#পরকীয়া ১ম পর্ব
লেখা: Umme Nipa
ইমু ই মনে হয় প্রথম কেউ যে বিয়ের পর পরকীয়া করবে বলে ভাবছে,তাও নিজের বর এর সাথে।
বর কে যাচাই করার জন্য বউ থেকে প্রেমিকা হওয়া যেমনি যায়..
তেমনি প্রেম থেকে করা যায় পরকীয়া..
একটি সম্পর্ক যেমন অবৈধ থেকে বৈধতা এনে দিতে পারে।তেমনি কৃত্রিম মানুষ কে যাচাই করে তার ভালোবাসাও মাপতে পারে।
বিয়ের এই দেড় বছর হলো ইমু আর তন্ময়ের।বিয়েটা তাদের রিলেশান করেই হয়েছিল....
বিয়ের আগে সে কি প্রেম,যেমনি ইমুকে চোখে হারাতো,তেমনি সন্দেহ করতো।
যে সন্দেহ ইমুর মন্দ লাগতোনা।
আর এখন চোখের সামনে থাকা সত্ত্বেও ফিরে তাকানোর সুযোগ হয়না তন্ময়ের..
বিয়ের আগে ও তন্ময় বিভিন্ন ফেক আইডি দিয়ে পরিক্ষা করে দেখতো ইমু আসলে কারো সাথে কথা বলি কিনা..
যেটা ইমু ভাবতো,ভালোবাসা আছে তাইতো পরীক্ষা করে।
পরে তন্ময় ই নিজে হেরে গিয়ে নিজেই বলে দিত ওই আইডি ওর...
বিয়ের পর থেকে ইমুকে আর পরীক্ষা করেনা...ইমু এখন ভাবে,ভালোবাসা নাই তাই আর পরীক্ষা ও করার দরকার মনে করেনা হয়তো..
বিয়ের দিন রাতেও ইমুকে ফেক আইডি দিয়ে মেসেজ দিয়েছিল তন্ময়..
তখন ইমু বউ সাঁজে বসে ছিল।আর তন্ময়ের রুম এ আসার কোন নাম গন্ধ নাই...
ইমু সময় কাটানোর জন্য তাই ফেবুতে গেলো।গিয়েই দেখে "পদ্মা নদীর মাঝি" নামের আইডি দিয়ে তাকে মেসেজ দিছে...
কি কপিলা...আমায় রেখে অন্য কারো সাথে নদী ভ্রমনে নামলা?
ইমু তো হতভম্ব হয়ে গেলো।এ আবার আমার কোন দুলাভাই আসলো..
তাড়াতাড়ি মেসেজ ডিলিট দিয়ে দিল,যাতে তন্ময় সন্দেহ না করে।
এর মাঝেই তন্ময় রুম এ আসলো..
ইমু ফোন টা পাশে রেখে দিলো ভয়ে..
তন্ময় এসেই ফোনটা নিয়ে বলছে,কি ইমু আজ ও তুমি ফেবুতে কি করো?
আমি: বন্ধুদের উইশ গুলোর রিপ্লাই দিতে...
তন্ময় আর কথা না বাড়িয়ে পাশে শুয়ে পরলো..
আর ইমু ঠায় বসে আছে।মনে মনে সে রাগে জ্বলছে..
তন্ময় শুয়ে শুয়ে ফোন টিপাটিপি করছে...
ইমু: তনু কি করছো?
তন্ময়: গেইম খেলি...
ইমু: আজ আমাদের বিয়ের দিন,আর তুমি গেইম খেলো?
তন্ময়: কোন হাদিসে আছে,বিয়ের দিন গেম খেলা যাবেনা?
ইমু: আমি আজ কতগুলি টাকা দিয়ে পার্লর থেকে সেঁজে আসলাম তুমি তো একটু দেখলাওনা...
তন্ময়: দেখছিলাম তো,একবার দেখে ভয় পাইছি তাই আবার তাকাতে ভয় হচ্ছে...কি সব লাল একটা শাড়ি পরছো তুমি..
ওর সাথে রাগ করে উল্টো দিকে শুয়ে পরলো ইমু..
