#জীবনের গল্প ১ম পর্ব
#লেখা: Umme Nipa
দুজন সন্তান রেখে যখন আমার স্ত্রী মারা যায় তখন আমি হতাশ হয়ে পরি।
বড় ছেলের বয়স ছিল ১০ আর ছোট ছেলের বয়স মাত্র ৩।
ছেলেদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি বিয়ে করে ফেলি।
বিয়ে করতাম না কখনো তা আমি বলতে চাইনা তবে এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে করতাম না কখনোই। শুধু সন্তান এর কথা ভেবে প্রথম স্ত্রী সুখী মারা যাবার ৬মাসের মাথায় আমি বিয়ে করি।একজন ডিভোর্সি মহিলা এবং তার ৪বছর বয়সী কন্যা সন্তান সহ আমি তাকে বিয়ে করলাম।
২য় বিয়ে তার উপর আমার সন্তানদের জন্য প্রয়োজন ছিল মা।
তাই আমি একজন মেয়ের মাকেই বিয়ে করতে আপত্তি জানালাম না।
কারন একজন মা ই বুঝবে সন্তান কি জিনিস।
সুখী চলে যাবার পর আমি নতুন কাউকে কেমন যেন মানতে পারছিলাম না।
নিজেকে চরিত্রহীন মনে হত খুব।
আমার ২য় স্ত্রীর দরকার ছিল, তার কন্যা সন্তান এর বাবার পরিচয় আর আমার দরকার ছিল আমার সন্তান এর মা।
২য় বিয়েটাই কেমন যেন গিভেন-টেকেন এর শর্ত নিয়ে হয়েছিল।
আমার ২য় স্ত্রীর নাম রুবি।
সিনেমায় দেখেছি সৎ মা নাকি খারাপ হয়।তাই আমি আমার ছেলেদের চোখে চোখে রাখতাম।
মাঝে মাঝে রুবিকে নজরদারীর ভিতর রাখতাম যে আমার সন্তান দের কিছু বলে কিনা?
লুকিয়ে থাকতাম খাবার দেয়ার সময়, দেখতাম আমার ছেলেদের কেই আগে খাইয়ে তার মেয়েকে খাওয়াতো।সৎ মায়ের কোথায় যেন একটা ভয় কাজ করে।
ভয়টা খারাপ না হবার।
সব সময় নিজেকে পরীক্ষার্থী ভাবে সৎ মায়েরা...
যেটা আপন মায়ের হয়না।
আপন মা সারাদিন মারলেও কিছু আক্ষেপ থাকেনা।
তবে সৎ মা চোখ রাঙালেও মনে আপসোস জাগে,ইনি তো সৎ মা...
সেদিন আমার ছোট ছেলেকে যখন চুপি চুপি জিজ্ঞেস করতেছিলাম পাপা,তোমায় কি তোমার মা বকে?
তখন রুবি শুনে ফেলেছিল।
ও আমার ছোট ছেলেকে কোলে নিয়ে বলে,বাচ্চার বাবাই যদি বাচ্চার মনে মায়ের প্রতি বিষ ঢেলে দেয় তাহলে বাচ্চার কি দোষ?
আমি রুবির চোখে সেদিন পানি দেখেছিলাম।
যেমন ছোট বাচ্চারা পরীক্ষার খাতায় কলম লিখতে গিয়ে ভুলে ম না দিয়ে এসে বাসায় এসে ফুঁপিয়ে কাদে..তেমন ই রুবিও মা হবার পরীক্ষায় হাপিয়ে উঠে কাঁদতেছিল...
আমি সেদিন আর কিছুই বলতে পারিনি।
রুবির মেয়ে জেসি আমায় বাবা বলে ডাকলে আমার কেমন যেন সংকোচ লাগতো।
কিন্তু আমার ছেলেরা রুবিকে মা বলেই ডাকতো।
রুবি খুব সহজেই আমার সন্তানদের মন জয় করে ফেলেছিল।
মেয়ে মানুষ হয়তো এমন ই।সব কিছু খুব সহজেই দখল করে নিতে পারে।
সাথে মন জয় ও..
