āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2343

- এই যে মেডাম.. কতো সময় ধরে কথা বলছি দেখেছেন?? রাত তো শেষ হয়ে এলো, ঘুমাবেন না??
.
= না, ঘুমাবোনা, তোমার কোনো সমস্যা?? কথা বলতে থাকবো আনলিমিটেড..
কেনো?? মুখ ব্যাথা করছে??
.
-না.. মানে..
.
= ওই, মানে মানে আবার কি হা?? মুখ ব্যাথা করলে করুক.. তাতে কার কি.. তুমি আমার সম্পদ.. আমার সম্পদ কে  আমার যেভাবে খুশি সেভাবে ব্যাথা দিবো.. হুহ..
.
- ওকে, ওকে মেডাম.. দিন.. আরোওও ব্যাথা দিন.. কোনোই সমস্যা নেই..
.
= হুহ.. নেইই তো.. আবার কি?? হুহ..
এই শুনোনা..
.
-হুম, বলোনা..
.
= আমার না ভাল লাগছেনা..
.
- কেনো?? কি হয়েছে সোনা??
.
= আমার কিছু হইনি.. ঘড়ির সমস্যা হয়েছে..
.
- ঘড়ির সমস্যা!! কিভাবে??
.
= ওই যে দেখোনা.. সেই কখন থেকে দেখলাম রাত ৩টা বাজে.. আর এখন মাত্র ৫টা!! এতোক্ষনে মাত্র ২ঘন্টা কি করে হয়?? ঘড়ির কাটা ঘুরছেইনা..
.
- ঘড়ির কাটা না ঘুরুক.. তাতে সমস্যা কোথায়??
.
= তাতে সমস্যা কোথায় মানে?? তুমি আমাকে একটুও ভালবাসনা.. সত্যিই বাসনা..
.
- আহারে না তো.. অনেক ভালবাসি.. বাট হয়েছে টা কি??
.
= আমি সেই কবে থেকে আজকের দিন টার জন্য অপেক্ষা করছি জানো?? সকাল ১০ টা কখন বাজবে, তুমি কখন আসবে সেই অপেক্ষায় আছি.. অথচ ঘড়ি টা কথা শুনছেই না.. স্লো হয়ে চলছে..
.
- ওকে সোনা.. বুজলাম.. থাক.. এখন তো ৫ টা বাজেই.. আর অল্প কিছুক্ষণ.. এর মধ্যেই ১০ টা বেজে যাবে.. তুমি একটা ঘুম দাও.. উঠেই দেখবে ১০টা বেজে গিয়েছে, ফ্রেশ মুডে তখন আসতে পারবে..
.
= সত্যি?? তুমি কি করবে??
.
- উম্মম্ম.. আমি.. আমিও ঘুমাবো..
.
= ওকে.. ঘুমাও.. সময় মতো চলে এসো.. লেট করোনা..
.
- ওকে মেডাম.. সময় মতো আমি হাজির থাকবো..
.
এমন কিছু মিষ্টি কথা বলতে বলতেই রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা বাজিয়ে দেয়  অধরা  আর সামু। আজ ভ্যালেন্টাইন ডে। সকাল ১০ টায় দুজনের দেখা করার কথা। দীর্ঘ এক মাস দেখা না হয়ায় দুজন দেখা করার জন্য পাগল হয়ে আছে। সম্পর্ক টা ওদের ৩বছর থেকেও কিছু বেশি দিনের। সম্পর্ক হয়েছে ঠিক তবে সেটা অনানুষ্ঠানিক। আজ পর্যন্ত কেউ  কাউকে তেমন ভাবে প্রপোজ করেনি। নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর ওরা জানেনা। শুধু জানে নিজেদের মনে একজন আরেকজন কে নিয়ে গড়া যায়গাটার গভীরতা।

সামু অধরা কে কথা দিয়েছে যে সে ঘুমাবে। তবে ঘুমটা যে কিছুতেই তার কাছে আসছেনা। আচমকা লাফ দিয়ে বেড থেকে নেমে যায় সামু। আজ কেনো যেনো অধরার অবাধ্য হতে ইচ্ছে হচ্ছে সামুর। তবে সে নিশ্চিত এই অবাধ্যতা অধরাও চায়। অগুছালো চুল আর এলোমেলো পোশাকেই চুপি চুপি ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে সামু। আকাশ টা এখন ও ঘোলা। ভোর হলো হলো ভাব। পাগলের মতো দৌড়াচ্ছে সামু। গন্তব্য.......... অধরা..

