āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§§ā§Š āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

1499

গল্পঃ “প্রিয়জনদের অধ্যাদেশ”
[Ordinance]
.
১ম দৃশ্যঃ
আমি স্কুল থেকে এসে কেবল বাড়িতে পা রাখলাম। আর ঐ সময়ই নাসিমা আপু আমার কানটা শক্ত করে ধরে রুমে আম্মুর কাছে নিয়ে গেল।
অতঃপর বলতে শুরু করল, “দেখ আম্মু তোমার আদরের নিষ্পাপ ছেলেটা হেড মাস্টারের মেয়ের সাথে প্রেম নামক সম্পর্ক জড়িয়েছে।”
আম্মু বলল, “প্রেম করতেছে এটা তো ভাল কাজ। এতে তোর কি হয়েছে? যাহ, দূর হও এখান থেকে, যত্তসব দালালি!”
.
নাসিমা আপু একেবারে আহাম্মক হয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল। আর আমি মনে মনে হাসতেছি। “বুঝো মজা! আমার কান ধরে না ঘরে নিয়ে আসলে। এখন তুমিই তোমার কান ধরে ঘর থেকে বের হয়ে গেলে।”
.
তারপর আম্মু আমাকে বলল, “কি কথা সত্যি তো? তুই মাস্টারের মেয়ের সাথে লুতুপুতু!”
আমি ভয়ে ভয়ে বললাম, “আম্মু আমার কোনো দোষ নেই। মেয়েটাই আমাকে প্রস্তাব দিয়েছে।”
“এক থাপ্পর, হারামির বাচ্চা! এই বয়সে প্রেম করিস? তোর সাহস তো কম না!”
অতঃপর লেজ গুটিয়ে দিলাম ছেচড়া দৌড়।
“এরই নাম ন্যায় বিচার।”
.
২য় দৃশ্যঃ
খানা খাচ্ছি আর ফেইসবুক চালাচ্ছি। ঠিক ঐ মুহূর্তে আম্মু আমাকে দিল এক ঝাড়ি। তারপর বলতে শুরু করলো, “হারামজাদা মোবাইলের ভিতরে ঢুইকা যা। খেয়ে আর কাম নাই তো, তাই সারাদিন ফোন টিপিস! খাওয়ার সময়ও ফোনটাকে রেস্ট দিসনা।”
ভাগ্যিস হাতের নাগালে ঝাড়ু ছিল না। নচেৎ ঝাড়ু পূজা করত। যাক, বাঁচা গেল।
.
৩য় দশ্যঃ-
“সদ্য বিয়ের পর থেকে আর ফেইসবুকে ঢোকা হয়নি। মনটা ফেইসবুকের জন্য কেমন যেন করতেছে। কে যে কি ম্যাসেজ পাঠাইলো? রুম থেকে ছাদে উঠলাম, এই সুযোগে ম্যাসেঞ্জার ওপেন করলাম। অনেক জন অনেক টেক্স করেছে।”
.
আমার স্কুল জীবনের বন্ধুটা ম্যাসেজ করেছে, “হ্লা এফ.বিতে আসবি কবে? সদ্য বিয়ে করে, আমাদেরকেও ভুলে গেলি। সারা দিন-রাত নতুন বউ নিয়ে ব্যস্ত থাকিস!”
তাঁর ম্যাসেজটা পড়ে একটু বেশি হাসলাম।
.
ভাবছিলাম ছাদে গিয়ে শান্তিতে ফেইসবুক চালাব; বিয়ের স্টাটাস দিব। কিন্তু দূর্ভাগ্য, ফোনের স্কীনে ভেসে আসল বউয়ের ফোন থেকে আসা কল...
-- হ্যাঁ, কি হয়েছে বলো।
-- দাহ্য চিতা বাঘের মতো গর্জন দিয়ে বলে উঠল, তুমি কোথায়?
-- ভাবছিলাম মিথ্যা বলব। কিন্তু নতুন বউ বলে কথা! তাই সত্যটাই বল্লাম, আমি ছাদে আছি।
-- কি, তুমি ছাদে কেন? তারাতারি রুমে চলে আসো।
-- আচ্ছা যাচ্ছি। তবে বলবে না কি হয়েছে?
-- আরে তারাতারি আসো তো।
.
“ফোনটা কেটে দিলাম, আর হলো না ফেইসবুক চালানো।”
-- আচ্ছা এখন বলো, কি হয়েছে?
-- ফোনটা এদিকে দাও দেখি।
-- কিছু না ভেবেই দিলাম তাঁর হাতে।
-- এটা কি হচ্ছে ফোনে?
[“ইহ আল্লাহ। ফেইসবুক ও ম্যাসেজগুলো থেকে বেরও হইনি, আজ শেষ!”]
