āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ē āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2291

গল্প: ''দূর বহুদুর''
পর্ব:১
লিখা:জাস্টিন শান্ত খান (ভালোবাসার
ফেরিওয়ালা)
.
.
.
আফাচ চাচার চায়ের দোকানে বসে সকল
বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিল পরাণ।
বেশ কিছুদিন ধরেই এই চায়ের দোকানে
বিকালের দিকে আড্ডায় বসে
পরাণ,সোহাগ,আকাশ এবং রনি। এখানে
পরাণই সবাইকে ডেকে আনে তার একটা
বিশেষ কারন আছে। কারনটা হচ্ছে, পাখি
নামের এক রুপসী মেঘ বালিকার উপর ক্রাশ
খেয়েছিল পরাণ। পাখি আফাচ চাচার
চায়ের দোকানের সামনে দিয়েই প্রাইভেট
থেকে বাড়ি ফিরে।আর পাখির বাড়ি
ফেরার পথেই তাকিয়ে থাকে পরাণ,তাকে
এক পলক দেখার জন্য। তাকে একপলক না
দেখলে তার রাতের ঘুমটাই যেন হারাম হয়ে
যায়। পরাণ অস্থিরচিত্তে বারংবার ঘড়ির
দিকে তাকাচ্ছে, এখন বিকাল ৪টা,
মেয়েটার প্রাইভেট ছুটি হয়েছে,আর
কিছুক্ষনের মধ্যেই পাখির সেই চাদঁ
মুখখানা দেখতে পাবে সে এই ভেবে তার
উত্তেজনার শেষ নেই। অতঃপর দেখতে পায়
পায়ে হেটে আসা রাস্তায় বান্ধবী দলের
মধ্যে পাখিকে। পরাণের মতে, পাখি ছিল
এক অপরুপ সৌন্দর্যের অধিকারী। যেন সৃষ্টি
কর্তা তাকে নিজের হাতে এই সৌন্দর্য্য
দান করে পাঠিয়েছেন শুধু পরাণের জন্য।
পরাণের নজর থমকে যায় পাখির উপর,তাক
লেগে অপলক দৃষ্টিতে দেখতে থাকে
পাখিকে।মনে হয় আজই প্রথম দেখছে
পাখিকে।পরাণের এই অবস্থা দেখে মনে
হচ্ছিল পাখির সৌন্দর্যের উপর পিএইচডি
ডিগ্রী অর্জন করছে তাই এত মনযোগের
সহিত দেখছে!! বান্ধবী দলটা চলে যাওয়ার
পরও পরাণ সেদিকেই তাকিয়ে আছে। তখন
রনি পরাণের চোখ দুটোর সামনে হাত ওঠা-
নামা করছিল,সাড়া না পেয়ে একটা ধাক্কা
মারলো,অতঃপর তাকে বাস্তবে আনা সম্ভব
হলো। সকল বন্ধুর একটাই প্রশ্ন হঠাৎ পরাণের
এই পরিবর্তনের কারনকি?? সে কাউকে
কিছুই বলতে চাচ্ছিল না। বন্ধুরা জোড়পূবর্ক
জানতে পারল,পাখির কথা,তার প্রথম
ক্রাশের কথা।
--ও,এই ব্যাপার কুচ কুচ হোতাহে!! (রনি)
তারপর রনি পকেট থেকে সিগারেট বের
করে পরাণের হাতে দিল।
--নে সিগারেট ধরা।
নিশ্চুপ পরাণ,তার ভাব ভঙ্গিমা এমনযে
কোনদিন সিগারেট হাতে নেয়নি!!
--কীরে সিগারেট ধরা!!
--আমি আর সিগারেট খাবোনারে রনি!!
