āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2331

###_ভৌতিক_ভালোবাসা_###
.
.
রাত তখন ২টা বেজে ৫৫ মিনিট। হঠ্যাৎ মোবাইলের রিংটোন বেজে উঠলো। দেখলাম কোনো একটা unknown নাম্বার থেকে কল আসছে। এত রাতে কে কল করলো ভাবতে ভাবতে কলটা রিসিভ করলাম। ওপাশ থেকে খুব মিষ্টি একটা মেয়ে কন্ঠে সালাম এলো। আমিও স্বাভাবিক ভাবেই সালামের উত্তর দিলাম। প্রথম প্রশ্নটা সেই করলো,
-> কেমন আছেন?
আমি তার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করলাম,
-> কে আপনি?
-> চিনবেন না।
-> চিনবো না যখন তাহলে এত রাতে আজাইরা আমার ঘুম ভাঙাইছেন কেনো?
-> আমার ইচ্ছে হইছে তাই।
-> আপনার ইচ্ছে হইছে বলেই যার তার ঘুম নিয়া টানাটানি করবেন নাকি?
-> হ্যা, তাই তো করবো।
-> ভারী বজ্জাত মেয়ে তো।
এটা বলেই কলটা কেটে দিয়ে আবার ঘুমিয়ে পরি।
আমি ইমন। পড়াশোনা শেষ করে আপাতত একটা ছোটখাট চাকুরী করি। সকালে তারাতারি ঘুম থেকে উঠে গিয়ে মায়ের হাতের তৈরি নাস্তা সেরে অফিসে চলে যাই, দিনশেষে বাসায় ফিরি। রাত্রে ঘুমাই, সকালে আবার অফিস। ছুটির দিনে মা বাবার সাথে সময় কাটাই। এভাবেই চলে যাচ্ছিলো দিনগুলো, কিন্তু সেদিন রাত্রে কলটা আসার পর থেকে ব্যাপারটা কেমন জেনো বদলে যেতে শুরু করলো। মেয়েটা প্রতিরাতে ঠিক ২:৫৫ বাজার সাথে সাথেই কল করতো, প্রথম প্রথম বিরক্ত হতাম তবে ধীরে ধীরে আমিও মানিয়ে নেয়া শুরু করলাম, ঝগড়ায় ঝগড়ায় কিভাবে জেনো বন্ধু হয়ে গেলাম। তারপর এক সময় কখন যে তার মিষ্টি কন্ঠের প্রেমে পরে গেছি নিজেও জানি না।
আমি বহুবার তার নাম জানতে চেয়েছি, কোথায় থাকে জানতে চেয়েছি, সে শুধু বলতো যে সে নাকি অনেক দুরে থাকে। এই 'অনেক' দুরত্বটা যে কতখানি তাও জানতাম না। তার কন্ঠটা খুব সুন্দর ছিলো বলে আমি তাকে 'সুন্দরী' নামে ডাকতাম
এক সময় আমি তার নিকট প্রেম নিবেদন করি। মনে হচ্ছিলো সে জেনো আগে থেকেই জানতো যে আমি তাকে প্রপোজ করবো, তাই প্রপোজ করার সাথে সাথেই সে তা এক্সেপ্ট করে ফেলে, সেদিন কিছুটা অবাকও হই আমি।
আমাদের শুধু ফোনেই কথা হতো। কখনও দেখা করার সুযোগ হয় নাই। তবুও সে জেনো কিভাবে আমার সব গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রাখতো। আমি কখন খাইছি, কি খাইছি, কি করতাছি এসব ব্যাপারে তাকে মিথ্যা বলতে পারতাম না, কিভাবে যে সে আমার মিথ্যা গুলা ধরে ফেলতো বুঝতাম না।
আমাদের শুধু রাত ২:৫৫ থেকেই ভোর পর্যন্ত কথা হতো, এতদিনের মধ্যেও আমি একদিনও তাকে কল করতে পারি নাই। কারন সে যেই নাম্বার দিয়ে কল করতো সেটা ছিলো ভীষন অদ্ভুত। ওটাতে কল করাই যাইতো না।
আমি তাকে অনেক অনেকবার অনুরোধ করতাম একটাবার আমার সাথে দেখা করার জন্য কিন্তু সে কখনও রাজী হতো না। সবসময় এড়িয়ে যাইতো ব্যাপারটা।
হঠ্যাৎ করেই সে একদিন কল করা বন্ধ করে দেয়। খুবই চিন্তায় পরে যাই। কিন্তু খোজ নেয়ার কোনো উপায় ছিলো না। দুশ্চিন্তায় আমার দিন কাটতে লাগলো।
কিছুদিন পরের কথা। বাবা মা গেছেন আমাদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে। আমাকেও অনেক জোর করেছিলেন যাওয়ার জন্য কিন্তু আমার মন খারাপ ছিলো বলে আর যাই নাই। তারা অবশ্য দুদিন পরেই চলে আসবেন তাই ভাবলেন থাক তাহলে, আমিও আমার অফিসের বাহানা দিয়ে রেহাই পেলাম।
ঘড়ির কাঁটা তখন ১২টা ছুই ছুই। হঠ্যাৎই প্রচন্ড উত্তাপ টের পেলাম, চোখ মেলে দেখি চার পাশে আগুন আর আগুন। ভেবে পাচ্ছিলাম না কি করবো। তখনই মনে পড়লো রাতে খাবার গরম করারর পরে আমি তো গ্যাসের চুলা নেভাতেই ভুলে গেছিলাম। আমার জীবন যেতে বসেছে, চারিদিক অন্ধকার হয়ে আসছে, কাঁশতে কাঁশতে একসময় মাটিতে লুটিয়ে পরলাম। চোখে তখন সব কিছু ঘোলাটে দেখতে পাচ্ছি। হঠ্যাৎ লক্ষ করলাম কেউ একজন আমার দিকে এগিয়ে আসছে, চেহারা বোঝা যাচ্ছে না, শুধু তার লম্বা চুল এবং সাদা পোশাক দেখে বুঝলাম হয়ত কোনো মেয়ে। কিন্তু তারপরে আর কোনোকিছু বোঝার ক্ষমতা রইলো না আমার, চোখ অন্ধকার হয়ে এলো।
যখন জ্ঞান ফিরলো, তারা তারি করে উঠে সেই মেয়েটার খোঁজ করি, হঠ্যাৎই সে আমার সামনে আবির্ভূত হয়। তার কন্ঠ শুনে বুঝলাম এইটাই সেই মেয়ে যার সাথে আমার প্রতি রাতে কথা হতো, কিন্তু এটা অবাক করার বিষয় ছিলো না, আমি অবাক হয়েছিলাম তার চেহারা দেখে।
অনন্যা, হ্যা আমি ভূল নই। এই সেই অনন্যা যে আরো ৭ বছর আগে আমার জীবনে ভালোবাসা হয়ে এসেছিলো, এই সেই অনন্যা যে ৪ বছর আগে আমাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজে একটা এক্সিডেন্টের স্বীকার হয়ে মৃত্যুবরন করে।.......... অনন্যা অনন্যাই থেকে গেলো। সেদিনের পর থেকে সে চিরতরে হারিয়ে গেলো......

Collected

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