-- না, মানে কিছু না। যাও তুমি ঘুমাও এখন।
“বিধি কোন কথা না বলে বাধ্য বউয়ের মতো ঘুমাতে গেল।”
“তাঁর সাথে বিয়ে হওয়ার পর থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত ফেইসবুকে ভাল করে আড্ডা দেওয়া হয়নি। আর হবেই বা কি করে? প্রশ্নের পর প্রশ্ন করতেই থাকে। এরই মধ্যে যদি টেবিলে পরে থাকা অসহায় ফোনটাকে হাতে নিতে যাই, ঠিক ঐ মুহূর্তেই তাঁর কথামতে আবার ফোনটাকে টেবিলেই রাখতে হয়।”
.
“আগে ভাবছিলাম, বিয়ে করলে শান্তি আর শান্তি। কিন্তু এখন পুরোটাই এর বিপরীত। স্বাধীণতা কি তা তো মনেই থাকে না, যেন খাঁচায় বন্দি পাখি।”
.
বিধি এবার ঘুম এসেছে বোধহয়। আস্তে করে ফোনটা হাতে নিয়ে ফেইসবুকে লগ ইন করলাম। বন্ধুদের রিপ্লে ম্যাসেজ লিখে সেন্ট করলাম...
-- আসলে বন্ধু আমি খুব ব্যস্ত ছিলাম। তাই হয়ত এফ.বিতে ভাল করে আড্ডা দিতে পারিনি।
-- ব্যস্ত আর কি থাকবি! নতুন বিয়ে করলে সবাই তখন বউ নিয়েই ব্যস্ত থাকে, এটাই স্বাভাবিক। আচ্ছা বল, ভাবি কেমন আছে?
-- ধুর, ঐ পেত্নীর কথা আর বলিস না!
-- কেন, কি হয়েছে আবার? নতুন বউরে পেত্নী বলার রহস্য কী?
-- আরে নাহ, এমনিতেই বল্লাম। বাদ দে ঐসব কথা।
-- ও আচ্ছা বুঝেছি...
.
বিধি এবার জোরে একটা নিঃশ্বাস নিয়ে বলতে লাগলো...
-- বাহ, দারুণ তো! সুন্দর ম্যাসেজিং হচ্ছে বন্ধুদের সাথে। আমকে নিয়ে বেশ মজা করা হচ্ছে, তাই না!
-- না মানে ইয়ে, তুমি এখনও ঘুমাওনি?
[“আমি বন্ধদের সাটে চ্যাটিং করছিলাম, আর সে গুপ্তচোরের মতো সব দেখেছে নিশ্চিত।”]
-- তো থামলে কেন? ম্যাসেজ লিখে রিপ্লে দাও!
-- দেখো আমার ভুল হয়ে গেছে। আর কোনোদিন এইরকম হবে না।
-- হয়েছে বাদশা ছালামাত! এখন ফোন রেখে তারাতারি ঘুমাও।
.
“নৃত্যসঙ্গীর কৃতিস্বত্ব কৃপায় আজকের জন্য বেঁচে গেলাম। বেচারী এই অল্প কয়েকদিনের মধ্যে তার প্রেমে আমাকে বশীভূত করেই ছাড়ছে। স্পর্শকে(tangent) যেমন সরলরেখা বৃত্তকে স্পর্শ করে কিন্তু ছেদ করে না, অনুরুপ তার প্রতি আমার ভালবাসা স্ব-হৃদয়ে বাস্তব স্পর্শ দ্বারা বোধগম্য।”
.
“সবাই সব জিনিস পছন্দ করে না; এটাই চড়ম বাস্তবতা। আপন মানুষগুলো এই রকমই হয়। তাঁরা যে জিনিস ভালবাসে না, পছন্দ করে না; আপন মানুষগুলোকেও তা করতে দিবে না। হয়ত তারাও প্রেম করা, ফেইসবুক ব্যবহার করাকে পছন্দ করে না। তাই সর্বদা আমাকেও তাঁদের অপছন্দের বস্তু থেকে স্থানচ্যুত হয়ে থাকারই চেষ্টা করছিল।”
.
“বিধি আজ তার বাপের বাড়ি(আমার শশুরবাড়িতে) প্রস্থান করেছে। তাই তাঁর অনুপস্থিতে তাঁর নামে শ্লেষালংকার কথার মরপেঁচে এত কিছু লিখলাম।”
“অতএব, পাঠক ভাই সাবধাণ! খবরদার এইসব গোপন তথ্য আমার বউয়ের কানে ফাঁস করিয়েন না।”
“সে যদি জানতে পারে এইসব কথা আমি লিখেছি, তাইলে আমাকে স্ফীতিযুক্ত রিমান্ডে নিতে বাধ্য।”
.
[বিঃ দ্রঃ বিশ্ব বিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিস এর মতো বউকে আমি ভিষণ ভয় পাই।]
.
লেখাঃ কাওছার আজাদ (নাঈম)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