বাদ দিয়ে দে, এতদিন আমাদের জন্য ধুমপান
ছিল বিষপান। আর নয়। এখন আমার একটাই
নেশা, আর সেটা হলো পাখি!!(পরাণ)
পাখি সকাল ৭টায় আরেকটি প্রাইভেট
পড়তে যায়। এখন সকাল বিকাল পাখিকে
দ্যাখতে পায় পরাণ, তবুও দেখার অন্ত নেই
তার। প্রতিদিন সকালে বান্ধবী
নিলা,রুহি,রিতা আর পাখি একসাথেই
প্রাইভেট পড়তে যেত। নিলা পরাণকে
অনেক পছন্দ করতো, কিন্তু, পরাণ নিলাকে
ছোট বোনের মতই ভাবতো,তা
নিলাজানতো! কিন্তু, ইদানিং পরাণের
রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা, সেই বান্ধবী
দলকে অনুসরন করা, প্রতিদিন বান্ধবী দলের
আশার অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকতে দেখে,
নিলা ভাবতে শুরু করল যে, পরাণ তার
জন্যেই অপেক্ষা করতো,তাকেই প্রতিদিন
দেখতো!!
আজ ছুটির দিন। যেহেতু পাখির প্রাইভেট
নাই সেহেতু, সোহরাওয়ার্দী মাঠে বসে
খেলা দেখতেছিল পরাণ। হঠাৎই সেখানে
উপস্থিত হলো নিলা। নিলাকে দেখে পরাণ
কিছুটা চমকে গেল,
-- কেমন আছেন?? (নিলা)
-- ভালো। কি ব্যাপার এ সময়ে আপনি
এখানে!! কিছু বলবেন??(পরাণ)
-- বলার জন্যইতো এসেছি! কথাটি
নিরিবিলি নির্জনে একাকি বলতে হবে!
কাল সন্ধ্যার দিকে একটু আপনি আমাদের
বাসায় আসিয়েন। বাসায় কেউ
থাকবেনা,শুধু আমি থাকবো। আসবেন
কিন্তু!!
কথাটি বলেই সেখান থেকে চলে গেল
নিলা। আর পরাণ একা ভাবতে লাগলো কি
এমন কথা যা এখানে বলা যাবেনা, নির্জনে
বলতে হবে?? বাসায় কেউ না থাকলে যেতে
বলল,শুধু ও থাকবে! সম্ভবত পাখিও থাকবে ওর
বাসায়। অতঃপর পরদিন সঠিক সময়ে নিলার
বাসায় গিয়ে হাজির হয় পরাণ। গিয়ে দেখে
বাসায় কেউ নেই,নিলা একাই বসে আছে
ড্রয়িং রুমে। পরাণকে দেখে নিলা সোফা
থেকে উঠে দাড়ালো.. নীল রঙ্গের
শাড়িতে আজকে নিলাকে দারুন লাগছে!
যে কেউ দেখলে নিলার প্রেমে পড়ে যাবে।
কিন্তু,পরাণের সেই সুযোগ নেই! কারণ,
অলরেডি সে একজনের প্রেমে হাবুডুবু
খাচ্ছে। নিলা পরাণকে তার রুমে নিয়ে
গেল, পরাণ একটু ইতস্তত বোধ করছিল!
যেহেতু,বাড়িতে দ্বিতীয় কেউ নেই তাই
অতি দ্রুত এখান থেকে চলে যাওয়াই ভালো!
--কি যেন বলবেন আপনি?? (পরাণ)
--ও হ্যা, আসলে আমি আপনাকে একটা কথা
বলবো বলবো করে বলা হচ্ছে না! (নিলা)
--আমি সে কথাটাই শুনতে
চাচ্ছি,তারাতারি বলুন!
--আমি আপনাকে ভালোবাসি... জানি
আপনিও আমাকে ভালোবাসেন!!
--কেন কেন কেন?? আপনার এটা মনে হলো
কেন,যে আমিও আপনাকে ভালোবাসি!
--কারণ,আমি বেশ ক'দিন ধরে দেখছি,
আপনি আমাদের যাওয়া আশার পথে
রাস্তায় দাড়িয়ে থাকেন আমাকে দেখার
জন্য, আপনি যদি আমাকে ভালো না-ই
বাসেন তাহলে কেন রাস্তায় দাড়িয়ে
আমাদের follow করেন?
--নিলা,আপনি আমাকে নিয়ে এত ভেবেছেন,
আসলে আমি বুঝতে পারিনি! আপনার
ধারণাটা ভুল আসলে আমি আপনাকে নয়,
আপনার বন্ধু পাখিকে follow করতাম! আসলে
আমি পাখিকেই ভালোবাসি!!
.
