āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

706

মায়াবতীর_ভালোবাসা
লেখা:ফিরোজ হোসেন মমিন



রাগে বাসা হতে বেরিয়ে আসলাম । কি পেয়েছে টা কি আমার সাথে?
যেটাই হোক না কেন এই মেয়েকে নিয়ে আমার পক্ষে বাকী জীবনটা কাটানো সম্ভব না।
আমার কি কোন মূল্য নেই নাকি?
ধুর কিছুই করলাম না,তারপরেও কান্না।
আমার এই সর্বনাশের পিছনের মূলে আমার মা ।
কোথা থেকে যে কোন গ্রামের ক্ষেত মার্কা এক মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দিয়ে আমার জীবনটাকে একবারে বরবাদ করে দিলো।
গ্রামের মেয়ে হয়েছে তো কি হয়েছে একটু তো স্মার্টনেস থাকা উচিত।কিন্তু এই মেয়ের মাঝে যার ছিটেফোঁটাও নেই। এই মেয়ে নাকি আবার অর্নাস এ পড়ে।আমার তো মনে হয় প্রাইমারীতে পড়ে ।
সারাদিন মায়ের সাথে থাকবে আর মাঝে মাঝে আমার কাছে এসে বলবে কিছু লাগবে কিনা আমার।আর আমার মা ও একে পেয়ে যেন আমি যে তার ছেলে এইটা ভুলে গেছে।সারাদিন বৌ'মা
আর বৌ'মা।
ধুর একে নিয়ে আর পারা যাবে না ।যা করার আমাকেই করতে হবে।
আবার একে কিছু বলতেও পারি না মায়ের জন্য।
কারণ আমি আমার জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসি । আমার দূর্ভাগ্য কেনো যে সেদিন মায়ের সাথে তার এক বান্ধবীর মেয়ের বিয়েতে গ্রামে গিয়েছিলাম ।।
সেই মেয়ের বিয়ে তো হলোই না উল্টো আমার ঘাড়েই ঝুলে পড়লো ।আমিও মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে মেনেনিলাম ।
বর নাকি কোন মেয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে তাই আমাকে দিয়েই বাকী কাজ টা সেরে ফেললো ।
চাকুরী পেলাম মাত্র ২ মাস হলো । ভাবছিলাম এখন একটু জীবন টা উপভোগ করবো,তা কি না আমাকেই এখন অন্যের উপভোগের জিনিস বানিয়ে দিলো । একবারে জীবিত থেকে বিবাহিত।
কি থেকে কি হয়ে গেলো একটু টেরও পেলাম না । শুধু মনে আছে যে 'কবুল' বলেছিলাম।
মেয়েটিকে আমি দেখি নাই । তবুও না দেখেই বিয়ে করে ফেললাম। ভাবছিলাম জীবনে প্রেম করে বিয়ে করবো না ,করলে বিয়ের পর বউএর সাথেই করবো।
কিন্তু এখন মনে হচ্ছে জীবনে প্রেম না করে কত যে বিরাট একটা ভুল করেছি। প্রেম থাকলে আর এই ক্ষেত মার্কা মেয়েকে বিয়ে করতে হতো না ।
বিয়ে নিয়ে আমার সমস্যা নেই ,সমস্যা হলো এই মেয়েকে নিয়ে।আমার বিয়ের পর যে স্বপ্ন ছিলো সেটা এই মেয়ে ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে।এই মেয়ে তো প্রেমের এক অক্ষরও বুঝে না ।আমার স্বপ্ন কি আজীবনের জন্য স্বপ্নই রয়ে যাবে?
না এর একটা বিহিত এইবার করতেই হবে এসব ভাবতে ভাবতে বাসা থেকে একটু দূরে মামার চায়ের দোকানে আসলাম । ব্যাচেলর থাকাকালীন এই মামার চায়ের দোকান_ই ছিলো আমার আড্ডাখানা।
এসেই মামাকে বললাম ভালো করে এক কাপ চা দিতে।
মামা আমাকেই দেখেই বললো,
কি ভাগ্নে বউমার সাথে রাগ করেছো বুঝি?আমি অবাক হয়ে গেলাম মামার কথা শুনে ।কিভাবে বুঝলো যে আমি রাগ করেছি?
আমার চুপ করে থাকতে দেখে মামা বললো,আরে ভাগ্নে বিয়ের একটু রাগ-ঝগড়া না হলে প্রেম ভালোবাসা জমে না ।
দেখো না তোমার মামীর সাথে আমার প্রায় প্রত্যেকদিন_ই ঝগড়া হয়।কিন্তু রাতে গেলে ঠিকই আমাকে ভালোবাসে।
আমি মনে মনে বলি,
মামা,ঝগড়া না ।ঝগড়া হবেই বা কেমন করে এই মেয়ে তো আমার সাথে ঠিক ভাবে কথা_ই বলে না।
আমার সামনে এলে যেন বোমা ফাটালেও কথা বের হবে না এমন ভাব ধরে থাকে কিন্তু আমি তো দেখি মা'য়ের সাথে কত সহজেই কত কথা বলে ।
গ্রামের মেয়ে বলে হয়তো এখনো আমার সাথে ঠিক ভাবে মানিয়ে নিতে পারছে না ।আমি আরো কিছুদিন দেখি কি হয়?
ধুর !! আমার রাগ কমে যাচ্ছে কেন?


