āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§§ā§Š āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

1495

হায়রে ভালোবাসা

ক্লাসে বসে আছি।স্যার আসতে কিছুক্ষণ বাকি আছে।ক্লাসে বসে জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখছি।কলেজে আমার তেমন কোনো বন্ধু নেই।থাকবেই বা কেমনে?,আমিতো কারো সাথে কথাই বলি না। সবাই আমার উপর অন্য এক দৃষ্টিতে তাকায়।তাই বলে আমি খারাপ ছেলে না।পড়ালেখায় ও খারাপ না।কারো সাথে কথা বলিনা বিধায় সবাই আমাকে অহংকারী ভাবে।আর ক্লাসের টিচাররাও মনে হয় আমার মত অদ্ভুত ছেলে আর দেখে নি।এইসব ভাবতে ভাবতে একমনে বাইরে তাকিয়ে আছি,হঠাৎ কেউ আমার মাথায় পেছন থেকে আঘাত করে ওঠে।আমি প্রচন্ড ব্যাথা পেয়ে আর্তনাদ করে উঠি, পেছনে তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে রাগে অগ্নি মূর্তি হয়ে আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে।প্রচন্ড রাগে আমি মেয়েটিকে জিঞেস করলাম,,
-- এটা কী হলো,, মাথায় মারলেন কেন,,? (আমি)
> কেন মেরেছি বুঝতে পারেন নি? আমার বান্ধবিকে কী বলেছেন,,?(মেয়ে)
আমি মেয়েটির কথায় খুব অবাক হই।যেই আমি কিনা কলেজের কোনো ছেলের সাথেই তেমন কথা বল্লাম না, আর এই মেয়ে বলে আমি ওর বান্ধবি কে কি বলেছি,,
-- আপনার বান্ধবি কে?
> দাঁড়ান ওকে আনছি,,।
এই কথা বলে মেয়েটি তার বান্ধবিকে আনতে চলে গেল।,কিছুক্ষণ পর একটা মেয়েকে নিয়ে আসলো।
> এই যে,ওকে আপনি টিজ করেছেন কেন,,??
-- আমি আপনাকে কখন টিজ করলাম,,,??
~ আরে তুই এটা কী করেছিস,,? আমি কী তোকে এর কথা বলছি নাকি,,আমি তো বলেছি আরেকটার কথা,,(মেয়ের বান্ধবি)
> ও,,আমি খুব দুঃখিত।আসলে আমি বুঝতে পারি নি।আমাকে ক্ষমা করুন।(মেয়েটি)
-- আচ্ছা ঠিকআছে। (আমি)
এক প্রকার বিরক্তি নিয়ে আমি ওখান থেকে চলে এলাম। যদিও আমি মুখে বলেছি ওকে ক্ষমা করেছি কিন্তু মন থেকে ওকে ক্ষমা করি নি। তার বান্ধবিকে টিজ করলে করেছে, তাই বলে মাথায় আঘাত করবে?
একে তো আমি কারো সাথে কথাই বলি না সব সময় নিশ্চুপ থাকি তার উপরও যদি এমন হয় তাহলে তো যে কারোর ও মন খারাপ করার কথা। সেদিন আর ক্লাস না করেই বাসায় চলে এলাম।বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করার পর মেয়েটির কথা মনে পড়লো।মেয়েটি দেখতে খারাপ ছিলো না।খুব সুন্দর ছিলো।মেয়েটির রাগী লুকটি আরো সুন্দর ছিলো।যেকোনো ছেলে প্রথম দেখাতেই ওর প্রেমে পড়ে যাবে। কিন্তু আমি পড়বো না,, কারন ভালোবাসতে যে হৃদয় লাগে আমার সে হৃদয় নেই। আমার মধ্যে যে হৃদয় আছে সে হৃদয় পাথরের, তার মাঝে কোনো অনুভূতি নেই। আমি একা, আমি একাই থাকতে চাই।আমি নিজেকে নিজের মত করে গুছিয়ে নিয়েছি।
'
পরের দিন রহিম চাচার ডাকে ঘুম থেকে উঠলাম।উঠেই ফ্রেশ হয়ে রহিম চাচার হাতে বানানো নাস্তা খেয়ে কলেজে এলাম। কলেজে এসে একমনে ক্যাম্পাসে হাটা হাটি করছি।আশে পাশে অনেক দৃশ্যই চোখে পড়ছে, কেউ বন্ধু বান্ধব নিয়ে আড্ডা দিচ্ছে,, আবার কেউ কেউ গালফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড নিয়ে প্রেমআলাপ করছে। এ দৃশ্য দেখে যেকোনো সিঙেল ছেলের কষ্ট হতে পারে কিন্তু আমার কাছে এটা হাস্যকর। এটা আমার মনে কোনো অনুভূতির সৃষ্টি করে না।হঠাৎ গতকালের মেয়েটার দিকে চোখ পড়লো।মেয়েটা আমাকে দেখে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। গতকালের ঘটনাটা ভূলেই গেছিলাম,কিন্তু মেয়েটিকে দেখে মনে পড়লো,।
>আপনি এমন কেন,,??(মেয়ে)
--,,,,,,,,,,,,,,,(নিশ্চুপ)
> আমি জানি কালকের ঘটনার জন্য আপনি এখনো আমার উপর রাগ করে আছেন।আসলে আমি বুঝতে পারি নি।প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন।
-- আমি কারো উপর রাগ করি না।আমার কারো উপর রাগ নেই।সুতারাং ক্ষমা চেয়ে নিজেকে ছোট করবেন না।
>আপনি এমন চুপচাপ থাকেন কেন,,??চলেন এখন থেকে আমরা বন্ধু হই,,।
-- দুঃখিত।আমি কারো বন্ধু হতে পারি না।
> কেন,,?