কয়েকদিন বাদে আমি অফিস থেকে আসতেই আমার ছোট ছেলে পিয়াল কাঁন্না করতে করতে আমার কাছে আসলো।
তার হাতে কে যেন কলম দিয়ে ছিদ্র করে দিয়েছে।
মা মরা ছেলের কাঁন্না আমার সহ্য করতে কষ্ট হয়।
এমন কাজ জেসি ছাড়া কেউ করতে পারেনা।
আমি রুবিকে ডাকলাম।
বললাম বাসায় না থাকলে এমন হয় আর তার খেয়াল রাখবে কে??
খুব চটে গিয়েছিলাম সেদিন।
বলেছিলাম আপনার মেয়ে আমার ছেলেকে কি করেছে দেখেন?
রুবি সাথে সাথেই জেসিকে ডাক দিল।
জেসি বললো আমি মারিনি।
আমি গিয়েই মেয়েকে চড় দিলাম।
মিথ্যে বলো আবার?
কেমন শিক্ষা এগুলো?
পরে জানতে পারলাম আসলে আমার বড় ছেলে করেছে।
নিজেকে অনেক ছোট মনে হয়েছিল সেদিন।
ছোট মেয়েটা কি সুন্দর তার এতটুকু মন দিয়ে আমায় বাবা বলে ডাকে আর আমি এতো বড় হয়েও আমার মন বড় করতে পারলাম না!রুবি এই ঘটনার পর রাগ করে জেসিকে নিয়ে চলে যায়..
#জীবনের গল্প(শেষ পর্ব)
#লেখা:Umme Nipa
নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়েছিল।
রুবিকে সম্মান দেয়ার দায়িত্ব আমার সেখানে আমি ই কিনা ওকে অসম্মান করেছি!
রুবির বাবার বাড়ি যেতেই জেসি আমায় দেখে দৌড়ে আমার কোলে আসলো...
আমার নিজের মেয়ে হলে ঠিক যতটা খুশি হতো ঠিক ততটাই খুশি আমি জেসির মাঝে পেতাম।
জেসিকে দেখে খুব আপসোস হয়,ইস! আমার যদি নিজের মেয়ে থাকতো...
জেসি বড় হয়ে সব জানতে পারলে হয়তো আমায় বাবা বলেই ডাকবেনা।
আমি: জেসি তোমার আম্মুকে ডেকে দিবা?
জেসি: মাকে তুমি বকছো তাই আর আসবেনা।
আমি: যাও গিয়ে বলো বাবা কান ধরবে..
জেসি হাসতে হাসতে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলতে থাকে মা, মা বাবা নাকি কান ধরবে।
রুবি এসে দরজার আড়ালে দাড়িয়ে আছে।
আমি: আসলে আমার ভুল হয়েছে।আমাকে ক্ষমা করে দেও।
রুবি: আমার এই সন্তানের জন্য আমি ওর বাবাকে ছেড়ে এসেছি।
ওর বাবা ওকে নিজের মেয়ে বলেই মানত
না।সেখানে আমি আমার এবং আমার মেয়ের সম্মান পাইনি।
তাই আমি আজ ডিভোর্সি।
আপনি সেই দুর্বলতা নিয়ে আমায় আঘাত করেছেন।
আজ জেসি আপনার নিজের মেয়ে হলে আপনি পারতেন?
