āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ā§§ āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3680 (20)

প্রিয়ার চোখে জল
.
পর্বঃ ৪৮
লেখকঃ সাইদা ইসলাম বকুল
.
.
কিরণ প্রিয়ার এই আচরণে অবাক হয়ে গেল।
প্রিয়া আবার বললো,আমাকে যত ইচ্ছা কষ্ট দিন, কিন্তু নিজেকে এভাবে কষ্ট দিবেন না। আর মাকে কষ্ট দিবেন না। আমি না হয় রাস্তার একটা অসহায় মেয়ে, যাকে দয়া করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছেন, এই বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন। আমাকে কষ্ট দিলেও আমি কোন অভিযোগ করবো না। কারণ সেই অধিকার আমার নেই। আসলে আমার কোন অধিকারই নেই,কারো উপর রাগ করার অধিকার নেই। কাউকে ভালোবাসার অধিকারও আমার নেই। শুধু অনুরোধ করছি, এই শীতের মধ্যে দাঁড়িয়ে না থেকে ঘরে যান। আপনার জন্য আজ সারাদিন মায়ের চোখের পানি পড়েছে। আর আপনার কিছু হয়ে গেলে আপনার মা বাঁচবে না। আমি তো আপনার কেউ না, কিন্তু আপনার মা তো আপনার জীবন, তার কথা ভেবে আপনার চলা উচিৎ।
আর আপনি যদি বলেন, তাহলে আমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাব। আমি কারো দুঃখের কারণ হতে চাই না। আমি তো জন্মের পর আমার মাকে হারিয়েছি, তাই আপনার মায়ের ইচ্ছার মূল্য দিয়ে আমি সব জেনেশুনে এই বিয়েতে রাজী হয়েছিলাম, ভেবেছিলাম আপনার মায়ের আশা পূরণ করতে পারবো। আসলে সবাই সব কিছু পারে না। আমার ভাগ্যে যা আছে তাই হবে, এজন্য কখনো কাউকে দোষারোপ করবো না, কারো বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু আমার মা আমাকে অবিশ্বাস করেছে। সবাই ভুল বুঝলে বুঝুক, কিন্তু মা তো আমাকে চেনে। মা কি করে এক অচেনা মেয়ের কথায় আমাকে অবিশ্বাস করলো!  মায়ের মত হয়তো তুমিও আমাকে অবিশ্বাস করেছো।
না করিনি।
কেন করোনি?  তোমার তো আরো বেশি অবিশ্বাস করার কথা। কারণ এতদিন হয়ে গেছে আমাদের বিয়ে হয়েছে, অথচ আমি তোমাকে আজও স্বীকৃতি দেইনি, তুমি তো ভাবতেই পারো অন্য কোন মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক আছে।
সবার ভাবনা যে আপনার মত হবে, তা বলা ঠিক নয়। আপনি যখন কয়েকবার বলেছেন ওই মেয়ের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই,তখন আমিও আপনার কথা বিশ্বাস করেছি।
বিশ্বাস করাটা কি এতই সহজ প্রিয়া?
হ্যাঁ, মানুষ বেঁচে থাকা পর্যন্ত কাউকে না কাউকে বিশ্বাস করতেই হয়। যদি মানুষ মানুষকে বিশ্বাসই না করে, তাহলে এই সমাজ -সংসার সব ভেঙে যাবে। পিতা পুত্রের সম্পর্ক ছিন্ন হবে,মা তার সন্তানকে দূরে ঠেলে দেবে,স্বামী স্ত্রী আর এক সাথে বসবাস করবে না। আমাদের কোন আপনজন যখন মারা যায়, তখন আমরা ভাবি এই শূন্যতা কি দিয়ে পূরণ করবো, এই কষ্ট কি করে ভুলবো!  কিন্তু সময়ের ব্যবধানে একদিন মানুষ সব দুঃখ -কষ্ট ভুলে যায়। মানুষ দুঃখ -কষ্ট ভুলে থাকতে পারে বলেই তো বেঁচে থাকে। আর অবিশ্বাসকে দূরে রেখে, বিশ্বাসকে কাছে টেনে নেয় বলেই তো একজন আরেক জনের হাত ধরে পথ চলে। আর এই চলার নামই তো জীবন।
.
