āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

708

অনৈতিক প্রেম(পরকীয়া)
#হৃদয়_মাহমুদ
নিলয় বাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটছিলো আর গুনগুনিয়ে গান গাইতেছিলো, কখনো পাতা ছিঁড়ে হাত ঘুরিয়ে বোলিং করছে আবার কখনো ফুটবল ভেবে পাথর লাত্থি দিচ্ছে যদিও হাত পা খালি, কিছু কিছু ছেলে আছে যারা যেটার প্রেমী অর্থাৎ কারো ক্রিকেট পছন্দ কারো ফুটবল, এই বল নিয়ে ভাবতে ভাবতে তারা ঘুমায়, কখনো আবার ঘুমের ঘোরেও আউট বা গোল বলে চিৎকার করে থাকে।
হঠাৎ নিলয় আঙ্কেল বলে কে যেন ডাক দিলো, ঝাঁপসা শব্দ কানে এলো তাই মনযোগ না দিয়ে একটু দাঁড়িয়ে আবার হাঁটতে শুরু করলো। একটু পর আবার তাকে ডাকার আওয়াজ শুনতে পেলো, এবার স্থির দাঁড়িয়ে সামনে-পিছনে ডানে-বামে চেয়ে দেখলো, না কোথাও কাউকে দেখা যাচ্ছে না তাহলে কে ডাকলো তাকে? ঘুরে হাঁটতেই চোখ পড়লো রাস্তার পাশের টিনের ঘরের দিকে, জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে তাকে ডাকনেওয়ালী, হাতের ঈশারায় কাছে যেতে বলছে। নিলয় চারিদিকে তাকিয়ে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। মুখোমুখী দাঁড়িয়ে জানালার ওপাশের নারীটিকে দেখে তো নিলয় থ হয়ে গেলো, ঠাঁয় চেয়ে রইলো এমনো সুন্দরী হয় নাকি! এতটাই উজ্জল সুন্দরী যার রূপের আলো ভিতর থেকে স্রোতের ন্যায় বাহিরে প্রবাহিত হচ্ছিলো, নিলয় যেন কিছুক্ষণের জন্য স্মৃতি-ভ্রষ্ট হয়ে গেলো।
__এই যে হ্যালো কোথায় হারিয়ে গেলেন, আমার মধ্যেতো আত্মভোলার মত কিছু নেই!
নিলয় থ ভেঙ্গে জবাব দিলো..
__ আন্টি কি আমাকে ডেকেছেন?
__হুমমম.. আঙ্কেল আপনাকেই ডেকেছি। আপনাকেতো কাছেই পাওয়া যায় না মানে দামী মানুষ স্মার্ট বয় বড়লোক তাই হয়তো আমাদের মত অসুন্দরীদের সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করেননা।
আন্টির লোভনীয়া কথা, প্রতিটা শব্দে যাদুর স্পর্শ, যেমন সুমিষ্ট কণ্ঠ তেমনি কথা বলার ভঙ্গি, যে কোন পুরুষকে সহজেই কুপোকাত করার মত। নিলয় এই নারী সম্পর্কে বহু শুনেছে বাট আজ মুখোমুখী,আর এক দেখাতেই সব ভুলে গেলো।
__না মানে আন্টি আপনি যাহা ভাবছেন আমি আসলে সেরকম নয়, জানেনইতো বেকার লোকের কাজ বেশি। যদিও আপনার সাথে কখনো কথা হয়নি কিন্তু আপনার ব্যাপারে অনেক শুনেছি, তাই দেখারও সাধ ছিলো বাট কোন ওয়ে পাইনি তাই আর দেখা হয়নি।
__ তো মিস্টার আমার ব্যাপারে কি কি শুনেছেন?
__ না খারাপ কিছু না, সবাই বলা বলি করে আপনি অনেক সুন্দরী রূপসী, এই ঘরে বেমানান, বড়লোকের ঘরে মানায়, আপনার স্বামীর চাঁন কপাল কোথায় সে আর কোথায় আপনি... এইসব বলতো কিন্তু আজকে সরাসরি দেখে আমিও অবাক কম হচ্ছিনা যে এমন সুন্দরী কিভাবে সব মেনে নিয়ে নিশ্চুপে সংসার করে যাচ্চেন?
