গল্প :আজব মেয়ে
লেখক :(রাজকুমারীর বর)
এই তুমি কি দেখছো, তোমার চোখ তুলে ফেলবো কিন্তু
:।-কই আমি কিছু দেখছিলা তো
:- আমি দেখলাম।তুমি ওই মেয়ের দিকে তাকিয়ে আসো
:-/লিয়ন আমার কিন্তু মিথ্যা কথা ভালো লাগে না।
ওকে বাবা আমি দেখছি (এর মধ্যে আমার কিল ঘুসি
খাওয়া হচ্ছে অনেক গুলা)
এই মেয়েটাকে রাগলে আমায় খুব ভালো লাগে।সুন্দর
মুখটা লাল হয়ে যায়।(বিশেষ করে নাক টা)
ওই মেয়েটার জন্যই আমি বেচেঁ আছি।
যেদিন আমি প্রেমে ব্যথ হয়ে আত্তহত্যা গিয়েছিলাম এই
মেয়ের জন্যই মরতে পারি নাই।
::::--- আর একটু হলে ট্রেনের নিচে মাথা দিয়েছিলাম।
ও স্যরি ওর নামই তো বলা হয়নি।
ওর নাম সুইটি। নাম টা সাথে চেহারার অনেক মিল আছে।
সেদিন থেকে আমাকে যে কথাগুলা বলছিলো তা আজও
আমার কানের কাছে রিংটনের মতো বাজে।
সুইটি :-তুমি আত্তহত্যা করতে চাইছিলা কেন।
লিয়ন :সেটা তোমাকে বলবো কেন?
সুইটি :না বলে এবার আমি তোমাকে মেরে ফেলবো।
(অনেক জুরাজুরি করার পর,)
অামি একটা মেয়েকে ভালবাসাম, আমি বেকার বলে সে
আমার জন্য ওয়েট না করে আরেক জনের সাথে বিয়ে
করে নিয়েছে তাই।
:---'এবার মেয়েটার হাসি দেখে কে (মনে হয় আমি এতো
সময় জোসঁক বললাম)
আপনি হাসছেন কেন
:- হাসবো না কি কাদবো, তোমার মত গাধাঁ কে আসে।
একটা মেয়ের জন্য আত্তহত্যা করতে এসেছ।
:::-আমি এতো সময় হা করে তার কথাগুলা গিলতাছিলাম।
সত্যি মেয়েটা অনেক সুন্দর, দেখলেই যে কেউ প্রেমে
পড়ে যাবে।মনে হচ্ছে ডানা কাটা একটা পড়ি।
:::-এই যে মিস্টার কি দেখলেন হা করে
::::-আমি এবার নিজেকে সামলে নিয়ে। না কিছু না।
::::-ওকে।আমার নাম সুইটি, তুমি আজ থেকে আমার সাথে
প্রেম করবা।(কি আজিব মেয়ে মাইরি)
:::- কেন আমি আপনার সাথে প্রেম করবো?
সুইটি ::আমি বলছি তাই।
এবার আমার কাছে থেকে ফোনটা নিয়ে তার নাম্বার
সেভ করে দিল।
জিঙ্গেস করলো আমার নাম (সভ্য ছেলের মত বললাম
লিয়ন)
আমার নাম্বার টা নিয়ে ফোনটা হাতে ধরা দিয়ে চলে
গেল।
আমি তার চলার পথের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
সেদিন চলে আসলাম বাসায়।
রাতে ডিনার করে একটু শুয়েছি দেখলাম শয়তান মেয়েটা
ফোন দিছে।ফোনটা রিসিভ না করে রেখে দিলাম।এইবার
দিয়ে চার বার ফেন দিলো।
এবার রিসিভ করে যা শুনাছি তা
এমন ছিলো।
এই বদজাত ছেলে ফোন পিক করাতাছিস না কেন? তোর
প্র্যবলেম কি? আরো কতো ঝারি দিলো।
আমি সভ্য ছেলের মত সব শুনলাম।
দীঘ সময় পর
সুইটি ::::-কাল আমার সাথে দেখা করবা বিকেল ৫টায়।
টু টু টু........ফোনটা কেটে গেল।
মনে হচ্ছে এতো সময় আমার ফোনের উপর দিয়ে স্লাইক্লন
গেল।
কি মেয়েরে বাবা (পুরাই আজিব)
তার পর ঘুমিয়ে পরলাম।
..
এই তুমি এতো দেরি করলা কেন এখন সময় দেখছো ৫:১৫
বাজে
তোমার পনোর মিনিট লেট এখর পনোরো বার কান ধুরে উঠ
বস করো।(মেয়ের সাহজ কি)
তারপর নিজ থেকে বললো আজ প্রথম তাই মাফ করে
দিলাম।#(আইছে আমার মহারাণী সে আমারে মাফ
করবে)
এভাবে চললো কিছুদিন :
তারপর....এক পাশে বসে বসে বাদাম খাচ্ছে ওরা।
সুইটি লিয়নকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে এবং লিয়ন
ও তাকে আস্তে আস্তে সুইটিকে ভালোবাসতে শুরু
করেছে।
..