কিরণ প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। প্রিয়ার মনোবলের কাছে কিরণ এবারও হেরে গেল। কিরণ এবার প্রিয়ার সামনে এসে দাঁড়ালো। প্রিয়া শীতে কাঁপছে।
কিরণ বললো,বল তো প্রিয়া, বিশ্বাস বড়, না ভালোবাসা বড়?
প্রিয়া বললো, আপনার কাছে বিশ্বাস বড়, কারণ একজন আপনাকে ধোঁকা দিয়েছে, তাই আপনি সহজে কাউকে বিশ্বাস করতে ভয় পান।
আর আমার কাছে ভালোবাসা বড়। কারণ ভালোবাসা দিয়ে সব অবিশ্বাস দূর করা যায়। ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু জয় করা যায়।
কিরণ বললো,মা আমাকে অবিশ্বাস করেছে। আর তুমি আমাকে বিশ্বাস করেছো, এজন্য ধন্যবাদ।
প্রিয়া বললো, আমি কালই এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো। তবে যতদূর যাই আর যতদিন বেঁচে থাকবো, সবসময় আপনার মঙ্গল কামনা করবো। আমাদের মাঝে কোন সম্পর্ক না থাক,তবুও তো আপনি আমার স্বামী , এই সান্ত্বনা নিয়েই না হয় বেঁচে থাকবো। আপনাকে এই শীতের মধ্যে একা রেখে গেলে ঘরে গিয়েও শান্তি পাবো না। তার চেয়ে ভালো এখানেই আপনার পাশে দাঁড়িয়ে থাকি। হয়তো এই সময় আমার জীবনে আর কখনো আসবে না। প্রিয়া মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো। কিরণ মনে মনে ভাবলো, তোমার কাছে আমি সবদিক দিয়ে হেরে গেলাম প্রিয়া। তোমার ভাবনা,, তোমার যুক্তি, তোমার ভালোবাসার কাছে আমি আত্মসমর্পণ করলাম।
.
কিরণ প্রিয়ার হাত ধরলো। প্রিয়া অবাক হয়ে কিরণের দিকে তাকিয়ে রইলো।
কিরণ বললো,তুমি কোথাও যাবে না প্রিয়া। তুমি এই বাড়িতেই থাকবে, আমার চোখের সামনে থাকবে। তুমি আমার উপর রাগ করবে, অভিমান করবে, আমাকে শাসন করবে। আর আমাকে ভালোবাসবে। তুমি যদি আমাকে বুঝতে পারো, আমাকে বিশ্বাস করতে পারো, তবে আমি তোমাকে বিশ্বাস করতে পারবো না কেন?  তুমি যদি আমার স্ত্রী হিসেবে এই সংসার আর আমার মাকে সামলাতে পারো, তবে আমি তোমার স্বামী হতে পারবো না কেন?  এত ভালোবাসা যার অন্তরে, তাকে আমি কি করে অবহেলা করবো, কি করে তাকে আমি ফেলে বিদেশ চলে যাব? আমিও কোথাও যাবো না, আর তোমাকেও কোথাও যেতে দেব না। যতদিন বেঁচে থাকবো, সব দুঃখ -কষ্ট থেকে তোমাকে দূরে রাখবো। তোমাকে আমি এত ভালোবাসবো যে, কখনো তোমার মনে হবে না তোমার কোন দুঃখ -কষ্ট ছিল। প্রিয়া স্থির নয়নে কিরণের দিকে তাকিয়ে রইলো। চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগলো। প্রিয়া ছাদের উপর দাঁড়িয়ে আছে না শূন্যে ভাসছে, তাও বুঝতে পারছে না। কিরণ প্রিয়ার চোখের পানি মুছে দিল।
প্রিয়া দৌড়ে ছাদ থেকে নেমে গেল। কিরণও প্রিয়ার সাথে চলে গেল। প্রিয়া নিজের রুমে এসে হাঁপাতে লাগলো। কিরণ এসে প্রিয়ার সামনে দাঁড়ালো। কি হয়েছে প্রিয়া, এভাবে দৌড়ে চলে এলে কেন? 
