āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2336

ইতু সাজছে, ড্রেসিংটেবিল এর সামনে দাড়িয়ে নিজের দিকে তাকিয়ে আছে কিছুক্ষন। একটার পর একটা শাড়ি বের করে চেক করছে ম্যাচিং এর জন্য, সামু দরজার আড়ালে দাড়িয়ে থেকে দেখছে সব, আর অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে নিজের মনে নিজেই হাসছে। বিয়ের পর এতো গুলো বছর পেরিয়ে গেলো, তবুও ইতু সেই আগের মতোই রয়ে গিয়েছে, আগের মতোই চঞ্চল। সংসার গুছাতে গিয়ে হয়তো একটু হেলদি হয়েছে, সামুর ফিটনেসেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। তবুও এখন ও ইতু কে দেখলেই সামুর ইতুর দিকে অপলক তাকিয়ে থেকে মনে মনে ইতুর রুপ মাধুর্যের পূজো করতে বাধ্য হতে হয়।
.
বাহিরে বাচ্চা দের চেঁচামিচি আর গেস্ট দের আড্ডার আওয়াজে পরিবেশ মুখরিত হয়ে আছে। অনুষ্ঠান টা সামু আর ইতুর ম্যারেজডে উপলক্ষে। বিয়ের পর আজ পেরিয়ে গেলো ১০ টি বছর। সামুর বয়স এখন ৪০ আর ইতুর ৩৬। প্রেম টা যেনো পরে রয়েছে এখন ও সেই ২৩ বছর বয়েসেই। এখন ও সেই ঝগড়া, সেই আগের মতোই মান - অভিমানে ভরপুর ওদের সম্পর্ক। সকালে ভাল থাকলে বিকেলে ঝগড়া, সকাল বিকেল ভাল থাকলে রাতের খাবারের আগে পর্যন্ত ঝগড়া। যতো ঝগড়াই হোক, রাতের খাবার টা কখনো মিস হয়না, বিয়ের আগে দুজনের প্রতিজ্ঞা ছিলো যে, বিয়ের পর প্রতিদিন অন্তত রাতে হলেও দুজন দুজন কে খাইয়ে দিবে। আর প্রিয় মানুষ টির হাতের ছোঁয়া তে খেয়ে নিতে নিতে খুনশুটি করে আনন্দ করার মতো অনুভূতি ফেলে দিয়ে   অভিমান করে থাকার মতো ক্ষমতা যে ওদের নেই। এখন ও ওদের সম্পর্কের গভীরতা কমেনি এতোটুকু, এখন ও গভীরতা টা বেড়েই চলেছে। এক ছেলে এক মেয়ে আর পরিবার নিয়ে গড়ে উঠেছে ওদের সুখের সংসার।

সামু দরজার আড়ালে দাড়িয়ে যে ইতু কে দেখছে তা বুঝতে পেরেই মুহুর্তেই ইতুর ডাক..
=ফাঁকিবাজ, ফাঁকিবাজি করে কি দেখা হচ্ছে??
.
- কে! কি! কে ফাঁকিবাজ? কি বলছো এসব? আমি তো এমনি দাড়িয়ে ছিলাম,' রেডি হতে এতো দেড়ি কেনো? ঘড়ের সব আটা ময়দা তো মুখে মেখেই শেষ করে দিচ্ছো!!
.
=কি? আমি আটা ময়দা মাখি? কোথায়? কোথায়?? আমার মুখের কোন জায়গাটায় আটা দেখতে পাচ্ছো তুমি??
.
- এখন তো ভুগুর চুগুর করবেই, হুহ, পানি দিয়ে মুখ টা একবার ধুয়েই দেখো, এতোই আটা পানির সাথে ধুয়ে পড়বে যে পানি আর তরল পদার্থ থাকবেনা, কঠিন পদার্থ হয়ে যাবে!!
.
= এই, এই, সমস্যা কি তোমার?? বয়স তো পঞ্চাশ পেরিয়ে গেলো, এখন ও আমাকে খোঁচানোর অভ্যাশ টা যায়নি না??
.
- কি বললে তুমি?? আমি তোমাকে খোঁচাই?? আমার বয়স পঞ্চাশ?? আর তুমি যে আশি বছরের বুড়ি হয়ে গিয়েছো তবুও কারিনা কাপুর হওয়ার জন্য ভ্যাম্পায়ার এর মতো আমাদের সবাইকে সকালের নাস্তা না খাইয়ে আটা ময়দা সুজি একাই গালে মেখে সাবার করে দিচ্ছো তা আর কিছু না তাইনা??
.
= কি! আমি বুড়ি?? চুপ চুপ! চুপ কুত্তা!!
কথা গুলী বলেই ইতু বাচ্চাদের মতো কাঁদতে থাকে আর ড্রেসিংটেবিল থেকে কসমেটিক্স গুলো সামুর দিকে ছুড়ে মারে। পাগলী অভিমানের জগতে পৌছে গিয়েছে বুজতে পেরেই সামু দৌড়ে গিয়ে ইতুকে জড়িয়ে ধরে। সামুর বুকে মাথা চেপে ধরে হাত চাপড়িয়ে বাচ্চাদের মতো কাদতে থাকে ইতু। ইতু কে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে চুলের মাঝে চুমুর স্পর্শ একে দিয়ে ধরে রাখে সামু।

