āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ē āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2290 (1)

ডুমুরের ফুল
১.
ফরিদপুর একটি জেলা। বর্তমানে ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। এই জেলাতে পল্লী কবির জন্ম। বৃহত্তর ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর জন্ম। বিখ্যাত ফরায়েজী আন্দোলনের মূল নেতার জন্ম এখানেই। ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের একজনের জন্ম এই ফরিদপুরে! এমনকি বাংলাদেশের একমাত্র নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট ফরিদপুরে অবস্থিত। সুতরাং ফরিদপুরকে সামান্য জেলা বলা ঠিক না।
ফরিদপুর এর বায়তুল আমান হচ্ছে এমন একটা জায়গা যার নাম পুরা ফরিদপুর জানে। কারণ এখানে সরকারি পলিটেকনিক কলেজ আর সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স শাখা অবস্থিত। রাজেন্দ্র কলেজ অনার্স শাখা রোডের সব থেকে বয়স্ক মানে পুরাতন মডেলের বাড়ি টা মিসেস জয়নব বিবি এর।
পুরো এলাকা তার ভয়ে কাঁপে। একমাত্র তার নাত্মী ব্যতিক্রম।
ফজরের ওয়াক্ত থেকে মিসেস জয়নব বিবির বাসায় হৈচৈ শুরু হয়ে যায়।
ফজরের নামাজের জন্য তার একমাত্র নাত্মীকে ডাকতে ডাকতে তার নামাজের ওয়াক্ত যাওয়ার মতো অবস্থা হয়ে যায়।
বিশাল এই বাড়ির দোতলার দক্ষিণের রুমটা হেমলতা। হেমলতা মিসেস জয়নব এর নাত্মীর নাম। হেমলতার রুমের ঠিক দুটো রুমের পর মিসেস জয়নব এর রুম।
দক্ষিণের এই রুম পুরোপুরিভাবে বিলেতি স্টাইলে সাজানো - মিসেস জয়নব এর ভাষ্যে।
হেমলতার ভাষ্যে দুনিয়ার যতো খ্যাত ফার্নিচার আছে সব তার এই রুমে এসে জুটেছে।
দিনে ২-৩ বার ঝগড়া হয় নানী নাত্মীর। কিন্তু তাদের মধ্যে ভালবাসা অটুট।
নানীর কিছু হলে নাত্মী পাগলের মতো হয়ে যায়। আর নাত্মীর কিছু হলে পুরো ফরিদপুর জেনে যায় মিসেস জয়নব বিবির নাত্মীর কিছু হয়েছে!
এখন ৫.৩০ ফজরের আজান দিবে। শীতের সময়। গরমেই ডাকতে ডাকতে পুরো বায়তুল আমান জেনে যায়। আর এখন তো শীত।
মিসেস জয়নব ওজু করে হেমলতার বিছানার পাশে বসে আছেন। ঘুমন্ত নাত্মীকে দেখতে তার ভালোলাগে। কিছুক্ষণ নাত্মীকে দেখেন তারপর ডাকতে শুরু করেন।
ঘুমন্ত মুখখানায় সে তার মৃতা কন্যাকে দেখতে পান। তার একমাত্র মেয়ে হেমলতাকে ৫ বছরের রেখে মারা যান। মেয়েকে মনে পড়ে যখন কান্না আসে তখনি ঘুম থেকে ওঠার জন্য হেমলতাকে ডাকেন।
- হেমলতা, হেমলতা
প্রতিদিন হেমেলতার ঘুম ভাঙে তার নানী যখন পা রাখেন তার রুমে।
পায়ের শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। তারপর সে তার নানীকে রাগানোর জন্যই ঘুমের ভান ধরে।
- হু
- কী হু?এতো  ঘুমায় কেউ?
- হু ঘুমায়!
- তাড়াতাড়ি ওঠ। নামাজের ওয়াক্ত যায়।
- নানী আজকে মাফ করো।
- এই বুবু আমি মাফ করার কে?
বুবু ডাক হেমলতার একদমই পছন্দ না। এই ডাক শুনেই সে ঘুম থেকে বিছানায় লাফিয়ে উঠে বসে। চোখ ডলতে ডলতে বলে
- নানী আমাকে বুবু বলবা না।
- আমি তো বলবোই। দেখি কে ঠেকায়?
খুব হাসতে হাসতে এই কথাটা বলে মিসেস জয়নব।
তারপর দুজনে নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হয়।
