āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2333 (2)

দজ্জাল বউ(৩য় পর্ব)
~Niyamul Islam
.
--এই ওঠো!
--হু
--কি বললাম উঠবা না?
--বিরক্ত স্বরে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি ভোড় ৪টা ২০,কিছুটা রাগমাখা কন্ঠে বললাম,সমস্যা কি?এতরাতে ডাকছো ক্যান,হুম?
--জলদি ওঠো,ওযু করে নামাজে যাও!
ভুলেই গেছিলাম গতরাতে রুপা প্রমিস করে নিয়েছে রোজ ৫ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে।কোন উপায় না দেখে উঠে পড়লাম।ওযু করে সুবোধ ছেলের মত নামাজে গেলাম।নামাজ পড়ে এসে দেখি রুপা ঝুকে কোরআন তেলাওয়াতে মগ্ন।কিছুক্ষণ ওর পাশে বসে থাকলাম।হঠাৎ ঘুম পেয়ে যাওয়াই বেডরুমে গিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।ঠিক কখন ঘুমিয়ে গেছি বলতে পারবো না...ফের জাগনা পেলাম রুপার ডাকে!রুপা আমার পিঠ ঠেলতে ঠেলতে ডাক দিচ্ছে...
--এই ওঠো!
আমি;হু
--এক্ষুন্নি উঠবা নাকি পানি ঢালতে হবে!
--চোখ না খুলেই,ঘুমাতুর কন্ঠে বলে বসলাম ক'টা বাজে?
--সকাল ৬টা ১০! ওঠো এক্ষুন্নি!
--আমার অফিস তো ৯টায়,আরেকটু ঘুমিয়ে নিই না সোনা।
--আইছে জমিদার,বাথরুমে কিছু কাপর ভেজানো,ওগুলো কেঁচে গোসল করে ওঠবা!
--চোখ আমার কপালে ওঠে গেল,লাফ দিয়ে বিছানা ছেড়ে বললাম...কে করবে এসব?
--কেন?তুমি করবা!!(ঝাঝালো কন্ঠে রুপার জবাব)
--বুঝলাম বজ্রপাত হতে পারে,তাই পরাজিত সৈনিকের মত বাথরুমে গেলাম...পুরো ১বালতি কাপড় দেখে আমার চোখে জল আসার জোগাড়...স্টুডেন্ট লাইফে কাপড় কেচেছি,রান্নাও করেছি কিন্তু বিয়ের পরে এসেও ওসব করতে হবে জানলে শালা বিয়েই করতাম না...মনে হচ্ছে আমি যেন আজ বিবাহিত ব্যাচেলর।প্রতিটা কাপড়ে বাড়ি দিতে দিতে কন্ঠে যেন গান ভেসে আসছে->আমি বন্দি কারাগারে....!!
.
বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখি রুপা রুটি বানাচ্ছে...কি সুন্দর গোল হচ্ছে রুটিগুলো...মনে হচ্ছে কতই না সহজ কাজ...ভার্সিটি লাইফে রুটি বানাইতে গিয়ে টের পেয়েছিলাম এ কাজের মহত্ত্ব...আমি তখন শাহমখদুম হলে,২য় বর্ষের ছাত্র...ইচ্ছা করল রুটি বানিয়ে খাবো,কিন্তু কিছুতেই রুটির গোল সেপ আনতে পারি না...কোনটা হয় ত্রিকোনাকার,কোনটা বহুভুজাকার আবার কোনটার আকার এমন যে ডিফাইন করা কঠিন।সেদিন অনেক চেষ্টা করেও যখন রুটির গোল সেপ আনতে পারলাম না তখন বুঝে গেলাম রুটি বানানো মোটেও সহজ কাজ না।
.
আমি রুপার পেছন দিয়ে যাচ্ছিলাম;;;রুপা তার কাজ না থামিয়েই বলে ওঠল;;;
--রুম ঝাড়ু দিয়েছো?
--আমি কেন দিবো?
--তো কে দিবে,শুনি!
--বাসায় এত মানুষ থাকতে আমার কেন এসব করতে হবে?
--কারন নিজেদের রুম নিজেরাই পরিষ্কার করা ভালো,আর দেখছো তো আমি রুটি বানাচ্ছি!
--মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলেও,উপায়ন্তর না দেখে রুম ক্লিন করতে নেমে পড়লাম...নিজের কপালকে দুষতে থাকলাম;;;
বিয়ের আগেও যে জীবন ছিল এখন তার চেয়ে দূর্বিষহ,তবে বিয়েটা কেন করলাম মিছেমিছি?
.
সকাল ৮টা ৩০;;;
আমি অফিসের জন্য রেডি হচ্ছি,রুপা টেবিলে নাস্তা সাজাচ্ছে...কিছুতেই শার্টটা খুজে পাচ্ছি না,খুজে খুজে যখন হয়রান তখন রুপা শার্ট হাতে রুমে ঢুকলো...মিমসাহেবা আয়রন করতে নিয়ে গেছিল...এসেই কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই শার্ট পরিয়ে দিতে শুরু করলো,বোতামগুলো লাগিয়ে দিলো...একটু আচটু কাতুকুতু লাগলেও,খুব একটা খারাপ লাগছিল না...সবগুলা বোতাম শেষ করে মাথা উঁচু না করেই বুকে চিমটি কেটে বলল;;;
--এবার ইন করে নাও নিজে?
--এটাও তুমি করে দাও না!
--মশকরা করো,যা বলছি করো।আর দ্রুত খাবার টেবিলে আসো,নাস্তা রেডি আছে!
--প্রজাদের মত মাথাটা নেতিয়ে দিয়ে বললাম,যাহা হুকুম,মহারাণী!
রুপা "পাগল বলে" মুচকি হাসি দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেল,আর সে হাসিটার প্রতিধ্বনি আমার হৃদয়ে বাজতে থাকল বারংবার!
.
আমি অফিসে,অফিসে আসলে এতটাই চাপে থাকি যে বাসার সব স্মৃতি ভুলতে বাধ্য হই!
আরজেন্ট ২টা ফাইল রেডি করতে হবে,বসের জরুরী তলব।সেটা নিয়েই কাজ করছিলাম....হঠাৎ কি মনে করে ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখি আম্মুর নাম্বার থেকে ৩২ মিসড কল...অজানা একটা শঙ্কা নিয়ে  ফোনটা ব্যাক করলাম;;;
--নিশো!
--হুম,আম্মু,বলো?
--বাবা,তুই ছুটি নিয়ে দ্রুত সেবা ক্লিনিকে চলে আয়...রুপা সিড়ি থেকে পরে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছে...ও এখন এখানে এডমিটেড!
আম্মুর কন্ঠটা জড়ানো ছিল,বুঝতে বাকি রয়লো না অবস্থা কতটা সিরিয়াস।আমি ফাইল টাইল দূরে ফেলে অফিস থেকে দ্রুত বের হলাম,আসার পথে কলিগরা জিজ্ঞেস করছিল-নিশো সাহেব কই যান?আমার সেদিকে কোন হুশ ছিল না,কোনরকমে সেবা ক্লিনিকে পৌছালাম।রিসেপশন থেকে বেড নং জেনে নিয়ে দ্রুত চলে গেলাম।গিয়ে দেখলাম রুপা বেডে শুয়ে আছে,সকালে যে শাড়িটা দেখে আসছিলাম...সে শাড়িটাই আছে...মাথায় ব্যান্ডিজ প্যাচানো,চোখ দুটো বন্ধ...মুখটা একদম ফ্যাকাশে...অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে বুঝতে পারলাম,,,ভেতরটা হু হু করে কেঁদে উঠতে লাগল...শেষ কবে চোখের জল ফেলেছি বলতে পারবো না,তবে রুপাকে ওভাবে দেখে ঠিক থাকতে পারলাম না।চোখ বেয়ে অনবরত গরম জল আসতে থাকল,নাক বেয়ে সেগুলো ঝরতে থাকল আপন ঠিকানায়!
.
ডাক্তার আসলেন...এসে বললেন;;;
মাথায় কিছুটা আঘাত পেয়েছে,কপালের কিছু অংশ কেঁটে রক্ত ঝড়েছে।তবে ভয়ের কিছু নেই,কালকেই পেশেন্ট কে নিয়ে যেতে পারবেন...যাবার সময় ডাক্তার আমার পিঠ চাপড়ে বলে গেলেন--কাম অন,বয়!
