বর্ণহীন কৃষ্ণচূড়া..
.
লিখা:MD Nazim(বর্ণহীণ বর্ণীল)..
.
বিষন্ন বিকেল।মনটা ছটফট করছে খুব।চারপাশ খানিকটা রঙ্গিন,গাছের পাতারা ঝরে পড়ে বসন্তের শেষে। সর সর করে উড়ে যায়
শুকনো পাতারা।উড়ে যায় আমার বিষন্ন মনটা।
.
প্রতীক্ষা!
অনেকটা প্রতিক্ষায় আমার পারাপার।মেঘেরা সূর্যালোকের সাথে খেলা করে চলছে,ধীরে ধীরে নেমে আসে ছায়া আবার আস্তে আস্তে ঊঁকি দেয় সূর্যিমামা।খেলা চলছে মেঘ সূর্যের,খেলা চলে আমার অন্তরে।কোন এক বিকেলে এ পার্কের বেঞ্চটা থেকেই উঠে যায় আমার রুবি।
.
রুবি.......!
আমার রুবি,হারিয়েছে অনেক আগে।খানিকটা সূর্যালোকের মত,একবার হারায় আবার ফিরে আসে।কিন্তু রুবি তো আসেনা।সে আসেনা আমার প্রতীক্ষাকে সায় দিতে।কেন সে আসে না রে!
.
তুমি কি জানোনা!
তুমি বিহনে কতটা বিষাদ বর্বর আমি!নিকোটিনে ভাসিডুবি।চন্দ্র
ালোকের চন্দ্রগ্রহণের ন্যয়।হারিয়ে যাই দুর্বিন যাযাবরের ন্যয়,বিষাদের মাঝে ঊথাল পাথাল হয়ে যায়।বিষন্নতার ছাপ এঁকে যায় নির্জন মনটায়।
জানতে না তুমি!?
কতটা কালো আমায় গ্রাস করে তুমিহীনা,একরাশ আলোকপাত বড্ড বেমানান হয়ে পড়ে।চাঁদের আলোয় জোনাকিদল খেলা করে,অথচ নাজিম পুরে মরে।পুরে অঙ্গার হয়ে যায়,ছাঁই হয়ে যায় প্রতিবার,সে ছাঁইয়ে ভৎস্য হয় জীবনের সুরবিনাশিনী অপার।
.
কি রে?
বুঝোনি তুমি?
নাকি বুঝতে চাওনি!
বলো না আজ।মনটা যে প্রতীক্ষায়।সময় তো ধেয়ে যায়,কেন তুমি আসো না হায়!
আসতে তোমার কিসের দ্বিধা গো!
ফিরে আসো! আসবে কি ফিরে...!
.
টুপটাপ বৃষ্টি পড়ছে।ব্যালকনিতে বসে বৃষ্টি উপভোগ করছি।খরার পরে বৃষ্টিরা বর্ষার বর্ষণ ছরিয়ে দিচ্ছে।অনেকদিন পর বর্ষণ,মনটাও আনমনে হয়ে উঠেছে।ইচ্ছে করছে বৃষ্টিতে ভিজবো,ভিজিনা আজ।নাহ্,ভাবলে চলবে না।সিগারেট ফেলে সোজা ছাঁদে।
.
আকাশের বুকফাঁটা চিৎকারের সাথে চারপাশটা সিমসাম।এ যেন অন্যরকম অনুভূতির ছোঁয়া,একরকম পৈশাচিক আনন্দ মনের মাঝে।খুব কম সময়ই এমন আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ হয়।কে জানি বলেছিল,"যখন যেটা মন চাবে করবে,যদি সামর্থ থাকে"হুম,ঠিকই বলেছে।এমন সুযোগ খুব কম সময়ই হয়।
বৃষ্টির ধারায় ভিজে চলছি।প্রফুল্ল মনটা বৃষ্টিতে বেসামাল।কিন্তু হতচকিয়ে গেলাম ঠিক তখনই,যখন উত্তরের ফ্লাটে হলুদ ওড়নার বরণে আমার মতই বৃষ্টি উপভোগ করছে।দেখতে কেমন তা বলতে পারবো না,মনেহয় আমার চেয়েও বেশি অানন্দ পায় বৃষ্টিতে ভিজতে।শুনেছিলাম মেয়েরা নাকি বৃষ্টি বিলাসী হয়,আজ তার প্রমাণও পেয়ে গেলাম।
আমি চেয়ে থাকি তার দিকে,সে বৃষ্টিতে ভিজে চলছে।আকাশের কান্নায় তার মনটা উজার,এ সময়টা উপভোগে তার দ্বিধা হচ্ছে না।সে ভিজে চলছে তো চলছে।
.