অধরার বাসার সামনে এসেই ফোন টা হাতে নেয় সামু। সব কিছু কেমন যেনো  নিজ নিজ গতিতেই হয়ে যাচ্ছে।

- অধরা.. তুমি এই মুহুর্তে নিচে নামো.. এখন ই.. আমি দাড়িয়ে আছি..

ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৬টা বাজে মাত্র। হুড়মুড় করে তবুও উঠে পড়ে অধরা। বাসার সবাই ঘুমুচ্ছে। কি করবে সে নিজেও জানেনা.. তবে সে এটা বুজতে পারছে পরে বাসা ম্যানেজ করা যাবে কিন্তু এই মুহুর্তে তার পাগল টা কে ফিরিয়ে দেয়ার মতো ক্ষমতা তার নেই।

ভোরের নির্মল বাতাস বয়ে যাচ্ছে। শীতের ভোর। ভালবাসা দিবস মানে অঘোষিত ছুটির দিন। কপোত-কপোতীরা বেরিয়ে পড়ে দুপুরের আগেই। সামু অধরার মতো এতো আগে অবশ্য তেমন কেউ বেরোয়নি। সামুর মাথার উপরের ল্যাম্পপোস্ট এর লাইট টা এখন ও জলছে। ঘুমন্ত মুখ আর চাদোর জড়ানো গায়ে অধরা কে যেনো সত্যি অপ্সরীর মতো লাগছে।

= এই পাগলা.. চুপ করে দাড়িয়ে কি দেখছো?? তুমি না বললে ঘুমাবে.. আর হাতের ব্যাগ এ কি??
.
- ঘুম তো এলোনা.. যেটা এলো সেটা হলো অদৃশ্য এক শক্তি। যেটা আমায় তোমার কাছে আসতে বাধ্য করেছে। আর হাতের ব্যাগ?? সে না হয় আপাদত গোপন ঈ থাক..
.
= ভোর সকালে রাস্তায় দাড়িয়ে কবিতা আবৃতি করবেন বুঝি??
.
- মন চাইছে তোমায় আবৃতি করি.. কবিতা কে না..
.
দুষ্ট মিষ্টি কথা গুলো দিয়েই শুরু হয় ওদের সকাল। সামু খুব শক্ত করে অধরার হাত টা ধরে নেয়। হাটতে থাকে ওরা। কতো শত কথা মালা, কখনো হয়তো চুপ থাকা..
দুজনে পাশাপাশি থাকার সময় প্রায়শই অনেক টা সময় ওরা চুপ থাকে। মনে মনে কথা বলে। হাসির কিছু কথা কল্পনার সময় কখনো  কখনো হঠাৎ দুজন এক সাথেই দুজনের দিকে তাকিয়ে হেসে দেয়। মিলিয়ে নেয় দুজনের কল্পনা। কখনো বা সুন্দর একটা রাজ্যের কল্পনা করে চুপ থেকেও কেটে যায় ওদের অনেক টা সময়।

ভোর সকালে রাস্তায় খুব হাতে গোনা কজন ছারা আর কেউই নেই। একটা রিক্সা ডেকে উঠে পড়ে দুজন। পৃথিবী টার সব গুলো সুখ যেনো ওদের ঘিরে আছে। সামুর কাধে মাথা রেখে খুব লম্বা একটা নিশ্বাস নেয় অধরা, গভীর বিশ্বাসের নিশ্বাস।

রিক্সা থামিয়ে ফুলের দোকান থেকে অধরার প্রিয় লাল গোলাপ কিনে নেয় সামু। গোলাপের লাল পাপড়ি গুলো ছিরে ছিরে অধরার চোখ,  নাক, ঠোটের দিকে আলতো ভাবে একটা একটা করে ছুড়ে দেয় সামু, অধরা হেসে উঠে, জাদুভরা হাসি, সামু তাকিয়ে থেকে নিজেও হেসে উঠে।

সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর যেয়ে বিকেল, সামু অধরা এখন ও চুষে বেড়াচ্ছে মন মতো পছন্দের সব কটা যায়গায়। দিন টা যে আজ শুধুই তাদের। ভালবাসা টা তো প্রতিদিন ঈ বাসা যায়। হয়তো প্রিয় মানুষ টা কে খুব বেশি ভালবাসতে কোনো নির্দিষ্ট দিনের প্রয়োজন হয়না। তবুও, হোক না একটা দিন,  যেদিন টায় ভালবাসার মানুষ গুলো কে নিয়ে পবিত্র অনুভূতি তে একটু বেশিই মেতে উঠবে ওরা।