ডাক্তার চলে গেল,রুপার কাছে শাশুড়ি আর আমার আম্মু রাতে থাকবে বলে ঠিক হলো..খুব ইচ্ছা হলো,আমি থাকবো।কিন্তু বলতে পারলাম না।একপ্রকার মনের বিরুদ্ধেই রুপাকে রেখে বাসায় চলে আসলাম।আসার পর থেকে একমুহুর্তের জন্যও রুপাকে না ভেবে থাকতে পারছি না।এই কয়েকদিনে একটা মানুষ আমার জীবনের এতটা অংশ দখল করে নিয়েছে,ভেবে কুল পাচ্ছি না।কিছুই ভালো লাগছে না,ইজি চেয়ারে বারান্দায় বসে আছি।রুপার শাড়িটা এখনও শুকাতে দেওয়া বারান্দায়...মৃদ্যু বাতাসে শাড়িটা মৃদ্যু দুলছে,শাড়ি থেকে চেনা সেই গন্ধ নাকে ভেসে আসছে।এখন মনে হচ্ছে রুপার অস্তিত্ব  মিশে আছে কিচেনের ফ্লোরে,বেডের চাঁদরে আঁকা গোলাপ ফুলে,ভেজা তোয়ালের মৃদ্যু গন্ধে,ঘড়ের প্রতিটা কোনে,সেলিং এ কিংবা বারান্দার ফুলগাছে!
পুরো বাড়ি যেন রুপাময়,আমার নির্ঘুম চোখের একটাই চাওয়া পুরো পৃথিবীর বিনিময়ে হলেও আমার একটি মাত্র রুপাকেই চাই,খুব বেশি চাই!
.
#চলবে?

দজ্জাল বউ(পর্ব নং-৪)
.
::এই শোন তুমি অফিসে গিয়ে ফেসবুকে এত কি করো?
-কই কিছু না,তো! এমনিতেই ডাটা অন রেখে অফিসিয়াল কাজ করি।
::আমারে শিখাও?গতকালকের পোস্টে ৪টা মেয়ের লাভ রিয়্যাক্ট...এরা কারা?
-বন্ধু...স্রেফ বন্ধু!
::আচ্ছা,নীল পরীর ছবিতে তুমি লাভ রিয়্যাক্ট ক্যান দিছো?তুমি জানো না ওটা আমার ফ্রেন্ড?
-সেজন্যই তো দিছি,সে তো বিবাহিতা...১টা বেবিও আছে!
::শোন,মিথ্যা বলবেনা বলে দিলুম...রোজ তোমার লাইক কমেন্টে নতুন নতুন মেয়ের আনাগোনা...আমি কি কিছুই বুঝিনা?
-তুমি তো সব বুঝো,শুধু আমাকে ছাড়া!
::চুপ ন্যাকামি করবা না খবরদার,এতই যখন লুলামি করার শখ আমাকে বিয়ে ক্যান করলা?
-সেটাই তো জীবনের বড় ভুল ছিল(মিনমিনিয়ে)
::এই কুত্তা,শয়তান কি বললি,আমি আজকেই আমার বাপের বাড়ি যাবো।থাক তুই তোর ললনাদের নিয়ে।
.
এমনিতেই অফিসে যাওয়ার দশ মিনিট লেইট...তার উপড় খাবার টেবিলে বউয়ের এমন প্যানপ্যানানি মাথাটা গরম করে ফেলল...হাতে থেকে জুসের গ্লাস ছুড়ে দিলাম মেঝেতে...একটা শব্দ হয়ে ভেঙ্গে গেল গ্লাসটা...রুপা কান্না করতে করতে বেডরুমে চলে গেল...আমি খাবার শেষ না করেই মনে মনে বউয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করতে করতে অফিসে গেলাম।
অফিসে গিয়ে মনটা খচ খচ করতে থাকল...সেসময় মাথাটা গরম না করলেই পারতাম...তারপর অফিসে কাজের চাপে ভুলেই গেলাম সবকিছু...লাঞ্চ ব্রেকের পর ফোনে টং টং করে মেসেজ রিংটোন বাজল...রুপার মেসেজ!