সামু আর ইতুর সম্পর্ক টা হয় সামাজিক যোগাযোগের একটা মাধ্যম দিয়ে। প্রথমে খুব ভাল বুঝাপড়া হয়ে যাওয়ায় সাভাবিক ভাবেই সুন্দর একটা বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। একটা সময় সেই সম্পর্কের মাঝে সৃষ্টি হয় আরো কালারফুল বেস্ট ফ্রেন্ডশিপ। ভালবাসে দুজন দুজন কে সম্পর্কের শুরু থেকেই। তবুও অদৃশ্য একটা ভয় কাজ করতে থাকে দুজনের মাঝেই। কেউই জানেনা কি ঘটতে চলেছে। শুধু এতুটুকুই বুঝতে পারে খুব গভীরের কিছু সম্পর্ক তে বেধে যাচ্ছে দুজন নিজেদের অজান্তেই। অঘোষিত একটা অধিকারের জন্ম নেয় দুজনের দুজনের প্রতি। ভালবাসি বলার আগেই দুজন ই চলে যায় ভালবাসার গভীর সীমানায়। যখন বুঝতে পারে যে এটা খোদা প্রদত্ত সম্পর্ক ছারা আর কিছু নয় তখন চুপ থাকা অবস্থায়েই আনন্দে নেচে উঠে সামু আর ইতুর মন। "যখন কোনো একজন মানুষ এমন একজন কে নিজের জীবন সাথী হিসেবে পায় যে তাকে সবচেয়ে ভাল বুঝে উঠতে পারে,  যে তার জীবনের সবচাইতে প্রিয়জন তখন মনের অজান্তেই মনের মাঝে খুশির ডংকা বেজে উঠে"।

অনেক অপেক্ষার পর প্রথম যেদিন সামু আর ইতু সরাসরি দেখা করে তখন প্রথম প্রথম দুজন খুব ফর্মাল আচরনের মাঝেই সিমাবদ্ধ ছিলো। হঠাৎ করেই ইতু সামুর হাত থেকে বাদামের প্যাকেট টা কেড়ে নিয়ে সামুর দিকে ছুড়ে মেরে ঠিক আজকের মতোই বাচ্চাদের মতো কেঁদে কেঁদে অনেকদিন বসিয়ে রেখে দেখা করার জন্য বকা দিয়েছিলো। সেদিনও সামু খুব শক্ত করে ইতুকে জড়িয়ে নিয়েছিলো নিজের মাঝে। খুব শক্ত করে , বুকের খুব গভীরে, দুজনের বুকের মাঝেই তখন কিছুক্ষন এর জন্য তৈরি হয়েছিলো স্বর্গীয় সুধার আমেজ। আজো সামুর বুকের মাঝে খুব প্রশান্তি অনুভব করছে ইতুকে জড়িয়ে ধরে।
কথা গুলো ভাবতে ভাবতে ইতুকে জড়িয়ে ধরেই সামু হেসে দেয়।
.
- আমার প্রিয়তমা জিন্দেগী টার কান্না কি থেমেছে?
.
= হুহ!!
.
- বুঝিলাম, কান্না থামিয়াছে, অভিমান যায়নি না?? নো প্রবলেম, এখন একটু কষ্ট করে রেডি হয়ে নাও,  রাতের ঘুমানোর সময় সব অভিমান ভাঙিয়ে দিবো..
.
= যাহ, ফাজিল..
বলেই দুজন হেসে দেয়।