খানিকটা সময় পেরিয়েছে।হঠাৎই পিছন ফিরে সে চমকে গেল।দেখে ফেলেছে আমায়।লজ্জাবোধ দুজনের মধ্যই কাজ করছে,আমি চোঁখ নামিয়ে ফেলছি।তার রাগান্নিত নজরের দিকে তাকাতে পারছিনা।অনেকটা ভুল করে ফেলছি হয়ত।সে যাই হোক,রাগ করলেও ভালোই লাগে(উঁকি দিয়ে তার নজরে)।কোন কথা বলছে না,রাগের চরমে বোধয়।আমিও একগেড়েমি করে দাঁড়িয়ে আছি।অন্যয়বোধ কাজ করলেও নামতে মন চাইছে না।বারবার তার কাছেই থাকতে মন চাইছে।হুট করেই সে চলে গেল।সাথে একটা বিকট শব্দ করে গেল,"হুহহহহ"খুব রেগে ছোট্ট কথায় বিশাল রাগের ছাপ দিয়ে গেল,হয়ত শাসিয়েও গেল।সে যাই হোক,নামতে হবে।
.
ফ্রেশ হয়ে রুমে আমি।মোবাইলটা হাতে নিয়ে ফেসবুক নামের ফেকবুকে গুতাগুতি করছি।কিন্তু কিছু ভালোলাগছে না।মেয়েটির কথাই মনেপড়ছে বার বার।
কি করব!
আচ্ছা,তাকে তো দেখিনি কোনদিন।
তবে হঠাৎ কেন.!
কেনই বা তার আগমন..!
আর এমনকরে কেনই বা দেখা...!!!
কিসের জন্য বুকের বাঁপাশে প্রথম দেখাতেই সুপ্ত অনুভূতির শিহরণ...!!!
জানিনা কিছু আমি,কিছুই না।তাকে দেখতে মন চাইছে খুবকরে।যাই না আরেকবার ছাঁদে,যদি তার দেখা পাই!আবারো ছাঁদে আগমন।উত্তরের ছাঁদে ব্যক্তিচিহ্ন তো দুরে থাক,পক্ষির চিহ্নও দেই।
ধ্যাত!
কেমন হল!
আমি খুঁজেফিরি তারে দেখার তরে,আর সে নেই।কেমন লাগে!
.
বিকেল পেরিয়ে সন্ধা অতপর রাত।রাতের স্বপ্নে হলুদ ওড়নায় আবরিত সে।আমি তার দিকে চেয়ে আছি,সে আমার দিকে।মনের অব্যক্ত জমা কথা বলে চলছি,সেও শুনে চলছে।হাতের সাথে হাত মিলিয়ে বৃষ্টি উপভোগ করে চলছি দুজনে।মাঝে মাঝে তার এলোমেলো চুলগুলো হাতের স্পর্শে সাজিয়ে দিচ্ছি।শিহরিত সে,শিহরিত আমার মন।আস্তে করে তাকে কাছে টেনে নিয়ে আসি,সে সায় দেয়।বিদ্যুৎ চমকালে বুকের মাঝে মুখ লুকিয়ে থাকে।বড্ড ভয় পায় সে আকাশের চিৎকারে,আমার বুকে তার ঠাঁই খোজে।আমি তার থুতু ডানহাত দিয়ে টেনে আনি,সে চলে আসে।বিভাজকের(নাকের)ওপর বিভাজক স্থাপন করি।ঘনঘন শ্বাস দুজনের।ঠোঁটের দুরত্ব খুব কম দুজনের।হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙ্গে যায় বোনের ডাকে।
.
ধ্যাত!!
স্বপ্নেরাও ধোঁকা দিল।কি স্রীন চলছিল।রোমান্সে হাবুডুবু ছিলাম।এখন বোনটা হুদাই ডাক দিয়ে বারটা বাজালো।একটু রেগেই..
.
আমি-কি হইছে,চিল্লাস ক্যান?
ছাবিহা-খাবি না রাতে?
-কয়টা বাজে?
-১১টা পেরিয়েছে।
-যা ভাগ,খাবো না।
-মাকে ডাকলাম।
-থাম থাম, আসছি।
-হুহহহহ...
-ফুঁহহহহহ...
.
ঘুমাইছি কখন!সঠিক মনেনাই।বৃষ্টি উপভোগ করতে গিয়ে জ্বরে আমায় উপভোগ করছে।তাই হয়ত সন্ধার পরপরই ঘুমের দেশে পায়চারি করছিলাম।যাই খেয়ে আসি,নইলে আবার মায়ের সুমিষ্টস্বরের বুকনি।খাবার বসে শরীরের অবস্থার বারটা বেজে গেছে।ঝিমুচ্ছি একটু একটু।এটা দেখে মায়ের শুরু..
.
মা-কিরে কি হইছে তোর?
আমি-কিছুনা..
-শরীর খারাপ নাকি?
-নাহ্,ঠিক আছি।
-বৃষ্টিতে ভিজছিস,তাইনা?
-না মা।
-সত্যিকরে বল..
-একটু একটু।
-যাক ভালোই হইছে,খেয়ে ঘুমা।মেডিসিন পাবি না।
-ঠিক আছে।
-কি ঠিক আছে?
-মেডিসিন নিবো না।
-মার খাবি?খাবার পর মেডিসিন নিবি,তারপর ঘুমাবি।
-হুমম।
.
