তিসানের বাসায় নতুন ভাড়াটিয়া এসেছে। তিনজনের পরিবার মা বাবা আর তাদের একমাত্র মেয়ে লিয়ানা।
তিসানরা দুই তলায় থাকে। একদিন দুপুরে তিসান পড়ছিল হঠাৎ লিয়ানা এসে তিসানের মাকে বলল, আন্টি বাবা খুব অসুস্থ। হসপিটালে নিতে হবে। তিসান ভাইয়া বাসায় থাকলে একটা সিএনজি এনে দিতে বলেন।
তিসান তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে সি এন জি আনল। এতদিন থেকে যে মেয়েটির সাথে কথা বলার সাহস হচ্ছিল না সে আজ নিজ থেকে এসেই তিসানের সাথে কথা বলল কি ভাগ্য।
লিয়ানার বাবাকে সিএনজিতে তুলে দিয়ে তিসান বলল, সাবধানে যাবেন।
লিয়ানা অভিমানী কণ্ঠে বলল, কি ছেলে আপনি? একটা মেয়েকে এভাবে একা একা ছেড়ে দিচ্ছেন। আপনি আসুন তো।
তিসান সিএনজির সামনে বসতে চাইলে লিয়ানা বলল, পিছনে এসে বসুন।
তিসান লিয়ানার কাছে বসল। এই প্রথম কোন মেয়ে মানুষের পাশে বসা। অসাধারণ লাগছিল।
লিয়ানার বাবা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। লিয়ানার মা তিসানকে ডেকে পাঠালেন।
তিসান সোফায় বসে আছে। লিয়ানার মা লিয়ানাকে ডেকে বললেন চা দিতে।
তো বাবা তুমি ওইদিন অনেক কষ্ট করলে। কি বলে তোমাকে ধন্যবাদ দিব....
আরে না না আন্টি এ আপনি কি বলছেন। এতে কষ্টের কি হলো।
তা বাবা তুমি কি করো?
পড়ালেখা করি। তবে আর বেশি দিন নেই শেষ হয়ে যাবে। শেষ হলেই চাকুরী পেয়ে যাব। আপনি কোন চিন্তা করবেন না।
লিয়ানার মা হঠাৎ থমকে গিয়ে বললেন, তুমি কিসের চিন্তার কথা বলছ?
না আন্টি কিছুনা।
লিয়ানা চা নিয়ে ঢুকল। তিসান চায়ের কাপ হাতে নিতে নিতে লিয়ানার দিকে তাকিয়ে বলল, আন্টি আপনার মেয়েটি অপূর্ব সুন্দর। আপনি কোন চিন্তা করবেন না আমি আমার মাকে বলে রাখব বিয়ে করলে আমি এই মেয়েকেই করব।
লিয়ানার মা একগাল হেসে বললেন, পাগল ছেলে। তোমার মা এই মেয়েকে কখনোই মেনে নিবেনা।
কেন আন্টি ওর কি কম আছে? ওর মতো মেয়ে হয়না।
লিয়ানার মা দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে বললেন, বিধবা মেয়েকে কেউ ঘরের বউ করে তুলতে চায়না বাবা। তোমার মাও চাইবেনা, তুমিও চাইবেনা।
তিসান একবার চোখ তুলে লিয়ানার দিকে তাকাল। তার চোখ অশ্রুতে টইটুম্বুর। সে কিছু বলতে পারছেনা।
লেখক: চৌধুরী মোহাম্মদ ইমরান
প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, এম সি কলেজ।
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