রাত ১০ টা.. ব্যস্ত নগরীর ব্যস্ত মানুষ গুলো বিশ্রামে যাচ্ছে একে একে সবাই। অধরা সামু এখন ও হাটছে। ল্যাম্পপোস্ট গুলোর হলদে আলোয় পুরো শহর টা কেমন যেনো গোলোক ধাধার মতো লাগছে সামুর কাছে। অধরা সংকোচহীন ভাবে হেসে হেসে পাগলের মতো চিৎকার করে গান গাচ্ছে, আর গায়ে দেয়া চাদর টা দিয়ে সামুর মুখ ঢেকে দিচ্ছে, আবার সড়িয়ে নিচ্ছে, অধরার বাচ্চামো পাগলামী গুলো অপলক চোখে দেখতে থাকে সামু।

জীবনের প্রতিটা মুহুর্ত উৎসর্গ করে দেয় সামু পাগলী টার জন্য। নিজের মনে নিজেই সংকল্প করে উঠে সামু "পৃথিবীতে যা হওয়ার হোক, পাগলী টা কে কখনো ছারা যাবেনা, আর আল্লাহর কাছে একটাই চাওয়া -খোদা আমার আনলিমিটেড হুরের দরকার নেই, তুমি শুধু আমায় এই পাগলী টা কে এই জনম ওই জনম দু জনমের জন্য দিয়ে দাও- ।"

সামুর চোখ ভিজে উঠে। অধরা তখন ও নিজে নিজে হাসছে, জায়গায় দাড়িয়ে দু হাত দু দিকে খুলে দিয়ে পুরো শরীর টা কে ঘুরাচ্ছে। সামু এক ঝটকা টানে অধরা কে টেনে নিজের বুকে অধরার মাথা টা চেপে ধরে, কাপা কাপা গলায় ভাঙা আওয়াজে বলে "তু----মি  শু----ধুই আ----মার".. অধরাও সামুর বুকে নিজেকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে নেয়। অধরার চোখ বেয়েও সুখজল গড়িয়ে পড়তে থাকে সামুর বুক স্পর্শ করে।

রাত ১১টা। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি ১৪ গিয়ে ১৫ হয়ে যাবে কিছুটা সময় পর। অধরার বাসার নিচে দাড়িয়ে আছে সামু অধরা। কোনো ভাবেই ছারতে ইচ্ছে হচ্ছেনা কারো। হাতে থাকা ব্যাগ থেকে এক টা পট বের করে অধরার হাতে দেয় সামু , দিয়েই বলে দেয় বাসায় রুম এ গিয়ে দরজা জানালা লাইট অফ করেই যেনো পট খুলে দেখে।

সামু চলে যাচ্ছে। পিছন ফিরে তবুও তাকাচ্ছে বার বার..
একটা বার নিজের পাগলী টা কে দেখার জন্য..

অধরা রুমে ঢুকেই সব কিছু অফ করে দেয়। পুরো ঘর অন্ধকারে আবদ্ধ। অধরা অন্ধকারে ভয় পায়। তবুও আজ ভয় পাচ্ছে না। অধরার তখন ও মনে হয়নি সামু অন্য কোথাও, প্রিয় মানুষ টা কে যখন কেউ নিজের মধ্যে আটকিয়ে নেয় তখন সাধ্য কার ভয় পাওয়ার..
সামুর দেয়া পট টা কাপা কাপা হাতে আস্তে করে খুলে নেয় অধরা.. মুহুর্তেই হালকা টিয়া-সবুজ মিশ্রিত মিটি আলোয় পুরো ঘর ছেয়ে যায়.. অধরা বিস্ময় ভরা চোখে তাকিয়ে থাকে, ফোন টা হাতে নিয়ে সামু কে কল দিয়ে চুপ হয়ে থাকে অবাক হয়ে, সামুও বুঝতে পেরে চোখ বুঝে নিজেও অনুভব করতে থাকে জোনাকের আলোয়  উজ্জ্বল হয়ে জ্বলতে থাকা পাগলীটার অবাকিত মুখ টা..  জোনাকি পোকার মিটি আলোয় অধরা নিজেও যেনো ক্ষনিকের মাঝেই হারিয়ে যায় সামুকে ঘিরে থাকা শুধুই নিজের খুব নিজের করে রাখা রাজ্যটায়..
চলতে থাকে ওদের ভালবাসা..
চলতে থাকুক দু জনমেই একই ধারায়..
লিখাঃ-
Odriisso Ikaras

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