খাওয়া শেষ,মেডিসিন চোঁখ বুজে এক ঢোকে গিলে ফেলছি।এবার ঘুমোতে যাই।
সকাল হয়ে গেছে।হেব্বি একটা ঘুমের পর কফি হাতে ছাঁদে সূর্যিমামার আগমন দেখছি।ফ্রেশ সকাল।আরও ভালো লাগত যদি সে অাসত!কিন্তু সে আসেনা কেন?
সকাল সাঁড়ে সাতটা বেঁজে গেল।হাঁফ ঘন্টা কফি হাতে দাঁড়িয়ে আমি।উত্তরের দিকে চেয়ে আছি।সে আসেনা।
.
কিছুক্ষণ পর..
মেয়েটি আসছে।প্রথমেই আমাদের ছাঁদের দিকে নজর।আমাকে দেখেই তিড়িং বিড়িং রেগে মাইলেজ ছারিয়ে ধেঁয়ে আসছে।বোঁধয় খেয়ে ফেলবে।আমি আলতো করে ঠান্ডা কফিতে চুমুক দিচ্ছি।অনেকটা ভাব নিবার মত।নাহ্ ভাবই নিচ্ছি।একটু ভয় হচ্ছে,কি বলবে!তা ভেবে।
ভাবতে ভাবতেই..
.
মেয়েটি-ঐ আপনি কাল আমায় দেখছিলেন ক্যান?
আমি-কই দেখছিলাম?
-মিথ্যা বলবেন না।আপনি চেয়ে ছিলেন কিন্তু।
-নাহ্,কাওকে দেখিনি তো।
-নাক ফাঁটাবো আপনার।আরেকবার মিথ্যা বললে।
-ফাঁটান,নো প্রোব।পরে মেডিসিন বিল দিয়েন।
-এহহহহ্।আগে সরি বলেন।
-কিসের সরি?আর কেন সরি?
-যা করছেন তার জন্য।
-কি করছি?
-জানেন না?
-বলবেন তো..
-ধ্যাত! সরি বলেন।
-হুদাই সরি বলার অভ্যাস নাই।
-ঐ আপনাকে কিন্তু?
-কি......!
-কিছুনা।আপনি আর ছাঁদে আসবেন না।
-কেন এটা কি আপনাদের নাকি?
-না,তারপরও..
-তারপরও কি?
-আসবেন না তো আসবেন না।
-হা হা,পাগলী নাকি?আমার বাপের ফ্লাটে আমি নাকি আসবো না।আজব!!
-হুমমমমম।
-কইছে..
-এখন ফুটেন।
-এহহহহ।
-হুহহহহহ।
-ফুঁহহহহহহহ।
-আমার ওপর রাগ?
-তা নয় কি?
-আসছি দাঁড়ান।
-কি করবেন(একটু ডেকে)..
-ঠ্যাং ভাঙ্গবো।
-কিভাবে?
-আন্টিকে বলে।
-সরি সরি।
-হইছে।
.
নেমে আসছি..
কি মেয়ে মাইরি?
মায়ের কাছে নালিশ দিবে।
মা যদি জানে মেয়েটিকে বিরক্ত করছি।তাইলে আস্ত রাখবে না।ঠ্যাং আর হাঁটার যোগ্য থাকবে না।
রাগে মনটা ফুলছে আর বলছে..
.
রাগের মাঝে নালিশের ভয় দেখিয়ে,
ঠ্যাং দুটোর বারটা বাজানোর ধান্দাতে,
নিচে নামালি ছাঁদের ওপর থেকে,
ছারনাম তোরে প্রভাতের সাজে,
কিন্তু ছারছিনা তোরে সাত জনমে।
.
সিঁড়ি বেয়ে নামার সময়,পিছন থেকে..
ছাবিহা- কি রে ভাইয়া?
আমি- কি হইছে?
-কি দেখলাম রে?
-কি দেখলি?
-মাকে বলব?
-এত ম্যা ম্যা করোস ক্যা?
-মা..মা...(ডাকছে)..
-ঐ থাম থাম।
-ক্যান?বলি?
-না বোনটি।
-তাইলে টাকা দে..
-কি করবা বোন?
-ভাবীর সাথে ডেটিং এ টাকা উড়াবা,বোনের বেলায় ফাঁকা...!
-ভাবী!!!
-হুমমম..
-আরে পাগলী,মেয়েটার সাথে ঝগরা করছিলাম।
-ঐ তো ঝগরা দিয়েই শুরু হয়।
-শিখছোস কোথায়?
-মুভিতে দেখছি।
-পাকামি কমা,ওকে?
-টাকাটা দে আগে।
-দিবো না,ভাগগগগ।
-আচ্ছা..মা..ও মা..
-থামনা রে বোন।
-টাকা ছার ভাই।
-রুমে থেকে আসি।
-পাঁচশো দিবি কিন্তু..
-মারছে,আমার বিড়ি কেনার টাকা নাই,উনি পাঁচশো নিবে।
-কিহহহহহ!
-কিছুনা,নিস।
-হুমমম।
.