সব কথা শুনে নিলা কাদোঁ কাদোঁ। কিছুই
ভাবতে পারেনা। জগৎটা তার কাছে
মিথ্যে মনে হতে লাগলো! মনের মধ্যে বপন
করা শস্য বিথার মইয়ে শুয়ে গেল।
--নিলা, আপনাকে আমি আমার বোনের
মতো দেখি, আপনার মাথা থেকে আমাকে
জীবনসঙ্গী করার চিন্তাটা বাদ দেন এতে
উভয়েরই মঙ্গল!
.
নিলা কিছুই বলছেনা একদম নিস্তব্ধ
নিস্তেজ! পরাণ সেখানে আর বেশিক্ষন
অপেক্ষা করেনা অতি দ্রুত চলে আসে
নিজের বাসায়!
.
.
.
চলবে. ...

গল্প: ''দূর বহুদুর'' নাম পরিবর্তন "অতঃপর প্রেমাবদ্ধ"
পর্ব:২(শেষ)
লিখা:জাস্টিন শান্ত খান (ভালোবাসার ফেরিওয়ালা)
.
.
.
শ্রাবনের বিকাল সারাদিন থেমে থেমে ঝির-ঝির
বৃষ্টি থেকে বিকালে মূষলধারে বৃষ্টি পড়ছে! পাখি
প্রাইভেট পড়ে এসে বৃষ্টিতে আফাচ চাচার চায়ের
দোকানের বারান্দায় আটকা পরেছে। সাথে বান্ধবি
নিলা,রুহি ও রিতা। অনেক লোকের ভিড়ে বারান্দাটা
ঠাসা-ঠাসা ভরে গেছে। পাখি বৃষ্টিতে ভিজতে
চায়না,ভিজলে নাকী অসুখ করে! সাথে নেই ছাতা।
বৃষ্টি বাদলের দিনে ছাতা সাথে না নিয়ে আসাটাও এক
প্রকার বোকামীই,আর সেই বোকামীর ফল
ভোগ করতেছে পাখি!! একটু একটু করে বিকাল
গড়িয়ে গোধুলি ঘনিয়ে এলো বৃষ্টির মাত্রাও
বাড়তে লাগল। রুহি এবং রিতার বাসা একই কলোনিতে
তাই তারা যুক্তি করে রিক্সা চেপে আধা ভেজা হয়ে
চলে গেল। পরে রইল পাখি এবং নিলা। আফাচ চাচা
দুজনকে ডেকে দোকানের ভিতরে বসতে
বলল! তারা খুশি মনেই দোকানের ভিতরে গিয়ে
বসল! সন্ধ্যা হয়ে আসছে, অস্থিরচিত্তে দুজন
দুজনের দিকে তাকাচ্ছে...
--নিলা, সন্ধ্যাতো হয়ে এলো। বাহিরে প্রবল
বৃষ্টি। এখন উপায়?? (পাখি)
--হ্যা,পাখি। আর এখানে থাকাটাও নিরাপদ নয়।
লোকগুলো বৃষ্টিতে ভিজে চলে যাচ্ছে। এক
সময় লোক শূন্য হয়ে যাবে! (নিলা)
--হ্যা সেটাই, কিন্তু বড় সমস্যাটা আমাকে নিয়ে।
বৃষ্টিতে আমি ভিজতে চাইনা। বৃষ্টিতে ভেজার
অভ্যাস থাকলে কখনই ছুট দিতাম। আমার জন্য তুইও আটকা পড়ে গেছিস!!
--না পাখি ওভাবে বলিসনা। তুই আমার সবচেয়ে
কাছের বান্ধবী। আর আমিতো ওদের মতো
নই। তোর যদি কিছু একটা হয়ে যায়-আমি মনে
করবো আমারো!!
--তোর প্রতি এ বিশ্বাস আমার আছে। আর আছে
বলেই তুই আমার বেষ্ট বান্ধবী।
.
তারা নিজেদের মধ্যে কিভাবে বাসা যাওয়া যায় এ
নিয়ে কথোপকথন করতে লাগল। বাইরে প্রবল
বৃষ্টি সাথে বাতাসও বইছে এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ
বেশিক্ষন থাকবে বলে মনে হয়। তখন আরো
বেশি সমস্যার সৃষ্টি হবে। পাখির পক্ষে একাকী
বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় পৌঁছা হবে দক্ষিন মেরু যাত্রা।
বড় লোকের কন্যা।আলতো সোনার চিত্রা
হরিণ।
.
