āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ā§§ āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3580 (8)

প্রিয়ার চোখে জল

পর্বঃ ১৫

লেখকঃ সাইদা ইসলাম বকুল

রোদের প্রথম আলো ধানের শীষের উপর পড়তেই চিকচিক করে উঠে। দেখতে খুবই ভালো লাগে। আজ শুক্রবার, শীলার স্কুল ছুটি। এই বছর মেট্রিক পরীক্ষা দেবে,কিন্তু পড়ায় মন বসে না। সারাক্ষণ প্রিয়ার চিন্তায় অস্থির হয়ে থাকে। প্রিয়ার কোন খোঁজ নেই। কোথায় আছে, কেমন আছে, শীলা কিছুই জানে না। ভালো আছে, নাকি এখানকার চেয়ে খারাপ আছে, বেশি কষ্টে আছে। শীলা কি করবে বুঝতে পারছে না। শীলা আর তার বাবার অবস্থা একই। মনের অশান্তির চেয়ে বড় অশান্তি আর কিছু নেই। শীলার কোথাও ভালোলাগছে না। বাইরে এসেছে, তাও ভালো লাগছে না। শীলা দূর থেকে দেখতে পেল তার বান্ধবী আসছে। হয়তো বাড়িতে গিয়েছিল, না পেয়ে এখানে এসেছে। শীলা একটা গাছের নিচে বসে ছিল, উঠে দাঁড়ালো। তার বান্ধবী জোরে জোরে হেঁটে এসে তার সামনে দাঁড়ালো। শীলা তুই এখানে, আর আমি তোকে খোঁজার জন্য তোর বাড়িতে গেছি। খালাম্মা বললো তুই নদীর পাড়ে। এসে দেখি সেখানেও তুই নেই, তারপর মনে হল এখানে, দৌড়ে চলে এলাম।
এত কষ্ট করে আমাকে খোঁজার কি দরকার ছিল, কাল তো স্কুলেই দেখা হত।
তুই কি ভেবেছিস শুধু তোকে দেখার জন্য আমি এত কষ্ট করে তোর কাছে এসেছি!  আমি এসেছি কারণ, প্রিয়া আপু ফোন করেছে। শীলা খুশিতে নেচে উঠলো, মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। শীলা তার বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরে বললো। আমার প্রিয়া আপু তোর কাছে ফোন করেছে!  সত্যি কথা বলছিস!  প্রিয়া আপু ফোন করেছে।
শীলা তুই আগে শান্ত হ, ভালোভাবে নিঃশ্বাস নে, একটু স্থির হ। প্রিয়া আপু একটু আগে আমার মোবাইলে ফোন করেছে। একটু পর আবারও ফোন করবে তোর সাথে কথা বলার জন্য।
তুই এই কথা আমার মাকে বলছিস? 
কেন তোর কি মনে হয় আমি বোকা!  কাউকে বলিনি। সোজা তোর কাছে চলে এসেছি। জানিস প্রিয়া আপুর ফোন পেয়ে আমিও খুশি হয়েছি, ওনার জন্য আমার খুব মায়া লাগতো।
আপু কোথায় আছে, কেমন আছে, তোকে কিছু বলেছে? 
এমন সময় মোবাইলে রিং বেজে উঠলো। শীলার বান্ধবী কোমর থেকে মোবাইল বের করলো। শীলা তাড়াতাড়ি হাতে নিল। রিসিভ করে কানে ধরলো, হ্যালো আপু তুমি কেমন আছো?  আমার বিশ্বাস হচ্ছে না, তুমি আমার কাছে ফোন করছো।আপু আমি তোমার জন্য অনেক চিন্তায় আছি। আপু আমরা সবাই ভালো আছি। আগে তোমার কথা বল। আপু তুমি সত্যি সত্যি ভালো আছো?  জানো আপু, তুমি চলে যাবার পর প্রত্যেকটা মুহূর্তে নিজের কাছেই নিজেকে দোষী মনে হয়েছে। আপু তোমার কথা শুনে আমার যে কি ভালো লাগছে,তা তোমাকে বুঝাতে পারবো না! আজকের এই খুশি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ খুশি। তুমি ভালো আছো, এই আমার বড় পাওয়া। আমি তোমাকে বলেছিলাম না যে, পৃথিবীর সব মানুষ খারাপ নয়। এই দুনিয়ায় এখনো অনেক ভালো মানুষ আছে। যারা মানুষকে ভালোবাসতে জানে। হ্যাঁ আমি বাবাকে বলবো, আমি আজ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবো। তোমার কথা শুনার পর বাবাও অনেক খুশি হবে। আমার কথা ভেবো না, আমাকে দেখার জন্য এখানে সবাই আছে। তুমি তোমার কথা ভাবো। আমার জন্য মোটেও চিন্তা করো না, নিজের দিকে খেয়াল রেখো। আবার কবে ফোন করবে আপু?  