রুমে আমার সাথে সাথে আসলো।আর পকেটের পাঁচশো উঁধাও।বোন নয় রে, এটা ঘড়ে পোষা আস্ত ডাকাত।চারদিকে এক মেয়ের জন্য বাঁশের লাড়াচাড়া চলছে।আমি মাঝ থেকে খেয়ে চলছি।
বাহ্!ভালো না?
ভালো তো।
.
আজ আর অফিসে যাবো না।শরীরটা আবারো সিক হয়ে পড়ছে।সারাদিন ঝিরি-ঝিরি বৃষ্টি দেখবো।পারলে তাকেও দেখবো।আচ্ছা,এখনো তো তার পরিচয় পাওয়া হল না।কি করে পাবো!
.
বিকেল বেলা..
বৃষ্টি থেমে গেছে।ছাঁদে যাই যদি দেখা হয়।একটু ঝগরা করার সুযোগ হবে।সাথে হুমকিও খাওয়া হবে।
এসেগেছি,উত্তরের দিকে তাকাতেই তার দেখা।সে কি জানি করছে!হালকা হালকা করে তার দিকে নজর পতন করছি।আমায় খেয়াল করেনি এতক্ষণ।কিন্তু এবার দেখার পর..
.
-আপনি আবার এখানে?
-হুমমম।
-কি হুম?
-কিছুনা।
-আসছেন কেন?
-আকাশ দেখতে।
-নিচে গিয়ে দেখেন।
-পারবো না।
-কি???
-হুম।
-ওকে,এবার বলবো তো ছারবো।
-ঐ শোনেন শোনেন।
-কি?
-নামটা কি আপনার?
-বলা যাবেনা।
-কেন?
-এমনি।
-ভালো।
-তো আপনার নাম তো"নাজিম"তাইনা?
-জানলেন কি করে?
-এমনি।
-হুররর।
-প্রাইভেট কম্পানিতে জব সাথে লিখাপড়া করছেন।
-হুম,এতকিছু কি করে জানলেন??
-বলছিনা এমনিতেই।
-ভালো তো।
-আমার নাম "জান্নাতুল ইসলাম রুবি"
-সুন্দর নাম।
-হইছে,পটানোর চিন্তা বাদ দেন।
-কি করলাম তো পটান দেখলেন?
-বাদ দেন।
-হুমমমম।
-আর ছাঁদে আসতে বাঁধা নেই,তবে চেয়ে থাকা যাবে না।
-মানে কি?
-হ্যাংলার মত চেয়ে থাকেন কেন এত?
-কই!থাকিনা তো।
-তাইলে ছাঁদে আসেন কেন?
-এমনিতেই।
-এত বেশি তো আসার কথা নয়।যতটুকু জানি আপনি ছাঁদে খুব কম আসেন।
-জানলেন কি করে?আর বলছে কে এসব?
-যে আপনার পাঁচশো ঝেরেছে।
-ওহ্!তার মানে...
-তার মানে কি?
-নাহ্,কিছুনা।
-হুমমম
-আপনি করেই বলতে হবে কি?
-হুমমম।
-আপনি তো আমার ছোট।
-তাতে কি?
-যদি তুমি করে বলতে পারতাম!
-বাঁধা তো দেইনি।
-থ্যাংকু।
-হইছে,ভাগেন।
-কই যামু?
-তো থাকেন,আমি যাই..
-ঐ কই যাও!
-আসি...
.
ধ্যাত!
রুবি চলে গেল।যাই হোক ভালোই হল,এখন থেকে কথা বলা যাবে।
নামটাতে কেমনজানি মায়া কাজ করে।কিন্তু রুবি তো অন্যরকম।তার কথায় মায়ার চেয়েও বেশি কিছু দেখতে পাই,তার চলনে বার বার মুগ্ধ হয়ে যাই,তার তার ঝগরাতে কেমনজানি একটা ভাব লক্ষ্য করি।
আচ্ছা, আগে তো এমন হয়নি!
এখন কেন এমন হয়!
আগে তো এমর অনুভূতি ছিল না!
এ মহুর্তে এতটা ঊথাল-পাথাল কেন হয়!
আমি কি তার প্রেমে পড়ে গেছি?
জানিনা।তবে পড়তেও পারি।প্রেমে পড়লে নাকি রাতদিন তাকে নিয়েই কল্পনা গড়ে যায়।আমারো তো এমনটা হয়ে চলছে।তবে কি সত্যিই রুবির প্রেমে আমি মগ্ন!নাকি বিভোর তার মাঝে!!হতে পারে,আমি যে..
.
রুবির মায়ায় ভাসিডুবি,
রুবির তটেই জীবন খুঁজি।
প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ি,
তাকে ভেবেই স্বপ্ন বুণি।
.
রুমে চলে আসছি,সিগারেট ধরিয়ে রুবির কথা ভাবছি।শুধু নামটাই জানা হল,আর কিছুনা।কি যে আমি!জানতেও চাইলাম না।নিজের ওপরই রাগ হচ্ছে।
দরজার সামনে দিয়ে ছাবিহা হেঁটে যাচ্ছে।ডাক দেই,যদি কিছু জানা যায়।ইনি তো আবার আমার বায়োডাটা ঝেরে দিছে।ডাক দিয়ে..
