āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§§ā§Š āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

1478

""" নিয়তি """
.
উনি টেবিল থেকে ভাতের প্লেটটা ছুঁড়ে নিচে ফেলে দিলো। আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম। কাঁচের প্লেট টা ফ্লোরে পড়েই দু টুকরো হয়ে গেলো। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম ভাত গুলোর দিকে। ভাত গুলোর কি দোষ ছিলো? এভাবে খাবার নষ্ট করার মানে আছে? উনি খাবার টেবিলে এখনো বসে আছে। আমি নিচে বসে ভাত গুলো ভাঙ্গা প্লেট টাতে তুলছিলাম। প্লেট ভাঙ্গার শব্দে শাশুড়ি মা দৌড়ে এসেছেন। এসেই বললো,
-- প্লেট ভাঙ্গলো কে?
আমি তার দিকে চাইলাম। তিনি মাথা নিচু করে বসে আছে। আমি বললাম,
-- মা আমার হাত থেকে পড়ে গেছে।
শাশুড়ি মা একটু রাগান্বিত স্বরে বলল,
-- প্লেট হাত থেকে পড়ে কীভাবে? প্লেট ধরার কি শক্তি নেই?
তিনি আরো দু চারটে কথা শুনিয়ে চলে যান। আর উনি আমার মিথ্যে বলা দেখে হা করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। চেয়ার ছেড়ে সোজা রুমে চলে গেলো। আমি আবার নতুন করে প্লেটে ভাত বেরে নিয়ে রুমে গেলাম। দেখি উনি বিছানায় হেলান দিয়ে শুয়ে আছে। আমি বিছানায় প্লেট টা রাখতে রাখতে বললাম,
-- খেয়ে নিন…… খাবারের সাথে রাগ করতে নেই। আল্লাহ নারাজ হন।
রুম থেকে বের হয়ে গেলাম। দরজার পাশ দিয়ে লুকিয়ে দেখছি উনি খাবার খান নাকি। জানি রাগ করলেও এখন ঠিক খাবে। সারাদিন কাজ কর্মের পরে বাসায় ফিরে সবাই একটু বিশ্রাম চায়, সাথে পেটের ক্ষুধাও মেটাতে চায়।
হুম উঠে বসেছে খাবারের সামনে। আমি পানি নিতে বের হয়েছি গ্লাসে করে পানি নিয়ে রুমে ঢুকলাম। মাথা নিচু করে চুপচাপ খাবার খাচ্ছে আমি দাঁড়িয়ে দেখছি মানুষ টা কে। দেড় বছর ধরে এই মানুষটার সাথে সংসার করছি। দেড় বছরে মানুষটাকে এখনো বুঝতে পারিনি। তার কিসে রাগ হয় কিসে খুশী? মানুষ টার আচরণ খুব নরম। যখন কোন কিছুর প্রতি অন্যরকম আচরণ দেখি তখন বুঝতে চেষ্টা করি হয়তো এই কাজ টার জন্য সে রাগ করছে। আর তাই পরবর্তীতে সেই কাজটা করি না।
হাতের কাজ ছিলো কিছু, সেরে আসতে দেরি হয়ে যায়। ভাত দিতেও দেরি হয়। উনি আমার সাথে কোন কথাই বলেন না দরকার ছাড়া। লাস্ট কবে বলে ছিলো সেটাও ঠিক মনে নেই। খাবার টেবিলে বসে অপেক্ষা করছিলো খাবারের জন্য। আমি সেটা খেয়াল করিনি। আর যখন খেয়াল করেছি তখন দেরি হয়ে গেছে তাই খাবার ফেলে দিলো রাগ করে।
খাওয়া শেষ তার প্লেট বাটি নিয়ে ফিরে গেলাম রান্না ঘরে। দু গ্লাস পানি ঢক ঢক করে খেয়ে রুমে গিয়ে বিছানার এক পাশে শুয়ে পড়লাম না খেয়ে। জানি জিজ্ঞেস করবে না এই মানুষটি আমি খেয়েছি কিনা? দুজনের খাবার ছিলো একজনের খাবার নষ্ট হলো মানে তার খাবার টা নষ্ট হলো। তাই আমার খাবার টাই তাকে দিলাম। ঘুমের বৃথা চেষ্টা করলাম তবে কাজ হলো না। খিদে পেলে রাতে আমার ঘুম আসে না। আজ তাহলে ঘুম আসবে না আর। পাশ ফিরে দেখলাম উনি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
ভোরে উঠে নামাজ পড়ে বিছানায় আর যাইনি। রান্নাঘরে ঢুকে নাশতা তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। পিছন থেকে কারো পায়ের আওয়াজ শুনতে পেলাম দেখি শাশুড়ি মা। আমাকে দেখে বলল,
-- সে কি মা এতো সকালে রান্নাঘরে কি করো?
