পরিধিহীন বৃত্ত ও আত্মার আর্তনাদ
পর্ব নং :- {১/৩}
লেখক :- বিবাগী শাকিল
=================================
.
এখানে গুমোট অন্ধকার। কিছুই দেখা যায় না। কিন্তু অন্তরের চোখ দিয়ে সব দেখতে পাই। মাঝে মাঝে ঐ আকাশে.... না এখন বলব না। পরে বলব।
.
হঠাৎ করে সোনালী সময়টা কিভাবে অতীত হয়ে গেল টেরই পেলাম না। আসলে সবকিছুই অতীত হয়ে যায়। সামনের ভবিষ্যত টা ধীরে ধীরে বর্তমানে রুপ নেয়। তারপর অনায়াসে অতীত হয়ে যায়। ভাবলে মাঝে মাঝে কষ্ট লাগে। কিন্তু কিছু করার নেই। এটাই বাস্তব যে বর্তমানের হাত ধরে এগিয়ে আসে ভবিষ্যৎ আর বর্তমানের হাত ধরেই সব অতীত হয়ে যায়।
.
বসে আছি মাঠে। অনেক দিন পর গ্রামে এলাম। এই সেই ঐতিহাসিক বিদ্যালয় যেটাতে আমরা আমাদের প্রিয় স্মৃতিগুলোকে রেখে এসেছি। রাশেদের এখনো আসারই নাম নেই। আসলে আগে কয়েকটা দিয়ে হাত এবং মাথা দুটোই ঠান্ডা করব। রাশেদ ছিল স্কুলে আমার প্রতিদ্বন্দী। ভালোই মজা পেতাম ওর সাথে প্রতিদ্বন্দীতা করে। স্কুলের সেই মজার মজার দিন গুলোর ভিতরে রাশেদের স্মৃতিটা একটু বেশি গভীর। ফিরোজ স্যারের কল্যাণে ওয়ার্ড মেকিং খেলাটা শিখেছিলাম। রাশেদের সাথে সেই খেলাটা জমত বেশ ভালো। তবে বেশিরভাগ সময়ই সে আমার সাথে পারত না। ঐ যে আসছে। রাশেদকে দেখে আমি রীতিমত অবাকই হলাম। দাড়ি রেখে চেহারাটাকে মুরব্বি বানিয়ে ফেলেছে।
- ঐ ******* জামাই। আসতে এতক্ষণ লাগে।
-- ঐ বেটা গালি দিবিনা। তোর জন্য কি না খেয়ে আসব নাকি।
- বাহ বা... আমি এখানে বসে বসে নিজের মেরুদন্ডের বারোটা বাজাচ্ছি আর তুই পেট শান্তি করছিস।
-- কথায় আছে পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি।
- আয় বস।
রাশেদ আমার সাথে মাঠে বসে। পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে আমাকে দিয়ে বলল
-- ধর.. এটা ছাড়া তো তুই কিছু বুঝিস না।
- আরে বেটা.. সাবাস বেটা উম্মাহ... আগে দিবিনা।
-- এবার দিছি না। খা শান্তি মত।
- তুই তো খাস না। তুই কি বুঝবিরে। আমার এইটা শান্তি তো দুনিয়া শান্তি।
সিগারেটটা ধরিয়ে আনমনে টানতে থাকি। কারন এই সময় আমি সিগারেট নষ্ট করতে চাইনা। একটানের পর আরেক টান। না শেষ হওয়া পর্যন্ত ছাড়াছাড়ি নাই। সিগারেট শেষ হতেই আসল আমাদের মুকুল। আমার সবচেয়ে মোটা বন্ধু। যাকে আমি এখনো মোটকাইয়া নামে ডাকি। ওর সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল ক্লাস সিক্সে। ওকে তখন খুব ক্যাতুকুতু দিতাম। একটু পরে পরেই দিতাম। মুকুল তখন খুব লজ্জা পেত। মেয়েদের মত একটা মুচকি হাসি দিত। ভালোই লাগত। আজ আমার সব স্কুল ফ্রেন্ড আসবে। তার একটা বিশেষ কারন আছে।
.