ইতু খুব ধিরে ধিরে গুছিয়ে গুছিয়ে নিজেকে পরিপাটি করে নিতে থাকে। সামু চুপ করে বসে থেকে দেখতে থাকে।
.
যেদিন বহু প্রতিক্ষার প্রহর পেরিয়ে সামু আর ইতুর বিয়ে হয়, সেদিন ফুলশয্যার রাতে ইতু কে শুনানোর জন্য সামু একশো একটা কবিতা মুখস্ত করে রেখেছিলো। ইতু সামুর আবৃত্তি শুনতে খুব ভালবাসে, সামুর প্রতি ইতুর রুলস ছিলো, "যদি সামু ইতু কে বিয়ের রাতে একশো একটা নতুন কবিতা লিখে মুখস্ত করে আবৃত্তি করে শুনাতে পারে তবে বেবি সিটিং এর সব দায়িত্ব ইতুর, আর যদি না পারে তবে আজীবন বেবি সিটিং এর যাবতীয় দায়িত্ব সামুর, অন্য কারো হেল্প নেয়া যাবেনা"।  সামু সেদিন এই  রুলস শুনেই মাথা ঘুড়িয়ে হাপিত্যেশ শুরু করেছিলো। তবুও  ফুলশয্যার আগেই একশো একটা কবিতা মুখস্ত করে নেয় সামু।
.
বিয়ের রাতে সেদিন ইতুকে কোলে তুলে বাড়ির ছাদে রেডি করে রাখা এক পালংকো তে বসে চাঁদ তারা দেখতে দেখতে ৯৯টি কবিতা আবৃত্তি করে শুনায়। দুটি কবিতা অবশ্য আর শুনাতে হয়নি, ইতু ৯৯টি তেই খুশি হয়ে গিয়েছিলো। বাকি দুটি কবিতা শুনানোর আগেই ইতু ঝাপ্টি মেরে সামু কে জড়িয়ে ধরে। খুব বেশি দুষ্টুমিতে মেতে উঠেছিলো ইতু। সেই গভীর রাতেই চিৎকার করে খোলা ছাদে ইতু সামু কে বলতে থাকে "আমি তোমাকে ভালবাসি সামু, বড় বেশি ভালবাসি, জানিনা কখনো তোমায় এর পরিমান বুঝাতে পারবো কিনা, কারন আমার ভালবাসা পরিমাপ করার মতো কোনো যন্ত্র এখন আবিষ্কার হয়নি"। যখন কথা গুলোর প্রতিধ্বনি হতো তখন বাচ্চাদের মতো হেসে দিয়ে বলে উঠতো " দেখলে সামু?? আকাশ বাতাস চাঁদ তারা সব আমার সাথে সাথে তোমায় ভালবাসি বলছে!! এটা কিন্তু ঠিক না, আমি কোনো ভাবেই ওদের কে তোমার ভাগ দিতে পারবোনা, তুমি শুধুই আমার, শুধুই আমার"। সেদিনের সেই রাতের কথা ভাবতে হেসে উঠে সামু..
সামুর একলা হাসি ইতু দেখতেই বলে উঠে..
=এই! কি হলো গো তোমার?? পাগল হয়ে গেলে নাকি?? একা একা হাসছো যে?? দেখো, এসব কিন্তু ভালনা, পাগল হওয়ার আগে আমাকে পাগলী করে দিয়ে নিও, পরে একা একা পাগল হয়ে আমাকে রেখে নিজে নিজে পাবনা চলে যাবে, তা হতে পারেনা, পাগল হলেও দুজন হবো, পাবনা গেলেও দুজন যাবো।
.
- তুমি তো পাগলী হয়েই আছো সখী........
.
সামুর মুখ থেকে এ কথা শুনতেই মুচকি হেসে দেয় ইতু।

সামু আর ইতু বসে আছে পাশা পাশি। সামনে ১০ পাউন্ড এর কেক। গেস্ট রা বসে আছে। সামু আর ইতুর পাশেই বসে আছে ওদের দু সন্তান, সামায়রা আর ইশান্ত। একজন কাজী আসল বিয়ের নিয়ম এর মতো করেই সামু আর ইতুর আবার বিয়ে পড়াচ্ছে!! সামু আর ইতুর দুজনের পরিকল্পনা ছিলো, ওদের বিয়ের প্রতি দশকে ওরা আবার বিয়ে করবে, দুষ্টুমিটা অন্য মাত্রায় নিবে।
সামু ইতু দুজন কবুল বলছে, মিটিমিটি হেসে মালা বদল করছে, কাজী সাহেব খুৎবা পড়ছে, এসব দেখে সামায়রা আর ইশান্ত দুজনই কাঁচুমাচু ভঙিতে নিচের দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে। ওদের হাসি তে আচমকাই সব গেস্ট হেসে উঠে। সামু ইতুও লজ্জা পেয়ে দুজন দুজন কে আবারো জড়িয়ে ধরছে। দুজনেই যেনো মনে মনে আরো একবার সংকল্প করে নিচ্ছে "হে খোদা, ভাগ্যে যাই কিছু লিখে রাখো না কেনো, অন্তত জীবনের শেষ সেকেন্ড টা পর্যন্ত যেনো এই মানুষ টাকে ভালবাসার পবিত্র বন্ধনে আটকে রাখতে পারি আর পরকাল টা তেও যেনো এই মানুষ টা কে নিয়েই থাকতে পারি"।
কাজী সাহেব ডাকছে,  মুনাজাত হবে, সে দিকে নেই কারো খেয়াল,  এখন ও সামু ইতু দুজন দুজন কে জড়িয়ে আছে......
ওদের ভালবাসা দেখে কাজী সাহেব নিজেও নিজের অজান্তে মুনাজাত করে ফেললো.....
ভাল থাকুক, সুখে থাকুক..
বেচে থাকুক অনন্তকাল পৃথিবীর সকল ভালবাসা গুলো।

লিখা- Odriisso Ikaras

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