-- মা ভাবছিলাম নাশতা টা বানিয়ে ফেলি।
-- এত সকালেই?
-- হ্যাঁ……দেরি হয়ে গেলে তো আপনার ছেলে না খেয়ে চলে যাবে।
উনি কিছু বলল না একটা নিশ্বাস ছাড়লেন, মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে রুমে চলে গেলেন। চোখ দুটো আমার ঝাপসা হয়ে এলো বুঝলাম না কেনো? কষ্টে নাকি মমতার হাতটি মাথায় বুলালো বলে।
বিয়ের পর কখনো এই মানুষটি আমাকে বুঝতে দেননি উনি আমার শাশুড়ি হন। নিজের মায়ের মতোই আদর করেন, মাঝে মাঝে বকা দেন, মাঝে মাঝে বুকে জড়িয়ে ধরেন। আর তখন মনে হয় নিজের মায়ের বুকেই মাথা রেখেছি। খুব ছোট থাকতে মা মারা যান, বাবা থেকেও না থাকার মতো। ভাইয়ের পরিবারে বড় হই। ভাবীও মায়ের মতোই আদর করতো। অভাবের সংসার ছিলো তবে সুখে ভরা ছিলো। সারাদিন হাসি খুশিতে মাতিয়ে রাখতো সবাই। হঠাৎ একদিন মায়ের মামাতো ভাই এসে হাজির ভাইয়ার সাথে কিছু সময় আলাদা কথা বলেন। তার দু দিন পর জানতে পারি, আমি এই অভাবের ছোট সংসার টা ছেড়ে নতুন কোন সুখের বাড়িতে চলে যাচ্ছি। আমার যে এই অভাবের সংসার টাই ভালো লাগে, এই সংসার টা ছেড়ে যে যাওয়ার কোন ইচ্ছেই আমার নেই। সে কথা কিভাবে বুঝাই? ভাবী পাশে বসে নতুন বাড়ির সব কিছু বুঝিয়ে দিলেন। সাথে এটাও বুঝিয়ে দিলেন তোর ভাগ্যটা অন্যদিকে মোড় নিয়েছে, ভালো পরিবারে পরিবেশে গিয়ে খুব ভালো থাকবি, সুখে থাকবি।
বিয়ের দিন দেখে ছিলাম আমার বয়সের ১৫ বছরের বড় কোন এক লোক। যাকে আমার স্বামী বলে সবাই সম্বোধন করছে। তখন খুব কেঁদে ছিলাম স্বপ্ন দেখতাম, কল্পনায় ভাবতাম কোন এক রাজপুত্রের কথা। কিন্তু এখন দেখছি রাজপুত্রের বাবা এসে হাজির। ভাইয়ের বাড়ি ছেড়ে বিশাল অট্টালিকায় এসে পড়লাম। দুজন কাজের লোক, শশুড়, শাশুড়ি আর আমরা দুজন। মোট ছয়জন লোক বাড়িটাতে।
ভাবী বলে দিয়েছিলো বিয়ের দিন রাতে স্বামীর পা ছুঁয়ে সালাম করতে হয়। উনি ঘরে ঢুকতেই বিছানা ছেড়ে নেমে এলাম। পা ছুঁয়ে সালাম করলাম। উনি কিছু না বলে বিছানায় সাজিয়ে রাখা ফুল গুলোকে মেঝেতে ফেলে দিয়ে শুয়ে পড়লো। কিছু বুঝে উঠার আগেই রুমের লাইট অফ করে দিলো। আমি তখনো দাঁড়িয়ে, কি করবো বা বলবো বুঝতে পারলাম না। কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে আস্তে করে এসে বিছানার ওপর পাশটায় শুয়ে পড়লাম।
বিয়ের কয়কদিন পর কাজের বুয়ার কথা শুনে ছিলাম বাড়ির দারোয়ানের সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলো।