বায়তুল আমান এলাকাটা খুব সুন্দর। বিশেষ করে গাছ গুলো। বিশাল বড় বড় গাছ। রাস্তার দুপাশ দিয়ে সগর্বে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। যেন বলতে চাচ্ছে সবাইকে - দেখো আমি কতো সুন্দর। আমি চিরসবুজ!
শীতের সাদা কোয়াশা গায়ে জড়িয়ে থাকে তখন হেমলতার মনে হয় গাছ গুলো অনেক ঠাণ্ডায় চাদর পড়েছে।
দুজন ৩০ মিনিট হেঁটে বাসায় আসেন।
তারপর খোলা বারন্দার চেয়ারে বসে সকালের নাস্তা সারেন।
প্রতিদিনের মতোও আজকেও তারা হেঁটে নাস্তা করতে বসেছেন। তখনি হেমলতার বাবা হাজির।
হেমলতার বাবার নাম মনোজ চৌধুরী। নাম শুনলে মনে হয় হিন্দু। কিন্তু আসলে তিনি মুসলমান।
মনোজ কে দেখেই জয়নব বিবি বললেন
- আরে বাবা তুমি?
- কেন আম্মা আমি কি আসতে পারি না?
- আরে কী বলো বাবা তুমি আসবা না তো কে আসবে? বললাম যে এতো ঠাণ্ডার মধ্যে আসলে তোমার তো আবার নিউমোনিয়ার সমস্যা আছে।
- আম্মা হেমকে দেখার জন্য মন টা ছুটে গেলো তাই আসলাম।
চারটা চেয়ার সহ এই টেবিলে তিনটা চেয়ার আজকে পূর্ণ। একটা চেয়ার খালি।
মনোজ খালি চেয়ারটার দিকে তাকিয়ে কী যেন ভাবলেন।
তারপর মেয়ের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন
- হেম মা তোমার পরীক্ষা কবে?
- বাবা এখনো ২ মাস বাকি।
- ওওহ আচ্ছা।
- বাবা তুমি আমাকে এই প্রশ্ন কতোবার করলে আজকে দিয়ে?
মনোজ একটু লজ্জা পেয়ে আবার হেসে বলল
- হেম বয়স হয়েছে তো তাই ভুলে যাই।
মেয়ে বাবার কথা শুনে হাসতে শুরু করেছে।
একমাত্র নাত্মীর হাসি দেখে নানীও হেসে ফেললো।
মিসেস জয়নব বললেন
- বাবা নাস্তা করো।
তারপর লায়লী বানু কে ডাকলেন
- লায়লী লায়লী, মনোজের জন্য নাস্তা আনো।
খাওয়া দাওয়ার সময় লায়লী বানু আশেপাশে থাকেন। এই বাড়িতে ৩ জন কাজের লোক। একজন ঠিকা কাজ করে। আরেকজন রান্নাবাড়ার জন্য কুটাকাটি করে সব কিছু গুছিয়ে দিয়ে যান। আরেকজন মানে লায়লী বানু রান্নাবাড়া সহ বাড়ির সবকিছু দেখেন।
মিসেস জয়নব এর ডাক শুনে সে বললেন
- জে আনতাছি।
নাস্তা খাওয়া শেষ হওয়ার পর মনোজ তার মেয়েকে বললেন
- আজ তোর প্রাইভেট নাই?
- আছে তো বাবা।
- কখন?
- এই তো ৮ টায়।
- তাহলে চল মা আমার সাথে চল
- আচ্ছা বাবা তুমি ৫ মিনিট বসো। আমি আসছি।
মিসেস জয়নব বিবি এই সময় ঘুমান। ৮ টা থেকে ১০ পর্যন্ত ঘুমিয়ে তিনি অনেক শান্তি পান।
বায়তুল আমানে রিক্সা পাওয়া কষ্টের। অটো পাওয়া যায়। কিন্তু মনোজের সেটা ভালো লাগেনা।
প্রায় মনোজ সকাল সকাল শ্বশুর বাড়ি মেয়ের কাছে চলে আসেন।তারপর একসাথে রিক্সায় করে মেয়েকে প্রাইভেটে দিয়ে নিজের বাসায় যান।
এই সময়টুকু সে তার মেয়ের সাথে গল্প করেন।
রিক্সা আগে থেকেই রিসার্ভ করে রাখেন।
রিক্সায় বসে মেয়ের সাথে তিনি রাজ্যের গল্প জুড়ে দিলেন।
মাঝেমাঝে মেয়ে হেসে ওঠে আর তখনি মনোজ সাহেবের প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
মনোজ সাহেব বললেন
- হেম মা তোকে না মনে হয় আমার সাথেই রাখি। কিন্তু....
আর বলতে পারলেন না। হেমলতা তখন বলল
- জানি বাবা ছোট মা। ওনার জন্য আমাকে তুমি তোমার কাছে রাখতে পারো না। আর তোমার তো আরো দুটো মেয়ে আছে তাই না?

