āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3881 (1)

#রূপার ভাঙা চুড়ি (১ম পর্ব)

লেখা: Umme Nipa

এক ডজন নীল চুড়ি পরে বিকেলে ছাদে  ঘুরে বেড়ানো এ আমার অনেক পূরনো অভ্যাস।

বিকেলের সূর্যের যখন মর মর  অবস্থা,  আমি  ঠিক তখন ই ছাদ এ উঠে রেলিং এর পাশে হাত বুলিয়ে যাই। চুড়ির ঝন ঝন শব্দ আমার বেশ ভালোলাগে।

সেই নবম শ্রেণী থেকে নিজের মনের ভিতর রূপা লালন করে রেখেছি।যত গল্পই পড়তাম নিজেকে সেই নায়িকা হিসেবে কল্পনা করতাম...

ধীরে ধীরে আমার পাগলামি বাড়তেই লাগলো ।এই যেমন বৃষ্টি নামলে নীল শাড়ি পরে ভিজি...
আগে মা খুব বকতো, তবে আজ কাল মা আর কিছুই বলেনা।

কলেজ থেকে আসার সময় ই দেখছি আকাশে মেঘ জমেছে।
এ মেঘে বৃষ্টি হবে তা আমি খুব বুঝতে পারি।

সব মেঘে বৃষ্টি হয়না।তবে বৃষ্টি হওয়া মেঘগুলি আলাদা রূপ থাকে। খুব কম মানুষ ই তা ধরতে পারে।

রিকশাতে বসে বসে ভাবছি বাসায় গিয়ে শাড়ি পরে ছাদ এ যাওয়া আমার প্রধান কাজ হবে..

বাসায় এসে দেখি মা ঘুমাচ্ছে।আমার ঈদ এর মতন খুশি লাগছে।
শাড়ি, চুড়ি আর নীল টিপ দিতে না দিতেই বৃষ্টি ঝড়া শুরু হয়ে গেল।
আমি তড়িঘড়ি করে ছাদ এ গেলাম।

চোখ বন্ধ করে আকাশের দিকে মুখ তুলে দাড়িয়ে আছি।

মনে মনে ভাবছি আমি ই সেই নারী যাকে নিয়ে রূপকথার গল্প হয়।তবে তা বাস্তব এ নয়।
বইয়ের পাতায় ই সীমাবদ্ধ...

হঠাৎ পিছন থেকে ডাক দিল,এই যে...ভিজছেন কেন?

আমি তার কথা না শোনার ভান করে ভিজেই যাচ্ছি।

আবার ও বলছে,পাগল নাকি?

আমি ভ্রু বাঁকা করে তার দিকে তাকিয়ে দেখি হলুদ পাঞ্জাবী পরে দাড়িয়ে আছে এক অচেনা ছেলে।

আমার তার উপর রাগ টা আর প্রকাশ করতে পারলাম না শুধু ওই হলুদ রঙ এর জন্য।

রূপার উপর দূর্বলতার  প্রধান কারন হলুদ হিমু।

আমি: পাগল কি কি করে জানেন?

অচেনা ছেলে: হুম ভিজে বৃষ্টিতে।

আমি: আরো অনেক কিছু করে।

অচেনা ছেলে: কি?

আমি: বৃষ্টিতে ভিজতে বাঁধা দিলে কামড় দেয়।

অচেনা ছেলে: হা হা হা এ দেখি হিংস্র পাগল।ও সরি পাগলি।

আমি: বাহ্যিক হিমু হলেও অন্তর্গত খুব ই বিশ্রী প্রকৃতির লোক আপনি।

অচেনা: আমার নাম হিমু?কি সব বলছেন।।
আমি ভিতর-বাহির সব দিক মিলিয়ে ইকবাল...
আমি মুখ বাঁকিয়ে ছাদ এর পাশে গিয়ে দাড়িয়ে আছি।

ইকবাল: কি নাম পছন্দ হয়নি?

আমি: আপনি এতো কথা না বলে যান এখান থেকে।
আমাকে ভিজতে বারন করে নিজে ভিজেন কেন?

ইকবাল: আমার ফুলের টব গুলিতে মাটি দিতে আসছি।পানিতে মাটি ধুয়ে গেছে।
দেখেন না চোখে?

ভাবছি এই লোক কি ঝগড়াটে। মেয়েদের মতন ঝগড়া করে।এর সাথে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই।

লোকটা ফুলের গাছ এ মাটি দিচ্ছে আর বাতাসে পাশে রাখা ফুলগাছগুলি নুয়ে পরছে।
বার বার ঠিক করছে আবারো নুয়ে পরছে।আমি দূর থেকে ওগুলোই দেখে যাচ্ছি...

