘেঁষাঘেঁষি করে।

পুষ্পিতাকে নিয়ে কিছু দূর হেটে যাওয়ার পর বললাম,
আর একদিন দেখা হলে কেমন হয়?
পুষ্পিতা জবাব দিল, তবে আগামী শুক্রবার। কলেজ বন্ধ......

সেদিন বাসায় ফিরে এসে বাথরুমের দরজায় ছিটকিনি দিয়ে আবার দু পাঁক নেচে নিলাম।
পুষ্পিতা থাকুক বা না থাকুক এই দুই পাঁক নাচাটাই লাভ।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