মনোজ সাহেব মেয়ের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলেন। হুট করে চলে আসা চোখের পানি মুছে নিলেন। তারপর বললেন
- মা রে আছে তো। কিন্তু তোর প্রতি ভালবাসাটা বেশি। সন্তান তার পিতার চোখে সমান কিন্তু কেন যেন তোকে একটু বেশি ভালবাসি।

হেমলতা তখন খুব গম্ভীর ভাবে বলল
- হা জানি তো। আমি তো মা মরা মেয়ে।
দুজনের মধ্যে আর কথা হয়না। গভীর শোক তাদের মাঝে হানা দেয়। বাবা- মেয়ে চুপ করে তারপরের রাস্তাটা পার করেন।
দুজনেই কান্নাটা চাপা রাখেন একে অপরের জন্য।
এই সুন্দর শীতের সকালে দুজন বুকের মাঝে চাপা কষ্ট নিয়ে দিনের কাজ করতে শুরু করেন।

চলবে.....!

#Maria_kabir

ডুমুরের ফুল
২.
সারদা সুন্দরী কলেজের সামনে এসে রিক্সা দাঁড়ালো। হেমলতা রিক্সা থেকে নেমে বাবার দিকে তাকিয়ে  মুচকি হেসে বলল
- বাবা আসি
- আচ্ছা মা যা।
পকেট থেকে ১০০ টাকার নোট বের করে  মেয়ের হাতে গুঁজে দিয়ে বলল
- রাখ মা। আজকের দিনে এতে তোর হবে?
মেয়ে ১০০ টাকার নোট ব্যাগে রেখে বলল
- হবে বাবা!
মনোজ সাহেব রিক্সা নিয়ে চলে গেলেন। হেমলতা পড়তে গেলো।
৯ টায় পড়া শেষ হওয়ার পর হেমলতা আর তার বান্ধবী মিম্মা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। ইন্টারের টেস্ট এক্সাম শেষ তাই ক্লাস অফ।
হেমলতা খেয়াল করলো ঠিক তাদের বিপরীতে টেরাকোটার সামনে জটলা। ১০-১২ জন ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। সবাই খুব হাসাহাসি, গল্পে ব্যস্ত। কিন্তু একজন গোমড়া মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে।গোমড়া মুখেই ছেলেটাকে বেশি সুন্দর লাগছে। মনে হচ্ছে হাসলেই ছেলেটার সৌন্দর্য টা হাওয়া হয়ে যাবে।
নীল রঙের জিন্সের সাথে লাল রঙের ফুল হাতা গেঞ্জি পড়েছে। এই পোশাকে এই ছেলেকে বেশ ভালোও লাগছে না আবার খারাপও লাগছে না। মাথায় এক ঝাক কোঁকড়া চুল। ঘুম থেকে ওঠে আচড়াতে ভুলে গেছে। তাতে কাউয়ার বাসার মতো লাগছে। প্রচুর ফর্শা, ঠোট পাতলা। লম্বা মাঝারি, স্বাস্থ্য ভালো।
চেহারা দেখে মনে হচ্ছে খুব চিন্তায় আছে।
এই ছেলেটাকে হেমলতা আজকেই প্রথম দেখলো। হেমলতা মিম্মা কে বলল
- মিম্মা
- হু বল
ইশারায় ছেলেটাকে দেখিয়ে বলল
- চিনিস ওই ছেলেকে?
- কোন ছেলে?
- আরে গাধী উইজে টেরাকোটার সামনে লাল ফুল হাতা গেঞ্জি পড়া ছেলেটা!
- আরে ও। ওর চিনে লাভ নাই লাইন মারতে পারবি না।
- ধুত্তুরি আমি কি লাইন মারার জন্য বলছি নাকি? ছেলেটাকে এই প্রথম  দেখলাম।
- তুই তো সারাদিন তোর ওই ব্রিটিশ রাজ্যে বাস করিস। তোর আবার অন্যের খবর রাখার সময় আছে?
- শোন আমাদের সাথের প্রায় ছেলেকে আমি নামে হলেও চিনি। কিন্তু এরে তো মনে হচ্ছে ফরিদপুরে নতুন।