আমি রুবিকে বললাম আস্তে বলো জেসি শুনতে পাবে।
আমার বড় ছেলে বোঝে ওর মা নেই।
তবে ছোট জন খুব ই অবুজ।
ওর জন্য হলেও আমায় ক্ষমা করে দেও।
রুবি ঠিক ই আমায় আবার ক্ষমা করে আমার সাথে আসলো বাসায়।
এরপর আমি আর সন্দেহ করতাম না।
সুখীর জন্য খুব খারাপ লাগতো আমার।
১২টা বছর ওর সাথে থেকেছি।হুট করেই চলে গেল।
এই লাল -নীর সংসারে আমার কিছুই ভালো লাগেনা।
শুক্র বার ছুটির দিনে আমি সারাবেলাই কাঁথা মুরি দিয়ে শুয়ে থাকতাম।
সপ্তাহে এই দিনটা আমার অনেক স্মৃতি আছে সুখীর সাথে।
এমন কি সুখী আমায় ছেড়ে চলেও গিয়েছিল এই শুক্রবার।
সারাদিন আমি ওর মাথার কাছে শুয়ে ছিলাম।
সকাল থেকেই বেশ সুস্থ লাগছিল।
ভেবেছিলাম আল্লাহ মনে হয় আমাদের বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে ক্যান্সার এর মতন খারাপ রোগ ও ভালো করে দিয়েছেন।
সকাল থেকে মুখে হাসি সুখীর।
প্রায় ১বছর ধরে এমন হাসি আমি দেখিনি ওর মুখে।
আমায় নিজ থেকেই বলেছিল,পিয়াস এর বাবা আমায় আজ একটু খাইয়ে দিবে?
বড্ড ক্ষিধে পেয়েছে আমার।
আমি সেদিন শেষ বারের মতন ওকে খাইয়ে দিয়েছিলাম।
মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিলাম।
ও বলেছিল, আমি ঘুমে থাকলে পিয়াল প্রচুর কাঁদে।
ওকে দেখিয়ো না যে আমি ঘুমিয়ে আছি।
ওর কথার মানে আমি তখন বুঝতে পারিনি তবে ওই ঘুম ই ওর শেষ ঘুম ছিল।
আর ওঠে নি সুখী...
শুক্রবার আমার জীবনে ঘুরে ফিরে আসলেও সুখী আর আসেনা।
বেশিরভাগ এই দিনে ঘুমের ওষুধ খেয়ে পরে থাকি।
সেদিন ও এমন শুয়ে ছিলাম।রাতে রুবি আসলো আমার কাছে।
কাছে এসে বলছে খাবেনা?
আমি: না ঘুম পেয়েছে।তুমি যাও।
আমার গলার স্বর শুনেই বুঝেছিল আমার মন খারাপ ছিল।
রুবি: স্মৃতিকে মাঝে মাঝে মনে করতে হয় তাই বলে সেটাকে অবলম্বন করে বাঁচা যায়না।
আমি উঠে বসলাম...
রুবি আমার দিকে তাকিয়ে বলছে,দেখনা তুমি তাকে মনে করে কষ্ট পাও কিন্তু সে এই দুনিয়াতেই নেই।
কিন্তু আমি জিবীত থাকা অবস্থায় ও আমায় ভেবে কেউ কষ্ট পায়না।শুনলাম তার বিয়ে হয়েছে আর একটা ছেলেও আছে।এই বলে কাঁদতে লাগলো।
রুবিকে খুব অসহায় লাগলো।খুব মায়া হলো ওর জন্য।
ও তো আমার চেয়েও দুঃখী।
ওকে আমি তখন জড়িয়ে ধরে বললাম,আমার কষ্টের ভাগ যদি তুমি নাও নিতে পারো আমি নিব তোমারটা।
ও সেদিন আমায় খুব ভরসা করেছিল।
বিয়ের ৩মাস পর মনে হয়েচ্ছিল আমি ওকে ধীরে ধীরে সুখীর মতন ই ভালোবাসতে পেরেছি।কিন্তু তখনো জেসিকে মন থেকে মানতে পারিনি।
একেই তো মেয়ে,বিয়ে দিলে পরের ঘরে যাবে তারউপর আবার নিজের মেয়ে নয় সে কি করে আমায় বাবার সম্মান দিবে!