ঠিক আছে, আমি সব সময় দোয়া করবো, তুমি ভালো থেকো, সুখে থাকো। আচ্ছা আপু রাখি, শীলা মোবাইল তার বান্ধবীর হাতে দিল। খুশিতে গাছের ডাল ধরে ঝুলতে লাগলো। শীলার এই খুশি তার বান্ধবী মন ভরে দেখতে লাগলো। মানুষের জীবনের একেকটা ধাপ একেকভাবে কাটে।  স্কুল জীবনের সময়টা অন্য রকম আনন্দের। অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সময় কাটে। সুখ - দুঃখ সবাই ভাগ করে নেই। শীলা গাছ থেকে নেমে তার  বান্ধবীকে আবার বুকে জড়িয়ে নিল। হঠাৎ করে দেখলো তার বাবা ধান ক্ষেতের পাশ দিয়ে মাথা নিচু করে হেঁটে যাচ্ছে। শীলা দৌড়ে তার বাবার কাছে গেল। বাবা চিন্তিত মনে বললো, শীলা কি হয়েছে মা?  শীলা বললো, বাবা প্রিয়া আপু ফোন করেছে। আমি আপুর সাথে এই মাত্র কথা বলেছি। তুমি কথা বললে যদি মা দেখে ফেলতো, তাই তোমার কাছে যাইনি। আমার বান্ধবীর মোবাইল নাম্বার দিয়েছিলাম, ওর মোবাইলে ফোন করেছে। বাবা খুব চিন্তিত আর অস্থির হয়ে পড়লো। শীলা বাবাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললো, বাবা তুমি অস্থির হয়ো না। আপু ভালো আছে,খুব ভালো আছে। এক ভদ্রমহিলা আপুকে আশ্রয় দিয়েছে, তারা অনেক বড়লোক। আপুকে কোন কাজ করতে দেয় না। আপুকে অনেক আদর করে। নতুন কাপড় কিনে দিয়েছে, আবার বলেছে কাজ জোগাড় করে দেবে। বাবা আমি আজ খুব খুশি, আমার চেষ্টা ব্যর্থ হয়নি। বাবা আপু তার নতুন জীবনের সন্ধান পেয়ে গেছে। বাবা খুশিতে বললো, খোদার কাছে লাখ লাখ শোকর। আমার প্রিয়া ভালো আছে, এর চেয়ে বড় পাওয়া আমার জন্য আর কি আছে। আমার জীবনে সবচেয়ে সুখের দিন আজ। আমি খুব খুশি মা, খুব খুশি। শীলা তার বাবার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। কারণ তার বাবাকে এই প্রথম প্রাণ খুলে হাসতে দেখলো। সন্তানকে হাসতে দেখলে যেমন বাবা-মা খুশি হয়, তেমনি বাবা-মায়ের খুশি দেখলেও সন্তানরা খুশি হয়। মানুষ জীবনে অনেক কিছু আশা করে, অনেক কিছু পেতে চায়। কারো আশা পূরণ হয়, কারো আশা অপূর্ণ থেকে যায়। অনেক কষ্ট, অনেক অপূর্ণতার মাঝে সামান্য পূর্ণতা যে মানুষকে এত আনন্দ দিতে পারে,শীলা তার বাবাকে দেখে বুঝতে পারলো। মানুষের মনের শান্তির কাছে জগতের বড় বড় অশান্তিও হার মানে। শীলা তার বাবার প্রাণ খুলে হাসি দেখার জন্য অনেক দিন অপেক্ষা করেছে। আর আজ শীলার কারণে তার বাবা হাসছে। মাথার উপর দিয়ে একঝাঁক সাদা কবুতর উড়ে গেল। শীলা তাকিয়ে দেখলো, মানুষও মাঝে মাঝে পাখি হয়ে যায়। মনে মনে সে পাখির মতো ডানা মেলে ওই নীল আকাশের বুকে উড়ে বেড়ায়। এই মুহূর্তে শীলাও মনে মনে পাখির মত ডানা মেলে আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর মিষ্টি হাওয়া এসে ওর গাঁয়ে লাগছে।