-- কারন আমার কোনো অনুভুতি নেই।আমি একা আছি একাই থাকতে চাই।
>কিন্তু আমি আপনার একাকিত্ব গোছাতে চাই, আমি আপনার বন্ধু হতে চাই।
-- আমাকে ক্ষমা করুন।
এই কথা বলে আমি ওখান থেকে চলে এলাম। একাকিত্বই আমার সংঙি।বন্ধুত্ব আমাকে দিয়ে হবে না।
'
এভাবেই কেটে যায় প্রায় তিন মাস। দেখতে দেখতে পরীক্ষা চলে এল।মেয়েটিকে এখন এড়িয়ে চলি। তবে মেয়েটি মাঝে মাঝে আমার দিকে মায়া ভরা চোখে তাকিয়ে থাকতো।আমি সেইদিকে তেমন নজর দিইনা।এখন মোটামুটি পড়ালেখা নিয়ে ব্যাস্ত আছি।
'
কিছুদিন পর পরীক্ষা শেষ হলো। আজ পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে।তাই কলেজে আসলাম।আজ একটু দেরী করে ফেলেছি।কলেজে এসে দেখি আজ সবাই আমার দিকে কেমন এক অন্যরকম দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে।সবাই এমন দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে যেন আমি এক অসাধ্য সাধন করে ফেলেছি।অবশেষে রেজাল্ট দেখে বুঝতে পারলাম আমি পরীক্ষায় কলেজের সবার প্রথম হয়েছি তাই সবাই অদ্ভুত দৃষ্টিতে আমাকে দেখছিলো। আজ আর ক্লাস হবে না তাই বাসায় চলে আসতে যাব, এমন সময় কলেজের প্রিন্সিপাল সবাইকে ক্লাস রুমে ডাকলেন।ক্লাসে প্রায় সবাই উপস্থিত প্রিন্সিপাল ও বেশিরভাগ শিক্ষকও ক্লাসে উপস্থিত রয়েছেন।কি ঘটতে চলেছে কিছুই বুঝতে পারছি না।
'
হঠাৎ প্রিন্সিপাল আমাকে ডেকে বসলেন।আমিও স্যারের কাছে গেলাম।
~ তুমি পরীক্ষায় সবার প্রথম হয়েছ, সেই কথা কী তুমি জান,,?(স্যার)
-- জ্বী স্যার জানি (আমি)
~ তাহলে জেনেও এমন মুখ ভার করে আছ কেন,?
-- স্যার আমি এমনই।
~ তুমি এমন কেন.? তুমি কারো সাথে কথা বল না কেন,,?