.
আমি-ঐ শোন..
ছাবিহা-হুম বল।
-রুবিকে আমার সম্পর্কে এতকিছু বলছিস ক্যান?
-ইচ্ছা করছিল তাই।
-এখন একটা উপকার করতে পারবি?
-বল,তবে শর্ত আছে।
-কি শর্ত বোন?
-চকলেট খাওয়াতে হবে।
-আচ্ছা,খাওয়াবো।এখন বল রুবির সম্পর্কে..
-এখানে ভাবী লিখাপড়া করার জন্য আসছে,আর ফ্লাটটা ওনাদের অাঙ্কেলের।ছোট ভাই আর বাবা মা নিয়ে ওনাদের পরিবার।অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হইছে।আর কিছু?
-না,তুই এসব জানলি কি করে?
-ঐ যে সেদিন তুই বৃষ্টিতে দেখছিলি।তারপর আসছিল,তখনই কথা বলছিলাম।আর দেখতেও ভালো তাই তোর সমন্ধে ভালো-মন্দ বলছি।
-ভালো করছিস।
-হুম,চকলেট দিস।
-মনে থাকবে।
-মনে থাকলে হবেনা, আনতে হবে।
-হুমমমম।
-থ্যাংকু ভাইয়া।
-পকেট ঝারার ধান্দা।
-ভাগগগ..
-রুম থেকে বার হ..
-হুহহহহহ...
-ফুঁহহহহহহ...
.
এবার সব ঠিক আছে।রুবির পরিচয় সম্পর্কে খানিকটা জানা হল।এপাশ ওপাশ থেকে কথার ফুলঝুরি ফুটে ওঠে।বলা হয়ে ওঠেনা "ভালোবাসি"।মনটা ব্যাকুল হয়ে ওঠে বলার জন্য।বলতে গিয়েও বলতে পারিনা।কিসের এক দুর্বলতা আমার মাঝে কাজ করে চলে।রুবিকে যে হারাতে চাইনা আমি,যদি সে হারিয়ে যায়।তবে কি হবে আমার!
হারানোর ভয়টা অামায় বলতে বাঁধা দেয়।
.
ছয় মাসের মত পেরিয়েছে।সবার আড়ালেই কথা হয় লুকিয়ে।বোনটা ছারা কেউ জানেনা।আজ কেন জানিনা,রুবি পার্কে ডেকেছে।হয়ত স্পেশাল কিছু হবে।অফিস থেকে খুব তাড়াতাড়ি ফিরে পার্কে পদার্পন আমার।
অনেক অাগে থেকেই সে আসছে।মনেহয় রাগে ফুলছে।যাই হোক,পিছন থেকে ডাক দিতেই..
.
রুবি-ভালোবাসেন?
আমি-মানে?
-যা বলছি উত্তর দেন।
-হুমম।
-এতদিন বলেন নি কেন?
-ভয় ছিল।
-কিসের ভয়?
-তোমায় হারানোর..
-যদি হারিয়ে যেতাম?
-পাগল হয়ে যেতাম।
-কতটা ভালোবাসেন?
-জানিনা।
-বলেন বলছি।
-ভালোবাসার পরিমাপ হয়না।
-হুমমম,ভালোবাসি।
-জানি।
-কিভাবে?
-প্রথম কথা শুনেই।
-এক্রপার্ট ভালোই।
-রুবির প্রেমে।
-ভালো..
-হুমমমম।
-অাপনি করে বলতে পারবো না আর।
-বাঁধা দিছি নাকি?
-আমার ডায়লগ আমাকেই!
-শিখিয়েছ তো তুমি।
হা হা হা,একসাথে দুজনে হেসে উঠে।অতপর...
আমি-চলো..
রুবি-কই?
-বাসায়।
-এত তাড়াতাড়িই?
-তো কি?
-ঘুড়বো,খাবো তারপর...
-ডাকাতি নাকি পকেট মারি।
-বলতে পারলা?
-নাহ্...
-হুহহহহ,যাও কোনটাই হবেনা।
-বেঁচে যাই।
-কি কিপ্টা তুমি?
-হুমমম,সময়ে কাজে আসবে।
-যদি তার আগেই হারাই?
-হারাতে পারবা না।
-কি করে রাখবা?
-বুকে বেঁধে রাখবো।
-এখনো তো রাখোনি।
হাত টেনে বুকে জরিয়ে।অাস্তে করে তার কানের কাছে..
-এভাবে রাখবো।
-ওই ছারো,পাবলিক প্লেস এটা।
-তাতে কি?
-ছারো ছারো।
-হুমম..
ছেরে দিয়ে।একসাথে চলছি।অনেকদিন পর তাকে পেলাম।অানন্দের সীমা আজ ছারিয়ে গেছে।ছরিয়েছে খুশির জোঁয়ার আকাশে বাতাসে।বাতাসে ভেজা গন্ধ টের পাই,হয়ত বৃষ্টি আসবে।অসময়ে বৃষ্টির সুর চলে আসছে।
এ বৃষ্টি কিসের?