ভাবছে কত শখ করে তন্ময়ের পছন্দের নীল শাড়ি পরলাম আর ও কিনা না দেখেই বলে লাল শাড়ি..
ইমু আবার ফেবুতে গেলো..
গিয়ে দেখে আবার মেসেজ...
কপিলা,এই সাঁজে আজ আমার কাছে তোমার থাকার কথা ছিল..নীলে বেশ লাগে তোমায়..
ইমুর তখন ই সন্দেহ হয়েছে, এটা তন্ময় ছাড়া কেউ নয়..
ইমু রিপ্লাই দিলো: মাঝি আমারে নিবা তোমার সাথে?
মেসেজ পাবার সাথে সাথেই তন্ময় উঠে বসেছে..
তন্ময় মেসেজ দিল:আসবা তুমি?
আমি: হুম,আসলে আমার বর ভালো না।
আড় চোখে তাকিয়ে দেখি তন্ময় রাগে লাল হয়ে যাচ্ছে...
ইমু মুখে হাত দিয়ে হাসছে..
ইমু আবার মেসেজ দিলো: কি হলো রিপ্লাই দিচ্ছেন না কেন?
আমায় নিবেন না?
-হুম নিব,কবে যাবে?
আমি: যেদিন তন্ময় মাঝি, গেম খেলা রেখে নৌকা চালাতে পারবে..
মেসেজ পাবার সাথে সাথেই তন্ময় ইমুর হাত শক্ত করে ধরে টেনে উঠালো...
আমি: কি বেপার?
তন্ময়: এই বেপার না?
আমি: কি?
তন্ময়: নৌকা চালাতে পারিনা আমি?
আমি: মনে তো হয়না..
তন্ময়: নৌকা কেন তুমি চাইলে প্লেন ও চালাতে পারবো...যাবা?
আমি: না বাবা! আমার চালক এর উপর ভরসা নাই।সে দুর্ঘটনা ঘটাতে খুব পটু..
তন্ময়: তাহলে এখন ই ব্রেক ফেল করলাম কিন্তু..
ইমু লজ্জায় আর তন্ময়ের দিকে তাকাতে পারলোনা...
তন্ময় ইমুকে বুকে টেনে নিয়ে বলছে, তুমি আমার ইঞ্জিন হবা কপিলা??
অনেকদিন হলো ইমুকে এভাবে জিজ্ঞেস করেনা তন্ময়।বিয়ের পর ধীরে ধীরে কর্ম জীবনে তন্ময় ব্যস্ত হয়ে পরে।আর ইমু অনেক একাকী বোধ করতে থাকে।
একটু ঘুরতে যাবার মতন ও সময় হয়না তন্ময়ের।
অনেকদিন আর ইঞ্জিনের খোঁজ নেয়া হয়না।
সারাদিন পর রাত ১০টায় বাসায় এসে ইমুর সাথে ২মিনিট কথা বলতে বলতেই ঘুমিয়ে পরে তন্ময়।ইমুর সারাদিনের কথা এভাবেই জমা হতে থাকে দিনের পর দিন...
তাই ইমুর সন্দেহ হচ্ছে যে তন্ময় কারো প্রেমে পরেছে।তাই একটা ফেক আইডি খুলে নিলো, যার নাম দিলো "রক্তাক্ত জোহরা"
আর তা দিয়ে তন্ময় কেই রিকোয়েষ্ট দিল...
এই প্রথম ইমু তন্ময় এর পরীক্ষা নিবে।
এই পরীক্ষায় ফেল করা মানেই এ সম্পর্কের ব্রেক ফেল...
চলবে...
#পরকীয়া ২য় এবং শেষ পর্ব।
লেখা: Umme Nipa
দুদিন হয়ে গেল তন্ময় রিকোয়েষ্ট একসেপ্ট করছেনা..
ইমুর ভালো লাগছেনা।কিভাবে তন্ময়ের সাথে কথা বলা যায় তাই ভাবছে।
শুক্রবার তন্ময় বাসায় ই থাকে।সকালে ইমু রান্না ঘর থেকে এসে দেখে তন্ময়ের হাতে তার ফোন..