আমি পাশে গিয়ে বললাম,যে কাজ পারেন না তা করার শখ করেন কেন?

উনি আমার কথার জবাব ই দিলেন না..

আমি: দেখি সরে বসেন আমি করে দিচ্ছি।

ইকবাল: লাগবেনা,আমি পারবো।

আমি: সরেন,নইলে পাগলামি শুরু করে দিব কিন্তু।বাসার সবাই আমায় এমনিতেও পাগলি বলে।

ইকবাল সরে দাড়ালো আমি ফুল গাছ লাগিয়ে দিলাম।

আমার পাশে এসে বসে ধীরে ধীরে বলছে,এখন বাসায় যান। ভেজা অবস্থায় দুজন ছেলে-মেয়েকে কেউ একসাথে দেখলে খারাপ ভাববে।

এটা বলতে না বলতেই সিড়ি থেকে কেউ আসার শব্দ টের পেলাম।
ইকবাল আমার হাত ধরে টান দিয়েই ছাদ এর পাশে রান্নাঘর আছে তার ভিতর নিয়ে গেল...

আমি: কি বেপার হাত ধরছেন কেন?

ইকবাল: অন্য মানুষ যাতে কান না ধরায় তাই।

আমি: রান্নাঘরে যদি দেখে ফেলে?

ইকবাল: এ রান্নাঘরে কেউ রান্নাকরেনা। অকারনে কেউ আসবেনা।

দুজন ভেজা অবস্থায় রান্না ঘরে দাড়িয়ে আছি।কারো আসার শব্দ না পেয়ে ইকবাল রান্নাঘর থেকে বের হল।

কিছুক্ষন পর আমায় ডাকছে,এই যে শাড়িওয়ালি...

আমি বের হয়ে বললাম শাড়িওয়ালি কি?আমার নাম লুবনা।

ইকবাল: ওই লুবনা,ডুবনা যাই হোক।কাজ তো সারছে...

আমি: কি?

ইকবাল: কে যেন ছাদ এর দরজা ওপাশ থেকে দিয়ে গেছে...

আমি ভয় ভয় গলা নিয়ে বললাম,এখন কি হবে?

বৃষ্টির বেগ বেড়ে গেল।দরজা ধাক্কা দিলেও কেউ শুনবেনা।

আমি ছাদ এর এক পাশে বসে পরলাম।
কাঁন্না করছি আর বলছি,আমার মা জানেই না আমি ছাদ এ।কি হবে এখন?

ইকবাল: নাকে কাঁন্না বন্ধ করুন।মনে হয় ছাদ এ কাউকে না দেখতে পেয়ে দরজা দিয়ে গেছে।

আমি: আপনি কেন আমার হাত ধরে টান দিয়ে নিতে গেলেন?
বেশি বোঝে?এখন কি হবে আমার...

ইকবাল: কি আর হবে?এর পর আর শাড়ি  পরে ভিজতে না আসেন..

আমি: আজব!জামা পরে আসলে কি এমন হত না?

ইকবাল কিছু না বলে মাথার চুল ধরে টানছে আর দরজার সামনে গিয়ে ধাক্কা দিচ্ছে।

আমি চিন্তা নিতে পারিনা বেশি।তাহলে মাথা ভাড়ি হয়ে যায়..বসে আছি আর ইকবালের কান্ড দেখছি..

ইকবাল দরজায় লাথি মেরেই বললো,ধূর! ফোনটাও বাসায় রেখে এসেছি..

চলবে...

#রূপার ভাঙা চুড়ি ২য় পর্ব।
লেখা: Umme Nipa
ইকবাল আমার দিকে তাকিয়ে বলে কি করা যায় বলুন তো?
আমি ঠান্ডায় কাঁপছি।
নিজেকে আজ খুব অসহায় লাগছে।রূপা হবার ইচ্ছে আমার আজীবনের তরে মুছে ফেলতে ইচ্ছে করছে।

সন্ধ্যা হয়ে গেছে তার উপর বৃষ্টিতে চারদিকে কিছুই দেখছিনা।
কার মুখ দেখে আজ ঘুম থেকে উঠলাম আমি..

ইকবাল আমার পাশে এসে দাড়ালো,

ইকবাল: আজ কপালে কি আছে আল্লাহ জানে...মানুষ কি ভাববে?
আমার বাবা আমারে মেরেই ফেলবে...

আমি ওনার চিন্তা দেখে আমার মায়ের রাগী মুখ আর মনে করতে পারছিনা।

আমি: আপনাকে আপনার বাবা এখনো মারে?

ইকবাল: হুম,এখনো বলতে আজ সকালেও তেড়ে আসছিল।

আমি হেসে দিলাম।কেন?