রাগ করে থাকবোই কি করে?
বাসর ঘরে ওকে দেখে আমি তো পুরাই টাস্কি খেয়েছিলাম।
এতো সুন্দর কেউ কি হতে পারে?
আমি হা করে চেয়ে ছিলাম ওর দিকে।
চাঁদের মতো মুখখানা।সারা মুখে যেন লজ্বার আভা ছড়িয়ে পড়েছে। আমাকে দেখেই এসে পা ধরে সালাম করলো।
আমি কি কি যেন প্রশ্ন করেছিলাম আমার ঠিক মনে পড়ছে না,উত্তরে সে শুধু মাথা নাড়ছিলো।
আমি মা'কে মনে মনে ধন্যবাদ দিয়েছিলাম যে,আমাকে এতো সুন্দর একটা চাঁদকে আমার বউ হিসেবে পাইয়ে দিতে।এখন জমিয়ে প্রেম করবো।
কিন্তু আমার সে আশা গুড়েবালি হতে সময় লাগলো না যখন দেখি ও আমার সাথে ঠিকভাবে কথা'ই বলে না।
কোথায় একটু রোমান্স করবো তা না এই মেয়ে দেখি পুরাই তার উল্টো।

কি ভাবছো ভাগ্নে?
না মামা কিছু না।
বাড়ি যাও,রাগ করো না।বউকে ভালোবাসতে হয় বুঝলা।
আমি আবারো মনে মনে বলি,যেদিন ওকে আমি বাসর ঘরে প্রথম দেখি সেদিন_ই তো আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি।আর এই ভালোবাসা দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে।
আচ্ছা আমি ওকে আরো কয়েকদিন সময় দেই নিজেকে গুছিয়ে নেবার জন্য।
যাই বাড়ি যাই,রাগ চলে গেছে আমার। কারণ আমি কারও উপর বেশিক্ষন রাগ করে থাকতে পারি না।
এই ভেবে যখনি উঠতে যাবো তখনি দেখি মায়া'র ফোন।
ও হ্যা আপনাদের তো বলা'ই হয়নি আমার এই চাঁদের মতো দেখতে বউটার নাম হচ্ছে 'মায়া'।
আসলেই মায়াতে ভরপুর তার মুখখানা।
দেখলে যে কেউ ওর প্রেমে পড়তে চাইবে (আমার পাঠকগন ও চাইবেন তাই পিক দিলাম না)।
আমিও পড়েছি, কিন্তু আমার বউটা কেমন জানি।কিছুই বুঝে না,নাকি বুঝেও না বুঝার ভাব ধরে থাকে?
আমি ফোন ধরলাম,,,
কোথায় আপনি?
এইতো আছি আশেপাশেই।
এখনি বাসায় আসবেন।
কেনো?
কারণ আছে।
কি কারণ জানতে পারি কি?
না,ফোনে বলা যাবে না।আসলেই দেখতে পারবেন।
আমার দেরি হবে(রাগানোর জন্য বললাম)।
আপনাকে এখনি আসতে বলছি সো এখনি আসবেন।(রাগী সুরে)
পারবো না।
তাহলে কি আমি এতোক্ষন আপনার জন্য বসে থাকবো?
আমি যেন নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে মায়া এটা কি বললো।।তাই আমি ওকে আবার বললাম,
কি বললে আবার বলো তো?
পারবো না ,আসলেই দেখতে পারবেন বলেই ফোনটা কেটে দিলো।
আমি ভাবতে লাগলাম,শেষ কথাটি ও কি বললো?
আমার জন্য শাড়ি পড়ে অপেক্ষা করছে? আমার এখনো যেন বিশ্বাস হচ্ছে না।
ও কি সত্যিই আমার জন্য অপেক্ষা করছে?