পকেট থেকে মোবাইল বের করে ফরহাদকে কল দিলাম।
- ওই ******* জামাই... রাশেদ, মুকুল অন্য গ্রামের হয়েও তোদের আগে চলে আসছে আর তুই এখনো আসলিনা। তাড়াতাড়ি আয়। আর হ্যা... এক প্যাকেট সিগারেট নিয়ে আসিস।
ফোন রাখতেই রাশেদ আমাকে বলল
-- দোস্ত.. এত সিগারেট খাস কেন? তুই দেখিস বেশিদিন বাঁচবিনা।
কথাটা শুনে থমকে গেলাম। কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারলাম না। লাভ কি।
ফরহাদ আসছে। হাতে সিগারেটের প্যাকেট। খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে আমার দুচোখ। ফরহাদ আমার ক্লাস ওয়ান থেকেই বন্ধু। তবে হাই স্কুলের শেষের দিকে ওর সাথে আমার একটু মনোমালিন্য হয়। কারন খুবই হাসির। আমার বাল্যকালের ক্রাশ জিনিয়া। ক্লাস ফাইভে ওর প্রেমে পড়েছিলাম। কথাটা মনে পড়লে খুব হাসি পায়। জিনিয়ার সাথে ক্লাস ফাইভেই প্রথম দেখা। ওর সাথে পাঁচ গুটি খেলেছি। একদিন কি একটা কারনে ওর চুল ধরে এত জোরে টান দিছি যে ওর চুল আমার হাতের মুঠোয় চলে আসে। জিনিয়াকে যে আমি পছন্দ করতাম এটা জানার পর জিনিয়া আমার সাথে টানা চার বছর কথা বলেনি। আমিও লুকিয়ে লুকিয়ে ওকে দেখতাম। কথা বলতাম না। ক্লাস নাইনে আমি সায়েন্স গ্রুপে চলে যাই। বাকি সব ছেলে বন্ধুরা ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপে। তিনটা মেয়ে এবং আমি একা ছিলাম সায়েন্স গ্রুপে। তখন জিনিয়ার সাথে একটু আধটু কথা হত। যাই হোক... কথা সেটা না। ফরহাদের ক্রাশ ছিল আমাদের সুমধুর কন্ঠের অধিকারী জয়া। স্কুলের সমস্ত প্রোগ্রামে ও গান গাইত। আমি জয়ার সাথে খুব ক্লোজ ছিলাম আর ফরহাদ জিনিয়ার সাথে খুব ক্লোজ ছিল। ব্যস আমি ফরহাদের সামনে জয়াকে প্রপোজ করতাম আর ফরহাদ আমার সামনে জিনিয়াকে প্রপোজ করত। সেটা নিয়ে আমাদের মাঝে তুমুল ঝগড়া হত। এখন জিনিয়াও নেই জয়াও নেই কিন্তু আমাদের বন্ধুত্বটা এখনো রয়ে গেছে। এটাই স্বাভাবিক। কারন বন্ধু ছাড়া লাইফ ইমপসিবল। ফরহাদ আসলো। সিগারেটের প্যাকেট খুলে একটা ধরালাম। ফরহাদ একটা ধরালো। রাশেদ মুকুল খায় না। অপেক্ষা করছি বাকি বন্ধুদের জন্য। সবাই একত্রিত হব। একটা বিশেষ কারন আছে। নাহিদকে কল দিলাম। ওর বাড়ি আমার বাড়ি পাশাপাশি। বন্ধু মহলে ওর নাম ছিল ফ্লাওয়ার মিয়া। এটার পিছনেও একটা ঐতিহাসিক কারন আছে। সেটা না বলাটাই ভালো হবে।
- কিরে ফ্লাওয়ার মিয়া.. আপনি কি আসবেন?
-- আসতেছি দোস্ত। একটু অপেক্ষা কর।
- তাড়াতাড়ি আয়। আর শেরে বাংলাকেও নিয়ে আসিস।
.