-- নতুন বউডা অনেক চুপচাপ থাকে, সব সময় মন মরা হইয়া থাকে। মনে হয় সাহেবের লগে ঝগড়া ঝাটি হয়। কোন মাইয়া চাইবো অন্যের সংসার করতে? শুনছি নতুন বউ গো বাপের বাড়ির অবস্থা ভালো না। তাই তো কই, নইলে জাইনা শুইনা এমন পোলার লগে মাইয়া বিয়া দিবো কে?
তাদের কথার কিছুই বুঝলাম না। পিছনে ফিরে দেখি শাশুড়ি মা দাঁড়িয়ে আমায় দেখে মাথা নিচু করে চলে গেলো।
বুয়াকে ধরে অনেক জোরাজুরির পর জানতে পারি এই বাড়িতে আমার আগেও একজন বউ হয়ে এসেছিলো। উনি নাকি ভালোবেসে বিয়ে করে নিয়ে আসেন। বছর দুই ঘুরতে না ঘুরতে তার স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায় অন্য কারো সাথে। তারপর থেকে উনি অন্যরকম হয়ে যান। কথা কম বলেন, বাসায় কম থাকেন। আগে খুব হাসিখুশি ছিলো পুরো বাড়িই নাকি মাতিয়ে রাখতো।
বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম এটা অন্যায় তারা কেন এই কথাটা আগে বলল না? যদি বলতো তাহলে হয়তো আমার ভাই ভাবী কিছুতেই এই বিয়ে দিতো না। এখন যদি এসব জানেন উনারা তাহলে খুব কষ্ট পাবে, না এসব জানানো যাবে না। হঠাৎ মাথায় কারো হাত স্পর্শ করতে পারলাম উঠে দেখি শাশুড়ি মা। আমাকে বলল,
-- কি হয়েছে মা? মন খারাপ?
-- না।
-- তাহলে কি শরীর খারাপ? এমন অবেলায় শুয়ে যে?
-- মা আপনাকে একটা কথা বললে রাখবেন?
-- কি কথা?
-- আপনার ছেলের যে আগেও একটা স্ত্রী ছিলো। এই কথাটা আমার ভাই ভাবীকে বলবেন না, তাহলে উনারা কষ্ট পাবেন। আপনার ছেলের আগে বিয়ে হয়েছিলো এতে আমার কোন আপত্তি নেই।
উনি চুপ করে বসে থেকে কিছুক্ষণ পর বললো,
-- তোমার ভাই ভাবী এই কথাটা জানে। তোমাকে এই কথাটা বলতে না করেছে তুমি কষ্ট পাবে বলে। তারা চেয়েছিলো তুমি এই বাড়িতে খুব ভালো আর সুখে থাকো। ছোট বেলা থেকে যে কষ্ট গুলো অনুভব করেছে সেগুলো যেনো আর না পাও। অথচ দেখো আমরা তোমাকে সেই………
মাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম,
-- আমি এখানে ভালো আছি। ভাইয়া ভাবীকে বলবেন এখানে খুব সুখে আছি। আপনার মতো যে একটা মা পেয়েছি এটাই বড়।
উনি আর কিছু বললো না মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলো। চোখে জল চলে এলো ভাইয়া আর ভাবীর কথা ভেবে। তারা আমায় কতটা ভালোবাসে আমার সুখের জন্য ভালোর জন্য এই কথাটা লুকিয়ে রেখেছে যেনো আমি কষ্ট না পাই। বিয়ে হতেই পারে এটা স্বাভাবিক বলে মনে করি। আমার কাছের এক বান্ধুবীকে দেখেছি তারা জেনে শুনেই বিয়ে দিয়েছে আমার বান্ধুবীটা ও জানতো সে কথা। শুনেছি ডিভোর্স হয়ে গেলে নাকি কিছু না।
.