প্রিয়ার চোখে জল

পর্বঃ ১৬

লেখকঃ সাইদা ইসলাম বকুল

দুপুরে খাওয়ার পর সুমি কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়,কিন্তু প্রিয়ার তো দুপুরে ঘুমের অভ্যাস নেই, তাই ভাবলো নীলার কাছে গিয়ে কিছুক্ষণ বসবে। প্রিয়া নীলার ঘরের সামনে এসে দাঁড়ালো। পর্দা ফাঁক করে তাকালো। নীলা পাশের বাড়ির জানালায় কাকে যেন দেখছে, আর একা একা হাসছে।কাকে দেখে হাসছে তা প্রিয়া দেখতে পেল না। প্রিয়া ভাবলো, এটা নীলার নিজস্ব ব্যাপার। সেখানে প্রিয়ার না যাওয়াই ভালো। প্রত্যেকটা মানুষের নিজস্ব একটা ভুবন আছে, সেই ভুবনের মালিক সে একা। সে ইচ্ছে করলে যে কাউকে তার মনের আসনে বসাতে পারে, তাকে ভালোবাসতে পারে। ইচ্ছে করলে সেখানে রাজপ্রাসাদও তৈরী করতে পারে। কিন্তু কষ্ট হয় তখন, যখন সেই রাজপ্রাসাদ নিজ হাতে ভেঙে ফেলতে হয়। প্রিয়া মন থেকে দোয়া করলো যাতে, সে দিন নীলার জীবনে কখনো না আসে। প্রিয়া পেছন দিকে দাঁড়িয়ে ছিল, তাই নীলা প্রিয়াকে দেখতে পায়নি। প্রিয়া চলে এলো, রুমে এসে শুয়ে পড়লো। কলিংবেল বেজে উঠলো, এবার হয়তো মেহমান এসেছে। এই বাড়িতে যারাই আসুক প্রিয়া কারো সামনে যায় না। কারণ প্রিয়া চাই না তার কষ্টের কথা শুনে কেউ তার দিকে করুণার দৃষ্টিতে তাকাক। বুয়া দরজা খুলে দিল, মিসেস চৌধুরী এসে ঢুকলো। সুমি আর আকাশ হাসিমুখে রুম থেকে এলো। সালাম দিল। মিসেস চৌধুরী সালাম এর উত্তর দিল। তিনজন সোফায় বসলো। সুমি হাসি মুখে বললো, খালাম্মা অনেকদিন পর আমাদের বাড়িতে এলেন।