প্রিয়া বললো,ছাদের উপর দাঁড়িয়ে একটা স্বপ্ন দেখছিলাম। তাই ভয়ে চলে এসেছি। কারণ আমি স্বপ্ন দেখতে ভয় পাই। কিরণ প্রিয়াকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বললো, এটা কোন স্বপ্ন নয় প্রিয়া, বাস্তব। আমি তোমাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছি। আমার বুকে ঠাঁই দিয়েছি। আমি তোমাকে কখনো দুঃখ দেবো না,অবহেলা করবো না। ভালোবাসা দেব,আর কখনো তোমাকে দূরে রাখবো না।
প্রিয়াও কিরণকে জড়িয়ে ধরলো। প্রিয়া কাঁদছে, তবে আজ এই কান্না সুখের কান্না। এ কান্না যদি সারাজীবনও থাকে, তবুও প্রিয়ার কোন দুঃখ থাকবে না। প্রিয়া আজ খুব খুশি, তার স্বামী তাকে বুকে টেনে নিয়েছি, এরচেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে?  প্রিয়া তার সব দুঃখ -কষ্ট ভুলে গেল।
.
.

প্রিয়ার চোখে জল
#পর্ব ৪৯
.
সকালবেলা মা ঘুম থেকে উঠে এসে ড্রইংরুমে বসলো। রাতে ভালো ঘুম হয়নি। কিরণের জন্য যতটা খারাপ না লেগেছে, প্রিয়ার জন্য তারচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে। ওর অসহায় মুখটার দিকে তাকালে যে মায়ের বুকটা হাহাকার করে উঠে। ওর বিষণ্ণ মুখটার দিকে মা কি করে তাকাবে?
প্রিয়া চায়ের কাপ নিয়ে মায়ের সামনে রাখলো। মা চুপচাপ মাথা নিচু করে বসে আছে। প্রিয়া হাসিমুখে দাঁড়িয়ে রইলো। মা প্রিয়ার দিকে তাকালো। প্রিয়া হাসলো। সেই হাসিতে মিশে আছে আনন্দ। মা অবাক হয়ে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। একটা সদ্যফোটা ফুল যেমন সুন্দর, প্রিয়াকে ঠিক তেমনই সুন্দর লাগছে। মা প্রিয়ার হাতটা ধরে নিজের পাশে বসালো। মায়ের মনে অনেক প্রশ্ন, কিন্তু মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না। এমন সময় কলিংবেল বেজে উঠলো।
মা বললো, এত সকালে কে এল? 
প্রিয়া উঠে, দরজা খুলে দিল। রুবেল আর জয়া ভেতরে এল।
রুবেলের সাথে জয়াকে দেখে মা আর প্রিয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।
মা বললো, রুবেল এই মেয়েকে তুমি চেনো?  এই মেয়ে সেদিন এখানে এসেছিল, তুমি ওকে নিয়ে এখানে এসেছো কেন? 
খালাম্মা ওকে নিয়ে এসেছি আপনাদের দু'জনের ভুল ভাঙাতে।
কিসের ভুল, রুবেল?