নাহিদ আমার সতীন জামাই ছিল। কারন ক্লাস নাইন এ সে জিনিয়াকে পছন্দ করে। আমি ক্লাস ফাইভ থেকেই করতাম। কিন্তু কখনো সাহস করে কখনো ওকে বলতে পারিনি। নাহিদের সাহস আমার থেকে বেশি ছিল। একদিন স্কুল ছুটির পর যে রাস্তা দিয়ে জিনিয়া যায় সে রাস্তায় নাহিদ সাইকেল নিয়ে দাড়ায়। তারপর সাইকেল টাকে একপাশে দাড় করিয়ে রেখে মিশা সওদাগর স্টাইলে জিনিয়াকে ডাক দেয়।
- ঐ জিনিয়া খাড়া। তোর সাথে কথা আছে।
-- রাস্তায় কিসের কথা। বেআদব। কাল শাহদাত স্যারের কাছে বলে দেব।
জিনিয়াও আগে থেকে জানত যে নাহিদ জিনিয়াকে পছন্দ করে। ব্যস... পরদিন স্কুলে জিনিয়া স্যারকে বলে দেয়। স্যার নাহিদকে অফিস রুমে নিয়ে যায়। আমাদের প্রধান শিক্ষকের হাতে বিষয়টা তুলে দেয়। হেড স্যার নাহিদকে বেত দিয়ে বেধড়ক মেরেছিল। কিন্তু নাহিদ একটুও ব্যাথা পায়নি। কারন সে অফিসে গিয়ে চক বাক্স থেকে কিছু চক তার পকেটে ঢুকিয়ে ফেলে। স্যার সেখানেই আঘাত করে। নাহিদ তো ব্যাথা পায়নি। তার প্রমাণস্বরুপ হিসেবে আমরা নাহিদের পকেটে চকের গুড়ো আবিষ্কার করেছি। যেগুলো স্যারের বেতের আঘাতে ভেঙ্গে গেছে। সেই থেকে সে আমার সতীন জামাই। এবার আসি শেরে বাংলা ওরফে ফজলুল করিম। যদিও বাংলাদেশের শেরে বাংলার নাম ফজলুল হক ছিল তাও আমরা ওকে শেরে বাংলা ডাকতাম। আমাদের তিনজনের বাড়ি পাশাপাশি। আমি, নাহিদ আর করিম নাইটকোচিং এ একসাথে যেতাম। আমার সাইকেলের সামনে করিম বসত আর লাইট ধরে রাখত আর পেছনে বসত নাহিদ। ও জিনিয়াকে দেখায় ব্যস্ত থাকত। করিম কে নিয়ে একটা মজার কাহিনী আছে। স্কুলের দেলোয়ার স্যার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্ধ ভক্ত ছিল। সেদিন প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল। চারিদিকে অন্ধকার। বৃষ্টির ঝাপটা যেন ক্লাসের ভেতরে না আসে সে জন্য দরজা জানালা সব বন্ধ ছিল। দেলোয়ার স্যার তখন কবি কবি ভাবে ছিল। নিশ্চুপ ভাবে বসে আছে। আর আমরা যে যেভাবে পারছি সেভাবে কথা বলছি। নাহিদের দিকে তাকিয়ে দেখি সে জিনিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। করিমের কন্ঠ একটু মোটা ছিল। তাই ওর কন্ঠটা খুব জোরে শোনাচ্ছিল। স্যার করিমকে দাড় করায়।
- এত কথা বলতেছ কেন করিম?
-- স্যার.. আমি কথা বলছিনা। শাকিলকে রবীন্দ্রনাথের কবিতা শোনাচ্ছি।
আমি তো ফিক করে হেসে ফেললাম। স্যার অবাক এবং খুশি হয়ে বলল
- তুমি রবীন্দ্রনাথের কবিতা, গল্প পড়?
-- জ্বি স্যার.. আমি তো রবীন্দ্রনাথের অন্ধ ভক্ত।
স্যারের মুখের খুশি খুশি ভাবটা দ্বিগুন হয়ে যায়। স্যার করিমকে বলে
- দেখি একটা কবিতা বলো তো।
এমনিতেই আষাঢ়ের ঘন বর্ষার দিন ছিল। তার উপর গগন কাঁপানো বৃষ্টি। করিম সেই দিনটার সাথে মিল রেখে রবীন্দ্রনাথের সেই কবিতাটা বলে
.
নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে
তিল ঠাঁই আর নাইরে
ওগো তোরা যাসনে আজ
ঘরের বাইরে।
.
স্যার যথেষ্ট খুশি হয়ে বলে।
- বাহ করিম, তুমি খুব সুন্দর কবিতা আবৃতি করলে। তুমি জীবনে উন্নতি করতে পারবা।
করিম মুখে হাসি আটকাতে পারছেনা। এদিকে আমার আর নাহিদের অবস্থা হাসতে হাসতে শেষ। নাইট কোচিং এ আমি, করিম, নাহিদ একসাথে বসতাম। পড়ার নামে Rap গান লিখতাম। দু একটা লাইন এখনো মনে আছে। করিম, নাহিদ দুজনে একসাথে আসল। করিম এসেই বলল
- দোস্ত Rap গান টা গা।
-- আরে মনে নাই তো।
- যেটুকু মনে আছে সেটুকু গা।
রাশেদ, মুকুল, করিম, ফরহাদ এবং নাহিদ তারাও বলল। আমি আর কি করব। শুরু করলাম সেই আজগুবি গান।
.
শামসু এখন অন্ধ
কোপাকুপি বন্ধ
শামসু এখন জেলে
কোপাবে তার ছেলে
চিড়িয়াখানায় সিংহ দেখছ
বনের মাঝে দেখনি
মাথা উঁচু করে চলে
তার খবর রাখনি
এই সিংহের একটা থাবা
ভুলে যাবি কে তোর বাবা
আনোয়ার হোসেনের অভিনয় দেখছ
রাজীবের তো দেখনি
ঘুঘু দেখছ ময়না তুমি
ঘুঘুর ফাঁদ দেখনি
টম এন্ড জেরীর লুকোচুরি
আর তো ভালো লাগেনা
চাইনিজ কুড়াল, হকস্টিক
হইয়া গেছে পুরানা
মাইয়াগো মাথায় কাঁঠাল ভাঙ্গা
আমারই স্বভাব
বন্ধুরা সব বলে এটা
হান্ড্রেড পার্সেন্ট লাভ
আমি আসলি টাইগার
রয়েল বেঙ্গল টাইগার
দুইচোখ আমার গোলাকার
রয়েল বেঙ্গল টাইগার
আরে থাবা আমার খুবই ধার
তুই আমার শিকার
জঙ্গল আমার অধিকার
রয়েল বেঙ্গল টাইগার
.
খুব হাসলাম গানটা গাইতে গাইতে। সেই সাথে হাততালি তো আছেই। এই বন্ধু বান্ধবরা আমার লাইফের একটা অপরিহার্য অংশ। কখনো বাদ দিতে পারব না এই অংশ টাকে। হাসানকে কল দিলাম।
- হ্যালো হাসান।
-- দোস্ত আমি রেডি। রায়হান আর জাহিদের জন্য দেরি হচ্ছে। আসতে আর ১০ মিনিট লাগবে।
- ওকে তাড়াতাড়ি আয়।
হাসান হল আমার আর নাহিদের সতীন জামাই। কারন ক্লাশ টেনে হাসানও জিনিয়ার প্রেমে পড়ে। এক ফুল মালী তিনজন। জিনিয়ার ভাব এবার দেখে কে। এক বনে তিন বাঘ। ক্লাস চলাকালীন সময়ে তিন জোড়া চোখ জিনিয়ার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকত। জিনিয়া সেটা বুঝত। আর সমান তালে তিনজনের দিকেই মাঝে মাঝে তাকাত। আহ... কি প্রেম। হাসান ফরহাদের সাথে হাত মিলিয়ে আমার বিরোধিতা করে। আমি কারো সাথে হাত মিলাই নি। নাহিদও না। জেনারেল সাব্জেক্টে জিনিয়ার সাথে কথা বলতাম না। আর সায়েন্স গ্রুপ সাব্জেক্টের জন্য যখন অন্য রুমে ক্লাস করতে যেতাম তখন কথা বলতাম।
.