--...........(নিশ্চুপ)
~ কী হলো কথা বলছনা কেন,,?তোমার সম্পর্কে এখানকার কেউ কিছুই জানে না। তুমি কাউকে কিছু বল না কেন,,?তুমি এরকম একা একা কেন থাকো, আজ সব আমাদের বল।তোমাকে আজ সব বলতেই হবে।
স্যার এমন ভাবে বলছে তাই আজ সবাইকে সব কিছু খুলেই বল্লাম,,
'
আমি সৈকত।থাকি চট্রগ্রামের আগ্রাবাদে।আজ থেকে আরো ১০ বছর আগে তখন আমি পড়তাম ক্লাস টু তে।খুব ধনি পরিবারের ছেলে আমি। বাবা ছিলো মস্ত বড় ব্যবসায়ী। আমার পরিবারে সব ছিলো। মা বাবা দাদু ভাই দাদী সবাইকে নিয়ে আমরা খুব সুখি ছিলাম।খুব সুখেই দিন যাচ্ছিলো আমাদের।হঠাৎ সেই সুখে নেমে এলো আমাবস্যার ঘোর অন্ধকার। একদিন একটা বিশেষ প্রয়োজনে মা বাবা দাদী মিলে আমাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলো।আমার পরীক্ষা ছিলো আর দাদু ভাইএর ব্যবসার একটা কাজ ছিলো বলে আমরা যেতে পারি নি। মা বাবা দাদী গ্রাম থেকে ফিরে আসার পথে একটা দুর্ঘটনায় প্রান হারান।
সেদিন থেকে আমার জীবনে নেমে আসে আমাবস্যার কালো ছায়া।যে বয়সে আমার মা বাবার সাথে হেসে খেলে কাটানোর কথা সেই বয়সে আমার চোখের সামনে দেখলাম মা বাবার রক্তাক্ত লাশ।সেইদিন থেকে আমি নিস্তব্ধ হয়ে গেছি।সেইদিন থেকে আমার কোমল হৃদয় পাথরে রুপ নেয়।সেদিন থেকে আমার হৃদয় হয়ে পড়ে পাষান, সেইদিন থেকে আমার হৃদয়ে নেই কোনো অনূভূতি।আমি হয়ে পড়ি অনূভুতিহীন। তারপর আমি আমার দাদু ভাই এর সাথে থাকতাম।দাদু ভাই ও আমার মা বাবার শোকে অনেক ভেঙে পড়লেন।তাই আমার এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় রহিম চাচাকে আমার দেখাশুনা করার জন্য নিয়ে এলো।এভাবেই চলতে লাগলো। ছয় বছর পর আমি ক্লাস এইটে ওঠি।পড়ালেখায় ভালো ছিলাম।তখন থেকে একটা মেয়ে আমাকে প্রায় সবার সামনে শুধু শুধু অপমান করতো। মেয়েটির ছিলো রোল দুই আর আমার ছিলো এক। মেয়েটি প্রায় আমাকে জ্বলাতন করতো আমি বরাবরের মত চুপচাপ থাকতাম।এভাবে আমি যখন নবম শ্রেনীতে ওঠি তখন মেয়েটি আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়।আমি সাথে সাথে ওকে না করে দিই।কিন্তু মেয়েটি আমাকে বলে আমি যদি ওর প্রস্তাব স্বিকার না করি তবে সে আত্মহত্যা করবে। তারপরও আমি ওকে না করে দিই।এর পরেরদিন মেয়েটি ওর হাতে রক্ত দিয়ে নাম লিখে আমার কাছে একটা ছবি পাঠায়। ছবিটা দেখে আমি বিচলিত হয়ে পড়ি।আমার জন্য একটি মেয়ে কষ্ট পাচ্ছে নিজের কাছে কেমন একটা অপরাধবোধ কাজ করছিলো, তাই আমি সাথে সাথে ওর সাথে দেখা করি।দেখলাম ওর একটা হাত বেন্ডেজ করা।যদিও ওর প্রতি আমার কোনো অনূভূতি তৈরি হয় নি কিন্তু ওর কষ্ট দেখে আমি ওর প্রস্তাবে রাজী হয়ে যাই।এরপর থেকে মাঝে মাঝে অনেক রাত পর্যন্ত ও আমার সাথে কথা বলতো।আস্তে আস্তে ওর প্রতি আমার একটা মায়া তৈরি হলো।আমিও ওর প্রমে পড়ে গিয়েছিলাম।এভাবেই কিছুদিন চলার পর আমার বার্ষিক পরীক্ষা এলো।পরীক্ষাও আগের তুলনায় একটু খারাপ হলো। তাই ফলাফল ও খারাপ হলো। রোল ১ থেকে আমি রোল ২০ এ চলে এলাম। কিন্তু এটা ভেবে ভালো লাগছে যে অর্পা এখন রোল ১ এ।ও বলতে ভূলেগেছিলাম মেয়েটির নাম ছিলো অর্পা। সেইদিন আর ওর সাথে দেখা করলাম না।পরেরদিন ওকে ডাকলাম কিন্তু ও আমার ডাকে সাড়া দিলো না।এমন তো হওয়ার কথা না, তাই আমি ওর কাছে গেলাম, ও আমাকে দেখে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিলো আর বললো,,আজ আমি আমার উদ্দেশ্যে সফল হয়েছি। তোমাকে এক থেকে ২০ এ নামিয়েছি।