.
.
রাত ২টা বাজে......
লিয়নে ফোন বাজছে, ঘুম ঘুম ভাব নিয়া ফোনের স্কিনে
তাকাচ্ছে, এতো রাতে স্বাদের ঘুমটা নষ্ট করলো, ফোনে
দিকে তাকিয়ে চোখ চরক গাছে উঠেছে, এই মেয়ে এতো
রাতে আবার ফোন করছে কেন?
নানা চিন্তা করে ফোন ধরলো.......
সুইটি :এই তুমি কই?
লিয়ন ::নিশ্চয় বাসায়।এতো রাতে কোথায় থাকবো?
সুইটি ::এখন তুমি বাসায় আমার জন্য আইসকৃিম নিয়া
আসবা। আধ ঘন্টার মধ্যে।
লিয়ন ::এটা কি মগের মুল্লুক নাকি। এতো রাতে আমি
আইসকৃিম কোথায় পাবো?
সুইটি ::আমি জানি না, তুমি তাড়াতাড়ি নিয়া আসবা।
এই কথাগুলা বলে ফোন কেটে দিলো।
এই মেয়েটা সত্যি আজব মাইরি।
কি আর করা টিক্কা মামাকে এতো রাতে ডেকে উঠে
নিয়া গেলাম।বাড়ির বাইরে থেকে নিয়া চলে গেল।
একটা থ্যাংকস ও দিলো না।(পুরাই আজিব)
পরে দেখি একটা মেসেজ করছে I love you...........
সকালে ফোন দিয়া ...
লিয়ন চলে আজ প্রথম তোমার সাথে যেখানে দেখা
হইছিলো।
জানো লিয়ন, তোমাকে আমি অনেক আগে থেকে
ভালোবাসি,যখন তোমাকে আমি কলেজে প্রথম দেখি এই
দিন ই তোমাকে ভালো লাগে, কিন্তু আমার বন্ধুদের
সাথে কথা বলে জানতে পারি তুসি নামে একটা বড় আপুর
সাথে তুমি প্রেম করো। জানো লিয়ন আমার অনেক কষ্ট
হয়েছিলো।দোআ করতাম তোমাদের জন্য, কিন্তু আমি
একদিন দেখলাম ওই আপুটা আমার এক বড় ভাইয়ের সাথে
আমাদের বাসায় আসছে, পরে ভাইয়াটার জিজ্ঞেস
করাতে ভাইয়া বলে, ওটা ওর গালফেন্ড। জানো লিয়ন
ওদিন আমি অনেক কষ্ট পেছিলাম এবং মনে মনে খুশি ও
হয়েছিলাম।তোমাকে আমি ওই সময় কথাগুলা বলতে
চাইছিলাম, কিন্তু তুমি তখন তো ওই আপুটাকে
ভালোবাসো আমার কথা তুমি বিশ্বাস করবে না। তাই
বলতে চেয়েও বলতে পারি নাই।সুইটি কথাগুলা এক সাথে
বলতাছে আর আমি হা করে শুনছি,
তারপর সুইটি বলতাছে, কিছুদিন পর শুনলাম তোমার সাথে
তুসি আপু ব্রেকআপ হয়েছে।সত্যি আমি ওদিন অনেক খুশি
হয়েছিলাম। জানো লিয়ন তারপর আমি তোমাকে অনেক
বলতে চেয়েও পারি না।
কিন্তু যেদিন তোমার ছোট্ট বোনের কাছে থেকে শুনলাম
তুমি বাসায় আত্তহত্যা চিঠি লিখে চলে গেছ।তাই ওদিন
তোমার কাছে যাওয়া, সত্যি লিয়ন আমি তোমাকে
অনেক ভালোবাসি।
এই কথা বলার পর আমি তাকে বুকে জড়িয়ে নিলাম এবং
কাপালে একটা চুমু দিলাম।
সত্যি পাগলি মেয়েটা।
.
.
.
.
চার বছর পর ......
এই লিয়ন অফিসে যাবে না?তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে
উঠো,...........
পাপ্পা পাপ্পা উঠো ..এইটা আমার মেয়ে ওর বয়স দুই বছর,
মিষ্টি, একদম দেখতে ওর মায়ের মতো ...
ওর মা আবার কে?
হ্যা,.... ওই পাগলি মেয়েটা এখন আমার বউ(সুইটি)
সত্যি মেয়েটাকে নিয়ে অনেক হ্যাপি আছি।
বি দ্র ::(কাল্পনিক গল্প)
লেখা ::Repon Hossain Leon
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