ইকবাল: আপনার এর মাঝেও হাসি আসছে?

ওনার কথা শুনে মুখ মলীন হয়ে গেল।

আমি: আচ্ছা আমার মা তো জানে যে আমি প্রায় ই রূপার মতন বৃষ্টিতে ভিজি তার উচিৎ একবার হলেও ছাদ এ আসা।

ইকবাল: ও এগুলা তাহলে রূপার ভুত।

আমি: একবার বাঁচি এ পরিস্থিতি থেকে তারপর কিসের ভুত বুঝাবো.

ইকবাল বার বার দরজা ধাক্কাচ্ছে আর বলছে কেউ শুনছেন?

দুজন ছাদ এর এক কোনে দাড়িয়ে ভিজছি।অন্ধকারে শুধু ইকবালকেই দেখছি কিন্তু ইকবাল এর চোখ দেখছিনা।

ইকবাল: এখন যদি কেউ জানে আমরা ছাদে, বেপারটা কত খারাপ হবে বুঝতে পারছেন?

আমি কাঁপা গলায় বললাম,আমার মা আজ আমায় মেরেই ফেলবে।

ইকবাল: ধূর মিয়া...মা মারলে কি?কিন্তু আজ এলাকার মানুষ না জানলেও ফ্লাট এর মানুষ জানবে।মুখ দেখানো যাবে?

আমি আর চিন্তা নিতে পারছিনা। প্লিস থামেন।আর কেমন ছেলে আপনি দরজা ভাঙতে পারেন না?

ইকবাল: আপনাকে প্রথম দেখেই বুঝছি আপনার মাথায় কেড়া আছে।এটা সিনেমা না আর আমি নায়ক না যে দরজা ভাঙবো।

আমি মুখ বাঁকিয়ে বিড় বিড় করে বললাম,হিমুর পাঞ্জাবী পরলেই কি আর হিমু হওয়া যায়। এমন গাধার পক্ষে হিমুর চামচা হওয়াও সম্ভব নয়।

ইকবাল: কি কিছু বলছেন নাকি?

আমি: কানে বেশি শুনেন?আজ আপনার জন্য আমার এ অবস্থা।একেই লাগছে ঠান্ডা।তার উপরে মশা..

ইকাবাল ফিস ফিস করে বললো থামেন...থামেন...কে যেন দরজা খুলছে।
ও আবার আমার হাত ধরে টান দিয়ে দেয়াল এর পাশে নিয়ে গেল।

আমি: আবার আপনি এমন করছেন?আসলে আমার আপনাকেই সন্দেহ হচ্ছে..আপনি কি চান?

ইকবাল আমার মুখে হাত দিয়ে চেপে ধরলো..কানের কাছে ফিস ফিস করে বলছে,
আরেহ বকবকানি থামান।আমরা একসাথে বের হব না।একজন আগে যাব তারপর কিছুক্ষন পর আরেকজন।আমি আগে যাব তারপর ১৫মিনিট পর এসে দরজা খুলে দিয়ে যাব।

আমি ইকবাল এর হাত সরাতে চাচ্ছি,এতো শক্ত করে ধরেছে যে সরাতে পারছিনা।
নখ দিয়ে আচর দেয়ার পর ব্যাথা পেয়ে সরিয়ে নিল।

ইকবাল: আপনি আসলে পাগলি না,বন্য বিড়াল।

আমি: আরেকটু হলেই তো আমি পটল তুলতাম নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে।আর আপনি আমাকে একা ছাদ এ রেখে আগে যাবেন? কেমন মানুষ আপনি?
চারদিকে কি অন্ধকার আমি একা কিভাবে থাকবো?
তার চেয়ে আমি আগে যাব তারপর আপনি।

ইকবাল: বললাম আপনার ভালোর জন্যই।আর আমার আপনার উপর ভরসা নাই আপনি গেলে আর এসে দরজা খুলবেন না পরে আমার সারারাত ছাদ এ থাকতে হবে...

এর মাঝেই দেখি আমার ছোট বোন লিমা ছাদ এর মাঝে এসে আমায় ডাকছে।
আমি লিমার কাছে যাব এর মাঝেই ইকবাল আমার হাত ধরে টান দিয়ে বলছে,কি করছেন?আগে দেখুন ক জন আসছে...

আমি হাত ছাড়িয়ে নিয়ে ইকবাল কে ধাক্কা দিয়ে আমার বোন এর কাছে গেলাম।

আমি: বনু আম্মু খুঁজছে আমায়?

লিমা: কই ছিলি তুই?আম্মুকে বলেছি তুই গোসল করিস।আম্মু জানে না যে তুই ছাদ এ নইলে খবর আছে।

আমি লিমাকে চুমো দিয়ে বললাম আমার লক্ষী বোন।কাল চকলেট এনে দিব।চল বাসায়...