পাখির তখন মনে পড়ে গেল পরাণের কথা। পরাণ
প্রায়শই নৌকা মোড় এলাকায় আড্ডা পিটায়। তখন সে
নিলাকে ক্ষ্যাপানোর জন্য বললো,
--কিরে নিলা, তোর হ্যান্ডসাভ ভাই নাকি এই এলাকার
আশে পাশে আড্ডা দেয়! কই আজ দেখছি না
যে!
--আমিও মনে মনে পরাণ ভাইকেই খুজছি! তাকে
পেলে হয়ত একটা সমাধান পাওয়া যেত।
--ইশ! শুধু পরাণ ভাইয়ের প্রশংসা! এখন বুঝেছি
তোর পরাণ ভাই সু সময়ে আছে, দুঃসময়ে নেই!
--প্লিজ পাখি। পরাণ ভাই সম্পর্কে এমন কথা বলিসনা!
আসলেই সে ভালো। কোমল হৃদয়ের গাথাঁ
সজিবলাল গোলাপের পাপড়ি আলতো তরতাজা তার
মন।

.
পাখি একটা ব্যাঙ্গাত্মক হাসি দিলো! পরাণ সম্পর্কে
বাহ্যিক অনেক কথা বার্তা হলো তাদের মধ্যে।
.
.
অন্যদিকে পাখিকে না দেখতে পেয়ে ছটফট
করছে পরাণ! বাবার আদেশে একটা গুরুত্বপূর্ন
ফাইল সংগ্রহ করতে যাওয়ায় তার একটু দেরি হয়, নৌকা
মোড়ে আসতে! নৌকা মোড়ে এসে কিছুক্ষন
পায়চাড়ি করার পর,সে চায়ের নেশায় পরে যায়। তাই
আফাচ চাচার চায়ের দোকানের দিকে রওনা
দিলো। পরাণকে দেখে প্রথমে পাখি চমকে
গেল। এবং নিলা তার নরম হাতে চিমটি কাটলো। আর
বললো...
--দেখ,বলেছিলাম না, সুসময়ে নয় দুঃসময়েও পরাণ
ভাইকে পাশে পাওয়া যায়।
--উপকারে আসবেকি??
--আরে দেখনা কি হয়!!
.
পরাণ দোকানের বারান্দায় পা রেখেই ছাতাটা
মোরায়ে, ভিতরে ঢুকতেই চোখ পরে পাখির
উপর! এ যেন এক অপ্রস্তুত বাস্তবতা!!
-- কি ব্যাপার তোমরা এসময় এখানে??
.
কে উত্তর দিবে। পাখি না নিলা। একে অপরের
দিকে তাকালো! নিলা প্রথমে তাদের ঘটে যাওয়া
কথা গুলো বল্লো।
--তোর বান্ধবী এত দুর্বল,বৃষ্টিতে ভেজার
ক্ষমতা নেই।
.
হাসলো নিলা,কিন্তু পাখি ভ্যাংচি মারল। নিজেকে এখন
ভয়হীন মনে করতে লাগল।
--তোর ভাইকে বলে দে, তোর বান্ধবী এতটা
দুর্বল নয়। বৃষ্টিতেও ভিজতে পারে,আসলে
প্রথম বৃষ্টিতে ভিজবে কিনা তাই ভিজেনি।
.
অনেক কথা হলো তাদের মধ্যে!বাইরে ভর
সন্ধ্যা বিরাজ করছে। পরাণ কাকে সাহায্য করবে।
নিলা নাকি পাখিকে। নিলাদের বাসা একটু দুরে এবং
পাখিদের বাসা অপেক্ষাকৃত কাছেই। নিলা প্রথমে
পাখিকে পৌছেঁ দেয়ার কথা বললো। পাখি অবশ্য
পরাণের সাথে একই ছাতার নিচে যেতে রাজি হয়নি।
পরে উপায় নেই, গভীর রাত হবে, নিজের
নিরাপত্তার কথা ভেবে একসাথে যেতে রাজি
হলো। পরাণ আজ স্বার্থক হতে চলেছে, পরাণ
বাহির থেকে নিলার জন্য একটা পরিচিত রিক্সা ডেকে
আনলো। পরাণ নিজের পকেট থেকে টাকা
বেড় করে ভাড়া চুকিয়ে দিল। সাবধানে যেতে
সতর্ক করে দিল,নিলা রিক্সায় চেপে পরাণ ও
পাখিকে টা টা দিয়ে চলে গেল।
.