নাশতা নিয়ে টেবিলে রাখলাম। সবাই নাশতা করছে একসাথে। শাশুড়ি মা তাকে বলল,
-- আজ তোর একটু সময় হবে?
-- কেনো?
-- একটু তোর মামার বাসায় যাবো। নিয়ে যাবি?
-- অফিসে আজ মিটিং আছে আজ হবে না কাল নিয়ে যাবো।
আর কেউ কোন কথা বাড়ালো না। নাশতা করে উনি চলে গেল অফিসে। আমি কাজ গুছিয়ে রুমে ঢুকলাম। রুমে ঢুকতেই চোখ গেলো আলমারীর দিকে। খুব অবাক হলাম দেড় বছরে এই প্রথম আলমারী টা খুলা দেখলাম। নইলে সব সময় লক করা থাকে। খুব আগ্রহ ছিলো আলমারী টাতে কি আছে জানার আর দেখার। তবে কখনো সাহস হয়নি বলার। আজ উনি ভুল করে খুলা রেখেই চলে গেছে। আমার এত দিনের আগ্রহের সেই কাংখিত দিনটি আজ। এগিয়ে গেলাম আলমারীর দিকে। বড় একটা ছবি দেখলাম। উনার সাথে এক সুন্দরী রমনী তাহলে এই মেয়েটাই তার স্ত্রী ছিলো। একপাশে কিছু রংবেরঙের শাড়ি দেখলাম। খুব সাবধানে হাতিয়ে দেখছি যেনো নষ্ট না হয়। ড্রয়ার খুললাম তাতে কিছু ছোট ছোট ছবি দুজনের। ছবি গুলো দেখে মনে হচ্ছে তারা খুব হাসিখুশি স্বামী স্ত্রী ছিলো। তাহলে হঠাৎ কি এমন হলো যার জন্য ভালোবাসার মানুষটিকে ছেড়ে চলে গেলো। মাথায় প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছিলো। ড্রয়ারে কিছু কাগজ দেখতে পেলাম। কাগজ গুলো হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখতে লাগলাম। কি সব ইংরেজীতে লিখা অতশত ইংরেজী জানি নাকি আমি? মাত্র ক্লাশ সেভেন পর্যন্ত পড়লাম আর তো পড়াই হলো না। সেভেন পর্যন্ত পড়াতে ভাইয়ের অনেক কষ্ট হয়ে গেছিলো। তাই নিজ থেকে পড়ালেখা বাদ দিয়ে ছিলাম। কাগজ গুলো দেখছিলাম পিছন থেকে মায়ের কথায় চমকে উঠি। উনি এখানে এখন যদি বলে দেয় আমি তার আলমারীতে হাত দিয়েছি ভয় পেলাম কিছুটা। মা কাছে এসে বলল,
-- কি এগুলো?