খালাম্মা আপনি তো জানেন, কিরণ আর আমি কত ভালো বন্ধু। আমি সবসময় কিরণের ভালো চেয়েছি। ওর সুখ দেখলে আমার ভালো লাগতো, আর ওর দুঃখ দেখলে আমার কষ্ট হত। আপনার মত আমিও চেয়েছি কিরণ সংসারী হোক,সুখে থাক। যখন দূর থেকে শুনেছি, কিরণ বিয়ে করেছে, সব কাজ ফেলে ছুটে এসেছি। ঢাকায় ভাবীকে দেখার পর মনে হল, এবার আমার বন্ধু ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুদিন আগে যখন আমি এখানে এলাম, তখন কিরণ আমাকে বললো,তুই প্রিয়াকে বিয়ে কর, তোর কাছে প্রিয়া সুখেই থাকবে। কথাটা শুনে ওর উপর আমার প্রচণ্ড রাগ আর ঘৃণা হয়েছে। সেই দিনের পর থেকে ওর সাথে আমার কথা বন্ধ, যোগাযোগ বন্ধ। আপনারাও তো দেখেছেন, আমি এই বাড়িতে এতদিন আসিনি। সেদিন রাতে ভাবী আমাকে ফোন করে বললো, কিরণ কানাডা চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুনে আমার মাথা খারাপ হয়ে গেল। কি করে ওকে আটকাবো?  তাই ভাবতে লাগলাম, আমি তো ওর স্বভাব জানি। একবার যা বলবে তাই করবে, চিন্তা করে যখন কোন সমাধান পাচ্ছিলাম না, তখন মনে হল যে মেয়েমানুষকে ও এত অপছন্দ করে, সেই মেয়ে দিয়েই ওকে আঘাত করবো। আর এই জয়া আমার মামাতো বোন। রাজশাহী থেকে আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছে। ও আসার পর আমি ওকে এই অভিনয়টুকু করার জন্য বললাম। ও খুশিমনে রাজী হল। ওকে আমিই এই বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম। ও ভেতরে ঢুকার পর আমি বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। যদি কোন অঘটন ঘটে যেত, তাহলে আমি এসে তা সামাল দিতাম। আর কিরণের ছবি আমিই ওকে দিয়েছি।
.
খালাম্মা, জানি না, কাজটা ঠিক করেছি, না ভুল করেছি। সামান্য চেষ্টা করেছি, সফল হব কিনা জানি না। খালাম্মা, আপনি কি আমার এই কাজের জন্য আমার উপর রাগ করবেন?
.
মা একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললো, রাগ করবো কেন বাবা, তুমি তোমার বন্ধুকে ভালোবাসো, তাই এই কাজ করেছো।কিন্তু তোমার বন্ধু তো সেই ভালোবাসার মর্ম বুঝে না। আর কখনো বুঝবে কিনা জানি না।
.
প্রিয়া হেসে বললো, মা আপনার ছেলে তার ভুল বুঝতে পেরেছে। আর রুবেল ভাইয়ার চেষ্টাও সফল হয়েছে। রুবেল আর জয়া খুশিতে হাত মেলালো। মা আজ খুব খুশি। মা প্রিয়ার এই হাসির অর্থ এতক্ষণে বুঝতে পারলো। মা প্রিয়াকে আদর করে দিল। রুবেলকে মা বললো, তোমাদের দু'জনের প্রতি আমার দোয়া আর ভালোবাসা রইলো।
. প্রিয়া বললো, ভাইয়া আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আপনার বন্ধুর প্রতি এই ভালোবাসার কথা আমি চিরদিন মনে রাখবো।
.