মনে মনে ভাবছে তন্ময় আবার আগের মতন ইমুকে কেয়ার করছে।ফোন চেক করছে।
ভাবছে আর পরীক্ষা করার দরকার নেই।
ইমু: কি করো?আমার ফোন দেখো যে অচেনা কারো কল আছে কিনা?
তন্ময়: কেন?আমার অচেনা হলে যে তোমার চেনা হতে পারবেনা তার কি মানে?
ইমুর মন খারাপ হয়ে গেল।হাত থেলে ফোনটা টান দিয়ে নিয়ে বললো তো কি করছো আমার মোবাইলে?
তন্ময়: একটা গেম দিচ্ছি।তুমি অবসর সময়ে খেলবা তাই।
ইমু: আমার অবসর নিয়ে তোমার ভাবতে হবেনা।যাও ফ্রেস হয়ে আসো...
তন্ময়কে চা দিয়ে ইমু তার ফেক আইডিতে ঢুকে তো পুরা হা..
তন্ময় রিকোয়েষ্ট একসেপ্ট করেছে।শুধু একসেপ্ট ই না মেসেজ ও দিয়েছে..
নাইস নেম জোহরা...
আসলে রক্তাক্ত প্রান্তর আমার পছন্দের নাটক ছিল।
ইমুর চোখে পানি ছল ছল করছে।
ভাবছে আমাকে অবসরে গেম ধরিয়ে দিয়ে ও অবসরে মেয়ের সাথে খেলা-বেলা শুরু করে দিল।ছিঃ!
তন্ময় বারান্দায় আর ইমু রান্না ঘরে বসে তন্ময়ের সাথে ফেক আইডি থেকে মেসেজিং করছে।
জোহরা: আমারও খুব পছন্দের।
আসলে নায়ক টা বেশি পছন্দের..ইব্রাহিম..
তন্ময়: আপনি জানেন,আমার আসল নাম ইব্রাহিম হা হা হা
জোহরা: তাই?
মনে মনে ইমু ভাবছে জীবনেও তো জানলাম না যে ইব্রাহীম নাম আছে ওর।
দরজার পাশে উকি দিয়ে দেখে চা খাওয়া রেখে হেসে হেসে তন্ময় মেসেজিং করছে।
এরকম হেসে আমার সাথে গল্প করেনা বহুদিন এই ভেবে ইমুর চোখে পানি এসে যায়
তন্ময়: আপনি কি ম্যারিড?
জোহরা: না,আপনি?
তন্ময়: না মেয়ে খুঁজছি বিয়ের জন্য...
ইমুর তো রাগ-ঘৃনা দুটোই বেড়ে যাচ্ছে।
ইচ্ছে করছে তন্ময় কে গিয়া ঠাটিয়ে চর দিতে।
তন্ময় নিজের সেলফি তুলে দিয়ে বলে আমি চা খাচ্ছি।আচ্ছা আপনার একটা ছবি দেখতে পারি?
ইমু অন্য মেয়ের একখানা ছবি তন্ময়কে দিয়ে বললো এই হলো রক্তাক্ত জোহরা...
তন্ময়: মোটেও না...
সুন্দরী জোহরা।আপনার চোখ গুলি সুন্দর অনেক.
এভাবেই দিন রাত মেসেজিং করে...
এক বিছানায় দুজন দুদিকে ফিরে মেসেজিং...
আবার ইমু রান্নাঘরে আর তন্ময় ওয়াশরুমে বসে মেজেজিং...
আবার তন্ময় অফিসে আর ইমু বাসায় বসে মেসেজিং..
ধীরে ধীরে আপনি থেকে তুমি আর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে
সকালে ইমুর কাছে ইমুর বান্ধবীর কল আসা থেকেই মন খারাপ।
যে দিনটা আজ সব চেয়ে খুশির দিন হতে পারতো তা আজ কষ্টের।
ইমু খুব ভালোভাবেই বুঝছে তন্ময়ের সাথে সম্পর্ক টিকবেনা।
তন্ময়: ইমু এখানে বসে কি ভাবছো?