তুমি কী ভেবেছিলে আমি তোমাকে ভালোবাসবো? ভূল ভেবেছিলে তুমি। আমি তোমাকে কখনো ভালোবাসিনি এবং কোনো দিন বাসবো না।এখন যাও এখান থেকে আর কোনোদিন আমাকে বিরক্ত করবে না।একথা বলে ও চলে গেল।আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পরলো।সেদিন থেকে মেয়েদের প্রতি আমার বিশ্বাস উঠে গেল।তখন থেকে আমি একা একা থাকি।এর কিছুদিন পর আমার দাদু ভাই ও আমাকে ছেড়ে চলে গেল।এই পৃ্থিবীতে আমি হয়ে পড়ি একেবারেই নিঃসঙ্গ।এখন এই পৃথিবীতে আমার টাকা পয়সা কিছুরই অভাব নেই।অভাব শুধু আমার সেই মানুষগুলোর যারা আমাকে নিঃসার্থ ভাবে ভালোবাসতো। তাই এখন থেকে আমি একা, আমি একাই থাকতে চাই,,,,
'
কথা গুলো বলতে বলতে কখন যে দু চোখ বেয়ে পানি নামতে শুরু করেছিলো সে কথা বুঝতেই পারি নি।তবে আজ কথা গুলো বলতে পেরে মনটাকে কেমন হালকা হালকা লাগছিলো।আমার কথা গুলো শুনতে শুনতে সকলের মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো।তাই আর দেরী না করে স্যার থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছিলাম।এমন সময় ওই মেয়েটি আমার নাম ধরে ডাকতে লাগলো।আমি মেয়েটির ডাক শুনেও না শোনার ভান করে চলে যাচ্ছিলাম, কিন্তু মেয়েটি আমার সামনে এসে দাঁড়ালো।
> কী ব্যাপার আপনাকে কখন থেকে ডাকছি আপনি শুনছেন না কেন,?
--...............(নিশ্চুপ)
> আসলে আপনার ব্যাপারে আমার খু্ব কৌতূহল ছিলো তাই বাবাকে বলে আপনার সব কথা জেনে নিলাম।
-- মানে,,?
> মানে হলো এই কলেজের প্রিন্সিপাল আমার বাবা।
-- ও,,
> জানেন আপনার কথা শুনে আমার খুব খারাপ লেগেছে।আপনার সাথে আমার জীবনের একটা ঘটনার সাথে মিল আছে।
আমার জীবনের ঘটনার সাথে ওর জীবনের একটা ঘটনার মিল আছে কথাটা শুনে একটু জানার আগ্রহ হলো তাই বল্লাম,,
-- কী ঘটনা,,?
> আপনি শুনবেন,,?
-- হুম বলেন।
ও বলতে শুরু করলো,,
যখন আমি ক্লাস নাইনে ছিলাম তখন ক্লাস টেনের একটা ছেলেকে আমার খুব ভালো লাগতো।
আমি ছেলেটাকে খুব ভালোবাসতাম। কিন্তু লজ্জায় কিছুই বলতে পারতাম না।তবে ছেলেটাও মাঝে মাঝে আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতো।এতে বুঝতে পারলাম ছেলেটাও আমাকে ভালোবাসতো।কিন্তু আমাকে কিছু বলতো না,এজন্য ছেলেটার প্রতি আমার খুব রাগ হতো।এইভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর একদিন ছেলেটা আমাকে প্রপোজ করে বসে।আমিও আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওর প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই।এরপর খুব ভালোভাবেই আমাদের দিন কাটতে লাগলো।আমরা একে অপরকে খুব ভালোবাসতাম।ওর নাম ছিলো তাহসান,,আর আমার নাম,, কলি,,।এর ১ বছর পর আমি ক্লাস টেনে ওঠি আর ও পরীক্ষা দিয়ে কলজে ভর্তি হয়।কলেজে ভর্তি হওয়ার কিছুদিন পর ও কেমন যেন বদলে যেতে থাকে।আমার সাথে প্রতিদিন ঠিকমত কথা বলতো না।একদিন ও হঠাৎ করে বলেদেয় ব্রেকআপ। এরপর আমাদের ব্রেকআপ হয়ে যায়।পরে শুনি ও ওর কলেজের অন্য একটি মেয়ের সাথে রিলেশন করে।
'
মেয়েটার কথা শুনে খারাপ লাগলো।মেয়েটার কথা শুনে ওর প্রতি খুব মায়া হলো।মেয়েটির কথা গুলো আমার পাষান হৃদয়ে অনূভূতির সঞ্চার করতে সক্ষম হয়েছে।তবে কী আমি মেয়েটির মায়ায় পরে গেলাম,,?