এইতো সন্ধ্যার দিকের ঘটনা। বিকেলে অফিস থেকে ফিরে আসলাম। এসেই খেয়ে দেয়ে একটু শুয়ে পড়তেই ঘুমিয়ে পড়লাম।ঘুম ভাঙ্গলো মায়া'র ডাকে।চেয়ে দেখি ও গোসল করে এসে আমায় ডাকছে। ভেজা চুলে মায়া'কে যেন মায়াবতীর দেবীর মতো লাগছে। আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে ওকে এক ঝটকায় টেনে নিয়ে ওর ঠোঁটে গভীর একটা চুমু খেলাম। কতক্ষন স্থায়ী ছিলো জানি না,যখন চুমু শেষ করে ওর দিকে তাকালাম তখন দেখছি মায়া কাঁদছে।
হয়তো ও এইটা আমার কাছে আশা করে নাই।
তাইআমি মায়া'কে বললাম,স্যরি।
দেখি ওর কান্নার মাত্রা আরো বেড়ে গেলো।
ওর কান্না দেখে আমার মেজাজ গেলো গরম হয়ে ।আরে সামান্য একটা চুমু'ই তো খেয়েছি এতে কাঁদার কি আছে?
আর সেটার জন্য তো আমি স্যরিও বলেছি।
তবুও যখন দেখলাম কান্না থামছে না তখন রাগে বাসা হতে বের হয়ে আসলাম।


কি ভাগ্নে বউ'মা ফোন দিয়েছিলো বুঝি? মামার কথা'য় বাস্তবে ফিরলাম।মামা বলতে থাকলো,আরে ফোন দিবে না তো কি করবে? মেয়েদের একমাত্র সম্বল ই তো হচ্ছে তাদের স্বামী। আসলে বাঙ্গালী মেয়েরা স্বামী ছাড়া কিছুই বুঝে না।
যাও বাড়ি যাও।
হুম মামা যাচ্ছি।বলেই মামার চায়ের দোকান হতে বেরিয়ে আসলাম।

এখন আমার_ই বাসায় যেতে কেমন জানি লাগছে।
এই সময় মোবাইল এ একটি মেসেজ আসলো। মেসেজ টি ছিলো মায়া'র,
কি মিঃ ছিঁচ রাগুনে? এখনো রাগ করে আছেন বুঝি?
রাগ করে লাভ নেই তার চেয়ে বাড়ি আসুন কেননা আপনার'ই অপেক্ষায় যে আপনার "মায়াবতী"।
"এই মেয়ের মাঝে যে এতোটা ভালোবাসা লুকিয়ে ছিলো তা আমার জানা ছিলো না ।যাক অবশেষে তাহলে আমার স্বপ্ন পূরন হতে চলেছে।
কিন্তু সেটা যে মাত্র ১ চুমুতেই কাজ হবে ভাবতে পারি নি। জানলে অনেক আগেই এই চুমু টা দিয়ে দিতাম"।



আমি আর এক মুহূর্ত দেরী না করে বাসায় চলে আসলাম।কলিংবেল চাপ দিতেই মায়া দরজা খুলে দিলো। আমি মায়া'র দিকে তাকিয়ে দেখি ও নীল শাড়ী পড়েছে,হাতে নীল কাঁচের চুঁড়ি,চোখে কাঁজল দিয়েছে।
এ রূপে মায়া'কে যেন অস্পরীর মতো লাগছে।
আমাকে দেখেই কাঁদতে কাঁদতে আমার বুকে মুখ লুকালো।
আমি ওকে রাগানোর জন্য বললাম,
এখন যে আমাকে জড়িয়ে ধরে আছো এখন খারাপ লাগছে না বুঝি?
কেনো খারাপ লাগবে শুনি?
তাহলে তখন যে কান্না করলে?

মায়া আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললো,
আরে আমি তো তখন সুখে কান্না করেছি।আমি এদিনটার জন্যই তো অপেক্ষা করেছিলাম।
সুখে হারিয়ে গিয়েছিলাম আমি। আমার মনে হয়েছিলো আমি এখন আর আমার মাঝে নেই।
আপনি কি বলেছিলেন আমার মাথা তখন কিছুই কাজ করছিলো না। আর আপনি কি না ভাবলেন আমি রাগ করেছি?
আপনি হলেন আমার স্বামী,আমার সব কিছুই তো আপনার জন্য। আমি কি কখনো আপনার প্রতি রাগ করতে পারি বলেন?

অহহ তাই!! কিন্তু আমি তো ভাবছিলাম....

চুপ আর একটা কথাও না...এই বলে মায়া আমার ঠোঁটে গভীর এক চুমু একেঁ দিলো।

আমি অবাক হয়ে দেখছি আমার "মায়াবতী"কে, আর ও লজ্জায় লাল হয়ে আবার আমার বুকে মুখ লুকালো।।।


(সমাপ্তি)

[সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ]

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