- নাহ। ফরিদপুরের স্থানীয়। ওর নাম জাদিদ ইবনে হাইসাম। ফরিদপুরের টপার স্টুডেন্ট। এবার এইচএসসি ক্যান্ডিডেট দের মাঝে জাদিদ ১ নাম্বারে আছে। আর হাবিব স্যারের মতে ওর মতো মেধাবী ১০০ বছরে ১ টাই পাওয়া যায়।
- এতো ভালো স্টুডেন্ট তাহলে একা একা কেন দাঁড়িয়ে আছে? ফ্রেন্ডস কই?
- ওর কোনো নির্দিষ্ট কোনো ফ্রেন্ড নাই। যেই ওর সাথে কথা বলতে আসে ও তার সাথেই কথা বলে। পড়াশোনার ব্যাপারে যতো রকমের হেল্প লাগবে ও এক পায়ে রাজি। কিন্তু...!
- কিন্তু কী?
- এক্সাম হলে বোম মারলেও কাউকে দেখাবে না কিছুই।

হেমলতার কেন যেন ছেলেটাকে ভালো লাগলো। এক দৃষ্টিতে জাদিদের দিকে তাকিয়ে আছে। কপাল কুঁচকিয়ে, চোখ বন্ধ করে, হা করে জাদিদ কী যেন চিন্তা করছিলো।
হেমলতার এই অবস্থা দেখে মিম্মা হাসতে হাসতে বলল
- দোস্ত প্রেমে পড়ার মানুষ পাইলা না।
মিম্মার টিটকারি শুনে হেমলতা রাস্তার দিকে তাকিয়ে বলল
- কে বলেছে আমি প্রেমে পড়েছি? একটা ছেলের দিকে তাকালেই কী প্রেমে পড়া হয়ে যায় নাকি?
- যাই হোক। একটা কথা বলে রাখি ওর প্রেমে পড়ে লাভ নাই। ওইরকম টপার স্টুডেন্ট রা বই ছাড়া কিছুই বুঝে না।
- তুই এতো কিছু কীভাবে জানলি?
- সবার কাছ থেকে শুনি। নিফার কাছ থেকে বেশি শুনেছি।
- ক্যান নিফা ওর জিএফ নাকি?
- মাথা খারাপ নাকি? নিফার বিএফ জাদিদের সাথে ঘোরাফেরা করে।
মিম্মার ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো। মিম্মা ফোনে কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে গেলো।
হেমলতার চোখে জাদিদের চিন্তাভরা মুখখানা ভেসে আসছে। 
নিজের উপর ধিক্কার দিয়ে নিজেকে মনে মনে বলল
- হেম তুই মানুষ আর পাইলি না। এই কাউয়ার বাসার কথা  চিন্তা করছিস।
বিকাল ৩ টায় হাবিব স্যারের কাছে পড়া।
স্যার পড়ানো শুরু করবে এই সময় সেই কাউয়ার বাসা আইসা হাজির।
হেমলতা খেয়াল করলো ছেলেটা এখনো সেই একই পোশাক পড়ে আছে। স্যারের সাথে হেসে হেসে খুব আস্তে আস্তে কী কী যেন বলছিলো।
হেমলতার কানে শুধু সূত্র, গাণিতিক যুক্তি, ব্যাখ্যা শব্দ আসছিলো।
সে উতলা হয়ে ভাবছিলো
- কী নিয়ে কথা বলে?
কিছুক্ষণ পর স্যার জাদিদের পিঠে চাপড় মেরে বলল
- সাবাস!
সবাই শুনলো। জাদিদ খুব মিষ্টি করে হেসে বিদায় নিয়ে যাচ্ছিলো তখনি হেমলতা জাদিদের ফেস পুরোপুরিভাবে দেখতে পেলো। এতক্ষণ পিছন ঘুরে ছিলো।
হেমলতা সকালের সেই চিন্তাসহ গোমড়া মুখ আর নাই। এখন চেহারায় বিজয়ের হাসির ঢেউ উপচে পড়ছে।
মিম্মা হেমলতার এইভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে বলল
- আর তাকাস না এভাবে।
হেমলতা ধরা পড়ে যাওয়ায় লজ্জা পেলো। তারপর বলল
- আরে না তেমন কিছুনা।