এ কি আমাদের ভালোবাসার জানান দিবার জন্য আসছে?
নাকি আমাদের খুশিতে আকাশ তার হিংসার অশ্রু ঝরাচ্ছে।
সে যেমন আচরণই করুক না কেন,বৃষ্টিতে ভিজতে বাঁধা কিসে?
ভিজিনা আজ প্রথম দিনের মত।ভিজে চলছি দুজনে একসাথে।অবাক দৃষ্টিতে সবার চোঁখ আমাদের দিকে।হয়ত তারা ব্যস্তবহুল শহরে এমন যুগলবন্দী দেখে অবাক।তারপরও..
রুবির সাথে মিলেমিশে আমি একাকার,
ভালোবাসার জোঁয়ারে ভাসছে জীবন আমার,
আমি যে তার ভালোবাসায় অন্ধ-অাঁধার,
সে যে আমার পূর্ণতায় পাওয়া জীবনের ধার।
.
বাসায় ফিরি দুজনেই।মায়ের বকা আজ শুনতে লাগছে মজা।বোনটা হাসি ছারছে ফলকা ফলকা।হয়ত জানেই এ বিষয়টা।
রাতভর কথা, দিনে অফিসে কাজের ফাঁকে কথার বীজ বুণা।এমন করে চলে যায় সময়, পেরোতে থাকে দিন।চুপি চুপি কথার ফাঁকে গড়ে ওঠে এক বিশাল স্বপ্ন।যেখানে আমি আর রুবি।চারপাশে পরিচিত কেউ নেই।গড়ে ওঠে ছোট্ট একটা সংসার।সাথে জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চাওয়া পাওয়ার দিক থেকে যায়।কিছু পূর্ণতা পায়,খানিকটা অধরায় থেকে যায়।তারপরও আমরা সূখী।দুজনের খেয়াল একে অপরে নিতে থাকি।ভালোবাসার মাঝে এমন কল্পরাজ্যে আমরা ভাসিডুবি।
.
জানিনা,এ ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে কিনা।তবে স্বপ্নগুলো অতিশয় আপনমনে গড়ে ওঠে দুজনের অন্তরে।কল্পনার বেড়াজাল ছারিয়ে আমরা ভেসে যাই দুরে,বহুদুরে।এমনকরেই চলতে থাকে সময়।একের মাঝে অপর মিশে।এ এক অজানার ছাপ।
.
অনেকটা দিন পেরিয়েছে,রুবি অনার্সের শেষ বর্ষে।আমার লিখাপড়া সম্পূর্ণ শেষ।তবে আজকাল রুবিকে খুব একটা সময় দিতে পারিনা।কাজের চাপ অনেকটা বেশিই।খুব বেশি কথা হয়না,সকালে অফিসে যাই আর রাতে আসি।প্রতি শুক্রবারে কথা হয়।সেটাও খুব কম সময়ের জন্য।মাঝে মাঝে রুবির থেকে বকুনি শুনতে হয়।কিন্তু কিছুই করার নেই আমার।কম্পানিতে চাকরি করা আর মানুষের গোলাম হয়ে থাকা একই কথা।একারণেই হয়ত আমি এতটা ত্যাগ স্বিকার করে আসছি।
.
এদিকে রুবিরও আচরণ কেমন কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে।কথাগুলো খানিকটা ট্যারা-ব্যাকা।গাঁয়ে লাগলেও কিছু করার নেই আমার।প্রায় একমাস হয়ে এল পার্কে আসা হয়না।আগে অন্তত অাসা হত।এখন সেটাও হয়না।আজ নিজে থেকেই ডেকেছে।পার্কে রুবি আগে থেকেই চলে আসছে।অতপর আমার যাওয়ার পরপরই..
.
রুবি-নাজিম আর কত!
আমি-কিসের জন্য?
-ব্যস্ততার মাঝে আমায় তো ভুলেই গেছো।
-আমার কি করার?
-এভাবে আমি থাকতে পারবো না।
-মানে?
-একটা ডিশিষন নিয়ে ফেলছি।
-কি?
-এবার ইন্ডিং চাই।
-কিসের ইন্ডিং?
-আমাদের রিলেশনের।
-কিসব বলছ...!মাথায় আছে?
-হুম,সব ঠিক আছে।
-ভাবা-চিন্তা করে বলো।
-অনেকদিন যাবৎ ভেবে চলছি।
-আমায় ছেরে থাকতে পারবা?
-জানিনা,তবে আর চলবে না।
-এসব তো তোমাকে পাবার জন্যই।
-যদি সুখটা না পাই?
-নিশ্চুপ আমি।
-ধরো,একদিকে আমি অপরদিকে পৃথিবীর সবকিছু।তবে কোনটা বেছে নেবে?
-নিশ্চুপ আমি।
-আসি আমি..
-রুবি?
-সরি আমি,যেদিন সময় হবে সেদিন আসবো।
-ভালোবাসি।
-নিশ্চুপ।
-যেও না ছেরে, প্লীজজজজ...
-তারপর?
-জানিনা কিছু..
-জানতে পারবাও না কোনদিন।
-রুবি!