> কি ভাবছেন,,?
-- না কিছু না।
> একটা কথা বলবো কিছু মনে করবেন না তো,,?
-- হ্যাঁ বলুন।
> আসলে আমি আপনার প্রেমে পড়ে গেছি।আপনার একাকীত্ব আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। আপনার একাকীত্ব গোছানোর দায়িত্ব কী আপনি আমাকে দিবেন,,??
আমি মেয়েটির কথায় স্তব্ধ হয়ে গেলাম।আমি কি বলবো কিছু বুঝতে পারছিলাম না।তাছাড়া মেয়েটির অতীত জেনে ওর জন্য একটা মায়া সৃষ্টি হয়েছিলো।তাই আর এতকিছু না ভেবে ওকে হ্যাঁ বলে দিই।
'
এর পরথেকে শুরু হলো আমাদের নতুন জীবন।ও সত্যিই আমার জীবনের নিঃসঙ্গতা দূর করতে পেরেছে।ওর কারনে আমি আমার একাকীত্ব ভূলে গেছি। ও আমার জীবনে অনেক বড় জায়গা করে নিয়েছে। আমরা প্রায়ই একসাথে কোথাও বেড়াতে যেতাম। খুব সুন্দরভাবে আমাদের দিন কাটছিলো।এখন আর আমি আগের মত চুপচাপ থাকি না। এভাবে কেটে গেল আরো একটা বছর।
আজ "কলি" আমাকে পার্কে দেখা করতে বললো। এর আগেও অনেকবার দেখা করতে বলেছিলো,কিন্তু আজ জরুরী ভাবে তলব করলো।তাই আর দেরী না করে রওনা হলাম। গিয়ে দেখি কলি আমার আগেই এখানে এসে বসে আছে,,,।
-- বল কেন এত জরুরী তলব করলে,?
> দেখ সৈকত আমাকে ক্ষমা কর।
-- কেন???তুমি আবার কী অপরাধ করলে,,?
> আমি আর তোমার সাথে রিলেশন রাখতে পারছি না।
-- কেন,,,??আমার অপরাধ কী,,?
> তোমার কোনো অপরাধ নেই।
-- তাহলে রিলেশন রাখতে চাও না কেন,,?
> আসলে তাহসানের সাথে কাল দেখা হয়েছিলো।ও আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে,ও আমার জীবনে আবার ফিরে আসতে চায়।
-- তাহলে এতদিন কি তুমি আমার সাথে নাটক করেছিলে,,?
> না, নাটক করি নি।এতদিন তোমাকে ভালোবাসতাম,কিন্তু এখন না।আমাকে ক্ষমা করো।আমি তোমাকে দুঃখ দিতে চাইনি।কিন্তু আমার আর কিছু করার নেই। আর আমার সাথে যোগাযোগ রেখো না,এতে তাহসান রাগ করবে।,,ভালো থেকো বাই,,,
একথা বলে কলি চলে গেল।,,আমি চেয়ে আছি ওর যাওয়ার দিকে, আস্তে আস্তে চারদিক ঝাপসা হয়ে আসছে।আজ অনেক দিন পর দুচোখের বাধ ভেঙেছে।এত দিন কোন দুঃখ ও আমার গায়ে লাগতে দেয় নি।তাহলে ও আজ এমন কেন করলো,? শুনেছি প্রথম প্রেম নাকি মেয়েরা ভূলতে পারে না,আজ এই কথাটার বলি হতে হলো আমাকে।দুচোখ বেয়ে আজ অঝোর ধারায় পানি ঝরছে।এই শূন্য হৃদয়ের পুরো জায়গাটাই ও দখল করে নিয়েছিলো। আজ সে আমাকে ছেড়ে চলে গেল।আমার সাথে কেন বার বার এমন হয়। কিছু কিছু মানুষের ভালোবাসাটাই অপরাধ।হয়তো আমিই সেই কিছু মানুষের মধ্যে পড়ি।হে ঈশ্বর তুমি কেন আমায় এ পৃথিবীতে সৃষ্টি করলে? যখন পাঠালে তখন কপালে একটু সুখ দিয়ে পাঠালে না কেন,,?
'
অবশেষে কোনো একজনের লেখা সেই কবিতাটির সাথে আমার জীবনের গল্প মিলে গেল,,,
'
★দুঃখ নামের স্টেশনে থামলো জীবন গাড়ী★
★আজও খুজে পেলাম না কোথায় সুখের বাড়ী★
★বিধাতার কলমে বুঝি ছিল না কোন কালি★
★সুখ নামের জায়গাটা তাই পড়ে আছে যে খালি★

Collected

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