-- কি জানি মা…… মনে হয় আপনার ছেলের অফিসের কাগজপত্র। সব ইংরেজীতে লিখা কিছুই পড়তে পারছি না।
উনি আমার হাত থেকে কাগজ গুলো নিয়ে পড়তে লাগলো। আমি তাকিয়ে দেখছি তার মুখটা কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গেলো। উনি আস্তে করে বিছানায় বসলো।কাগজ গুলো পড়েই উনি হু হু শব্দে কেঁদে উঠলো। মায়ের কান্নায় আমি কিছুটা অবাক হই। যতটা না অবাক হই তার চেয়ে বেশি আগ্রহ পোষন করি কি হয়েছে জানার।
উনি আমাকে জড়িয়ে ধরে হু হু শব্দে আবার কাঁদতে লাগলেন আমি এবার কিছু টা ভয় পেলাম। কাগজ গুলোতে কি এমন লিখা মা এমন করে কাঁদছে কেনো? জানতে চাইলাম। উনি বার বার মাফ চাইছেন আমার কাছে। নিজের হাতে নাকি আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছেন। কি সব বলছেন উনি। কান্না থামিয়ে কিছু কথা বললো যা আমার বিশ্বাস হচ্ছিলো না।
উনি কখনো বাবা হতে পারবে না। যার কারণে তাদের ডিভোর্স হয়। উনি এই বিয়েটা করতে চায়নি তার মা জোর করে করায়। মা এসবের কিছুই জানেন না জানলে হয়তো আর জোর করে বিয়েটা করাতো না। আমি চুপ করে কিছুক্ষণ বসে রইলাম। এতে তো আর কারো দোষ নেই। উনি হয়তো লজ্জায় বলতে পারেনি। উঠে গিয়ে বারান্দার গ্রীলটাতে মাথা ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। ভেবেছিলাম সব আস্তে আস্তে একদিন হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। স্বামীর ভালোবাসা পাবো নতুন করে বাঁচবো কিন্তু না এমন আর হবে না। সেদিন বাবা বলেছিলো বউ মা বাড়িটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে ভীষণ যদি ছোট ছোট বাচ্চাকাচ্চা থাকতো মন্দ হতো না। এবার একটু নাতি নাতনীর মুখ দেখাও। লজ্জা পেয়েছিলাম ভীষণ, ভেবেছিলাম একদিন যখন সব ঠিক হবে তখন ঠিকই বাবার ইচ্ছে পূরণ করবো, আমিও মা হবো। সেটা কেবল স্বপ্নই রয়ে গেলো।
হঠাৎ অনুভব করলাম সেই মমতার হাতটি আমার মাথা ছুঁয়ে পিঠে স্পর্শ করলো। আমি পিছনে ফিরে তাকালাম। মা মুচকি করুনার হাসি হাসলো মায়ের সাথে আমিও। মা চলে গেলো তাকে একটা কথা বললাম, তিনি যেনো এই কথাটা কাউকে না বলে তার ছেলেকেও না। এসব শুনলে কষ্ট পাবে। নিজের কষ্ট গুলো লুকিয়ে রেখেছে প্রকাশ করেনি। আমরাও না হয় না করলাম যদি না সে নিজে বলে।
দাঁড়িয়ে ভাবছি উনি যাকে ভালোবেসে ছিলো সে তাকে ছেড়ে এই সংসারটাকে ছেড়ে চলে গেছে। আমাকে ভালোবাসেনি তবে আমি তাকে ছেড়ে যেতে পারবো না। এই সংসার টাকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছি এটা ও ছাড়তে পারবো না। আর সব চেয়ে বড় কথা যে দুজন ব্যাক্তি আমাকে আমার বাবা মায়ের অভাবটা পূরন করছে তাদেরও ছাড়তে পারবে না। তাদের ভালোবাসার মায়া কাটিয়ে চলে যেতে পারবো না। তাদেরকে দেখাশুনা করার জন্যও আমাকে থাকতে হবে। যেমন আছি তেমনই থাকি সব নিয়তি ভেবে মেনে নিতে হবে। মানুষ যা চায় তা পায় না আর যা পায় তা চায় না। আবার একটি মিথ্যে আশায় বুক বাঁধলাম একদিন হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে। কারণ আশায় মানুষকে বাঁচায়। বাঁচতে তো হবে তাই না?
.
Adhora Zafrin

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