ভাবলাম আমার কর্তব্য আমি পালন করবো।
জেসিকে লেখাপড়া শিখাবো তার পর ওকে ভালো ঘর দেখে বিয়ে দিয়ে দিব।
যখন ই আমি আমার ছেলেদের সাথে দুষ্টামি করতাম জেসি ও তখন এসে আমার কোলে বসতো..
আমি আর তখন ওকে দূরে সরিয়ে দিতে পারিনি।
আমার সন্তান রা আমার সাথে ঘুমালে তখন জেসি বায়না করতো আমার সাথে ঘুমাবে।
আমার বড় ছেলে ওকে অনেক ভাবে তাচ্ছিল্য করতো..
তুই আমাদের আপন বোন না।
এমন অনেক কথাই শুনাতো কিন্তু ছোট ছেলে জেসিকে খুব পছন্দ করতো।
আমি ওদের মাঝে যাতে সম্পর্ক ঠিক থাকে তাই জেসিকেও সাথে নিয়ে ঘুমাতাম।
ধীরে ধীরে যখন ওরা বড় হতে লাগলো রুবিকে বেশি একটা মা বলে ডাকতোনা।
বড় ছেলে খালা বলে ডাকতো আর ছোট ছেলে প্রয়োজন ছাড়া মা বলতো না।
জেসি ঠিক আগের মতই বাবা ডাকে আমায়।
মেয়ের অনার্স শেষ হতেই ওকে ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দিয়ে দিলাম।
রুবি মেয়ের বিয়ের বছরের মাথায় ই মারা যায়।
ছোট ছেলেকে বেলজিয়াম পাঠিয়েছিলাম শুনেছি সে সেখানের এক মেয়েকেই বিয়ে করেছে।
বড় ছেলে তার বউ বাচ্চা নিয়ে ঢাকাতে থাকে।
আমি বাকি জীবন গ্রামে থাকবো এই সিদ্ধান্ত নিলাম।
এই ছেলেদের ই আমি ভেবেছিলাম সব সম্পত্তি দিয়ে যাব আর মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি তার আর কি বা লাগবে!
একটা মেয়ে রান্না করে দিয়ে যেত।
জীবনের শেষ সময়টা এমন নিঃসঙ্গ ভাবে কাটবে তা আমি ভাবিনি।
বড় ছেলে মাঝে মাঝে খবর নেয়।
হয়তো খবর নেয় আমি মারা গেছি কিনা!
তাহলেই হয়তো বেঁচে যায়।
ডান পায়ে ঘা হয়েছে।নিজে নিজে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যেতে পারিনা একা...
বড় ছেলেকে বলেছিলাম আমায় তার সাথে নিয়ে যেতে।
তখন সে সরাসরি বলে দিয়েছে তার পক্ষে নেয়া সম্ভব নয়।তার বাসা ছোট...আরো অনেক সমস্যা..ছোট ছেলেকে বললে সে বলে বড় ভাই দেশে থেকে আসেনা।আমি বিদেশ থেকে কি করে আসবো!
আমি জানি আমি মরে যাবার পর ঠিক সময়ে এসে সম্পত্তির ভাগ নিতে তাদের দেরী হবেনা।
মেয়েকে কিছু আর বলিনা।
সে কল দিলে বলি ভালো আছি।
নিজের সন্তান রাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাহলে মেয়ের কাছ থেকে আর কি আশা করা যায়।
যাকে আমি বঞ্চিত করেছি বার বার..
আজকাল শুধু হাঁটতেও না বসতেও কষ্ট হয় খুব।
আজকাল আর কাঁন্না ও আসেনা আমার।জীবনটা এমন যাক তা আমি চাইনি কখনো..
সকাল-সকাল দরজায় টোকা শুনে বিছানা থেকে উঠতে আমার আধা ঘন্টা লেগে গেল।
দরজা খুলেই দেখি জেসি দাড়িয়ে।
তার কোলে আরেকজন ছোট জেসি।
আমি: মা কিরে এতো ভোরে?