-বাই...
.
রুবি চলে যায় উত্তরে উত্তরহীন মুখে।আমি চেয়ে আছি তার দিকে পথের প্রান্তরে নিশ্চুপ নতমুখে।শরীরটা কেমনজানি করছে,কিছু বুঝতে পারছিনা।
এতদিনের সম্পর্ক!
এতটা ভালোবাসা.!
হাজার হাজার স্বপ্ন..!
কি হয়ে গেল!কিছুই বুঝতে পারছিনা।আমি চেয়ে আছি তার দিকে।সে শ্লথ গতিতে হাঁটতে হাঁটতে হারিয়ে যায় দুরে,বহুদুরে।অশ্রুধারা চোঁখের কোণ বেয়ে নামতে শুরু করছে।নিরব অসার দেহে আমি অশ্রু বিসর্জন দিয়ে চলছি।চারপাশটা ঝাপসা ফিকে লাগছে।কেমন একটা অনুভূতির ছাপ হৃদপিঞ্জরের মাঝে।না যায় প্রকাশ করা,না যায় চাপিয়ে রাখা।বুকের বাঁপাশে দুমড়িয়ে মুচরিয়ে উঠছে।
এ কেমন অনুভূতি গো!!
কেনই বা এতটা বর্বর?
আমি তো পরিচিত ছিলাম না এমন অনুভূতির সাথে।থাকতেও চাইনি।তবে কেন এমনটা হয়ে গেল!
জানিনা আমি, কিছুই জানিনা।আশে পাশের সবাই চেয়ে দেখছে,হয়ত তারা কষ্ট দেখে নিরব হয়ে আছে। একটু পানি চাই,গলাটা শুকিয়ে আসছে খুব।
শ্লথ গতিতে ফাষ্ট-ফুডের আসলাম।গ্লাস হাতে নিয়ে থাকতেই চোঁখ থেকে এক ফোঁটা পানি পড়লো গ্লাসে।পানির দিকে চেয়ে দেখছি।এ কি তেতো হবে?
কষ্টের জল নাকি খুব তেতো হয়।হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।এক ঢোকে পুরো গ্লাসের পানি গিলে ফেলেছি।কিন্তু তেতো তো লাগলো না।তবে কি?
প্রকৃতি তার উল্টো আচরণ করল!
নাকি আমি উল্টো হয়ে গেলাম!
খুব ঘুম পাচ্ছে।একটা ঘুম দরকার।শান্তির ঘুম চাই।মানুষের নাকি কষ্টের মাঝে ঘুম আসেনা।আমার তো ঘুম পাচ্ছে খুব।হয়ত প্রকৃতির উল্টো পথে আমি।
.
বাসায় চলে আসছি।একা আসিনি,অাকাশ সমান কষ্টকণা আর ঘুমের কয়েকটা ট্যাবলেট নিয়ে আসছি।একটা ঘুম চাই,খুবকরে চাই।
পুরো এক জগ পানি সাথে ট্যাবলেট পেটে পুরে গাঁ এলিয়ে দিলাম বিছানায়।
আহ্..!
ঘুম..!
শান্তির ঘুম...!!
.
সেদিনের পর থেকে আর ছাঁদে যাওয়া হয়নি।শুনেছি রুবি নাকি গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে।দেখা করতে যাইনি।গেলেও কি হত!
কিছুই না।তবে যাবো কেন?
.
আজকাল খুব বেশি মনেপড়ে রুবিকে।জানিনা সে ফিরবে কিনা!তবে তার তরে আজও মনটা কেঁদে ওঠে।ছাঁদের এপাশ ওপাশ খুঁজেফিরি তার পদচিহ্ন।নাহ্,পা
ইনা খুঁজে তাকে।খুঁজতে থাকি তার সাথে কাটানো অনুভূতির ছোঁয়া গুলো।সেগুলোও কই জানি হারিয়েছে।
পার্কের বেঞ্চটায় বসে বিকেলটা উপভোগ করার বৃথা চেষ্টা করছি। কিন্তু বিষন্ন বিকেল।মনটা ছটফট করছে খুব।চারপাশ খানিকটা রঙ্গিন,গাছের পাতারা ঝরে পড়ে বসন্তের শেষে।সর সর করে উড়ে যায় শুকনো পাতারা।উড়ে যায় আমার বিষন্ন মনটা।
.
প্রতীক্ষা!
অনেকটা প্রতিক্ষায় আমার পারাপার।মেঘেরা সূর্যালোকের সাথে খেলা করে চলছে,ধীরে ধীরে নেমে আসে ছায়া আবার আস্তে আস্তে ঊঁকি দেয় সূর্যিমামা।খেলা চলছে মেঘ সূর্যের,খেলা চলে আমার অন্তরে।আমি ভেবে চলছি রুবিকে নিয়ে।মনের ভেতরটা কষ্টে কুত্তার মত কুঁই কুঁই করে কেঁদে ওঠে।বিষন্নতার ছাপ চোঁখে মুখে।তবুও ভাবতে থাকি তোমায়,বসন্তের এমন দিনটায়।দেখো না তুমি,বসন্তেও মেঘেরা খেলা করে।কি অদ্ভুত তাই না রে!