I'm extremely sorry Nisho...Ami emn korte chai na but voi hoi tmk haranor...tmk eto besi vlo beseci j harate parbo na...ami nijer ei attitude ja tmr kharap lage,r korbo na!
মুহুতের ভেতর মনটা ভালো হয়ে গেল...রুপা চেইন্জ হবে এর চেয়ে ভালো নিউজ আর কি হতে পারে...বিকেল ৪টায় বসের থেকে ছুটি নিয়ে দ্রুত বাসায় গেলাম।কলিং বেল বাজাতেই রুপা দ্রুত ছুটে আসল...বুঝলাম পাগলিটা আমার জন্যই অপেক্ষা করছিল...কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ল...পাগলিটা এ মুহুর্তে কাঁদছে...হঠাৎ করে কান্না থামিয়ে দিলো,চোখ ফিরিয়ে তাকিয়ে দেখলাম-আমার শার্ট থেকে ১টা বড় চুল বের করে শার্লক হোমসের মত পর্যবেক্ষণ করছে...কিছুক্ষন পর্যবেক্ষণ করে চিৎকার দিয়ে বলতে থাকলো;;;
::এই এটা কোন মেয়ের চুল???
আমি ভ্যাবাচেকা খেলাম...তোমার চুল ছাড়া আমার শার্টে আর কার চুল আসতে যাবে?
::সে তুমি জানো,অফিসে গিয়ে কি করো সেতো আর আমি দেখি না...আর এই চুলটা লালচে বাদামি,কোন ঢঙ্গি মেয়ের হবে,এটা আমার না বলে দিলুম!
-রুপা খবরদার,আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলবে না...বিয়ের আগে ১টাও প্রেম করিনি,কোন মেয়েকে ছুয়ে পর্যন্ত দেখি নায়,এড়িয়ে চলেছি বান্ধবীদের...আর সেই আমাকে নিয়ে...ছিঃ ছিঃ
.
কথার মাঝেই ফোনটা বেজে ওঠল...আননোন নাম্বার...বিরক্তি নিয়ে ফোনটা রিসিভ করতেই মেয়েলি কন্ঠ ভেসে ওঠল(বউ খুব পাশে এসে কানটা পেতে দিলো)
-নিশো,চিনতে পেরেছো?
-না ঠিক চিনলাম না,কে বলছেন?
-ওমা একি এই কয়েক বছরে আমাকে ভুলে গেলা...সেলফিস!আমি মেঘ,তোমার ক্যাম্পাস লাইফের ডার্লিং...!
(মনে পড়ে গেল,এই সেই মেঘ যে ছিল আমার ভার্সিটি লাইফের একমাত্র বান্ধবী...আমরা একে অপরকে ডার্লিং ডাকতাম...স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাহিরে গিয়েছিল,তারপর বহু বছর কন্টাক হয় নি।)
-আমি হাসিমুখ নিয়ে জবাব দিলাম,হ্যা মেঘ...এতদিন পর কই থেকে?
-কাল অস্ট্রোলিয়া থেকে দেশে এসেছি...কই আছো বলো,এক্ষুনি দেখা করবো!
আমি কিছু বলার আগেই বউ দৌড়ে বেডরুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো...আমি ফোনটা কেটেই পেছন পেছন গেলাম,কিছুক্ষণ পর খটাস করে দরজা খুলে রুপা বের হলো:-
হাতে ঝাড়ু,কোমরে শাড়ির আঁচল বাঁধা...অবস্থা বেগতিক টের পেয়ে দিলাম ভোঁ দৌড়...গেস্টরুমের খাটের নিচে গিয়ে দ্রুত লুকিয়ে পড়লাম...আর সেখান থেকেই এই স্ট্যাটাসটুকু লিখে ফেসবুকে পোস্ট করলাম...কিছুক্ষণ পরেই বউ কমেন্টে লিখল-ঝাড়ু রেডি আছে,তাড়াতাড়ি বেড়িয়ে পড়ো!
আমি রিপ্লে দেওয়ার মত দুঃসাহস দেখালাম না...বেডের নিচে গা এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করলাম...পাশের ফ্ল্যাট থেকে ভেঁসে আসছে-
আমি বন্দি কারাগারে...!!!
.
~Niyamul Islam

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