আমি ওকে নিয়ে নামবো এর মাঝেই বোন বললো দাড়া দরজা লাগিয়ে দেই।

এখন দরজা খুলে রাখতে চাইলে বোন সন্দেহ করবে।যাক আবার পরে এসে খুলে দিয়ে যাব।

বাসায় গিয়ে ধীরে আমার রুমে এসে শাড়ি পরিবর্তন করলাম,চুড়ি খুলতে গিয়ে দেখি হাতে মাত্র ২টা চুড়ি। বাকিগুলা সব ছাদ এ ভেঙে গেছে।
তখন মনে পরলো ইকবাল হাত টানাটানি করার সময় ই ভেঙেছে হয়তো।পাজি ছেলে..
কিছুক্ষন থাক ছাদ এ।এই ওর শাস্তি।

চা করে মায়ের কাছে গেলাম।
আমার করা চা পেলে মা খুব খুশি হয়।

মা: কি বেপার?আজ একবার বলার আগেই চা হাজির।আগেতো বিকাল থেকে বলতে বলতে চা পেতাম ১০টায়।

আমি: আগে দিলেও সমস্যা? কাল পাবাইনা যাও।

বাবা বিদেশে থাকেন এই ২০বছর।৩-৪বছর পর পর আসেন।এখানে আমি মা আর আমার বোন থাকি।
আমার পৃথিবী বলতে এই ৩জন ই।

মা -বোন এর সাথে আড্ডা দিয়ে পড়তে বসলাম।

রাতে আবার বৃষ্টি নামলো...

লিমা: আপু যা ভিজতে যা এবার মাকেও নিয়ে যা।

আমি: হুম,কুবুদ্ধি না দিয়ে পড়।

লিমা: আপু তুই কি প্রেম করিস?

আমি: চুপ করবি?

লিমা: তাহলে আজ অতোক্ষন একা ভিজছিস?আমি তো ভাবছি সিনেমার মতন নায়ক এর সাথে গান গাইছিস আর নাচসিস..হি হি হি

আমার ঝট করেই মনে পরে গেল ছাদ এ ইকবাল কে রেখে এসেছি দরজা লাগিয়ে।

আমি: লিমা কটা বাজেরে?

লিমা:৯:৪৫

আমি লিমাকে বললাম তুই পড় আমার কানের দুল ছাদে ফেলে এসেছি।খবরদার মা যেন টের না পায়।শব্দ করে পড়।

আমি তড়িঘড়ি করে ছাদ এ গেলাম।নিজের প্রতি রাগ হচ্ছে খুব।এতটা কেয়ারলেস আমি কি করে হলাম!

মানুষটা আমার উপর এমনিতেই ভরসা করতে পারেনি তার উপর আমি এমন করলাম।
ছাদ এর দরজা খুলে দেখি কেউ নেই।
চারদিকটা অন্ধকার। খুব  ভয় লাগছে শুধু ইকবাল কি বলবে তাই ভেবে।

চারদিকে মোবাইল এর লাইট দিয়ে ইকবাল এর নাম ধরে ডাকলাম একটা সাড়া ও পেলাম না।

চলে গেল?কিন্তু কি করে এই ভেবে রান্নাঘরের ভিতর গিয়ে আলো জ্বালাতেই দেখি ইকবাল নিচে শুয়ে আছে।ভেজা পাঞ্জাবী পরেই জড়সড় হয়ে শুয়ে আছে।

ওনার এ অবস্থা থেকে আমার কাঁন্না এসে গেল।

আমি বসে ইকবাল এর গায়ে হাত রেখে বললাম,এই যে শুনছেন।

ইকবাল চোখ খুলে উঠে বসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

আমি: আমায় ক্ষমা করে দিন।ভুলে গিয়েছিলাম।

ইকবাল: হুম

আমার মনে হয় এখনো ওনার ঘুম ভাঙেনি।
আমি আবার ওনাকে বললাম,কি হলো?উঠুন..

ইকবাল উঠেই আমার সাথে একটা কথা না বলেই চলে গেল..

আমার সাথে এর চেয়ে বেশি কিছুই করা উচিৎ ছিল।একটা চর মেরে ঝাড়ি দিলেও আমি কষ্ট পেতাম না।

তবে  বুঝলাম,ইকবাল খুব ভালো জানে,মানুষ কে কি করে তার অপরাধ এর জন্য  শাস্তি না দিয়েও কষ্ট দেয়া যায়।

যে শাস্তি পেলে মানুষ কিছু বলতেও পারেনা শুধু চোখ থেকে পানি ঝরতে থাকে...

চলবে....

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