এখন পাখি পরাঢের দিকে আর পরাণ পাখির দিকে
অপলক দৃষ্টিতে মিনিট খানেক তাকিয়ে রইল। এখন
কয়টা বাজেঁ পরাণের জানা দরকার। হাতের দিকে
তাকিয়ে দেখে ঘড়ি নেই,বৃষ্টির ভয়ে ঘড়িটা বাসায়
রেখে এসেছে। পাখির হাতে একটা সোনালী
চেনওয়ালা ঘড়ি, ফর্সা কোমল চেহারাতে ঘড়িটা
ভালই মানিয়েছে। পরাণ মনে মনে প্রশংসা করল।
পাখি পথে নামতে প্রস্তুত। পরাণ জিজ্ঞাসা করল,,
--কয়টা বাজে??
--সন্ধ্যা ৬টা বেজে ১০মিনিট।
চমকে গেল পরাণ। পাখির সাথে যেতে কেমন
জানি ইতস্তত বোধ করছিলো।
--আচ্ছা,আমার ছাতাটা নিয়ে যাও। আমি বরং এখানে থাকি।
--উত্তম প্রস্তাব। কিন্তু,আমার পক্ষে এই ভরা
সন্ধ্যায় প্রবল বৃষ্টিতে একাই যাওয়া অসম্ভব।সম্ভব
হলে আগেই চলে যেতাম।
--তাহলে আমাকেও যেতে হবে?
--অবশ্যই!
অতঃপর পরাণ তার ছাতাটি মেলালো।পরাণ পাখিকে তার
ছাতার মাঝখানে নিল যাতে সে কোন ভাবে ভিজে
না যায়। অনেক দুর পথ পেড়িয়ে এসেছে হঠাৎ
বিজলির বিকট আওয়াজ হলো পাখি ভয়ে পরাণকে
জড়িয়ে ধরল! পরাণের খুব ভাল লাগছিল পাখির
কোমল হাতের পরশ পেয়ে। পাখি জড়িয়ে
ধরতেই দেখে পরাণ পুরো ভিজে গেছে।
--আপনিতো পুরো ভিজে গেছেন!
--আমি ভিজেছি তাতে কি?? তোমায় ভিজতে দিবনা!
যদি অসুখ হয়,তাহলে আমি বিচলিত হয়ে পড়বো।
সহ্য করতে পারবনা কারন,আমার মন আত্মা সব
তোমার মাঝে সপে দিয়েছি।
--আপনি...?
--হ্যা পাখি আমি ঠিকই বলছি!! আমি তোমাকে অনেক
ভালোবাসি!
.
সঙ্কোচ না করে বলেই দিল পরাণ তার মনের
কথাটা। কিছুক্ষন চুপ থেকে পরাণকে জিজ্ঞাসা
করলো পাখি,
--আচ্ছা আপনি আমার জন্য কি করতে পারবেন!
--পাখি তোমাকে একটা কথা বলি?
--জ্বী বলুন।
--আমাকে আপনি না বলে তুমি বলতে পারোনা।
--সঙ্কোচ হয়!
--নো সঙ্কোচ এখন থেকে বলবে!আমি
অনুমতি দিলাম.!
--তুমি কিন্তু আমার কথা এড়িয়ে যাচ্ছো। উত্তর
দাওনি।
--ও... হ্যা। তোমার প্রশ্নটা সহজ কিন্তু উত্তরটা
সহজ। তোমার জন্য মরতে পারবনা।তবে শরীরের
সমস্ত রক্ত দিতে পারবো।
--মরতে পারবে না কেন?
--কারণ অতি সোজা! আমি মরলে তোমায়
প্রেম ভালোবাসার কথা কে শোনাবে!
-তাই বুঝি...
--হুম!!
.
.
THE END

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