ইমু: তোমার কি?তুমি অফিসে যাবার কাজ অফিসে যাও..
ইদানীং বেশ খারাপ ব্যাবহার করছে ইমু।
মন থেকেই এসে যাচ্ছে। মনে মনে তন্ময়ের প্রতি এক প্রবল ঘৃনা কাজ করছে।
তন্ময়: এতে এতো রাগের কি আছে?সব কথায় রাগ দেখাও কেন?
বিয়ে করাই উচিৎ হয়নি আমার।বিয়ে করে যারা বাসা বেধেছে তার নাম আসলে কারাগার।
ইমু: কারাগার দিয়া মুক্তি নিলেই তো পারো।
তন্ময় রাগ করে অফিস চলে গেল।
ইমু ভাবছে ইদানীং ও সাহিত্যিক হয়ে উঠেছে নতুন প্রেমে।পরকীয়া করে নিজের বিয়েকে অস্বীকার করতেও খারাপ লাগেনা ওর।
এই মানুষ এর সন্তান আজ আমার পেটে!
আমার সন্তান এমন খারাপ বাবা পাক তা আমি চাইনা।
বান্ধবী যখন বললো দোস্ত আমি মনি হতে যাচ্ছি তখন ই ভেবে নিয়েছি আমি আমার সন্তান নিয়ে দূরে চলে যাব। তা অনেক দূরে।
তন্ময়কে বলতে বারন করে দিয়েছি।ওর জানার অধিকার নাই যে ও বাবা হবে।জানলেও হয়তো খুশি হতনা...
ভাবছে তন্ময়ের আসল রূপটা খুব তাড়াতাড়ি তন্ময়ের সামনে নিয়ে আসবে।
তারপর ই মুক্তি...
ইমু আবার মেসেজ দিল তার ফেক আইডি দিয়ে।
জোহরা: কই তুমি?
তন্ময়: তোমার খুব কাছে?
জোহরা: তোমার ফোন নম্বরটা দিবা?
তন্ময়: না..আগে আমরা দেখা করবো তারপর..
ইমু ভাবছে ছি,দেখাও করতে চাচ্ছে।আচ্ছা ওর সামনা-সামনি ই হবো। যা বলার সামনেই বলবো।
জোহরা: কবে?
তন্ময়: কাল আসো,আমার বাসায়...
জোহরা: তোমার বাসায়?বাসার সবাই কি ভাববে?
তন্ময়: কি ভাববে?বাসার সবার সাথে পরিচিত হয় যাও। তাদের বলে দিব আমি তোমায় ই বিয়ে করছি।
ইমু এসব মেসেজ পড়ছে আর কাঁন্না করছে।
এতো বড় ধোকা আমার সাথে।
আচ্ছা ও এই বাসায় আনতে চায় ওই মেয়েকে?
নাকি কারো বাসা নিজের বলে চালাবে?
জোহরা: আচ্ছা বাসা কই?
তন্ময়: নিউ সার্কুলার রোড,এসে দাড়াবা আমি নিয়ে আসবো।
ইমু তো চিন্তায় পরে গেল,নিউ সার্কুলার রোড কার বাসা তাহলে?
নিশ্চই কোন বন্ধুর বাসা।
অচেনা একটা মেয়েকে নিয়া বাসায় যাবে!
এই মানুষ কে আমি ভালোবেসে বিয়ে করেছি!
এই ভেবেই ইমু কাঁদছে...
তন্ময় বাসায় আসলো,
এসে দেখে খাবার টেবিল এ রেখে ইমু শুয়ে আছে..
তন্ময়: কি শুয়ে আছো যে এ অসময়ে?
ইমু কথা বলছেনা।
তন্ময়: খাবেনা?
ইমু: না...
তন্ময় আর কথা বললো না...
তন্ময় তার খাবার প্লেট এনে ইমুর পাশে বসলো..
-ইমু ওঠো আমি খাইয়ে দেই।এ সময় না খেয়ে থাকতে হয়না।
ইমু চমকে বলে: এই সময় মানে?