__আচ্ছা তাহলে আমায় নিয়ে এসব হয়.. আসল কথা হচ্ছে আপনার মত কাউকে পেলে এখানে আসতাম না, অবশ্যই এখনো তো রূপের খন্ডাংশ নষ্ট হয়নি যদি কেউ চায়তো আসতে পারে(ভিঁড়ভিঁড় করে লোভাতুর কণ্ঠে বলে পেললো)। নিলয় বুঝতে পেরেও না বুঝার মত করে কথা কেটে গেলো।
__আচ্ছা কেন ডাকলেন সেটাইতো বললেননা?
এবার আন্টি একটা পুরাতন নোকিয়া সেট বের করে দেখালো রিং টোন বাজেনা। নিলয় ঘেঁটেঘুঁটে টোনটা ঠিক করে দিলো আর আন্টি একটা লোভ মেশানো হাসি দিয়ে ধন্যবাদ জানালো।
আন্টির নাম রূপা একেবারে রূপালী বর্ণের অসাধারণ একটা মেয়ে। গরীব পরিবারের বলে বিয়েটা হলো নিলয়ের পাশের বাড়ির কাকুর সাথে, কাকুর বয়স আন্টির চেয়ে দ্বিগুন, কোন রকম কামলা খেটে সংসার চালায় কিন্তু চাঁন কপাল সালার বেটার, জিরো হয়ে এমন একটা হিরোয়িন পেলো লাখো কোটিতে একটা। বিয়ের দুই বছরের মাথায় একটা মেয়ে সন্তান হলো।
অন্যদিকে, নিলয় হলো ধনী পিতার একমাত্র ছেলে। পড়াশুনা করে আর বাবার হোটেলে খায়। মনে মনে রূপাকে দেখার সাধ আরো অনেক আগের ছিলো,সবার কাছে শুনতো আজ দেখেইতো ক্রাশ খেয়ে গেলো।
রূপা শকুনচক্ষী, তার লোভাতুর কামনার চোখ সহজেই বুঝে নিতে পারে সম্মুখে দাঁড়ানো লোকটি কি চায়! নিলয়ের চোখে দূর্বলতার আভাষ লক্ষ্য করেছে এই ছেলেকে ফাঁসানো যাবে। নিলয়ও সেই রাস্তায় বেশি হাটে তার চোখে পড়ার জন্য। রূপা তাকে দেখামাত্রই কোন না কোন বাহানায় ডাক দিবেই, কাছে গেলে সূর আর বডি ল্যাঙ্গুয়েজেই নিলয়কে পাগল করে তোলে, কখনো পাশে গায়ের সাথে গা লাগিয়ে বসে, কখনো পিছন থেকে কখনো আবার সামনে ঝুঁকে নিলয়ের ঘুমন্ত চেতনা জাগিয়ে তোলে। চুল টেনে দেয়, গালে চিমটি দেয়, নিলয় থেকে রেসপন্স পাওয়ার সকল কৌশল প্রয়োগ করে কিন্তু নিলয় নিরব। যদিও ভালো লাগে এসব এইসময় এটা চায় বাট ভয়ের কারনে নিরবে মজা নেয়।
এভাবে প্রায় চলতে থাকে, নিলয়ের আসা যাওয়া বেড়ে গেলে বাড়ির মানুষ কাঁনাগুষা করে তাদের নিয়ে। তার স্বামীর সাথে ঝগড়া হয়, স্বামীর আদেশ নিলয় যেন এই ঘরে না আসে বাট রূপা উল্টো বলে সে আসবে কারন উর সাথে আমার কোন অবৈধ সম্পর্ক নেই। এই নিয়ে সংসারে ঝামেলা হয়, রূপাকে মারধরও করে তার স্বামী কিন্তু শব্দ করেনা মানের ভয়ে, ভাতিজাকেও কিছু বলেনা। রূপাতো রেগে আগুন স্বামীর অভিযোগ লোকের অপমান তাকে আরো বেশি রাগী করে দিলো। সেই রাগ থেকে একদিন নিলয়কে ডেকে এনে দরজা বন্ধ করে জড়িয়ে ধরে কিস করে সকল জড়তা উড়িয়ে দিলো , নিলয় প্রথমে সরে যেতে চেয়েও পারেনি, পরে সেও সাড়া দিতে থাকলো। তারপর থেকেই শুরু হলো তাদের নিয়মিত রংয়ের খেলা শারীরিক সম্পর্ক। শুরু হলো তাদের অনৈতিক লীলা পরকীয়া প্রেম।