রুবেল বললো, আমি শুধু আমার বন্ধুর কথা ভেবে সব করিনি, আমার বোনের মত ভাবীর কথা ভেবে করেছি। ভাবী, কিরণ ধীরে ধীরে আপনার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছিল বলে ও বিদেশ যাওয়ার নাম করে আপনার কাছ থেকে পালাতে চেয়েছিল। আপনার ধৈর্য আর ভালোবাসার কাছে ও হার মেনেছে। খালাম্মা অনেক আশা নিয়ে আপনাকে এই বাড়িতে নিয়ে এসেছিল, আপনি সেই আশা পূরণ করেছেন। যা করার আপনিই করেছেন। আমি তো মাত্র ওর পায়ে মিথ্যা শিকল পরিয়ে দিয়েছি। এই অপবাদের শিকল না পরালে ও হয়তো চলে যেত। নিজে কষ্ট পেত, কিন্তু কাউকে বুঝতে দিত না। খালাম্মার মত আজ আমিও খুব খুশি। আমি মনেপ্রাণে দোয়া করি, আপনি কিরণকে নিয়ে সুখে থাকুন। আপনাদের সুখই আমাদের সবার কাম্য। মা রুবেল আর জয়ার মাথায় হাত রেখে দোয়া করে দিল।
রুবেল বললো,আমরা এখন চলে যাই। আমি জানি কিরণ নয়টার আগে ঘুম থেকে উঠে না, তাই ও যাতে না জানে আর আমাদের না দেখে, তাই এত সকালে এসেছি। আপনারা এই কথা কিরণকে কখনো বলবেন না। একটা মিথ্যা অপবাদের কারণে যদি ও আপনাদের কাছে ছোট হয়ে থাকে তাতে ক্ষতি কি?  এই  পৃথিবীতে কতকিছু অজানা থেকে যায়, এই সত্যটা না হয় ওর কাছে অজানাই রয়ে যাক।
.
মা বললো, তুমি ঠিকই বলেছো বাবা,এই ঘটনার পর ও কিছুটা নরম হয়েছে। আমিও চাই ও সব সময় এমন থাক। একটা মিথ্যা যদি আমার ছেলেকে সুখে রাখে, তাতে ক্ষতি কি?  প্রিয়া জয়ার হাত ধরে বললো,এই পৃথিবীর বুকে কত ধরণের ঘটনা ঘটে। তবে আপনি যা করেছেন, তা আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করবো না, তবে আমার শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা আপনার প্রতি রইলো। আর কখনো দেখা হবে কিনা জানি না।তবে আপনার ছবিটা আমার হৃদয়ে সবসময় আঁকা থাকবে। প্রিয়া জয়াকে বুকে জড়িয়ে নিল।
.
.
দুঃখিত খুব দেরি হয়ে গেল গল্পটি দিতে। ভেবেছিলাম আজই গল্পটি শেষ করে দিব, কিন্তু পারলাম না।আজ সারাদিন ধরে মাইগ্রেন এর সমস্যায় ভুগছি।এই পর্বটি লেখার সময় অনেক কষ্ট হয়ছে, চোখে সবকিছুই ঝাপসা দেখছি আর মনে হচ্ছে আজ আমি পাগল হয়ে যাব বুঝি।মাইগ্রেন এর সমস্যা যে কতটা অস্বস্তিকর, যার মাইগ্রেন এর সমস্যা আছে সে জানে। মনে হয় মাথার রগ গুলো সব ছিড়ে যাচ্ছে।
.

প্রিয়ার চোখে জল
.
পর্বঃ ৫০ বা শেষ ( অন্তিম পর্ব)
.
লেখকঃ সাইদা ইসলাম বকুল
.
.
মা রুবেলকে বললো, বাবা তুমি কি কিরণের সাথে রাগ করেই থাকবে, নাকি মাঝে মাঝে বেড়াতে আসবে? 
রুবেল বললো, খালাম্মা আপনাদের সাথে তো দেখা করে গেলাম। তবে কিরণের সাথে সেদিন দেখা করবো, যেদিনও আমার কাছে যাবে। আর আমি জানি, কিরণ খুব তাড়াতাড়ি আমার কাছে যাবে। আমাকে দুঃখিত বলে বুকে টেনে নেবে। আমার বন্ধুর উপর এই বিশ্বাসটুকু আমার আছে। চলি খালাম্মা। রুবেল আর জয়া চলে গেল।
মা বললো, আমার ছেলে নির্দোষ। তবে তারচেয়ে বড় কথা, কিরণ তোমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে। তোমাকে বোঝাতে পারবো না বউমা, আজ আমি কত খুশি। এই খুশির কথাটা সুমি আর আকাশকে বলতে হবে। ওরা চিন্তা মুক্ত হবে। খুশি হবে।
.