একসাথে তিনজনই এসে হাজির হল। হাসান, রায়হান এবং জাহিদ। হাসানের কথা তো বলেছিই। এবার আসি রায়হান আর জাহিদের কথায়। রায়হানের কোন ছদ্মনাম ছিলনা। তবে ক্লাসের একটা মেয়ের নাম ছিল মর্জিনা। রায়হানকে আমরা সবাই মর্জিনার জামাই ডাকতাম। আর জাহিদকে আমরা সবাই টুকু মিয়া নামে ডাকতাম। কে রেখেছিল আর কেন রেখেছিল এই নামটা আজো তার রহস্য উদঘাটন করতে পারিনি। হাসান বলল
- দোস্ত তালচুরির কথাটা মনে আছে।?
-- আরে মনে থাকবেনা আবার। জীবনে প্রথম বার চুরি করতে গিয়ে এত ঝামেলায় পড়েছি।
নাহিদ বলল
--- দোস্ত.. সেদিন তোদের চেয়ে আমি বেশি দৌড় খেয়েছি।
নাহিদের কথা শুনে আমরা সবাই একসাথে হেসে উঠলাম। মনে পড়ে গেল সেদিনের কথা। বন্ধুরা সবাই তালচুরি করতে গিয়েছিলাম। সময়টা বর্ষাকাল। স্থান হাসানদের এলাকা। করিম কে দা হাতে দিয়ে গাছে উঠিয়ে দিলাম। করিম দপাদপ তাল কেটে নিচে পাঠাচ্ছিল আর আমরা একে একে খাচ্ছি। একসাথে অনেক গুলো ছেলে কথা বলছি, তাল কাটছি। সেজন্য শব্দটা একটু বেশি জোরেই শোনাচ্ছিল। ব্যস.... চলে এল গাছের মালিক। হাসানই সবার আগে দৌড় দিল আর আমরা কিভাবে ঘটনাস্থলে থাকি। যে যেভাবে পারল সেদিকেই দৌড় দিল। কিন্তু করিম কি করে এত তাড়াতাড়ি করে গাছ থেকে নেমে পালিয়েছে সেটা এখনো খুব আশ্চর্য্যের। পালানোর সময় আমি নাহিদ আর করিম একসাথে ছিলাম। নাহিদ সবার আগে আগে। অন্ধকার রাত। সামনে কি আছে কিছুই দেখছিনা। তিনজনই দৌড়াচ্ছি। সামনের ক্ষেতে যে পানির পরিমাণ এত বেশি থাকবে সেটা আমাদের জানা ছিলনা। নাহিদ ধপাস করে সেই পানিতে আছড়ে পড়ল। শব্দ শুনে মনে হল সে পুকুরে ঝাপ দিচ্ছে। কি হয়েছে কিছু বুঝে উঠার আগেই আমি ওর গায়ের উপর পড়লাম। কিন্তু করিম কই। বন্ধুরা সবাই মিলে করিমকে খোঁজাখুজি করেও পেলাম না। কল দিলাম। মোবাইল বন্ধ। টেনশন হতে শুরু করল। তারপর বাড়িতে এসে দেখি করিম আমাদের আগেই চলে এসেছে। আমার আর নাহিদের মুখ হা হয়ে গেছে। কারন যে করিম রাতে আড্ডা দেয়া শেষে একা একা বাড়িতে যেতে ভয় পেত, রাস্তায় ইঁদুর দেখলেও লাফ দিয়ে উঠত, যে করিমকে রাতে আমরা বাসায় দিয়ে আসতাম সে করিম কিনা আজ অনেক গুলো ক্ষেত পেরিয়ে রাতের বেলায় এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে চলে এল। মানতেই হবে করিম পৃথিবীর একমাত্র সাহসী ছেলে।
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ē āϏেāĻĒ্āĻেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
2285 (1)
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧧:⧧⧝ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