রাতে পড়া শেষ করে ঘুমানোর আগে হেমলতা ফেসবুকে কিছুক্ষণ থাকে। তারপর ঘুমায়।
হেমলতা জাদিদের ফেস মনে করতে পারছিলো না। আজকেই তো ২ বার সে দেখেছে আর এখনি মনে করতে পারছেনা। তার খুব মেজাজ খারাপ হচ্ছিলো।
ছেলেটার নাম তার মনে আছে। হেমলতা ফেসবুকে পুরো নাম ইংলিশে লিখে সার্চ দেয়ার সাথে সাথেই অনেক আইডি চলে আসলো।
এখন সমস্যা হচ্ছে কোনটা কাউয়ার বাসার আইডি।
একদম প্রথম আইডি  তে ডোরেমন এর ছবি দেওয়া। আর ৫ মিউচুয়াল ফ্রেন্ড। কাভার পিকে ৩ জন ছেলের ছবি তার মধ্যে একজন তো নাফির বিএফ আর দ্বিতীয় জন জাদিদ।
সেন্ড রিকুয়েস্ট অপশনে গিয়ে হেমলতা থেমে গেলো।
না ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠানো যাবেনা।
পিকচার দেখতে শুরু করলো। প্রত্যেকটা পিকচারে চুল আচড়ানো না। আর হাসি কী রে মাইরি?
দাঁতের উপর দাঁত দিয়ে জগত কাঁপানো হাসি।
আর প্রায় প্রত্যেকটা ছবিতে ফুল হাতা গেঞ্জি পড়া। হাফ হাতা গেঞ্জি পড়া পিকচার ২-৩ টা।
নানীর পায়ের শব্দ শুনে হেমলতা ডাটা কানেকশন অফ করে ঘুমের ভান ধরলো।
মিসেস জয়নব নাত্মীর কাছে এসে তার মশারী টানিয়ে দিলেন।
তারপর কিছুক্ষণ ঘুমন্ত চেহারা দেখে চলে গেলেন তার রুমে।
ঘুমানোর আগে মিসেস জয়নব তার বাড়ির সব খবর ভালোভাবে নেন। মেইন গেট, কেঁচি গেট, বাড়ির সদর দরজা লাগানো হয়েছে কিনা। তারপর তিনি প্রেশারের মেডিসিন খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এই রুটিন অনুযায়ী সে সবকিছু করে ঘুমিয়ে পড়লেন।
এইদিকে হেমলতা ঘুমের ভান ধরতে গিয়ে সত্যি সত্যি ঘুমিয়ে পড়েছে।

হেমলতার ঘুম খুব পাতলা। খুব আস্তে শব্দতেও ওর ঘুম ভেঙে যায়। মিসেস জয়নব এর কড়া হুকুম ওর ঘুমের সময় যেন কেউ তার রুমের আশেপাশেও যেন না থাকে!

চলবে...!

#Maria_kabir

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