.
কি রে!
তুমি কি জাননা!
তুমি বিহনে কতটা বিষাদ বর্বর আমি!নিকোটিনে ভাসিডুবি।চন্দ্র
ালোকের চন্দ্রগ্রহণের ন্যয়।হারিয়ে যাই দুর্বিন যাযাবরের ন্যয়,বিষাদের মাঝে ঊথাল পাথাল হয়ে যায়।বিষন্নতার ছাপ এঁকে যায় নির্জন মনটায়।
জানতে না তুমি!?
কতটা কালো আমায় গ্রাস করে তুমিহীনা,একরাশ আলোকপাত বড্ড বেমানান হয়ে পড়ে।চাঁদের আলোয় জোনাকিদল খেলা করে,অথচ নাজিম পুরে মরে।পুরে অঙ্গার হয়ে যায়,ছাঁই হয়ে যায় প্রতিবার,সে ছাঁইয়ে ভৎস্য হয় জীবনের সুরবিনাশিনী অপার।
.
কি রে?
বুঝোনি তুমি?
নাকি বুঝতে চাওনি!
বলো না আজ।মনটা যে প্রতীক্ষায়।সময় তো ধেয়ে যায়,কেন তুমি আসো না হায়!
আসতে তোমার কিসের দ্বিধা গো!
ফিরে আসো! আসবে কি ফিরে...!
.
বলেছিলে আসবে ফিরে।তবে কেন আসো না রে!আসোই না ফিরে,একবার দেখবো তোমায়।তোমায় দেখার জন্য মনটা যে ব্যকুল হয়ে পড়েছে।
আসো না!
প্লীজজজজজজ......!
.
নাহ্,রুবি তো আসেনা।আমার তর আর সয়না।কি করে বেঁচে থাকি রে!এত কষ্ট কেন তুমি বিহনে?
তুমি কে গো?
যার জন্য এত কষ্ট!
তোমার মাঝে কি এমন অাছে?
যা পাবার তরে আজও কেঁদে যাই।
.
আজও ছাঁদের ওপর পায়চারি করে চলছি।উত্তরের ছাঁদে চোঁখের আনাগোনা সর্বক্ষণই থাকে।কে যেন দেখে চলছে ঊঁকি দিয়ে।খানিকটা রুবির মত।
তবে কি সে?
অনুভূতির সায় বুকের পাশে।হবে হয়ত!এ রুবি ছারা কেউ হতে পারে না।একটু সামনে যেয়ে নামধরে ডাকতেই,কই যেন চলে গেল।আমি কি ভুল দেখেছি!নাকি ঘোড়ের মাঝে।
.
এবার নামতে হবে,সন্ধা প্রায় ছুঁই ছুঁই।নিচে নামতেই চোঁখদুটোকে বিশ্বাস করতে পারছিনা।এ তো রুবি!আমার রুবি।না পাবার রুবি,হারাবার রুবি।
মা,বোনের সাথে গল্প করছে।আমি চেয়ে আছি অপলোক দৃষ্টিতে।দৃষ্টি নামছে না,ঝর ঝর করে পানি ঝরছে।
এ কিসের পানি?
সুখের নাকি কষ্টের!
নীচে নেমে আসতেই সে চলে গেল।একটিবারের জন্যও কথা বলল না।ফিরেও দেখল না আমায়।পরখ করলো না আমার হৃদয়ের আকুতি আর কান্নার স্রোতা গুলো।কেঁদে চলছি খুবকরে নিজের রুমে।ছোট বোনটা এসে খানিকটা বোঝাবার চেষ্টা করছে।
কিন্তুকি করে বুঝবো রে বল!
আমি যে আজও তার কাছে হেরে গেছি।
সে তো অন্যের রে,আমি যে তার তরে বিবাগী।বিস্বাদ বিষাদের তোলপড়ে ভাসি ডুবি।
.
মা আমার আর শাসন করতে আসে না,মুখ লুকিয়ে কাঁদতে থাকে।ছেলেটার কথা ভাবতে গিয়ে কেঁদে ফেলে।
এই একটা রুবি!
আমার রুবি!
হারিয়ে যাবার রুবি!
.
যার জন্য আমার পৃথিবী জুরে আঁধার।যার তরে চন্দ্রালোকের আলো কলঙ্কিত।সূর্যের ঊঁকি-ভুঁকি বিষন্ন।জোনাকির খেলা স্তম্ভিত।ছয় ঋতুর বর্ণীল সাজ বর্ণহীন।বসন্তের সে ফুলেরা আজ বর্ণহীন।বর্ণহীনতায় রঙ্গের রঙ্গিন তার আদলে থেকে যায়..
.
"বর্ণহীন কৃষ্ণচূড়া"..
.
বর্ণহীন কৃষ্ণচূড়া..
.
লিখা:MD Nazim(বর্ণহীন বর্ণীল)..
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§§ā§Š āϏেāĻĒ্āĻেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
1496
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ē:ā§Šā§§ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