তন্ময়: এ সময় মানে রাতে।
ইমু আবার অন্য দিকে ফিরে শুয়ে আছে।
তন্ময় ইমুর হাত ধরে বলে ওঠো বলছি।
ইমু ভাবছে আজ ই তন্ময়ের সাথে শেষ রাত কাটানো..
আজকের পর আর দেখা হবেনা।
তাই ভেবে খেতে উঠলো..
তন্ময় মুখে খাবার তুলে দিল।মুখে খাবার নিয়ে চোখ দিয়ে পানি ছেড়ে দিল..
তন্ময়: কাঁদছো কেন?
ইমু: অনেকদিন পর খাইয়ে দিলা তাই..
সকাল হতেই ইমুর ঘুম ভাঙে তন্ময়ের গুন গুন গান শুনে..
আয়নার সামনে তন্ময় মাথায় জেল দিচ্ছে আর গান গাইছে..
ইমু: কই যাও এতো পরিপাটি হয়ে?
তন্ময়: অফিসে মিটিং আছে।
ইমু অবাক হয়ে তন্ময়ের দিকে তাকিয়ে ভাবছে কি মিথ্যে বলা শিখে গেছো তুমি...
কত সহজে মিথ্যে বলে দিলে...
আমি জানি তন্ময়..তুমি কই যাবে..
তুমি আমাদের বন্ধন কে কলঙ্কিত করতে যাবে।
তন্ময় বের হবার সাথে সাথেই ইমু ও বের হবার জন্য তৈরী হচ্ছে।
ফেবুতে গিয়ে দেখে তন্ময়ের মেসেজ।
-জোহরা আমি কিন্তু বের হয়েছি।
জোহরা: আমিও হচ্ছি।
-নীল শাড়ি পরে আসবা?
না,বোরকা পরা. ..
-আচ্ছা আসো...
ইমু বোরকা পরে গেল।এমন ভাবে পরেছে শুধু ইমুর চোখ ই দেখা যায়।
গিয়ে দেখে তন্ময় দাড়িয়ে আছে..
ইমু পাশে গিয়ে দাড়ালো...
তন্ময়: জোহরা?
ইমু: হুম..
তন্ময়: চলো বাসায়..
ইমু কথা বলছেনা।কথা বললেই যে চিনে ফেলবে..
তন্ময়ের সাথে হাঁটতেছে..
কিছুক্ষন পর ই একটা নতুন বিল্ডিং এর সামনে দাড়িয়ে বলছে এর ৩ তলায় আমারা থাকি।নিজেদের ই ফ্লাট..
ইমু তন্মের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
একটা মেয়েকে ফুসলিয়ে ফ্লাট এ নিয়ে যাওয়া যে কত জঘন্যতম লোক চাইতে পারে তা আজ তন্ময় এর এ রূপ না দেখলে বোঝা যেত না।
তন্ময় আগে আগে সিড়ি বেয়ে উঠছে আর ইমু পিছনে পিছনে..
বাসার সামনে এসে তালা খুলছে..
ইমু ভাবছে খালি বাসায় মেয়ে নিয়ে যায়!
তার মানে এর আগেও ও এমন অনেক মেয়ে নিয়ে এসেছে...
ঘৃনায় গা জ্বলছে।
তবুও কথা বলছেনা ইমু।ভাবছে মুখোশ যখন খুলেছি,মুখোশ ভালো করেই খুলে দিয়ে যাব।
ভিতরে গিয়ে ইমুর মাথায় বাজ পরলো..
সারা দেয়ালে নীল রঙ করা আর সামনের দেয়ালেই বিশাল বাঁধানো ছবি ইমু আর তন্ময়ের....
সেই ছবি, যে ছবি ওদের প্রেম করা কালীন প্রথম দেখা করার দিনে তোলা..
সেই ছবি এখনো যত্ন করে রেখেছে তন্ময়?