প্রিয়া মাথা নিচু করে বললো,মা আমি আপুকে ঘুম থেকে উঠেই ফোন করেছি। আপু আর ভাইয়া আসছে, হয়তো কাছাকাছি চলেও এসেছে।
মা বললো, খুব ভালো করেছো মা। বাইরে গাড়ির হর্ন শোনা গেল। সবার আগে মিতু দৌড়ে ঘরে ঢুকলো। প্রিয়া আর মাকে জড়িয়ে ধরলো। তারপর হাসিমুখে আকাশ আর সুমি ঘরে ঢুকলো। আকাশ মাকে সালাম করলো। আর সুমি প্রিয়াকে বুকে জড়িয়ে নিল।
আকাশ বললো, আজ আমার সব চিন্তা দূর হয়েছে, আজ আমি খুব খুশি। সবাইকে সুমি ইশারায় চুপ থাকতে বললো।
.
কিরণ এসে সুমি আর আকাশকে দেখে কিছুটা অবাক হয়ে বললো, আপু আপনারা কখন এসেছেন?
সুমি বললো, এইমাত্র এসেছি। আবার এক্ষুণি চলে যাবো। আমরা প্রিয়াকে নিয়ে যেতে এসেছি।
এই কথা শুনে যেন কিরণের মাথা খারাপ হয়ে গেল। কিরণ মায়ের দিকে তাকালো, মা মন খারাপ করে বসে আছে।
কিরণ বললো,আপু আপনি প্রিয়াকে কেন নিয়ে যাবেন?
সুমি বললো, আরো আগেই নিয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল। শুধু প্রিয়া না বলাতে আসিনি। কিন্তু আজ আর এখানে রেখে যাবো না। সাথে করে নিয়েই যাবো। এখানে থেকে আর কত অবহেলা সহ্য করবে?
.
কিরণ প্রিয়ার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। তারপর বললো, প্রিয়া কোথাও যাবে না। প্রিয়া আমার স্ত্রী, প্রিয়া এই বাড়িতেই থাকবে। আমার কাছে থাকবে, আমি প্রিয়াকে কোথাও যেতে দেব না। বাঁচতে হলে দু'জন একসঙ্গে বাঁচব, মরতে হলে দু'জন একসঙ্গে   মরব। তবু প্রিয়াকে কিরণের বুক থেকে কেউ আলাদা করতে পারবে না। এই কথা শুনে আকাশ মনে মনে হাসতে লাগলো। মা আর সুমি কিরণের দিকে তাকিয়ে আছে।
.
কিরণ প্রিয়ার হাত ধরে বললো, যতটুকু ভুল করার করেছি, জীবনে আর কখনো এমন ভুল করবো না। এখন থেকে প্রিয়াই আমার সবকিছু। আপনাদের সবার সামনে দাঁড়িয়ে ওয়াদা করছি, আমি কখনো প্রিয়াকে কষ্ট দেব না, ওকে আমি অনেক সুখে রাখবো। সবসময় ওর ইচ্ছার মূল্য দেব।
.
আকাশ উঠে এসে কিরণকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললো, আমি তোমার কাছে শুধু এতটুকুই চাই, আমার বোনটাকে সুখে রাখবে। আর আমি জানি তুমি তা পারবে। মা আর সুমি হাসিমুখে এসে কিরণ আর প্রিয়ার সামনে দাঁড়ালো। দু'জনের মাথায় হাত রেখে দোয়া করে দিল।
সুমি বললো, প্রিয়ার হাতটা সবসময় এভাবেই ধরে রেখ ভাই। সবার হাসিমুখ দেখে প্রিয়াও খুশি,কিরণও খুশি।.
.
প্রিয়া আর কিরণ দু'জন দু'জনের দিকে তাকিয়ে আছে।
( ১.অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন, পেলাম খুঁজে এভুবনে আমার আপনজন। তুমি বুকে টেনে নাও না প্রিয় আমাকে, আমি ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি তোমাকে।
২. পারিনা বোঝাতে নিজেকে, ভালোবাসি
কতোটা তোকে)
.        "" সমাপ্ত ""

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