আমি তো এলাম, কিন্তু তোমরা তো মোটেও যাও না। পাশাপাশি থাকি অথচ মাসে একবারও কথা হয় না,আর কথা না হলে আন্তরিকতা কমে যায়।
ঠিকই বলেছেন খালাম্মা, আমার দোষ আমি স্বীকার করলাম। কিন্তু আপনিও এসে মাঝে মাঝে বেরিয়ে যেতে পারেন, সারাক্ষণ শুধু সংসার নিয়ে পড়ে থাকেন।
কি করবো মা, কাজের লোক থাকতে ও সব কিছু আমাকেই সামাল দিতে হয়। দু'টোই তো ছেলে। একটা মেয়ে থাকলে আমার ঝামেলা কিছুটা কমতো। মেয়ে হচ্ছে ঘরের লক্ষী, মেয়ে না থাকলে ঘর কেমন খালি খালি মনে হয়।
খালাম্মা এই কথা আপনি ঠিকই বলেছেন, তবে দুঃখ করবেন না, মেয়ে হলে তো বিয়ের পর পরের বাড়ি চলে যাবে। আর আপনার তো দুই ছেলে, দুই ছেলে বিয়ে করালে দুই মেয়েই ঘরে চলে আসবে। তখন তো আর আপনার কোন চিন্তা থাকবে না।
ঠিকই বলেছো মা, ভাবছি এবার জয়কে বিয়ে করাবো, তাই তোমাদের কাছে এলাম, যদি কোন ভালো মেয়ে থাকে।
খালাম্মা এ তো খুশির খবর, জয় এর জন্য মেয়ের অভাব হবে না। জয় দেখতে সুদর্শন, ভদ্র ছেলে। একজন সফল ইঞ্জিনিয়ার। তাছাড়া বিয়ের বয়স হয়েছে,আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খালাম্মা, এবার মেয়ে দেখা শুরু করেন।
আচ্ছা সুমি কাল বিকেলে তোমাদের ছাদে একটা মেয়েকে দেখলাম, ও কে?
খালাম্মা ওর নাম প্রিয়া, আমার এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়। কিছুদিন আমাদের এখানে থাকবে। ওর বাবা -মা, ভাই-বোন কেউ নেই। গ্রামে একা একা থাকে, তাই এখানে এসেছে। ভাবছি একটা কাজ জোগাড় করে দেব। খুব ভালো করেছো মা। এখন তো আপনদের দিকেই কেউ ফিরে তাকায় না,আর তো পর। আল্লাহর সৃষ্টিকে যে ভালোবাসে, আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন,পছন্দ করেন। আমরা ধন-সম্পদ নিয়ে কত অহংকার করি, অথচ মৃত্যুর পর সাথে করে কিছুই নিয়ে যেতে পারি না। যা আমাদের নয়, তাই নিয়ে আমরা গর্ব করি। আচ্ছা প্রিয়া পড়ালেখা করেছে?
হ্যাঁ,খালাম্মা মেট্রিক পাশ করেছে। আকাশ আজ প্রিয়ার চাকরির ব্যাপারে একজনের সাথে কথা বলেছে, সে বলেছে হাসপাতালের নার্স এর চাকরি দিয়ে দেবে। আস্তে আস্তে কাজ শিখে যাবে। আমিও চাই মেয়েটা নিজের পায়ে দাঁড়াক। ও খুব ভালো মেয়ে। যেখানে যাক,সবার সাথে মানিয়ে চলতে পারবে।
সুমি মেয়েটা দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি শান্ত স্বভাবের। ওকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আমি কথাটা তোমাদের সরাসরি বলি,আমি আমার জয় এর বউ হিসেবে প্রিয়াকে ঘরে তুলে নিতে চাই।
মিসেস চৌধুরীর এই কথা শুনে আকাশ আর সুমির কথা বলা বন্ধ হয়ে গেল। অবাক হয়ে দু'জন চুপচাপ বসে রইলো। মিসেস চৌধুরী বললো,আমার তো কোন কিছুর অভাব নেই। তাই বিয়েতে কোন কিছু চাওয়া পাওয়া নেই। আমরা শাড়ি গহনা দিয়ে মেয়েকে সাজিয়ে নেব। আমাকে এখুনি জানাতে হবে না, তোমরা চিন্তা ভাবনা করে আমাকে জানাবে। আমি তাহলে এখন আসি।
এই বলে মিসেস চৌধুরী চলে গেল। সুমি আর আকাশ দু'জন দু'জনের দিকে তাকালো। আকাশ বললো, সুমি এ কি করে সম্ভব, জয় এর সাথে প্রিয়ার বিয়ে!  আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। আকাশ তুমি এত অবাক হচ্ছো কেন,হয়তো এইটা প্রিয়ার ভাগ্য। সব কিছুর মালিক তো আল্লাহ, মানুষ তো উছিলা মাত্র। ভেবে দেখ, সেদিন এত রাতে তুমি সেই পথ দিয়ে যাবেই কেন,প্রিয়ার সাথে দেখাই হবে কেন, আর তুমি ওকে এখানে নিয়েই আসবে কেন।
তাই বলে জয় এর মতো ছেলের সাথে প্রিয়ার বিয়ে! তাছাড়া আমরা তো ওর সমন্ধে ভালোভাবে জানি,ওরা সব কিছু ভালোভাবে না জেনে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নেয়া কি ঠিক হবে?
প্রিয়া যুবতী মেয়ে,দেখতেও সুন্দর।ওর কথায় আমি কোন মিথ্যা খুঁজে পাইনি।তাছাড়া ও যদি অন্য মেয়ে হত,তাহলে তুমি ওকে রাস্তায় পেতে না। ওর রাস্তা ও নিজেই খুঁজে নিত। আমি ভাগ্যকে বিশ্বাস করি,ওর ভাগ্যই ওকে এখানে নিয়ে এসেছে।তা না হলে খালাম্মা ওকে দেখেই পছন্দ করবে কেন, আর সব জেনেশুনেও ওকে বউ করে নিতে চাইবে কেন?  আমাদের ভাগ্য ভালো যে একটা অসহায় মেয়েকে আমরা বিয়ে দিয়ে দেব,ভাবতেই আমার খুশি লাগছে।
হ্যাঁ,সুমি তুমি ঠিকই বলেছো, আমাদের কি সাধ্য আছে কারো জন্য কিছু করার। আমরা তো উছিলা মাত্র। প্রিয়াকে ডাকো ওর মতামত নিয়ে খালাম্মার সাথে কথা বলি। ও যদি রাজি হয়, তবে আমি ওকে ধুমধাম করে বিয়ে দেব।আমার এত সম্পত্তি, তার থেকে সামান্য কিছুর বিনিময়ে যদি একজনের মুখে হাসি ফুটে, এর চেয়ে বড় আনন্দ আর কি আছে। সুমি হাসি মুখে প্রিয়াকে ডাকলো,এত জোরে প্রিয়াকে ডাকতে শুনে বুয়া আর নীলা দৌড়ে এল। প্রিয়া এসে মাথা নিচু করে দাঁড়ালো। নীলা ইশারায় সুমিকে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে। সুমি ইশারায় বললো, প্রিয়ার বিয়ে, নীলা খুশিতে প্রিয়াকে জড়িয়ে ধরলো। প্রিয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। সুমি প্রিয়ার হাত ধরে তার পাশে বসালো,নীলা আকাশের পাশে বসলো। সুমি বললো, প্রিয়া তোমাকে সরাসরি বলি,একজন তোমাকে পছন্দ করে,তার ছেলের জন্য বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। এখন তুমি যদি রাজি থাক,তাহলে আমরা তোমার বিয়ের ব্যবস্থা করবো। ওনারা খুব ভালো লোক। আর ছেলেও দেখতে খুব সুন্দর,পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। টাকা-পয়সার কোন অভাব নেই। আর ওনারা বিয়েতে কোন যৌতুক নেবে না। প্রিয়া সুমির মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। সুমির এই কথাগুলো আজব মনে হচ্ছে। প্রিয়ার নীরবতা দেখে আকাশ বললো,তুমি কিছু বলছো না কেন? প্রিয়া বললো, ভাইয়া আমি এতিম অসহায় একজন মেয়ে। আমার সব কিছু জেনেশুনে আপনারা আমাকে আশ্রয় দিয়েছেন। এই বিয়ের প্রস্তাব আমার কাছে স্বপ্নের মতো। গরীবের স্বপ্ন দিনের আলোর সাথে মিলে যায়। আমাকে আপনারা ছোটখাটো একটা কাজ জোগাড় করে দেন, তাই আমার জন্য অনেক। সুমি বললো,নিজেকে এত ছোট ভাবা ঠিক নয়, তোমার ভাগ্যে সারা জীবন দুঃখই থাকবে এটা ভাবা ঠিক নয়। ছেলের মা তোমাকে পছন্দ করেছে। আর নিজে এসে প্রস্তাব দিয়ে গেছে। সুখ নিজে এসে তোমার সামনে দাঁড়িয়েছে, তাকে দূরে ঠেলে দেয়া ঠিক হবে না তোমার, বাকীটা তোমার ইচ্ছে। প্রিয়া বললো,আপু এত বড় ঘরে বউ হয়ে যাবার মত যৌগ্যতা তো আমার নেই। সুমি বললো,আমি তোমার সব কথা ওনাকে বলেছি, শুধু সামান্য একটা মিথ্যা কথা বলেছি যে,তুমি আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয়, আমার সামান্য একটা মিথ্যা যদি তোমার উপকার হয়, তাতে তো আমার কোন ক্ষতি নেই, মানুষ মানুষের জন্যই।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