ইমুর চোখে পানি ছল..ছল করছে।
ভালোবাসার মানুষ কে ভুল বুঝে পরে ভুল ভেঙে গেলে বুকের ভিতর তা কাটার মতন বিধে।
ইমু তন্ময়ের দিকে তাকাতে পারছেনা।লজ্জা আর ভয়ে।
তন্ময় ইমুর পাশে এসেই ইমুর মুখের সামনের কাপড় সরিয়ে বলছে,ছদ্মবেশ..সব ছদ্মবেশ..
ইমু মাথা নিচু করে কাঁদছে।
তন্ময়: এ সময়ে কাঁদতে নেই।
ইমু: মানে?
চলো পাশের রুমে..
রুমের সামনে গিয়ে দেখে দরজার সামনে লেখা,স্বাগতম আম্মু,আমার রুমে।
ইমু অবাক হয়ে তন্ময়ের দিকে তাকালো।
রুমে গিয়ে দেখে দেয়ালে বাচ্চার নানা রকমারি ছবি।
সারা ঘরে খেলনা আর বেড এর পাশেই দোলনা।
ইমু: এগুলো কি?
তন্ময়: আমার সন্তান এর রুম এটা।তোমার বান্ধবী আমাকে জানিয়েছে।আমার বউ তো পরকীয়ায় ব্যস্ত তাই বাবা হবার খবরটা পেতে হয় আরেকজনের কাছ থেকে..
ইমু: এই বাসা কার?
তন্ময়: ফ্লাট টা কিনলাম গতকাল।
ভাবলাম আমার সন্তান ভাড়া বাসায় বড় হবে কেমন না বেপার টা..
অফিসের স্যার আমার কাজে খুশি হয়ে আমায় প্রোমশন দিয়েছে এই ৬দিন হল।
দেখো দেয়ালে তোমার পছন্দের রঙ নীল করিয়েছি।
ইমু: আমার সাথে এতোদিন অভিনয় করেছো কেন?আমি যে জোহরা না তা জেনেছ কবে?
তন্ময়: হা হা হা,তা আমি জেনেই রিকোয়েষ্ট একসেপ্ট করেছি।
সেদিন গেম দিতে গিয়ে দেখি তোমার ফোনে রক্তাক্ত জোহরা আইডি লগ ইন করা।
তাই তো আমি একসেপ্ট করলাম।
ইমু নিচু হয়ে কাঁদছে...
তন্ময়: বিয়ের আগে তোমায় হারানোর ভয় ছিল তাই পরীক্ষা করতাম।
বিয়ের পর তো তুমি আমার ই তাই ওসব করিনা।আর তুমি কিনা...
ইমু-আমাকে ক্ষমা করে দেও।
তন্ময় ইমুকে জড়িয়ে ধরে বলছে,তুমি আমার শক্তি,আমার গর্ব,আমার রানী..
ইমু: তুমি আবার সেই নাটক এর ডায়লগ দিচ্ছো?
ছাড়ো আমায়...
তন্ময়: ছেড়ে দিলাম কিন্তু,আমি গেলাম তাহলে জোহরার কাছে...
ইমু তন্ময়ের হাত ধরে টান দিয়ে বললো: আমি নারী! আমি হৃদয় দিয়ে তোমায় জয় করবো..
তন্ময় হেসে ইমুকে কোলে তুলে নিলো..
ইমু: এমা কি করছো?
তন্ময় : চলো যাই...
ইমু: কই?
তন্ময়: ময়নাদ্বীপে....
ইমু: না নামাও আমায় আমি যাবনা। আমি এ স্বর্গ ছেড়ে কোথাও যাবনা।
তন্ময় ইমুকে বিছানায় বসালো...
ইমু: কি দেখছো ওমন করে?
তন্ময়: জোহরার চেয়ে আমার ইমুই অনেক সুন্দর।
ভাবছি ইমুর সাথে আবার পরকীয়া করি।কি বলো?
ইমু তন্ময় কে জড়িয়ে ধরে বলছে,মশাই মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়, আর বিয়ে করলে বার বার পরকীয়া করতে চায়।সকালে-বিকালে বউয়ের সাথে পরকীয়ায় জড়ায়...
তন্ময় হেসে বলে,আর কারনে অকারনে বরকে ভুল বোঝে....😍
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