জেসি: বাবা তুমি অসুস্থ আর আমায় জানাওনি?
আমি: ভিতরে আয়।
জেসি বসে কাঁদছে।
আমি ওকে বললাম কাদিস কেন?
জামাই আসেনি?
জেসি: ও আসবে।
আমি বললাম,আচ্ছা তাহলে এখানে কয়েকদিন থেকে যাও।
জেসির মেয়েটা আমার পাশে এসে বললো,নানা ভাই তোমাকে নিয়ে যেতে এসেছি।
একদম জেসির মতন আমার নাতনী।
আদো আদো গলায় নানা ভাই শুনে আমি আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।
এর মাঝে জেসি বললো তোমায় এ অবস্থায় রেখে আমরা চলে যাব কি করে ভাবলে?
তোমার জামাইকে বলেছি তুমি আমাদের সাথে থাকবে।
সেও খুশি হয়েছে।বিকেলের দিকে আসবে আমাদের নিয়ে যেতে।
আমি এর মাঝে সবকিছু গুছিয়ে ফেলি।
একসময় ভাবতাম আমার মেয়ে সন্তান নেই।আমি বেহেস্ত পাইনি।
কিন্তু এখন বুঝি আমি দুনিয়াতেই বেহেস্ত পেয়ে গেছি।যে আমার চোখ খুলে দিল।
আসলে কখন যে আপন হয়ে যায় তা কেউ বুঝতে পারেনা।
ওকে একদিন বলেছিলাম ঠিক শিক্ষা পাওনি।
আসলে ভুল বলেছিলাম।
ও শুধু শিক্ষাই পেয়েছে তা নয় ও শু শিক্ষা দিতেও জানে।আজ যেটা আমায় দিয়েছে।
জেসির মাথায় হাত রেখে বললাম,মা বুড়া বয়সে জামাইর কাছে থাকলে মানুষ খারাপ বলবে?
জেসি আমায় জড়িয়ে ধরে বললো,যখন আমায় নিজের কাছে রেখেছিলে তখন মানুষ কিছু বলেছিল বাবা?
এতো কষ্ট পাও তা যেহেতু মানুষ দেখতে আসেনি তাহলে তারা কি বললো আমি জানতে চাইনা।
ভাগ্যিস বাসার মেয়েটা আমায় কল দিয়েছিল।
না হলে আমি জানতেই পারতাম না।
বাবা আমাদের সাথে থাকতে কি তোমার আপত্তি আছে?
মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি আর কিছুই বলতে পারলাম না।
চোখের পানি যেন ভিতর থেকে খুব করে বের হয়ে আসতে চাইছে...
নাতনীকে কোলে নিয়ে চললাম মেয়ে আর জামাইয়ের সাথে।
জামাইকে বলেছিলাম আমার দু ছেলের সাথে তোমায় ও সম পরিমান সম্পত্তি দিব।
সে বলে দিয়েছে,সব চেয়ে বড় সম্পত্তি জেসিকে আমি দিয়েছি তাকে।তার আর কিছু চাইনা।
সুখীকে বলি তুমি মারা গেছ বেঁচেই গেছ।ছেলেদের এই অবস্থা থেকে তুমি মারা যেতে প্রতিনিয়ত।
আর রুবি আমায় সবচেয়ে বড় জান্নাত আমায় দিয়ে গেছে যা আমি আগে চিনতে পারিনি।
ছেলেদের সাথে আর যোগাযোগ রাখিনা।জেসিকে বলেছি মরে গেলে তোর বাসার আশেপাশেই কবর দিস মা...
ওপারে জান্নাত না পেলেও দুনিয়ার জান্নাত এর আশেপাশে তো থাকতে পারবো...
জীবন সুন্দর..
যতটুকু চেয়েছিলাম তার চেয়েও বেশি সুন্দর..
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