ছোটবেলায় খুব সাজুগুজু প্রেমী মেয়ে ছিলাম।আম্মুর ওড়না পেঁচিয়ে শাড়ি বানিয়ে পরতাম।আম্মুর হাতে চুড়িগুলো কানে দিয়ে কানের দুল বানাতাম।মাথায় তোয়ালে পেঁচিয়ে লম্বা চুল বানিয়ে মাথা হেলিয়ে ধুলিয়ে এই রুম থেকে ওই রুম ঘুরে বেড়াতাম।আয়নায় দাঁড়িয়ে একা একাই লিপষ্টিক দিতে চেষ্টা করতাম।আর এখন সেই আগের কথা মনে পরলে হাসি পায়।
এলাকায় কোথাও মেলা বসলে আব্বু মেলা থেকে প্লাস্টিকের এবং মাটির হাড়িপাতিল কিনে দিতো।আমি আর আমার কাজিনরা মিলে হাড়িপাতিল নিয়ে খেলতে বসতাম।খেলনা চুলায় মাটির আর প্লাস্টিকের খেলনা হাড়ি বসিয়ে মিছিমিছি রান্না করতাম।পুতুল খেলা ছিল আরেক ধরনের মজাদার খেলা।ফেলে দেওয়া কাগজের বাক্স দিয়ে পুতুলের ঘর বানাতাম।ছোট ছোট টুকরো কাপড় দিয়ে পুতুলের জামা বানাতাম।পুতুলকে বউ সাজাতাম।কাজিনদের পুতুলের সাথে আমার পুতুলের বিয়ে দিতাম।
মনে পরে,যখন ছোট ছিলাম তখন আম্মুর সব কাজ করতে চাইতাম।আম্মুকে থালা,কাপড়চোপড় ধুতে দেখলে আমারও ইচ্ছে হতো ওইগুলো ধুয়ে নেওয়ার।কিন্তু আম্মু ধমক দিয়ে বলতো ওইগুলো পানির কাজ।আর পানি ধরলে আমার ঠান্ডা লাগবে।তাই করতে দিতো না।কিন্তু এখন এইকাজগুলোতে আর আগের মতো আগ্রহ জন্মায় না।
আগে আব্বুকে নিয়ে মেলায় যেতাম।যদি শুনতাম পাশের কোনো এলাকায় মেলা বসেছে তখন বায়না ধরতাম আমাকে মেলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য।
সবে বরাতের রাতে উঠানে তারাবাতি জ্বালিয়ে সব কাচ্চাবাচ্চা মিলে হৈ চৈ করতাম আর মজা করতাম।ঈদ এলে আমাদের কাজিন আর প্রতিবেশী বান্ধুবীদের মাঝে কার্ড আদান-প্রদান চলতো।একজন আরেকজনকে কার্ড দিয়ে ঈদের ইনকভাইটেশন করতাম।
এখন পুরোনো ফটোগ্রাফির এলবাম মাঝে মাঝে ফেলে আসা পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়।সময় থেমে থাকে না।আজ আমি বড় হয়েছি।আমার ছোটবেলার ফটোগ্রাফিতে ওই বাচ্চা মেয়েটি এখনো ছোট।আমার হয়তো বয়স হয়ে যাবে,চুলে পাকন ধরবে,ফটোগ্রাফিটি আজীবন তার রুপেই স্থগিত থাকবে।তখন আমার ছোট বেলা ছিল।দাদা দাদু ছিল।আজ তারা নেই কিন্তু স্মৃতি আছে।
মাঝে মাঝে কল্পনাগুলো আমাকে সেই বাচ্চাকালে নিয়ে যায়।যদি আরেকটিবার সেই বাচ্চাকালে ঘুরে আসার সুযোগ থাকতো!!!!
Collected
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