তাদের পরক্রিয়া নিয়ে পুরো বাড়ি জানাজানি হয়ে গেলো। কিছু সালিশও হলো ঘরোয়া তবুও তাদের দুজনকে আলাদা করতে পারেনি। রূপা সেচ্ছায় নিলয়কে ডেকে নিতো আর বলতো, তুমি আমাকে বিয়ে করে নাও, দেখো পৃথিবীর সকল সুখ আমি তোমাকে দেবো। তোমার কাকাকে ডিভোর্স করে দেবো, বাচ্চাও রাখবোনা, আমরা দুজন অচেনা কোথাও চলে যাবো দূরে অনেক দূরে। নিলয় শুনে থাকতো আর মনে মনে ভাবতো, তুমি বিবাহিতা এবং আমার কাকী এটাতো কোনদিনও সম্ভব নয়।
কিন্তু নিলয় মুখে ইয়েস বলে রূপাকে শান্তনা দিতো, বিয়ে করবে বলে লোভ দেখাতো,আশ্বাস দিতো সব সময়, সেজন্য রূপা নিজেকে যখন তখন ইচ্ছেমত সপে দিতো।
অপরদিকে, রূপার সাথে তার স্বামী সন্তানের দূরত্ব বহুগুন বেড়ে গেলো। নিলয়ের বুকে থাকলেও একই রুমে স্বামী থেকে আলাদা বিছানায় ঘুমাতো। রূপার শরীরে হাত দেওয়ার অধিকার পর্যন্ত হারিয়ে ফেললো। এক সময় তাদের (নিলয়-রূপার)স্ক্যান্ডাল সকলের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়লো। অবস্থা বুঝে নিলয় সরে গেলো, রূপার শত ফোনেও কোন সাড়া দিলো না।
সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার অবস্থা, স্বামী সন্তান যেমন সহ্য করতে পারছেনা তেমনি নিলয় প্রেমে পাগল হতে থাকলো। একদিন নিলয়ের ঘরে গিয়ে উঠলো যা নিলয় ও তার পরিবারের জন্য খুবই অপমানজনক, নিলয় তাকে চিনতেও রাজি নয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে নিলয় বাড়ি ছাড়লো, চলে গেলো একশত কিলোমিটার দূরের শহরে সবার অগৌচরে লোকচক্ষুর অন্তরালে ছোট্ট একটা বাসা ভাড়া নিয়ে। এই দিকে রূপা নিলয়প্রেমে পাগল হয়ে স্বামী সন্তান সংসার ত্যাগ করে চলে গেলো বাবার বাড়ি। শয়নে স্বপনে নিলয়কে চায়, না পেলে সুসাইড করবে বলে দিব্যি খেয়ে বসে রইলো। তার বাবা ভাই বিষয়টা সহ্য করতে না পেরে নিলয়কে বারবার প্রস্তাব করে প্রত্যাখ্যাত হলো। রূপার অবস্থা আরো বেশি খারাপ হতে দেখে তারা নিলয়কে বাধ্য করার সিদ্ধান্ত নিলো। অতঃপর সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিলয়কে জোরজবরদস্তি করে উঠিয়ে এনে রূপাকে বিয়ে করতে বাধ্য করালো। যদিও নিলয় মন থেকে স্ত্রীর মর্যদা কখনো দিবেনা তথাপি আজ তারা একই বাসায় স্বামী-স্ত্রী হয়ে সংসার করছে।।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